উদ্বোধন
শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
আজ রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
মন্ত্রণালয়গুলো সারা দেশে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ নতুন পাঠ্যবই বিতরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
পাঠ্যবইগুলো ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন উপজেলা পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ৪৬৪ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৩টি বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করেছে।
২০১৭ সাল থেকে সরকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্রেইল বই বিতরণের পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রি সংস্করণের বই বিতরণ করে আসছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান।
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল: এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে ফের তলব
নতুন পাঠ্যপুস্তকে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ জাফর ইকবালের
ঢাকা-চেন্নাই রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট উদ্বোধন
ঢাকা-চেন্নাই রুটে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে ঢাকা-চেন্নাই রুটে বিরতিহীন ফ্লাইট চালু হলো।
এতে প্রতি শনিবার, সোমবার ও বৃহস্পতিবার থাকছে তিনটি ফ্লাইটের শিডিউল।
আরও পড়ুন: নারিতার পর বিশ্বের আরও কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বিমানের
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা-চেন্নাই রুটের ফ্লাইট ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
এরপর প্রথম ফ্লাইটের যাত্রীদের হাতে বোডিং তুলে দেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।
এরপর ফ্লাইট বিজি ৩৬৩ দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি ভারতের স্থানীয় সময় বিকাল তিনটা ২০ মিনিটে চেন্নাই পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এরপর সোয়া ৪টায় বিমানটি উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আবার ঢাকায় অবতরণ করবে। দক্ষিণ ভারতে এটি বিমান বাংলাদেশের প্রথম গন্তব্য।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমান নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে আকাশ পথের সেবা সম্প্রাসারণ করছে। বিজয় দিবসের দিনে নতুন একটি রুটে এই উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের মানুষের বিজয়ের দিবসের উপহার দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে যান। তাদের কথা চিন্তা করেই এই রুট বিমান নতুন ফ্লাইট উদ্বোধন করেছে। আশা করছি, বাংলাদেশ বিমান এয়ায়লাইনস এই রুটে যাত্রী সেবায় এক নম্বর হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো চলছে। আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতম হবে। বাংলাদেশিরা চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য ভারতের যায়। তাদের জন্য এই রুট খুবই ব্যস্ততম রুট। বাংলাদেশ বিমান এই রুটের ফ্লাইট চালু করেছে এটা আনন্দের খবর।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌথ উদ্বোধনের এক মাস পরেও খুলনা-মোংলা রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি।
চলাচল শুরু হলে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার এই পথ দিয়ে পণ্য পরিবহন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেলপথটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মোংলা বন্দর থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পরিবহন সহজতর করবে এবং প্রতিবেশি দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে সহজ করবে। এতে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
উচ্চ প্রত্যাশা সত্ত্বেও, এই নবনির্মিত ট্র্যাকে ট্রেন পরিষেবা এখনও শুরু হয়নি। ট্রেন চলাচল শুরুর সঠিক তারিখ এখনও অনিশ্চিত, কারণ কর্তৃপক্ষ এখনও বিস্তারিত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই লাইনে আটটি নবনির্মিত স্টেশন রয়েছে, যেখানে বর্তমানে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাব রয়েছে। উপরন্তু, এই স্টেশন এবং রেলক্রসিংগুলোর জন্য কর্মীদের কাজ শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইন উদ্বোধন ১ নভেম্বর
টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনের কাজও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া মোট কতটি ট্রেন চলবে, ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, ‘খুলনা-মোংলা রেললাইনে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়েছে। কিছু ফিনিশিং কাজ বাকি ছিল, এখন সেগুলো করা হচ্ছে। এই রুটে পণ্য পরিবহনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, সেই সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে। তবে ট্রেন চলাচল শুরুর তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।’
প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টুবরো এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। ভারতের ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
এই রেলপথে রূপসা নদীর উপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণকাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। ৯টি স্থানে আন্ডারপাস (রেললাইনের নিচ দিয়ে যাওয়ার রাস্তা) নির্মাণ করা হয়েছে। আন্ডারপাসের কারণে ট্রেনগুলোকে ক্রসিংয়ে থামতে হবে না। দুর্ঘটনারও ঝুঁকি থাকবে না।
এই রেলপথের আটটি স্টেশন হলো– ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, দিগরাজ, কাটাখালী, চুলকাঠি, বাঘা ও মোংলা।
খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘সবার দাবি দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হোক। ট্রেন চালু হলে মোংলার সঙ্গে রেলপথে যাতায়াত সুবিধার পাশাপাশি আরও গতিশীল হবে মোংলা বন্দর। পর্যটকরাও খুলনা থেকে ট্রেনে সুন্দরবন যেতে পারবেন।’
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, পদ্মা সেতুর পর রেল সংযোগ মোংলা বন্দরের জন্য একটা আশীর্বাদ। এই রেলপথে মোংলার সঙ্গে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের কনটেইনার পরিবহন সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, কমলাপুর আইসিডি ও ঢাকা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য বন্দরে আনা-নেওয়ায় গতি আসবে। বন্দরে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক জাহাজ ভিড়বে।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন
প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ করেছে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী কলারোয়া সরকারি কলেজ।
‘আগামীর পথে চলো এক সাথে’- স্লোগানকে সামনে রেখে পালিত হতে যাচ্ছে কলেজের সুর্বণজয়ন্তী।
এ উপলক্ষে আগামী ১৩ এপ্রিল কলেজ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে রেজিস্ট্রেশন, চলবে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) কলারোয়া ও ঢাকা থেকে একযোগে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে নিজে রেজিস্ট্রেশন করে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর এসএম আনোয়ারুজ্জামান।
সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও রেজিস্ট্রেশন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর কবীর বাবুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- কলেজের উপাধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রফেসর আব্দুল মজিদ, আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল আলম মল্লিক, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী সভাপতি তৌহিদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ কালাম, প্রচার কমিটির আহ্বায়ক আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, সিনিয়র সাংবাদিক দীপক শেঠ, কপাই সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ কামাল রেজা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, জিএম ফৌজি, ফারুক হোসেন, সহকারী অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হোসেন কামরুল, প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, আতাউর রহমান, মোশতাক আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহাগ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রশনের কারিগরি বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর কবীর বাবু জানান, অনলাইনে বা কলেজ প্রাঙ্গণ/রেজিস্ট্রেশন বুথে এসে নিবন্ধন করতে পারবেন সাবেক শিক্ষার্থীরা।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে http://www.kgcgoldenjubilee.org ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর বিস্তারিত তথ্য এবং ফি পরিশোধের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাবে। ০১৭১১৯০৬৬৭০ ও ০১৭১৭৫০২৮৪৩ নম্বরে কল করে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া, কলেজ প্রাঙ্গণ ও কলারোয়া শহরের বিভিন্ন মোড়ে রয়েছে বুথ। যে কেউ চাইলে এসব বুথে এসে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। রেজিস্টেশনের সময় এক কপি ছবি ও কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী পরিচয়ের প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি সাবেক শিক্ষার্থীদের ১৫০০ টাকা, তাদের স্বামী/স্ত্রী/সন্তানদের ১০০০ টাকা।
অপরদিকে, ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রেজিস্ট্রশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কাজী আছাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, মিহির কুমার চক্রবর্তী, মো. আব্দুল হাকিম, ড. মো. ইউনুস আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মনিরুজ্জামান, প্রকৌশলী আবু তাহের খান, ব্যাংকার সি জি এম আসাদুজ্জামান মিলন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, ব্যাংকার মো. আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মিন্টু, কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, শেখ জাহাঙ্গীর কবির, আরিফুজ্জামান মামুনসহ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সুবর্ণজয়ন্তী সফলভাবে আয়োজনের জন্য উদযাপন কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ইবিতে ই-পেমেন্ট সেবা চালু
আগামী ১ ডিসেম্বর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন
ঢাকা-বুড়িমারী রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বলে সোমবার (২০ নভেম্বর) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ওই তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পর্যটক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনের চলাচল সহজ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন সার্ভিস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে দুই দফায় ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের পাঁচটি বগি রবিবার ও সোমবার লালমনিরহাটে পৌঁছেছে।
লালমনিরহাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর পাটগ্রাম জসিম উদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর অঙ্গীকার করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লালমনিরহাট থেকে একটি ট্রেন ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ জেলায় চলাচল করলেও তা বাসিন্দাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
জেলার চার উপজেলার বাসিন্দা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন সেবা থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের যোগাযোগের জন্য বাসের ওপর নির্ভর করতে হয়।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার চট্টগ্রামে উম্মোচন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
বুড়িমারী চিলার বাজারের বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু হলে মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে।
নিয়মিত ভারতে যাতায়াতকারী সুমন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অনেক পাসপোর্টধারী ও ব্যবসায়ী এই রুটটি ব্যবহার করেন এবং ট্রেন সার্ভিস দুই দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
লালমনিরহাট রেলওয়ের সহকারী কমার্শিয়াল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইতোমধ্যে ট্রেনের পাঁচটি বগি লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছেছে এবং বাকিগুলো শিগগিরই চলে আসবে।
বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসে ককটেল হামলা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বিআরটিসির বাস
মঙ্গলবার ২০২৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সারাদেশে ২ হাজার ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে এগুলো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নির্মাণ সম্পন্ন করা ২ হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়, কক্সবাজারস্থ ১০ তলা বিশিষ্ট লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার এবং ৪টি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) নবনির্মিত মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আমরা যা গড়ি বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তা ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী
নবনির্মিত স্থাপনাগুলোর তথ্যাদি ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা হলো-
২ হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্য:
প্রায় ১ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ২৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বিদ্যালয়গুলোতে ৬ লাখ শিক্ষার্থী নতুন ও আকর্ষণীয় শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের সুবিধা পাবে।
এছাড়া, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, শিক্ষক, অভিভাবক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট অংশিজন নবনির্মিত এ বিদ্যালয়সমূহের সুবিধা পাবেন।
নবনির্মিত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য জেন্ডারের ভিত্তিতে পৃথক ওয়াশ ব্লক ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫ তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় ভবন সম্পর্কিত তথ্য-
প্রায় ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট ভবন নির্মিত হয়েছে; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে ৪ লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সেবা দেওয়া সম্ভব হবে; বেইজমেন্ট ও ক্যাম্পাসে ৪৪টি গাড়ি রাখার সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
কক্সবাজারস্থ লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার ভবন সম্পর্কিত তথ্য:
প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলা আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মিত হয়েছে। নবনির্মিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চাহিদাভিত্তিক, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে; প্রতি ভবনে ১৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীর (৮০ জন পুরুষ ও ৮০ জন নারী) আবাসনের সুব্যবস্থাসহ প্রশিক্ষণের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
৪টি পিটিআই এ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম নির্মাণ (সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও যশোর) সম্পর্কিত তথ্য-
প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি পিটিআই এ আধুনিক মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৫০ আসনবিশিষ্ট প্রতিটি অডিটোরিয়ামে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণসহ শিক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক পিটিআই এ প্রতি বছর ২ শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। এ ছাড়াও, সেখানে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
নরসিংদীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার(১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় এটির উদ্বোধন করবেন তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ও জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক সার কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
২০২০ সালের ১০ মার্চ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির তত্ত্বাবধান করছে চীনা কোম্পানি সিসি৭ সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের দুই মাস আগেই শেষ হয়েছে। ১১০ একর জমির ওপর নির্মিত এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এই প্ল্যান্টের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১ মিলিয়ন টন। যা গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতে, এই প্ল্যান্টটি আমদানি করা সারের উপর দেশের নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন সবার কাছে দৃশ্যমান: শেখ হাসিনা
সার কারখানাটি চালু হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে উদ্বোধনস্থল ও আশপাশের এলাকায় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানস্থল ও নরসিংদী শহরে জনসমাগমের পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এই ইভেন্টটি এই অঞ্চলের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করে এবং সার উৎপাদনে দেশের স্বনির্ভরতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: অসম্পূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: শেখ হাসিনা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আরেকটি মাইলফলক বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথ (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার) উন্মোচনের করায় দক্ষিণাঞ্চল উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী পতাকা উড়িয়ে ট্রেনেরে যাত্রা শুরু করেন এবং কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কক্সবাজার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আমি রেললাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটি এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি আজ পূরণ হয়েছে। আজ গর্ব অনুভবের দিন।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান এবং স্থানীয় শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মেগা রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
নতুন রেললাইনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হবে।
ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে (টিএআর) নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে এটি মিয়ানমার এবং এর বাইরেও যোগাযোগ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
রেললাইনটি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলাসহ ৮টি উপজেলা অতিক্রম করবে।
লাইনটি দোহাজারী গ্রাম থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে। প্রথম ২৯ কিলোমিটার অংশ চট্টগ্রাম জেলার সমতল, উন্মুক্ত ভূমিজুড়ে এবং পরবর্তী ৩৩ কিলোমিটার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কৃষিজমি ও বনভূমির মধ্য দিয়ে যাবে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে রেললাইনটি মিয়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি মাতারবাড়ী দ্বীপে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। সম্প্রসারিত অংশে দু’টি স্টেশন থাকবে- উখিয়া ও ঘুমধুম।
এতে থাকবে ৯টি কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম ও ৯টি ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।
সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় একটি ফ্লাইওভার, ১৪৪ টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দু’টি মহাসড়ক ক্রসিং।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথের (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত) উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি ট্রেনেরও উদ্বোধন করবেন।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের পথে প্রথম পরিদর্শন ট্রেন
১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুমদুমে নয়টি স্টেশন রয়েছে।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত হওয়ায় এটি একটি আইকনিক স্টেশন। এতে পাওয়া যাবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
রাজধানীতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরে রাজধানীর বিজয় সরণিতে নির্মিত 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন।
'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' এর মাঝখানে বঙ্গবন্ধুর একটি বিশাল ভাস্কর্য ৭ দেওয়ালের ম্যুরালসহ স্থাপন করা হয়েছে।
ম্যুরালে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে 'মৃত্যুঞ্জয়' নামে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি প্রদর্শিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার এই ভাস্কর্যটি নিছক একটি ভাস্কর্য নয়, এটি একটি ইতিহাস। আমাদের দেশকে জানার জন্য এটি একটি ইতিহাস।’
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত এই প্রাঙ্গণের দেয়ালে চিত্রিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' ঘুরে দেখেন এবং পরে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনই আমাদের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী