আসামি
কুড়িগ্রামে এক যুগ পর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে এক যুগ পর দস্যুতা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হামিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
হামিদুল ইসলামের বাড়ি রাজারহাট উপজেলার মীরেরবাড়ি বিশবাড়ি পাঙ্গা এলাকায়।
দস্যুতা ও মাদকসহ ঢাকা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তার নামে চারটি মামলা রয়েছে।
জানা যায়, লালমনিরহাট জেলায় ২০১২ সালে দস্যুতার মামলা রুজু হয়। জামিন নেওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিল। পলাতক থাকায় ২০২০ সালের প্রথম দিকে আসামির অনুপস্থিতিতে পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। ওই আসামি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করে আত্নগোপন করে। অবশেষে এক যুগ পর শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, লালমনিরহাট জেলায় ২০১২ সালের একটি দস্যুতা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হামিদুলকে ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার রাতে রাজারহাট একতা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে হারিয়ে যাওয়া শিশু ফিরে পেল পরিবার
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বিষয়ে রায় যেকোনো দিন
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে।
শুনানি গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমান মামলাটি রায়ের জন্য সিএভি (আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) রেখেছেন।
রিটের পক্ষে শুনানিকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এখন যেকোনো দিন আদালত রায় ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি কতটা জরুরি?
এর আগে গত বছরের ৬ এপ্রিল এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরে ওই রিট করেন।
তিন রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, জেল কোডের ৯৮০ বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের পৃথকভাবে কনডেমড সেলে রাখার কথা বলা আছে। জেল কোডের ৯৮০ বিধি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) নিতে হয়।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন।
হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ আছে দণ্ডিত ব্যক্তির। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে।
এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এ আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনগত বৈধতা পায়।
অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা তার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: জনসেবক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে: আইজিপি
সিলেটে থানাহাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়েছে আসামি
সিলেটের জকিগঞ্জ থানার হাজত থেকে ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়েছেন রাসেল আহমদ রাসু (২৪) নামের চুরির মামলার আসামি।
রাসেল আহমদ জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলেরবন্দ গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।
চুরির মামলায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে তাকে বিলেরবন্দ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রেখেছিল পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ টের পায় থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়েছে রাসেল। তাকে ধরতে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রাসেল আহমদ রাসুর বিরুদ্ধে ভেন্টিলেটর ভেঙে চুরির একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে। বুধবার সকালে তাকে বিলেরবন্দ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে হাজতে রাখা হয়। সকাল ১০টার দিকে হাজতে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় থানার ভেন্টিলেটর ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাসু চিহ্নিত চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রায় প্রতিটি চুরির ঘটনায় সে ভেন্টিলেটর ভেঙে কাজ করেছেন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ থানা হাজত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
২৮ অক্টোবর থেকে ৮৩৭ মামলায় বিএনপির ৭৩,১২৩ জনকে আসামি, গ্রেপ্তার ২০,৩২৬ জন: জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ৭৩ হাজার ১২৩ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৮৩৭টি মামলা দায়ের এবং ২০ হাজার ৩২৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, তাছাড়া ২৮ অক্টোবর থেকে গত এক মাসে সারা দেশে এক সাংবাদিকসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
লিখিত বিবৃতিতে কায়সার দাবি করেন, প্রতিশোধ নিতে সরকারি সংস্থা ও আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে হামলায় ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২৪৯ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত তিন মাসে বিএনপির ৬৩৬ জন অনুসারীকে ৩৫টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে কায়সার বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মামলায় বিএনপির ৫০ লাখের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
কায়সার অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বেআইনি গ্রেপ্তার ও হয়রানি থেকে দেশের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের আইনি সহায়তার পথ রুদ্ধ করতে আইনজীবীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের আত্মীয় স্বজন; অসুস্থ, পঙ্গু এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। এমনকি গভীর রাতে নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা হচ্ছে।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হয়রানি বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদসহ গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
সাধারণত জঘন্য অপরাধে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়: হাইকোর্ট
জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত আসামিদের সাধারণত ডান্ডাবেড়ি পরানো হয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত এ মন্তব্য করেন।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট এলাকায় বাসে আগুন
তিনি আদালতের কাছে সুয়োমোটো (স্বতঃপ্রণোদিত) আদেশ প্রার্থনা করেন।
একপর্যায়ে আদালত বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণত অপরাধীকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক সিদ্ধান্তও রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে সে বিষয়ে গাইডলাইন (নির্দেশিকা) রয়েছে।
আদালত আরও বলেন, এ বিষয়ে সুয়োমোটো আদেশ দেব না। চাইলে আপনারা আবেদন নিয়ে আসতে পারেন।
এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে ছিলেন— আইনজীবী কায়সার কামাল, এম বদরুদ্দোজা, মো. রুহুল কুদ্দুস।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বলেন, ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে যুবদল নেতাকে চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে রিট দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না।
এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
এদিকে অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা।
এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ১৩ নভেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও ডান হাতে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া এমনভাবে লাগানো, যাতে সামান্য নড়েচড়ে বসারও কোনো সুযোগ নেই।
চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিশের আপত্তির মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বিছানা পর্যন্ত দেয়নি। যে কারণে আমিনুর রহমান মধুকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা করা হয়।
তার বাম হাতে ক্যানোলা লাগানো। স্বজনদের তার সান্নিধ্যে যেতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি সময়মতো ওষুধ সেবন পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরে জুলফিকার আলী মামুন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নিহত জুলফিকার লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত সফি উল্যাহ পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি ঢাকা শহরে পান বিক্রি করতেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও জামাতা রাকিব হোসেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে দুই আসামি জুলফিকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ২২ অক্টোবর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম। মামলায় নিহতের স্ত্রী শাহিনুর ও জামাতা রাকিব এবং সহযোগী হিসেবে শাহ আহাম্মদসহ দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
হত্যা মামলার তদন্ত করেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলায়েত উল্যাহ।
তিনি শাহিনুর ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন এবং ৩ নম্বর আসামি শাহ আহাম্মদকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু !
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে মাদক মামলার আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বগুড়া মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজিএম) আদালতের কর্মচারীসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সিজিএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুজ্জামান, জারীকারক এম এ মাসুদ, তার শ্যালক হারুন অর রশিদ (সাজন), সদ্য অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আব্দুল মান্নান ও মোক্তার হোসেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
গ্রেপ্তার বাদে অন্য চার আসামি হলেন- অবসরপ্রাপ্ত পেশকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আবু সাহেদ, নিশিন্দারা এলাকার ওহেদুজ্জামান মাসুদ, নওগাঁর আয়েশা আক্তার শিমু ও মরিয়ম আক্তার নিপু।
জানা যায়, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান বাদি হয়ে ৯জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পেশকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আবু সাহেদসহ পাঁচজন ২০২০ সালের একটি মাদক মামলার আসামি। চলতি বছরের ১৪ মে এই মামলার আসামিদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। মামলার আরেক আসামি আয়েশা আক্তার শিমু জামিন নিয়ে পলাতক ছিলেন। তবে সেদিন আবু সাহেদ, মোক্তার হোসেন, ওয়াহেদুজ্জামান হাজিরা দেন। আর মরিয়ম আক্তার নিপুর পক্ষে তাদের আইনজীবী আদালতে সময় প্রার্থনা করেন। সাক্ষী না থাকায় বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মির্জা শায়লা আসামিদের সময় প্রার্থনা মঞ্জুর করে আরেকটি দিন ধার্য করেন।
কিন্তু এই দিন ধার্যের আদেশের নথি আদালত থেকে গায়েব হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাঁচ মাস পর ১৪ অক্টোবর বিকালে বেঞ্চ সহকারী আব্দুর রশিদ একটি নথি পান।
এতে দেখা যায়, সাবেক পেশকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আবু সাহেদের পক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি ২৪৯ ধারার বিধান মতে ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিতের নথিতে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া আছে।
বিষয়টি খোঁজখবর করে আদালত কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে সিজিএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুজ্জামান, জারীকারক এম এ মাসুদ, তার শ্যালক হারুন অর রশিদের (সাজন) যোগসাজশে বিচারকের সই জালিয়াতি করেছেন।
জালিয়াতি মামলার বাদি মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আব্দুল মান্নান আদালতের পেশকার ছিলেন। তার ছেলে আবু সাহেদ ২৬০ পিস ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হন। সেই মামলার শুনানি ছিল। পেশকার হওয়ার সুবাদে তিনি আদালদের অন্য কর্মচারীদের হাত করে নথি জালিয়াতি করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলি উল্লাহ বলেন, সিজিএম আদালত থেকে বিচারকের সই ও নথি জালিয়াতির ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। পরে সোমবার আদালত থেকে তিন কর্মচারীকের গ্রেপ্তার করা হয়। আর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল মান্নান ও মোক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় শিশু হত্যার আসামিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শিশু বায়োজিদ হত্যার অন্যতম আসামি সিরিকুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দা চৌরাস্তা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ইউপি সদস্য খুনের অভিযোগ
এলাকাবাসী জানায়, চৌরাস্তা বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে আসে শিশু বায়োজিদ হত্যার অন্যতম আসামি শিরিকুল। এর কিছুক্ষণ পরই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ওই হোটেলে প্রবেশ করে শিরিকুল ইসলামকে হোটেল থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে রাস্তায় এনে পিটিয়ে হত্যা করে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিরিকুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে সিরিকুলকে পিটিযে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে মোকসেদ চৌধুরী বাদী হয়ে পলাশবাড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শনিবার রাতেই মাহবুব ও সাইফুল নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত দিবাকর অধিকারি জানান, ঘটনাটির খবর পাওয়ার পর পরই হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ৮ মে জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে তাহারুল ইসলামের শিশু পুত্র বায়োজিদকে প্রথমে অপহরণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই মামলার অন্যতম আসামি সিরিকুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
গাইবান্ধায় মানুষের মাথার খুলি জব্দ, কবিরাজ আটক
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার হওয়া ৩ আসামি হলেন- কুড়িগ্রামের মজিত বসুনিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া (৩৫), মিন্টু মিয়ার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩০) ও ভোলা জেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৫৩)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নিহত
তারা সবাই হত্যা মামলার আসামি।
র্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) আরিফুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব- ৩ এর একটি দল দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে র্যাব: মহাপরিচালক
সিরাজগঞ্জে জুয়া চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
চট্টগ্রামে ইউএনও-ওসির উপর হামলার ঘটনায় ২মামলা, আসামি ৪০০
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ চলাকালে দখলদারদের হামলায় ইউএনও ও ওসি সহ ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় দুইটি মামলা করেছে পুলিশ।
দুটি মামলায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ৪০০ জন নারী-পুরুষকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত হোসেন বাদী হয়ে দুইটি মামলা দুটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) আবু সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীতাকুণ্ড থানার পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দুইটি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরক আইনে এবং আরেকটি পুলিশের কাজে বাঁধা, হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসব মামলায় ঘটনার দিন আটক সাগর, মুকবুল এবং মনোয়ার বেগম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূলের ২নং সমাজের বড়ইতলা এলাকায় ১নং খাস খতিয়ানের বি,এস ৩৬০ এবং ৩৬১ দাগের ১০ একর পাহাড়ি জমি উদ্ধার করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফেরার পথে অবৈধ দখলদারদের হামলায় আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলাম ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদসহ ১০ জন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ইউএনও’র মৃত্যু