আসামি
সীতাকুণ্ডে রেলগেটে ৩ পুলিশ সদস্য নিহত: গেটম্যানকে আসামি করে মামলা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশ ভ্যান-ট্রেন সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় রেলের গেটম্যান মাহমুদ হাসান দীপুকে আসামি করে রেলওয়ে থানায় মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে মামলাটি করা হয়।
এর আগে গতকাল গেটম্যান মাহমুদ হাসান দীপুকে বরখাস্ত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মামলায় গেটম্যানের কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে রেললাইনে থেমে যাওয়া গাড়িতে ট্রেনের ধাক্কায় ৩ পুলিশ সদস্য নিহত
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সামিউর রহমান থানায় এজাহার দিলে রবিবার রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পক্ষ থেকে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিগুলোকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফকে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম নায়হানুল বারী, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক।
ঘটনার পর পরই গঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমান, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান, বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিএন-১) রফিকুল ইসলাম ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যাট রেজাউনুর রহমান।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান তার গেটে কর্তব্যরত ছিলেন না। ফলে কর্তব্য অবহেলায় ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সামিউর রহমান চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় গেটম্যানকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি তদন্তে তাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কবির আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর তারা তদন্ত শেষে পুলিশ সুপার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
এ ঘটনায় গেটম্যান এখনো পলাতক বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় সীতাকুণ্ড থানার একটি পুলিশ ভ্যানকে সজোরে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে তিন পুলিশ কনস্টেবল নিহত এবং এক ইউপি সদস্য ও আরও দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বাস চাপায় অটোরিকশাচালক নিহত
সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা: ৩ আসামির জামিন বাতিল
খুলনার বটিয়াঘাটার চার নারী ফুটবলারকে মারধরের কারণে করা মামলা প্রত্যাহার না করলে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া জিডির সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে তিন আসামি সালাউদ্দিন খাঁ, তার মা রঞ্জি বেগম ও বোন নুপুর আদালতে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন এবং তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হাদিউজ্জামান।
আদেশের পর কঠোর গোপনীয়তায় তিন আসামিকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনার নির্যাতিত নারী ফুটবলারদের পাশে প্রধানমন্ত্রী
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার জামিনে থাকা তিন আসামি তাদের জামিনের সকল শর্ত ভঙ্গ করেছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে হত্যাচেষ্টা মামলার বাদি সাদিয়া নাসরিন ও অন্য ভুক্তভোগিদেরকে মামলা তুলে না নিলে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেয়। যা পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত। বাদি ও অপর ফুটবলারদের নিরাত্তা নিশ্চিত করতেই জামিন বাতিলের আদেশ দেয়া হলো।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামে চার নারী ফুটবলারকে মারধর ও গুরুতর আহত করে নুর খাঁ ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ঘটনায় ৩০ জুলাই বটিয়াঘাটা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ফুটবলার সাদিয়া নাসরীন। পুলিশ নুর খাঁকে গ্রেপ্তার করলেও অপর তিন আসামি আদালত থেকে জামিন ছিলেন।
পরে এসিডে শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিলে সাদিয়া তিনজনকে অভিযুক্ত করে ১ আগস্ট থানায় জিডি করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১
দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
মাগুরায় হাজত থেকে আসামির পলায়ন, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
মাগুরার মহম্মদপুর থানার হাজত থেকে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। সোমবার (২৪ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহিন ও ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) মোহাম্মদ পাপ্পুকে সামমিয়ক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সেফ হোম থেকে ১৭ বাসিন্দার পলায়ন
পলাতক আসামি সোয়েব মোল্যা (৩০) মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের রো’নগর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, দেড় বছর আগে চুরির অপরাধে নড়াইলের আদালতে সোয়েবের ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু সাজার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
২৩ জুলাই শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তাকে থানাহাজতে রাখা হয়। কিন্তু পরদিন সকাল সাড়ে দশটায় দেখা যায় আসামি হাজতে নেই। এ সময় হাজতখানার সামনের রড ভাঙা পাওয়া যায়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে কনস্টেবল পাপ্পু ও এএসআই শাহীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় আসামির ফাঁসির রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এরফলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এখন কোনো বাধা নেই।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ, অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্তদের একজনঅধ্যাপক তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।
গত ৩ মে রিভিউ আবেদন খারিজ করে পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এরআগে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
চলতি বছরের ২ মার্চ অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয় নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক ড. তাহের খুন: ২ আসামির ফাঁসি স্থগিত চেয়ে রিট
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর অধ্যাপক তাহেরের লাশ তার বাড়ির পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদের অভিযোগে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ দুইজনকে খালাস দেয়।
পরে ২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও সালাম ও নাজমুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। আদেশের পর মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর ও সালাম সুপ্রিম কোর্টে যান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, দানকর দিতে হবে ১২ কোটি টাকা
সীতাকুণ্ডে আসামি বহনকারী বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আসামি বহনকারী পুলিশের বাসের সঙ্গে কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১টার সময় উপজেলার ফৌজদারহাটের পুলিশ বক্সের কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
আহত তিন পুলিশ সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কারাগার থেকে ২৩ জন আসামি নিয়ে পুলিশের একটি বাস ১৫ পুলিশসহ ঢাকার গাজীপুর কারাগারে যাওয়ার পথে ফৌজদারহাটের পুলিশ বক্সের কাছে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তিন পুলিশ আহত হন।
তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর বলেন, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট রোড দিয়ে আসামিসহ বাসটি ফৌজদারহাট এলাকায় আসলে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে উল্টে যায়।
তিনি আরও বলেন, আহত তিন কনস্টেবলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের 'শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা' শুরু আজ বিকালে
এক দফা আন্দোলন: গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু
হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বনানী থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামির মধ্যে ২ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর ৫ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক নূর উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
শুনানি শেষে ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত।
অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, উপ-নির্বাচনের দিন সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন।
মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫থেকে ৬ জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫থেকে ২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
মামলার বাদী হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহযোগী সুজন রহমান শুভ এজাহারে আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে।
এসময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
নাটোরে থানায় আসামি নির্যাতন: ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ স্থগিত
নাটোরে থানায় নিয়ে আসামি নির্যাতনের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আদেশ স্থগিত করেছেন জেলা জজ আদালত।
শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা জজ আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম আইনের বাধ্যবধকতা উল্লেখ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে জেলা জজ আদালতে রিভিশন দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন রিভিশন আবেদন গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন।
নাটোরের লালপুরে অটোরিকশা চুরির মামলায় গ্রেপ্তার ৩ আসামিকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে আনে আসামিরা।
এ প্রেক্ষিতে মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে নাটোরের বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন, ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান, ওমর ফারুক শিমুল ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারিক হাকিম মোসলেম উদ্দিন।
জেলা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মজিবর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নৌবাহিনীর সদস্য নিহত
নাটোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বয়োবৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে (৭৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
তিনি কক্সবাজার জেলা মহেশখালী থানাধীন গুলগুলিয়াপাড়ার মৃত আলী রেজার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন বলে জানায় র্যাব কর্মকর্তারা।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে যুদ্ধাপরাধী বৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে কক্সবাজারের রুমানিয়াছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এলাকায় গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পাওয়ায় আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে আট বছর ধরে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি একাত্তরে পাক বাহিনীর দোসর আব্দুস শুক্কুরের।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ২১ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে।
র্যাব-৭ জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত ৩ জুলাই কক্সবাজার জেলা সদর থানার রুমানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি আব্দুস শুক্কুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আব্দুস শুক্কুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া এলাকায় বাংলাদেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহেশখালীতে গণহত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি লুট ও নির্যাতন করেছে।
আব্দুস শুক্কুরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- আইনশৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ আট বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।
সর্বশেষ কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকায় বসবাস শুরু করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ৩২ দিন পর ওই আসামিকে ফের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার দুর্গম চর বাড়ীনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ৮০০ গ্রাম হেরোইন ও ১টি হ্যান্ডকাপ জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যুবলীগকর্মীর মৃত্যু: গ্রেপ্তার ৫
গ্রেপ্তার মাসুম ওরফে মাসুদ রানা (২৫) চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোদালকাটি জেলেপাড়া গ্রামের নাজিবুল ইসলামের ছেলে এবং তার সহযোগী ইলিয়াস (২৪) রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার বাড়ীনগর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে।
সোমবার (২৫ জুন) দুপুরে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল নিয়ে সোমবার (২৬জুন) ভোর ৫টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার দুর্গম চর বাড়ীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদ রানা ও তার সহযোগী ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
তিনি আরও জানান, গত ২৪ মে রাতে মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মাসুদ রানাকে বিজিবির সহায়তায় গ্রেপ্তার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। পরে মাসুদ রানাকে সঙ্গে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলী ইউনিয়নের কোদালকাটি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি বিশেষ দল। অভিযানে ১ কেজি ৮২ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অন্য তিন আসামি হলেন- মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।
রবিবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।
এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
আসামিরা হলেন— মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর বাকি চার জন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসে মো. আমজাদ ও তার সহযোগীরা বাঘেরপাড়া এলাকার মো. মঈনুদ্দিনকে অপহরণ করে প্রেমছড়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় যেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য ড. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাস, সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড