আসামি
আদালত থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকার একটি আদালতের লক-আপ থেকে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়ার এআইজি মো. মনজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
আরও পড়ুন : আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
হারুন বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে কিছু স্প্রে করে এবং তাদের আদালতে নেয়ার সময় পালিয়ে যায়। আমরা কাছাকাছি এলাকায় তাদের খোঁজ করছি। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাহধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা হয় এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় আনসার-আল-ইসলামের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি হলেন- মো. আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন ওরফে শাহরিয়ার, মো. শেখ আবদুল্লাহ আলী জুয়াস আলী। জাভেদ, সৈয়দ জিয়াউল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন বরখাস্ত মেজর যিনি সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড়ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ নামে পরিচিত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাঈদ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
আদালতের ব্যতিক্রমী সাজায় আসামি এখন জনপ্রতিনিধি!
বরিশাল আদালতে পৃথক মাদক মামলায় ১২ আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর জেলে না দিয়ে এক বছরের প্রবেশনে (পরীক্ষাকালীন) মুক্তি দিয়েছিলেন বিচারকরা।
সাজায় তারা গত এক বছর প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে কেউ হয়েছেন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর কেউবা মৎস্যজীবী।
বুধবার বেলা ১২টায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ।
ব্যতিক্রমী এ সাজাকালীন সময়ে মাদক সেবন ও বিক্রির মতো ভয়াবহ কার্যক্রম থেকে বিরত থেকে অংশ নিয়েছেন মাদক বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডেও। পরিবেশ রক্ষায় লাগিয়েছেন গাছ, ধর্মীয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাধ্যানুযায়ী দান করেছেন। আসামিরা প্রবেশনকালীন সময়ে আদালতের নির্দেশনা মতো জীবন পরিচালনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, বিএনপির ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এর আগে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ১২ আসামিকে নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক সভা হয়।
বরিশাল জেলার একটি উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া যুবক মোতালেব সরকার (ছদ্দনাম) জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার দায় স্বীকারের পর আদালত আমাকে প্রবেশনে সংশোধনের জন্য পাঠায়। গত এক বছর আদালতের নির্দেশনা মেনে জীবনযাপন করে নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি।
নগরীর বাসিন্দা রফিকুল হাসান (৩৯) বলেন, মাদকসহ আটকের পর আদালত তাকে মাদক থেকে বিরত ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বলেন। তিনি এখন মাদক সংশ্লিষ্টতা ছেড়ে উজিরপুর উপজেলায় ব্যবসা করছেন।
শরিফুল ইসলাম (৩৩) জানান, আদালতের নির্দেশনা মেনে একটি কওমী মহিলা মাদ্রাসার নির্মাণকাজে দানসহ মাদক বিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। বর্তমানে তিনি মাছচাষ করে পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন।
প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ জানান, চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ায় শিগগিরই তারা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে সমাজে মাথা উচু করে বাঁচতে পারবে। তাদের আর আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরতে হবে না। এসব কাজে পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শদান ছাড়াও তাদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
তাদের মাদক বিরোধী কার্যক্রমে আরও গতি আনতে জাতীয় যুব পুরষ্কার প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন আবিষ্কারের উদ্যোগে মাদক বিরোধী শ্লোগান সম্বলিত টিশার্ট ও প্লেকার্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঠাকুরগাঁওয়ে শাকিল হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবীলীগ নেতা শাকিল হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশ।
আসামি দুজন হলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ি বাজার এলাকার মানিক আলী (২৮) ও কুব্বাত হোসেন (২৫)।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান আলী নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে জাল নোট জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
তিনি জানান, আগের রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে সেপ্টেম্বরে র্যাব ঢাকা থেকে চারজনকে ও বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করার কারণে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ি বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাঈদ আলমের ভাই মৎসজীবীলীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যায়।
পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় এতিমখানায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, গ্রেপ্তার ৩
৩ আসামিকে অব্যাহতির আদেশ বাতিল হাইকোর্টের
অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় তিন আসামির অব্যহতির আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ রায় দেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন-ব্যাংকটির প্রাক্তন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদ।
আদালতে এদিন সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী গোলাম রহমান ভূঁইয়া। হাইকোর্টের এ রায়ের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিরন মিয়া ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। তার সেই মামলায় আসামি করা হয় ব্যাংকটির সাবেক ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আলতাফ হোসেন হাওলাদার ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রমনা করপোরেট শাখার প্রধান থাকাকালে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে বৈদেশিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত ঋণ নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে বিধিবর্হিভূতভাবে আসামিদের যোগসাজশে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণ নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। সেই টাকার সুদে আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে।
এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহত দেয় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জহুরুল হক। বিচারিক আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী।
শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এরপর ওই রুলের ওপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রুল অ্যাপসুলেট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা নেই
জজ মিয়াকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
কুষ্টিয়ায় ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা
কুষ্টিয়ার খোকসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ১২ টার পরে গাড়ি চালক মো. বাদশা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।
রবিবার সন্ধায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেপ্তার নেই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছেন।'
জানা গেছে, গত শনিবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পিছন থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
তবে রাতে পাল্টা ধাওয়া ও ইট নিক্ষেপের ঘটনা অস্বীকার করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন খোকন।
তিনি বলেন,‘সন্ধ্যায় জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর হোটেল মোড়ে বাবুল আখতারের সমর্থক ও জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে হাতুরিপিটা করেন। হয়তো সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন বাবুল আখতারের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এঘটনা ঘটতে পারে। আমি বা আমার লোকজন ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত নয়।’
খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমানে খোকসায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতে দুপক্ষের উত্তেজনা ঠাণ্ডা করে কার্যালয়ে ফিরছিলাম। ফেরার পথে বাবুল আক্তার ও শান্ত সাহেবের অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় পৌঁছালে সরকারি গাড়ির পিছনে ইট লাগে। এতে পিছনের গ্লাস ভেঙে যায়। তবে কেউ আহত হয়নি।’
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় হাতকড়া খুলে আসামির পলায়ন, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে আজিজুল শেখ নামে ডাকাতির মামলার এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
পলাতক আসামি আজিজুল শেখ (৩৮) গোপালগঞ্জের মকছেদপুর থানার জলিরপাড় আবাসনের ফজল শেখের ছেলে। তিনি দামুড়হুদা থানার একটি ডাকাতি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
প্রত্যাহার হওয়া তিন পুলিশ সদস্য হলেন-সহকারী শহর উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মো. আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল মো. মিলন হোসেন ও মোছা. বেনজির নাহার।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, ডিবি) আলমগীর কবীর ও রিজার্ভ অফিসের পরিদর্শক আবদুল বারেক।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গরুর খামারে ডাকাতি: ৬ পুলিশ প্রত্যাহার
এসপি জানান, তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে আদালতে নেয়া হয় আসামি আজিজুলকে। সেখানে ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতের গারদে নেয়ার সময় কৌশলে হাতকড়ার লক খুলে পালিয়ে যান তিনি। পরে তার পেছনে ধাওয়া করেও ধরতে পারেননি পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে বগুড়ায় ২ পুলিশ প্রত্যাহার
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়েছেন আজিজুল শেখ। তাকে গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের অবহেলার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ৪ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে চারটি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার মহানগরীর সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি সাহেবপাড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. জাবেদ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকার মো. বাবুল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে হোটেলে দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি সাহেবপাড়া বাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মো. জাবেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে সাক্ষীদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার অপকর্মের কথা স্বীকার করে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার জাবেদের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় তিনটি এবং মীরসরাই থানায় একটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তার করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তারের অভিযোগ
জঙ্গিবাদে জড়ানোর জন্য বাড়ি ছাড়া পাঁচজনকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার: র্যাব
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
বরিশালের হিজলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের খালিশপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জেলেদের হামলার শিকার হয় পুলিশসহ ২০ জন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিঞা জানান, জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ১২ জন নামধারী ও অজ্ঞাতনামা আরও তিনশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধা, বেআইনিভবে জনতার ওপর হামলা করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, হামলার পর নামধারী ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একটি ট্রলার ও একশ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজের নেতৃত্বে ১৬ পুলিশ সদস্যসহ মোট ২০ জনের একটি দল ভোর ৫টার দিকে মেঘনা নদীতে খালিশপুর সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে ইলিশ শিকাররত জেলেদের কাছাকাছি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর হামলা করা হয়। জেলেরা বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে দলের সকলকে আহত করে। এরমধ্যে কনস্টেবল মাহফুজ বেশি আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি বলেন,পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। তখন জেলেরা পালিয়ে যায়। এ সময় তদের ধাওয়া করে একটি ট্রলার ও জালসহ ৯ জেলেকে আটক করা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১৯ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অপর আসামির সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সবুজ খান। এদের মধ্যে রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদেও আপিল শুনানি করে বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখা হলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও ফারজানা শম্পা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, পলাতক রাসেল ও রাজুর পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ও আসামিপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। বুধবার মামলার রায়ের জন্য দিন দার্য ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্কুলছাত্রী ফারজানাকে ধর্ষণ ও হত্যা, হাইকোর্টে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডে ৬৩ নম্বরের নিজ বাসায় খুন হন ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ। পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা স্বীকারোক্তিতে বলা হয়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু আফতাব আহমেদের বাসার ড্রয়ার ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা বৌবাজার নামক একটি জায়গায় এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল
৬৯ বছর বয়স্ক সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটো সাংবাদিক ছিলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক পান।
বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পৃথক অভিযানে ১৯ স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ২
পুলিশ জানায়, এসব সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা বেনাপোল পোর্ট থানার আশেপাশে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল এসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন সাজাপ্রাপ্ত এবং ১০ জন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তাদেরকে যশোর আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: টানা ৪ দিন বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোলে অস্ত্র ও গুলি জব্দ,গ্রেপ্তার ১