জরিমানা
বিয়ের আসর থেকে জরিমানা দিয়ে ফিরে গেলেন বর!
কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে বিয়ে করতে এসে জরিমানা দিয়ে ফিরে গেল বরযাত্রীরা। এ সময় কনেপক্ষের কাছ থেকেও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের হরিপুরে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিয়ের ১ দিন পর বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিয়ে বাড়ির লোকজন জানান, ২৯ অক্টোরব নোটারি পাবলিক করে আদালতের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর (১৫) সঙ্গে কুষ্টিয়ার হরিপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর (৩০) পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। আজ আনুষ্ঠানিক ও সামাজিকভাবে সেই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার বরযাত্রীরা কনের বাড়িতে খেতে বসেছেন। তাদের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত বিয়ে বাড়ির লোকজন। আকস্মিকভাবে সেখানে হাজির হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের অপরাধে বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কনে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
এদিকে কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না- এই মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয় অভিভাবকদের। আদালত পরিচালনা করেন কুমারখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। আদালতকে সহযোগিতা করে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে কুমারখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আসর ভেঙে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের রাতেই আলোকসজ্জার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের মৃত্যু!
ফেসবুকে পরিচয়, চুয়াডাঙ্গার ফারিয়ার সঙ্গে চীনা যুবকের বিয়ে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্লো ওভার রেটের জন্য জরিমানা গুনতে হয়েছে বাংলাদেশকে
ধর্মশালায় চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে প্রয়োজনীয় ওভার রেট বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচ ফি'র ৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হচ্ছে টাইগারদের।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের হারের পাশাপাশি এই জরিমানা বাংলাদেশ দলের জন্য বাড়তি চাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
সাকিব আল হাসানের দল নির্ধারিত সময়ে এক ওভার বল কম করায় এমিরেটস আইসিসির ম্যাচ রেফারিদের এলিট প্যানেলের সদস্য জাভাগাল শ্রীনাথ এই জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: মালানের সেঞ্চুরি বাংলাদেশি বোলারদের চাপে ফেলেছে
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ফর প্লেয়ার্স অ্যান্ড প্লেয়ার সাপোর্ট স্টাফের ২.২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ন্যূনতম ওভার রেট লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বল না করা হলে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি'র ৫ শতাংশ জরিমানা হতে পারে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং প্রস্তাবিত শাস্তি মেনে নিয়েছেন। এর ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
থার্ড আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক ও ফোর্থ আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার সহায়তায় অন-ফিল্ড আম্পায়ার আহসান রাজা ও পল উইলসন এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩: ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
বিশ্বকাপ ২০২৩: ৭৬ রানে আউট লিটন, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ
গোয়ালন্দে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চায়না জাল ধ্বংস, ৫ জেলেকে জরিমানা
গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ চায়না দুয়ারি, ঘন বেড় জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের জন্য পাঁচ জেলেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকার ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর কুশাহাটা, অন্তরমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, বুধবার অভিযান চালিয়ে মাছ শিকারের জন্য অবৈধভাবে পেতে রাখা ৫০টি চায়না দুয়ারি, একটি বড় ঘন বেড় জাল, একটি ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ২৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ জব্দ করা হয়। পরে দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাটে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মাছগুলো একটি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। ধ্বংস করা জালগুলোর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে এক বাঘাইর বিক্রি হলো অর্ধলাখ টাকায়
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমরা পদ্মা নদীতে অবৈধ চায়না দুয়ারী, কারেন্ট জাল ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জন জেলেকে ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি এই চায়না দুয়ারি জাল। এ জালে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরা পড়ে। অবৈধ এই জাল ব্যবহারের ফলে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
তিনি আরও বলেন, এসব জাল ব্যবহারের ফলে খাল, বিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে অভিযান: ৪ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
সিলেটে বিএসটিআইয়ের অভিযানে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
সিলেট নগরীতে পণ্যের গুনগতমান এবং ওজন ও পরিমাপ যাচাই সংক্রান্ত অভিযান পরিচালনা করেছে বিএসটিআই।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দিনভর নগরীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে র্যাব-৯ ও বিএসটিআইয়ের সমন্বয়ে অভিযান চালানোর সময় ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দেওয়া হয় এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
র্যাব-৯ এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাদির শাহের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন বিএসটিআই সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক (মেট্রোলজি) সুমন সাহা ও ফিল্ড অফিসার (সিএম) মো. তারিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির ৯ স্থাপনাকে লাখ টাকা জরিমানা
জনস্বার্থে বিএসটিআই সিলেটের এরকম কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বিএসটিআই সিলেট অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার নগরীর দক্ষিণ সুরমা গোটাটিকরস্থ বিসিক শিল্প নগরীর মেসার্স ওয়ান্ডার ফুডে উৎপাদিত বিস্কুট, পাউরুটি ও কেক পণ্যের অনুকূলে সিএম লাইসেন্স নবায়ন ব্যতীত মানচিহ্ন ব্যবহার এবং ওজন যন্ত্রের ভেরিফিকেশন সনদ ও মোড়কজাত নিবন্ধন সনদ না থাকায় ১ লাথ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, একই এলাকার মেসার্স সুমন ফুড প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানটিকে সিএম লাইসেন্স নবায়ন ব্যতীত মানচিহ্ন ব্যবহার এবং ওজনযন্ত্রের ভেরিফিকেশন সনদ না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে, মেসার্স বৈশাখী ফুড প্রোডাক্টস প্রতিষ্ঠানটিকে ভেরিফিকেশন সনদ এবং মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ না থাকায় ওজন ও পরিমাপ মান দণ্ড আইন ২০১৮ অনুযায়ী ৭০ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডিমের দামে কারসাজি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার পর জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে।
তিনি বলেন, 'গত ৮ জুলাই জাপান গার্ডেন সিটিতে অভিযান চালিয়ে ভবনের বেজমেন্টে প্রচুর লার্ভা পেয়েছি। এরপর পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। প্রতিটি বেইসমেন্টে লার্ভা ছিল। কিন্তু আজ এসে দেখলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। এখন জাপান গার্ডেন সিটি হয়েছে রোজ গার্ডেন সিটি। এতে প্রমাণ হলো যে জনগণ যদি সম্পৃক্ত হয় মশার উপদ্রব কমানো সম্ভব। জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে। আসলে জরিমানা করলে মানুষের টনক নড়ে।'
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটির ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম। মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালের বেশিরভাগ রোগীই ঢাকার বাইরের। অর্থাৎ, মানুষ সচেতন হয়েছে কারণ তারা জরিমানা দিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারও চালাচ্ছি। গত দেড় মাসে যেখানে অভিযান চালানো হয়েছে সেখানে আবারও রিভার্স ড্রাইভ চালানো হবে। দেড় মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সবটাই রাজস্ব বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা যদি সিটি করপোরেশন পেত, তাহলে এই অর্থ মশক নিধন ও জনসচেতনতায় ব্যয় করা যেত।
বিটিআই কীটনাশক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'বিটিআই আমদানির বিষয়ে আমরা উদ্ভিদ সুরক্ষা উইংকে চিঠি দিয়েছি। তারা বলেছে, আমরা বিটিআই আমদানি করতে পারি। ফলে পিপিআর অনুযায়ী টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদপুরে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ডিএনসিসি নগর ভবনে বিটআই টেস্ট করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার।
তিনি বলেন, 'এখন যে পরীক্ষা করা হয়েছে তার ফলাফল ছয় ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে। এর আগে জাহাঙ্গীরনগরের ল্যাব পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকর ফলাফল পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে কীটনাশক আনছে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ফরিদপুরে ডিমের দামে কারসাজি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা
হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। শনিবার (১২ আগস্ট) ফরিদপুর সদর উপজেলার বাইপাস এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ডিমের আড়তে অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
তিনি আরও বলেন, অভিযানে ডিমের দামে কারসাজি করা, ডিমের বিক্রয় রসিদে মূল্য না থাকা, মূল্য তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে অ্যাডভান্সড পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিস ফিড লিমিটেডকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়াও হ্যালিপোর্ট বাজারে ডিম, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার দর তদারকি করা হয়েছে।
এ সময় জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. বজলুর রশিদ খান ও জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৮ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৬ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির সর্বোচ্চ শাস্তি জরিমানা: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল মাধ্যমে মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আর কারাদণ্ডের বিধান থাকছে না। কারাদণ্ড বাতিল করে সেখানে শাস্তি জরিমানা রাখা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হলো- সাইবার সিকিউরিটির জন্য যেসব ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল সেসব ধারা এ আইনে অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে, কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বদলে হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, এজন্য তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
আইনমন্ত্রী এ ধারার সংশোধনের বিষয়ে বলেন, মানহানির যে ধারাটি ছিল সেখানে আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড, এখন সেটা পরিবর্তন করে সাজা জরিমানা রাখা হয়েছে। এখন একমাত্র সাজা জরিমানা।
তিনি আরও বলেন, তবে জরিমানা আদায় করা না হলে জরিমানার পরিমাণের উপর ভিত্তি করে শাস্তি তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে মূল শাস্তি হবে জরিমানা। নতুন আইনে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যাতে মাথা তুলতে না পারে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আনা সংশোধনে সাংবাদিকরা খুশি হবেন: আইনমন্ত্রী
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৬ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান মশক নিধন অভিযানে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত ১৬ দিনে মোট ১৮১ মামলায় ১ কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৭টি মামলায় মোট ২ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩.৬৬ লাখ টাকা জরিমানা
অভিযানে দুইটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ৪ মামলায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১০নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত লালকুঠি ও ৩য় কলোনি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে প্রায় ৬৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।
একটি দোকানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর সেকশন ৭ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান।
এছাড়াও ডিএনসিসি'র সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে।
১০টি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা
এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালিত আট ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৩ স্থাপনাকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) করপোরেশনের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, সবুজবাগ, নবীপুর লেন, মালিটোলা, পূর্ব জুরাইন, উত্তর মান্ডা ও কোনাপাড়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মনজুরুল হক ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকায় ৪১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ৬২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান হাজারীবাগের নবীপুর লেনে ৬৪টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫ মামলায় ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালিটোলা এলাকায় ৪২টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জুরাইন এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মান্ডা এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৮৪ বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৩ মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জরিমানা করেই দায় সারছে দুই সিটি করপোরেশন
সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। বিশেষ করে রাজধানীতে এর প্রভাব খুবই বেশি। প্রতিদিন নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে দুই সিটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি শুধু জরিমানা করেই দায় সারছে।
এডিস মশার প্রজনন মৌসুমে মশার প্রজনন বন্ধে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্হা এবং এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে তাদের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।
এ কারণে কোনো সুফল মিলছে না। দিন দিন শনাক্তের হার বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বছর কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার এখনো তেমন কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি।
তাই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় মশা নিধন কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কোথাও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। তাই জরিমানা করে ও লোক দেখানো কিছু কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
তারা বলছেন, একবার এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পর সেখানে আবার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। লার্ভা শনাক্তে দুই সিটিতে কোনো গবেষণাগারও নেই। নেই কোনো কীটতত্ত্ববিদও। এ কারণে ডেঙ্গু রোধে লোক দেখানো কার্যক্রম ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুই সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দাবি করছে, সর্বোচ্চ চেষ্টার মধ্যেও প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা।
এ ছাড়া দায়িত্বশীলদের লোক দেখানো অভিযান আর মশক নিধন কার্যক্রম পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।
আরও পড়ুন: খরচ ও শ্রম কমাতে চীনা বর্ষজীবী ধান চাষ করতে পারে বাংলাদেশ
এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বছর কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ যখন কম থাকে তখনই কাজ শুরু করা উচিত। মৌসুমের আগে যেসব জায়গায় মশার উপদ্রব বেশি থাকে সেখানে মশা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার।
যেন মৌসুমের শুরুতে এডিস মশা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ কারো নেই।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জরিমানার সিস্টেম বিভিন্ন দেশে থাকলেও আমাদের দেশে এ সিস্টেম চালু করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না। যেভাবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সে অনুযায়ী কাজ করছে না রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন।
তিনি বলেন, ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি যেসব দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে তা অবৈজ্ঞানিক ও ভুল। এ কারণে এসব নির্দেশনা ও কার্যক্রম কোনো কাজে আসছে না।
এ ছাড়া দুই সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল নেই। মনগড়া ও উলটাপালটা পরামর্শ নিয়ে তারা কাজ করছে। এতে কোনো সুফল বয়ে আনবে না। মশা মারতে তারা ফগিং ব্যবহার করছে-অথচ এতে মশা মরে না।
ডেঙ্গু সংক্রমণ কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে তার একটি প্রধান অংশই হচ্ছে প্রদর্শনবাদিতা।
অর্থাৎ তারা যতটা দেখায় ততটা কার্যকরি কাজ তারা করে না।
দ্বিতীয়ত হলো- সিটি করপোরেশন কিছু কাজ করলেও তাদের পক্ষে একা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। একসঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: ‘আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কীটতত্ত্ব কারিগরি দক্ষতা নেই। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখছি না।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে পর্যাপ্ত কীটতত্ত্ববিদ ও সহকারী কীটতত্ত্ববিদ প্রয়োজন। উত্তর সিটিতে একজন কীটতত্ত্ববিদকে ডেপুটেশনে আনা হয়েছে।
দক্ষিণ সিটিতে একজনও কীটতত্ত্ববিদ নেই। পাশাপাশি এ বিষয়ে গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরি দরকার। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় দরকার।
এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ দূর করা যাবে না। বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শ মেনে এবং তাদের নেতৃত্বেই ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখনো তেমন কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। তাই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় মশা নিধন কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
কোথাও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। তাই জরিমানা করে ও লোক দেখানো কিছু কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
তারা বলছেন, একবার এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পর সেখানে আবার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তারা তো প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকরী কোনো ভূমিকা নেই। ডেঙ্গু যখন বৃদ্ধি শুধু অভিযান করলে হবে না।
ডেঙ্গু প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকরী ব্যবস্হা নিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
আর এই প্রক্রিয়াতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনসাধারণকেও সরাসরি সম্পৃক্ত হতে হবে।
আগামী দুই মাস হটস্পট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রমও চালাতে হবে।
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কথা বলে জানা যায়, মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কোনো কোনো জায়গায় মশকনিধনকর্মীর দেখাই মেলেনি, আবার কোথাও টাকা দিলে ঘরের ভেতরে গিয়েও ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। আবার কোথাও কোথাও ওষুধ ছিটালেও মশা যায় না।
মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছর বড় অংকের টাকা ব্যয় করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশন খরচ করেছে ১২৮ কোটি টাকা।
এরমধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তুলনায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যয় প্রায় চার গুণ বেশি। কিন্তু ফলাফল অনেকটাই শূন্য।
তাদের ব্যর্থতায় ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার বিস্তার এখন দেশজুড়ে। ডেঙ্গু এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা।
মশক নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৭৫টি ওয়ার্ডে কাজ করছে। মশক নিয়ন্ত্রণে ১০৯ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটারের ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০ কোটি ২ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩১ কোটি ২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৫৪টি ওয়ার্ডে মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ১৯৬ দশমিক ২২ বর্গকিলোমিটারের উত্তর সিটিতে মশক নিয়ন্ত্রণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৭০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৫ কোটি ৫০ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে নতুন রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে ভাবছে চীনা কফি উৎপাদনকারীরা