জরিমানা
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জরিমানা করেই দায় সারছে দুই সিটি করপোরেশন
সারা দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। বিশেষ করে রাজধানীতে এর প্রভাব খুবই বেশি। প্রতিদিন নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে দুই সিটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি শুধু জরিমানা করেই দায় সারছে।
এডিস মশার প্রজনন মৌসুমে মশার প্রজনন বন্ধে নেই কোনো কার্যকরী ব্যবস্হা এবং এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে তাদের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।
এ কারণে কোনো সুফল মিলছে না। দিন দিন শনাক্তের হার বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বছর কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার এখনো তেমন কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি।
তাই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় মশা নিধন কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কোথাও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। তাই জরিমানা করে ও লোক দেখানো কিছু কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
তারা বলছেন, একবার এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পর সেখানে আবার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। লার্ভা শনাক্তে দুই সিটিতে কোনো গবেষণাগারও নেই। নেই কোনো কীটতত্ত্ববিদও। এ কারণে ডেঙ্গু রোধে লোক দেখানো কার্যক্রম ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুই সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দাবি করছে, সর্বোচ্চ চেষ্টার মধ্যেও প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা।
এ ছাড়া দায়িত্বশীলদের লোক দেখানো অভিযান আর মশক নিধন কার্যক্রম পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।
আরও পড়ুন: খরচ ও শ্রম কমাতে চীনা বর্ষজীবী ধান চাষ করতে পারে বাংলাদেশ
এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বছর কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ যখন কম থাকে তখনই কাজ শুরু করা উচিত। মৌসুমের আগে যেসব জায়গায় মশার উপদ্রব বেশি থাকে সেখানে মশা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার।
যেন মৌসুমের শুরুতে এডিস মশা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ কারো নেই।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জরিমানার সিস্টেম বিভিন্ন দেশে থাকলেও আমাদের দেশে এ সিস্টেম চালু করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না। যেভাবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সে অনুযায়ী কাজ করছে না রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন।
তিনি বলেন, ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি যেসব দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে তা অবৈজ্ঞানিক ও ভুল। এ কারণে এসব নির্দেশনা ও কার্যক্রম কোনো কাজে আসছে না।
এ ছাড়া দুই সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল নেই। মনগড়া ও উলটাপালটা পরামর্শ নিয়ে তারা কাজ করছে। এতে কোনো সুফল বয়ে আনবে না। মশা মারতে তারা ফগিং ব্যবহার করছে-অথচ এতে মশা মরে না।
ডেঙ্গু সংক্রমণ কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লেলিন চৌধুরী বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে তার একটি প্রধান অংশই হচ্ছে প্রদর্শনবাদিতা।
অর্থাৎ তারা যতটা দেখায় ততটা কার্যকরি কাজ তারা করে না।
দ্বিতীয়ত হলো- সিটি করপোরেশন কিছু কাজ করলেও তাদের পক্ষে একা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। একসঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে। তাহলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: ‘আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের কীটতত্ত্ব কারিগরি দক্ষতা নেই। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখছি না।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে পর্যাপ্ত কীটতত্ত্ববিদ ও সহকারী কীটতত্ত্ববিদ প্রয়োজন। উত্তর সিটিতে একজন কীটতত্ত্ববিদকে ডেপুটেশনে আনা হয়েছে।
দক্ষিণ সিটিতে একজনও কীটতত্ত্ববিদ নেই। পাশাপাশি এ বিষয়ে গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরি দরকার। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় দরকার।
এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ দূর করা যাবে না। বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শ মেনে এবং তাদের নেতৃত্বেই ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখনো তেমন কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। তাই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় মশা নিধন কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
কোথাও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। তাই জরিমানা করে ও লোক দেখানো কিছু কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
তারা বলছেন, একবার এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পর সেখানে আবার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তারা তো প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকরী কোনো ভূমিকা নেই। ডেঙ্গু যখন বৃদ্ধি শুধু অভিযান করলে হবে না।
ডেঙ্গু প্রজননস্থল ধ্বংসে কার্যকরী ব্যবস্হা নিতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঠেকাতে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
আর এই প্রক্রিয়াতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনসাধারণকেও সরাসরি সম্পৃক্ত হতে হবে।
আগামী দুই মাস হটস্পট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংসের কার্যক্রমও চালাতে হবে।
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কথা বলে জানা যায়, মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কোনো কোনো জায়গায় মশকনিধনকর্মীর দেখাই মেলেনি, আবার কোথাও টাকা দিলে ঘরের ভেতরে গিয়েও ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। আবার কোথাও কোথাও ওষুধ ছিটালেও মশা যায় না।
মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছর বড় অংকের টাকা ব্যয় করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশন খরচ করেছে ১২৮ কোটি টাকা।
এরমধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তুলনায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যয় প্রায় চার গুণ বেশি। কিন্তু ফলাফল অনেকটাই শূন্য।
তাদের ব্যর্থতায় ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার বিস্তার এখন দেশজুড়ে। ডেঙ্গু এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা।
মশক নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৭৫টি ওয়ার্ডে কাজ করছে। মশক নিয়ন্ত্রণে ১০৯ দশমিক ২৫ বর্গকিলোমিটারের ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০ কোটি ২ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩১ কোটি ২ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৫৪টি ওয়ার্ডে মশক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ১৯৬ দশমিক ২২ বর্গকিলোমিটারের উত্তর সিটিতে মশক নিয়ন্ত্রণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে খরচ হয়েছে ৭০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৫ কোটি ৫০ লাখ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে নতুন রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে ভাবছে চীনা কফি উৎপাদনকারীরা
র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা
র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় র্যাব-৩ এর সদর দপ্তরের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মজিদ অ্যাণ্ড সন্সের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ এ জরিমানা করেন।
এছাড়াও আজ করপোরেশনের আওতাধীন ইস্কাটন গার্ডেন, বাসাবো, নাজিমউদ্দিন রোড, আলু বাজার, গোপীবাগ, গ্রিন মডেল টাউন, আমিন মোহাম্মদ হাউজিং ও কোনাপাড়া এলাকায় আরও ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এদিকে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো করপোরেশনের আওতাধীন ২২টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি, ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৩৪টি মসজিদ, কোয়ার্টার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থানে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজকের অভিযানে এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জরুল হক ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ৪টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় র্যাবের নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ ছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিমউদ্দীন রোড এলাকায় ৬৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ১টি বাসাবাড়িতে সামান্য পরিমাণে লার্ভা পাওয়ায় ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলুবাজার এলাকায় ৪৭টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায় এবং ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীবাগ এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন মডেল টাউন এবং আমিন মো. হাউজিং এর ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনাপাড়া এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৯৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৭টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘নির্মাণাধীন ভবেন বার বার লার্ভা পেলে ভবনের কাজ বন্ধ করা হবে’
ডেঙ্গু: ১১ দিনে ১ কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে উত্তর সিটি করপোরেশন
গত ১১ দিনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এডিসের লার্ভা পাওয়ার পর ১ কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
একই সঙ্গে নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পেলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র৷ এ ছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য আরও ১০ থেকে ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটও চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে ডেঙ্গু ও অন্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ‘নির্মাণাধীন ভবেন বার বার লার্ভা পেলে ভবনের কাজ বন্ধ করা হবে’
সভায় মেয়র আতিক জানান, ডেঙ্গু রোধে বিভিন্ন বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের সিটি করপোরেশনের কল সেন্টার থেকে ফোন করা হচ্ছে৷ এরমধ্যে ২৮ শতাংশ খুবই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। বাকিরা তাদের বাসায় গিয়ে পরিষ্কার করে দিতে বলেছেন।
এসময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, তাহলে তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। আপনি কোনো কিছু মানবেন না। আপনাকে (মেয়র) অনেক ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেগুলো প্রয়োগ করুন।
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
এরপর মেয়র আতিক জানান, যেসব বাসাবাড়িতে নির্মাণকাজ চলছে এবং মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, আমরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেব।
তিনি বলেন, আমাদের সচেতনতা জরুরি। এর বিকল্প নেই। অভিযান পরিচালনার জন্য এসময় আরও ১০ বা ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট দরকার।
বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, যেসব বাসায় মশার লার্ভা পাওয়া যাবে প্রথমে সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বার জরিমানা ও তৃতীয়বার পাওয়া গেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সভায় জানানো হয়, জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১২৭ জন মারা গেছেন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশকনিধন অভিযানের ৯ম দিনে সোমবার (১৭ জুলাই) ১৩টি মামলায় মোট ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযানে সোমবার (১৭ জুলাই) পর্যন্ত ৯ দিনে ১৩৩টি মামলায় মোট ৯৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১১নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বেজমেন্টে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন রায়ের বাজার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
অভিযানে ৪টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
ফার্মগেটে অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান।
অঞ্চল ১ ও ৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা ৭নং সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়৷
ভবিষ্যতে লার্ভা উৎপন্ন হতে পরে এমন স্থানসমূহে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে ডেঙ্গুর বিষয়ে সকলকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে।
এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ৬০ফিট ও পশ্চিম মনিপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে প্রায় ৯০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। ৬টি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইসমাইল মোল্লা, উপ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলী।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন পশ্চিম নূরের চালা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটসহ মোট ৩১০টি স্পট পরিদর্শন করা হয়। একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩.৬৬ লাখ টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির নিজস্ব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ডিএনসিসি'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গাবতলী বেড়িবাঁধ রোডে ডিএনসিসি’র ক্লিনার্স পল্লী আবাসনের নির্মাণাধীন দু’টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্ক বিল্ডার্স এবং মাইশা কন্সট্রাকশনকে দু’টি মামলায় ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ডিএনসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান নির্মাণাধীন ভবনে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
এছাড়া, তিনি মিরপুর মডেল থানাধীন দারুস সালাম রোডে সরকারি কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বংগ বিল্ডার্সকে একটি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
ডিএনসিসি’র মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযালনের সপ্তম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৪টি মামলায় মোট ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসি’র ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে ও মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা ডিএনসিসির
বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসি’র সদস্যরাও ডিএনসিসি’র কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩.৬৬ লাখ টাকা জরিমানা
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩.৬৬ লাখ টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩ প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের আওতাধীন ৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস, সচিবালয়, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, কবরস্থান, বাজার প্রভৃতি স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগান, লেক সার্কাস, মতিঝিল, ফকিরাপুল, লালবাগ, ইমামগঞ্জ, চম্পাতলী, ওয়ারী, খিলগাঁও, মান্দা ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মোট ২৯৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয় এবং ২৩টি বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা ডিএনসিসির
ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) করপোরেশনের আওতাধীন ধানমন্ডি ১৫/এ, দেওয়ানবাগ, মায়াকানন, নবাবগঞ্জ, জিন্দাবাহার প্রথম লেন, বংশাল, অভয় দাস লেন, আর কে মিশন রোড, মান্ডা, উত্তর যাত্রাবাড়ী ও দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
ধানমন্ডির ১৫/এ এলাকায় আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক এবং ধনিয়া এলাকায় বিশ্বাস বিল্ডার্স নির্মিত নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট ১৬টি স্থাপনাকে জরিমানা করা হয়েছে।
১ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক ধানমন্ডি ১৫/এ এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: নগর পরিবহনে ১০০ ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক নির্মিত একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ পাঁচটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান তিনি।
আদালত এ সময় আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবকে একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। বাকি চার স্থাপনায় চার মামলায় আরও ৫২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
সবমিলিয়ে অঞ্চল-১ এ পরিচালিত আদালত পাঁচ মামলায় এক লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
২ নং অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম আর সেলিম শাহনেওয়াজ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় ২৫টি এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানবাগ এলাকায় ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনও স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
এছাড়া ২ নম্বর অঞ্চলের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ২৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি একটি স্থাপনায় ওয়াসার মিটারের নিচে মশার লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ এলাকায় ১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
আদালত এ সময় দুইটি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ৯০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার আদালত বংশালের জিন্দাবাহার প্রথম লেনে ১৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ছয় হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ অভয়দাস লেন ও আর কে মিশন রোড এলাকায় ২২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। দুইটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডা এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।
১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ধনিয়া এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় বিশ্বাস বিল্ডার্সের নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আরেকটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ২৬৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৬ মামলায় সর্বমোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
ডিএনসিসির মশকবিরোধী অভিযান: দ্বিতীয় দিনে ৬ লাখ টাকার বেশি জরিমানা আদায়
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) শনিবার (৮ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী বিশেষ মশকবিরোধী অভিযানের দ্বিতীয় দিনে লার্ভা খুঁজে পাওয়ায় ১৬টি মামলা থেকে মোট ৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
রবিবার করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, ডিএনসিসির ১০টি এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন। এছাড়া, আরও চারটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
মশা নির্মূল অভিযানে যোগ দেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সরওয়ার, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৬, আক্রান্ত ৮৩৬ জন
এ ছাড়া সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ মশা নির্মূল কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মানুষকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করা ও মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করেন।
এর আগে শনিবার ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্ষা মৌসুমের আগে থেকেই মশা নির্মূলে মাঠে কাজ করছি। অভিযানে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্যদের যুক্ত করেছি।
মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি মাঠে আছি; আমার কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। আমি বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দ, সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে আপনাদের এলাকা পরিষ্কার রাখার আবেদন জানাচ্ছি। সবাই সহযোগিতা করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
পারটেক্স গ্রুপের নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা
এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালিত অভিযানে পারটেক্স গ্রুপের নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবনটির তত্ত্বাবধায়ককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও আদালত এ সময় মানিকনগর এলাকায়ও অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
রবিবার (১৮ জুন) নগরীর ধলপুর এলাকায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম পরিচালিত অভিযানে পারটেক্স গ্রুপের নির্মাণাধীন ভবনটির তত্ত্বাবধায়ককে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে আদালত ৩০টি বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করা হয়। পারটেক্স গ্রুপের নির্মাণাধীন ভবনসহ এ সময় মোট পাঁচটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় সর্বমোট ২৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকের অভিযানে পারটেক্স গ্রুপের নির্মাণাধীন একটি ভবন এবং ব্যক্তি মালিকানায় থাকা নির্মাণাধীন আরেকটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
কেসিসি নির্বাচন: ট্রাফিকের চেকপোস্টে ৯০ লাখ টাকা জরিমানা
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ একাধিক চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরযানের ওপর ৯০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
বুধবার (৭ জুন) নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ থেকে ইসিতে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৮ অনুযায়ী গত ১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত এই জরিমানা আদায় করা হয়। ১১২টি চেকপোস্টের মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৪০টি মামলা হয় আর আটক করা হয় ১ হাজার ৯২৮টি যানবাহন। এতে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ৮৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮০ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ টাকা।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া ভোটের মাঠে ৩১টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আর সাধারণ দুটি ওয়ার্ড ১৩ ও ২৪ নম্বরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ: ‘সময় নষ্ট করায়’ রিটকারীকে লাখ টাকা জরিমানা
বায়ু দূষণের দায়ে রাজধানীতে ৭ যানবাহনকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা