ভ্রাম্যমাণ আদালত
বাগেরহাটে লকডাউন অমান্যে ৭৮ জনের শাস্তি
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ১০ জনকে কারাদণ্ড ও ৬৮ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আর পড়ুন: ঝিনাইদহে বেশি দামে সার বিক্রি করায় জরিমানা
জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর পাশাপাশি ৬৮ জনের কাছ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ২০ জনের কারাদণ্ড, ৭০৯ জনকে জরিমানা
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো.শাহীনুজ্জামান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
লকডাউন লঙ্ঘন: সপ্তম দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৫৬৮
দেশব্যাপী ১৪ দিনের লকডাউনের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার বিধি নিষেধ লঙ্ঘনের জন্য রাজধানী ঢাকায় পুলিশ ৫৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৬ জনের কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে তিন লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা আদায় করেছে। আর ট্রাফিক বিভাগ ৪৩১ গাড়ি থেকে জরিমানা হিসাবে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা রাস্তায় বের হওয়ার কোনও বৈধ কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম।
তবে প্রতিদিন গ্রেপ্তার, জরিমানা এবং রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু সত্ত্বেও মানুষ বাড়িতে থাকতে চাইছে না। লকডাউনের মাঝেও রাজধানীর সড়কগুলোতে যানজট দিন দিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রয়োজন ছাড়াই রাস্তায় বের হয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: টিকার চেয়ে মাস্ক বেশি কার্যকর: কাদের
অনেক বেসরকারি অফিস তাদের নিজস্ব কর্মীদের পরিবহনের ব্যবস্থা করায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তায় গণপরিবহন বন্ধ ছিল। লকডাউনে অনেককেই রিকশা করে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।
ট্রাফিক পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা প্রতিটি যানবাহন চেক করছি। যারা প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে এবং লকডাউনের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
এদিকে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে একদিনেই শনাক্ত হয়েছে আরও ১৬ হাজার ২৩০ জনের। গত দিন সর্বোচ্চ মৃত্যুর পর গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩৭ জনের। এর মাধ্যমে দেশে করোনায় মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়াল।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৪ জনের উপস্থিতিতে হিন্দু বিয়ে
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে কঠোর লকডাউনে মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছিল সনাতন ধর্মালম্বী এক তরুণীর বিয়ে। বাড়ির সামনে বিশালাকৃতির গেইট। চারদিকে জমকালো লাইটিং, ঢাক-ঢোল, গান-বাজনার সাথে নৃত্য।
এক কথায় মহা ধুমধামের সাথে চলছিল বিয়ের আনন্দ। চলমান আনন্দের মধ্যেই বুধবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তার উপস্থিতিতে যেন সবকিছু বিষাদে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ের লগ্ন শুরু হবে। বাড়ির অনতিদূরে বর পক্ষ চলে এসেছে। তাই বিয়ে বন্ধ না করে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাৎক্ষণিক বন্ধ হয় ঢাক-ঢোলসহ নৃত্যসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান ও জনসমাগম। খুলে ফেলা হয় বিয়ের গেটসহ অন্যান্য ডেকোরেশন।
অবশেষে, বর ও কনেসহ মোট চারজনের উপস্থিতিতে কনের নানার বাড়ি হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘরের মধ্যে সম্পন্ন হয় এই শুভ বিবাহ।
বর-কনের স্বজনরা জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার অমল চন্দ্রের মেয়ে রুপালীকে (১৮) (ছদ্দনাম) হাজীগঞ্জের ধড্ডা তার নানার বাড়িতে এনে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর বর হাজীগঞ্জের উচ্চঙ্গা গ্রামের হারাধনের ছেলে কমল দাস।
আরও পড়ুন: ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
লকডাউনের মধ্যে এমন আয়োজন করে বিয়ের খবর পেয়ে তাই পুলিশ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি বর-কনেসহ চারজনের উপস্থিতিতে বিয়ের দেয়ার নির্দেশনা দেন বর-কনের অভিভাবকদের।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার ইউএনবিকে বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের রীতিতে লগ্ন একটা বড় বিষয়। তাই লগ্ন ঠিক রেখে ঘরের মধ্যে বিয়ের কাজ সম্পন্ন এবং চলমান কঠোর লকডাউনে জনসমাগমসহ অন্যান্য আয়োজন বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি।’
এ সময় হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ মুন্সী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাকির হোসেন লিটুসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
ঈদের ছুটি শেষে সরকারের আরোপিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার এ সময় ৪৪১ টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে ১৩৭ জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ট্র্যাফিক বিভাগ যানবাহনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
শনিবার রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা ছিল। কারণ এদিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো লকডাউন কার্যকরে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল।
নতুন করে দেয়া লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবারের তুলনায় শনিবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কম সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাণিজ্যিক যানবাহন দেখা গেছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যদের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর হয়ে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস ও যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আমরা শনিবার কঠোরভাবে 'নো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি।’
ফলে ছুটির পর মহানগরীতে ফিরে আসা অনেককে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আমিন বাজার সেতু এবং বাবু বাজার সেতুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
তবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবা প্রদানকারীদের রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
আমিন বাজার এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু লোক চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বেশিরভাগেরই কাগজপত্র পুরানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ।’
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মনন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, আগের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন আরও কঠোর হবে। রাস্তায় পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
লকডাউনে বিয়ে করে জরিমানা গুনলেন বর
বিয়ে করে কনেকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্ত বাদ সাধলো পুলিশ। রাস্তায় গাড়ি আটকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে খবর দেয়।অবশেষে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনে তিনি কনেকে নিয়ে বাড়ি যেতে পারলেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর হুমায়ূন রশিদ চত্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিয়ের সাতদিনের মাথায় আত্মহত্যা !
বরপক্ষের লোকজনের দাবি, লকডাউন ঘোষণার আগেই বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। তারিখ পেছাতে না পারায় তারা সীমিত পরিসরে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বর-কনেবাহী একটি মাইক্রোবাস হুমায়ূন রশিদ চত্বর এলাকায় আসলে পুলিশ গাড়িটি আটকায়। গাড়ির ভেতরে বর ও কনে দেখে খবর দেয়া হয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: সালিশে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে: সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবার মামলা
বরপক্ষের লোকজন জানান, লকডাউনে সবধরণের সামাজিক অনুষ্ঠানের নিষেধাজ্ঞা আছে সেটা তারা জানতেন। কিন্তু বিয়ের তারিখ আগেই নির্ধারিত থাকায় বিশেষ অসুবিধার কারণে তারা তারিখ পরিবর্তন করতে পারেননি। তাই সীমিত পরিসরে শুধু একটিমাত্র মাইক্রোবাস নিয়ে তারা কনেকে আনতে গিয়েছিলেন। এরমধ্যেই তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের জন্য রাজধানী থেকে ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ‘কঠোর লকডাউন’ এর প্রথম দিন রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) অধ্যাদেশে মামলা করা হয়েছে বলে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনেই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু
ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, রমনায় ৯৫ জন, লালবাগে ৬০ জন, মতিঝিলে ৮৫ জন, ওয়ারীতে ১১৭ জন, তেজগাঁওয়ে ১০০ জন, গুলশানে ৮৭ জন এবং উত্তরায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে এই সময়ের মধ্যে ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে এবং ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়াও, ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘কঠোর লকডাউন’ এর প্রথম দিনেই আটজনকে সাজা এবং বহু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে।
এর আগে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ৩৭৩ জনকে আটক করেছে এবং ৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
দিনের শুরুতে, রাস্তাঘাটে টহল দলসহ মানুষকে ঘরে থাকতে রাজি করানোর জন্য বাংলাদেশ একটি কঠোর লকডাউনে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ৯০ কোটি টাকা দেবে সুইজারল্যান্ড
সেনাবাহিনীকে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় শহরের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে পুলিশ শহরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যারিকেড এবং চেকপোস্ট স্থাপন করেছিল।
রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তাগুলি প্রায়ই খালি ছিল। কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ
ঠাকুরগাঁওয়ে কঠোর বিধিনিষেধ তেমনভাবে কেউ মানছেন না। কমছেও না করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন ১০১ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭ জন, রানীশংকৈলে ১১ জন, বালিয়াডাঙ্গীর ১২ জন, পীরগঞ্জের ১৪ জন ও হরিপুরের ৭ জন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২৫
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমিত পীরগঞ্জে ৭৫ বছর বয়সের একজন পুরুষ ও রাণীশংকৈলে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আরও পড়ুন:রামেকে করোনায় একদিনের রেকর্ড মৃত্যু ১৮
সিভিল সার্জন বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮২১ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৭১২ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৫ জন।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনাভাইরাসে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ না মানায় বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৩ টি মামলায় বিভিন্ন জনকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে এগ্রোভেট কোম্পানিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ড্রাগন্স ফার্মাসিউটিক্যালস নামের একটি এগ্রোভেট কোম্পানি সরকারি অনুমোদন বিহীন গবাদিপশুর ঔষধ তৈরী করায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকালে উল্লাপাড়া উপজেলার শ্রীকোলা দক্ষিণপাড়ায় ড্রাগন্স ফার্মাসিউটিক্যালস এগ্রোভেট কোম্পানির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় অনুমোদন বিহীন গবাদিপশুর ঔষধ তৈরি করার অপরাধে কোম্পানির মালিক মো. ওয়াহেদ আলী, পরিচালক রুবেল হোসেন এবং সেলসম্যান মো. আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়। পরে তারা অপরাধ স্বীকার করায় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অনুমোদন বিহীন ৭০০ বোতল ঔষধ জব্দ করে তা ধ্বংস করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অভিযানে ডা. মো. শামীম আখতার, ভেটেরিনারি সার্জন, উল্লাপাড়া এবং র্যাব-১২ এর এএসপি মুস্তাফিজ ও তার দল সহযোগিতা করেন।
ঢাদসিক'র অভিযানে তিন মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে তিন মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত
করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ও এ এইচ এম ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে রবিবার দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোট তিন মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বাধীন আদালত রবিবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় রায়ের বাজারের শেরে বাংলা রোডস্থ ২৮৬ ও ২৮৭/১ নম্বর হোল্ডিংয়ের নির্মাণাধীন দুটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলা দায়ের ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন আদালত রবিবার মানিকনগর কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে আদালত চল্লিশটি বাড়ি পরিদর্শন করে এবং একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলা দায়ের ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
সবমিলিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি অভিযানে মোট তিনটি মামলা দায়ের ও সর্বমোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, "আজকের অভিযানে যে আঠারটি স্থাপনা পরিদর্শন করেছি তার মধ্যে দুটি নির্মাণাধীন ভবনে অতিমাত্রায় এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ফলে, দুটি মামলা দায়ের ও এসব মামলায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে।"
মাগুরায় ২১টি আড়বাধ ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
মাগুরায় নদী ও খাল থেকে ২১ টি আড়বাধ জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার মাগুরায় এ ঘটনা ঘটে।
মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার ফটকি নদীর আড়পাড়া অংশে ও কানুদার খালের কৃষ্ণপুর, বাহিরমল্লিকা অংশে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি দেশীয় ডিমওয়ালা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ বেশ কিছুদিন ধরে নিধন করে আসছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: করোনা: মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মো. বাতেন।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
এসময় নদী ও খালের ২১টি অবৈধ আড়বাঁধ উচ্ছেদ ও ধ্বংস করা হয়। প্রচুর পরিমাণ বাধেঁর মালামাল বাঁশের বানা, কারেন্ট জাল, চায়না দুয়ারি, কাঁথাজালসহ নিষিদ্ধ বিভিন্ন মাছ ধরার ফাঁদ ও উপকরণ জব্দ করে আদালত।
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
পরবর্তীতে জব্দ হওয়া নেট ও অবৈধ মালামাল আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাই স্কুল মাঠে জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, নদী ও খালের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা, আড়বাধের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার মনিরুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রেজাউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. রাজীবুল ইসলাম, মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন আক্তার, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুহম্মদ সেকেন্দার আলী ও মো. মাসুদুর রহমান, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মীর মো. লিয়াকত আলী, ক্ষেত্র সহকারী খন্দকার এজাজ আহম্মেদ ও দেবাশীষ বিশ্বাস।