অভিযান
মশক নিধন অভিযান: দ্বিতীয় দিনে জরিমানা ১০ লাখ ৩০ হাজার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও জরিমান করেছে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৫টি মামলায় এ জরিমানা আদায় করে।
আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করবে সংস্থাটি।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন আগারগাঁও এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করায় অপর একটি মামলায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন ১১ ও ১৩ নং ওয়ার্ডস্থিত কল্যাণপুর নতুন বাজার, পূর্ব মনিপুর এলাকায় অভিযানকালে প্রায় ১০৫টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানেএকটি বাড়িতে লার্ভা পওয়ায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর পরিশোধে ১০ শতাংশ রেয়াত ডিএনসিসির
এছাড়াও অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১৩ নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকয় তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত-এর অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নব্বই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন রূপনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন কুড়িল এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন-এর অভিযানে বাসা বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিস বিরোধী অভিযানে ছয়টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং তিনটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
বিশেষ মশক নিধন অভিযান: ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে বুধবার (১৯ অক্টোবর) থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের প্রথম দিনে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২০টি মামলায় মোট ছয় লাখ ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন মগবাজার এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে কর পরিশোধে ১০ শতাংশ রেয়াত ডিএনসিসির
অভিযান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মো. সেলিম রেজা বলেন, 'বর্তমানে পুরো দেশেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে অক্টোবর মাসেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, কিছুক্ষণ পরেই আবার রোদ হচ্ছে। এসব কারণেও ডেঙ্গুর রোগের বাহক এডিস মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা যে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হতে পারি। আমাদের সবাইকে এডিস মশা নিধনে সচেতন হতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত মশা নিধনে কাজ করছে। নগরবাসীকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কারও বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্ভব। মূলত বাসাবাড়িতেই এডিস মশার জন্ম হয়। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মো. সেলিম রেজা বলেন, 'ডিএনসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলেই এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দৈনন্দিন মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ফলে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়বে। বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন ও সাবধান করা হচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কাউন্সিলরবৃন্দ এই প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছেন। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পুরো অভিযানটি ততত্ত্বাবধান করছেন।'
এসময় মগবাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে পাঁচটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় মোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন কাওরানবাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন পল্লবী, রুপনগর ও শাহআলী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় মোট এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা ১২ নং সেক্ট্রর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে দুইটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
লার্ভা প্রাপ্তি স্থানসমূহের লাভা ধ্বংস করে লার্ভা প্রাপ্ত দুইজন ভবন মালিককে দুইটি মামলায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এবং অঞ্চল-৮ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ অভিযান পরিচালনা করেন।
একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ডের ভাটারা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে সাতটি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুইটি মামলায় মোট চার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং পাঁচটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ছোলমাইদ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসে লার্ভা পাওয়ায় দুইটি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান ডিএনসিসি’র
শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. পারভেজ হাসান।
তিনি জানান, ১৫ অক্টোবর (শনিবার) দিবাগত রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন মাছের আড়ৎ ও পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চালিয়ে ৭২ জেলেকে আটক করা হয়। রবিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ২৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ৩৫টি ট্রলার, আট লাখ মিটার জাল ও ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। তাছাড়া নড়িয়া সুরেশ্বর চরমোহন মাছের অস্থায়ী আরত ও বাজার উচ্ছেদ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ১২ জেলে আটক
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা ইলিশ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে। এ কারণে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু জেলে নদীতে ইলিশ শিকার করে। তাই আমরা রাতে নড়িয়ার পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ অভিযান। সবার সহযোগিতায় আমরা মা ইলিশ রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবো।
অভিযানের সময় নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন মৃধা, নড়িয়া থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ দল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ২৪ ঘন্টায় জেলার নড়িয়ায় ২৭ জন, ভেদরগঞ্জ আট জন ও গোসাইরহাট উপজেলায় ছয় জন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
আট লাখ ৩০ হাজার মিটার জাল ও ১৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
এদিকে জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। এদের মধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ৪৭৫ টন চাল দেয়া হচ্ছে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩১ ভারতীয় জেলে আটক
বঙ্গোপসাগরে ৮ ট্রলারসহ ১৩৫ ভারতীয় জেলে আটক
ইউএনওর নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার পোড়ানোর অভিযোগ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতিমার নির্দেশে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ট্রলার আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুগন্ধা নদী তীরবর্তী লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান।
তিনি জানান, মাঝি আনোয়ার হোসেনের ট্রলারে অভিযানে যান ইউএনও। অভিযান শেষে ঘাটে ভেরার পরে জব্দ জাল পোড়ানো হয়। শেষে ট্রলারের মাঝি জব্দকৃত মাছ সরিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগের কথা বলেন ইউএনও। ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে অবশ্য কোন মাছ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পুলিশের ওপর হামলা: ৩১২ জনকে আসামি করে মামলা
তিনি আরও জানান, এ সময়ে ইউএনও আনোয়ারকে লুকিয়ে রাখা মাছ বের করে দেয়ার জন্য চাপ দেন। এতে ভয় পেয়ে মাঝি আনোয়ার পিছন থেকে পালিয়ে যায়। মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা আনসার সদস্যদের ট্রলারে আগুন দেয়ার নির্দেশ দেন ইউএনও। নির্দেশ অনুযায়ী ডিজেল ঢেলে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেয় আনসার সদস্যরা।
অগ্নিসংযোগের পর ট্রলারটি জ্বলন্ত অবস্থায় নদীর মাঝে চলে যায়। আগুন নেভানোর পর সেটিকে বাহেরচর নামক স্থানে এনে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে আমরা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নেভাই। তবে তার আগেই ট্রলারটি প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে।
তবে ইউএনও নুসরাত ফাতিমার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন হায়দার জানান, ট্রলারে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। তবে এর সঙ্গে ইউএনও’র কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা বলতে পারছিনা। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর বলতে পারবো।
আরও পড়ুন: ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান সরকারের
সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘বিরোধী রাজনীতিবিদদের হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। গণগ্রেপ্তার এবং পুলিশি অভিযানের অভিযোগ সত্য নয়, এমন কিছু হচ্ছে না।’
সোমবার প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে যে কর্তৃপক্ষ এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা করছে এবং তাদের হয়রানি করছে।
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবিকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা নিছক অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়।
এইচআরডব্লিউ’র এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউএনবিকে বলেন, পুলিশের কিছু নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে হয় এবং কখনও কখনও তারা নাগরিকদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেয়।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগই পুলিশের বিশেষ শাখা এই কাজ করে। কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পেলে, বিশেষ শাখার সদস্যরা সত্য জানতে তাদের পরিবারের কাছে যান। এটি তাদের রুটিন ওয়ার্ক, অন্যথায় নয়।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘গণগ্রেপ্তার ও পুলিশি অভিযানের অভিযোগ বিএনপি ও জামায়াতের অপপ্রচার।’
নিউইয়র্ক-ডেটলাইন দিয়ে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ বলেছে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত আইনের শাসনকে সম্মান করা এবং রাজনৈতিক বিরোধী সমর্থকদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষা করা।
এতে বলা হয়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণগ্রেপ্তার এবং বিরোধী দলের সদস্যদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালানো সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ড. মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, বাংলাদেশ একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র যা নির্বাচন পরিচালনা করতে এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর করতে সক্ষম। কিন্তু এর আগের নির্বাচনগুলিতে সহিংসতা, বিরোধীদের ওপর আক্রমণ এবং ভোটারদের ভয় দেখানোর ঘটনা দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক হামলা ও গ্রেপ্তারের সাম্প্রতিক ঘটনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি অশুভ সুর তৈরি করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ আগস্ট থেকে বিএনপি জ্বালানি ও পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ধারাবাহিক বিক্ষোভ শুরু করে। তখন থেকে পুলিশ, বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে চারজন মারা গেছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের সংঘর্ষের পর কর্তৃপক্ষ বিএনপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে গণমামলা দিয়েছে। এটি বিএনপির একটি বিবৃতিকে প্রতিধ্বনিত করেছে যে তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বড় সংখ্যক ‘অজ্ঞাতনামাদের’ বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ বাংলাদেশে একটি সাধারণ অবমাননাকর অভ্যাস, যা পুলিশকে কার্যত যে কাউকে গ্রেপ্তারের জন্য ভয় দেখাতে, হুমকি দিতে এবং আটক ব্যক্তিদের বারবার গ্রেপ্তার করতে অনুমতি দেয়। এই মামলায় তারা অভিযুক্ত না হয়েও অনুরোধ করে জামিন পেতে ব্যর্থ হন।
মীনাক্ষী বলেন, মার্কিন মানবাধিকার নিষেধাজ্ঞা এবং আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি আরও নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কূটনীতিকদের উচিত প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করা যে এই ধরনের দমন-পীড়ন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পৃথক অভিযানে ১৯ স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ২
পুলিশ জানায়, এসব সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা বেনাপোল পোর্ট থানার আশেপাশে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল এসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন সাজাপ্রাপ্ত এবং ১০ জন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তাদেরকে যশোর আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: টানা ৪ দিন বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোলে অস্ত্র ও গুলি জব্দ,গ্রেপ্তার ১
করতোয়ায় নৌকাডুবি: ৬ষ্ঠ দিনের মত চলছে উদ্ধার অভিযান
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে ৬ষ্ঠ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার কর্মীরা। শুক্রবার সকাল ৬টায় করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাট এলাকা থেকে ৩টি দলে বিভক্ত হয়ে প্রায় ৭০ জন উদ্ধারকর্মী নদীর ভাটি অংশে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুটি সাইকেল পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
নতুন করে আর কোন লাশ পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম।
তিনি জানান, গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে জেলা প্রশাসনের স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত তিনজন নিঁখোজ রয়েছেন।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের তদন্ত দল তিন কার্যদিবসের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কাছে রির্পোট দাখিল করবেন। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় আগামী রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত টিমের প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর কুমার রায়।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবি: দু’দিনে অর্ধশত লাশ উদ্ধার
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
বরিশালে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসহ ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গৌরনদী থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-ডাকাত দলের সর্দার বরগুনার দেলোয়ার হোসেন দিলু (৪৭) তার সহযোগী বরিশালের রবিউল ইসলাম পারভেজ (২০), পটুয়াখালীর মোতালেব মীরা পনু (৩৯), বরগুনার হারুন ওরফে তৈয়ব আলী (৫৩) ও একই এলাকার আমিনুল ফকির (২৪), পটুয়াখালীর ছগির সিকদার সবুজ (২৫) এবং ডাকাতিকালে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার কেনাবেচার সহযোগী নোয়াখালীর শাহীন আলম (৩১) ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে বাসচাপায় নিহত ২
তিনি জানান, গৌরনদী থানাধীন কেফায়েতনগর এলাকার একটি বসত বাড়িতে গত ১১ জুন মধ্যরাতে ডাকাতদল হানা দেয়। এসময় তারা বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ওই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে এবং বাড়ির সকল সদস্যর হাত-পা ও মুখ কাপড়ের ওড়না দিয়ে বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে স্বর্নালংকার ও মোবাইল ফোন, এবং নগদ টাকা লুন্ঠন করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ওই বাড়ির বাসিন্দা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার সূত্র ধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গৌরনদী থানা পুলিশের একটি টিম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
দু’জন ডাকাত সদস্য ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বোর্ডে অনুপস্থিত ৯০৭ পরীক্ষার্থী,বহিষ্কার ৬
ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে ফেরির লষ্কর নিখোঁজ
উচ্ছেদ অভিযান: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ বস্তিবাসীর
পুনর্বাসন নিশ্চিত না করে মহাখালীতে উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বস্তিবাসী।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ মহাখালীর সাততলা বস্তিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর দুপুর ১২টার দিকে আমতলী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শত শত বস্তিবাসী।
বিক্ষোভের মুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বস্তিবাসীদের দাবি, যাদের অধিকাংশই নদী ভাঙনের শিকার, তাদের পুনর্বাসন করে তারপর বস্তি উচ্ছেদ করতে হবে।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ ড. কামালের
সরকার রাজনীতিকরণ করে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিভক্ত করেছে: ফখরুল
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
গুলিস্তানে ফের উচ্ছেদ অভিযান, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
গুলিস্তান 'রেড জোন' এ ফের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বৃহস্পতিবার করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে তৃতীয় দিনের মতো গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত দখলকারী হকারদের উচ্ছেদে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
বৃহস্পতিবারের অভিযানে দুই শতাধিক হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং চৌকি বিছিয়ে এবং ব্যানার সাটিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা ১৪টি অস্থায়ী দোকানের বিরুদ্ধে অভিযানকালে ১৪টি মামলা দায়ের এবং ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ ধারার ৭ ও ৮ উপধারায় এসব মামলা দায়ের ও জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসি সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুমুখী ও সেতু ব্যবহার করে ঢাকায় আগত যানবাহনগুলো যেন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারসহ অত্র এলাকায় সহজেই চলাচল করতে পারে এবং জনসাধারণের চলাফেরা যেন নির্বিঘ্ন রাখা যায়, সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঘোষিত গুলিস্তান রেড জোনে আমাদের এই উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
অভিযানকালে করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় অবৈধ কয়লা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ
নিউ মার্কেটে শতাধিক অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ, জরিমানা আদায়