কোরবানি
এ বছর ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪১,৮১২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩ টি।
২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৯১ হাজার ৪৯ টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি হয়েছে।
এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭ টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১ টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭ টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০ টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫ টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮ টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭ টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪২ টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ লাখ ৭১ হাজার ২১৭টি গরু, ৬ হাজার ৪৮০টি মহিষ, ১২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯৫ টি ছাগল, ১ লাখ ২ হাজার ১৬ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৭৬ টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪ টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২ টি পশু, রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ১১ হাজার গরু, ৯ হাজার ৪৬৯ টি মহিষ, ১২ লাখ ৩১ হাজার ছাগল ও ১ লাখ ৮১ হাজার ভেড়া, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ২১৯টি গরু, ১ হাজার ৪৯২টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৩১টি ছাগল, ২৫ হাজার ১২৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ১৬ টি পশু, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৫টি গরু, ৯৮৯ টি মহিষ, ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৪৮৫ টি ভেড়া, সিলেট বিভাগে ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭২টি গরু, ১ হাজার ১৫৩ টি মহিষ, ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৪ টি ছাগল ও ২১ হাজার ৬৪০ টি ভেড়া, রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭২০টি গরু, ২৬৯টি মহিষ, ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৭ টি ছাগল ও ৬৫ হাজার ৮৩৩ টি ভেড়া এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫ টি গরু, ৮০৯টি মহিষ, ১ লাখ ৮৬ হাজার ২৯ টি ছাগল ও ১২ হাজার ২৯টি ভেড়া কোরবানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারাদেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩ টি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
কোরবানির পশুর হাট তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের ৯ জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তারা নির্ধারিত হাটে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রবিবার (২৫ জুন) এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১টি কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম, ৫টি মনিটরিং টিম, ২২ টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এবং ২ টি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল গঠন করেছে।
এসব টিম সোমবার (২৬ জুন) থেকে কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
ঈদুল আযহার আগে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা চলতি মাসের (জুন) প্রথম ২৩ দিনে ১ দশমিব ৭৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এর মধ্যদিয়ে অবশেষে কয়েক মাস স্থবিরতার পরে সরকারি চ্যানেলের রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে কিছুটা গতি এসেছে।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, ইতোমধ্যেই রেমিটেন্স প্রাপ্তি মে মাসের মোট পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। মে মাসে মোট রেমিটেন্স প্রাপ্তি ছিল ১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, জুন মাসের শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গত মার্চ মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল (২ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার), এপ্রিল মাসে (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার) এবং মে মাসে (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ঈদ উৎসবে মানুষ বেশি খরচ করে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনেক প্রবাসী তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বাড়িতে তাদের কোরবানি (সাধারণত গবাদি পশুর কোরবানি) করেন।
আরও পড়ুন: দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের হুন্ডি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স: বাংলাদেশ ব্যাংক
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশন ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে নিরবচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ বিসিকের
মন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ঢাকায় তিন টাকা এবং ঢাকার বাইরে পাঁচ টাকা বেড়েছে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দামে। আর খাসি (পুরুষ ছাগল) ও ছাগলের চামড়ার দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, কোরবানির কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে পুরুষ ছাগলের দাম ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়ারদাম রাখা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা।
গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরি ছাগলের চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা।
আসন্ন ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য ট্যানারী মালিকরা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যানারি মালিকরা ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
সর্বমোট ১২টি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক আবেদনকারীদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ দেবে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকার
সীতাকুণ্ডে গরুর বাজারে নজর কেড়েছে ‘কালা বাবু’
এবারের কোরবানির গরুর বাজারে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আলোচিত নাম ‘কালা বাবু’। যার ওজনে ২৩ মণ ছাড়াবে। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ গ্রামের খামারি মো. রাসেল গরুটি পালন করেছেন। বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি উপজেলাবাসীর নজর কেড়েছে। শখ করে গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কালা বাবু’। প্রায় ৩ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন-পালন করেছেন কালা বাবুকে একটি ঘরের মধ্যে। সম্পূর্ণ দেশি ঘাস আর বিভিন্ন ধরণের ভূসি খাইয়ে বড় করছেন।
আরও পড়ুন: এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
গরুর মালিক রাসেল জানান, এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্যে প্রায় ৩ বছর ধরে তিনি নিজের সন্তানের মতো আদর যত্ন করে লালন–পালন করেছেন গরুটি। শখ করে নাম রেখেছেন কালা বাবু। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, ভূসি, খইল খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে গরুটিকে। পরম যত্নে গরুটি পালন করতে পরিবারের সদস্যরাও কষ্ট করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি তিন বছর আগে আরেকটি গরুর সঙ্গে বাছুর হিসেবে ক্রয় করা হয় বলে জানান রাসেল।
সীতাকুণ্ডে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোরবানি উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে গরু রয়েছে ৩০ হাজার ৮৬৮টি, ছাগল রয়েছে ৭ হাজার ৬৯০, মহিষ রয়েছে ৩৪১ ও ভেড়া রয়েছে ৪ হাজার ৮৮৫টি। কিন্তু এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে গরু ২৫ হাজার ২৫৪টি, ছাগল ৭ হাজার ৫২০, মহিষ ৯৯৪ ও ভেড়া ৩৫৮টি। কোরবানি উপলক্ষে চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৩৫৮টি পশু বেশি রয়েছে সীতাকুণ্ডে।
আরও পড়ুন: এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে ঢাকায় গেলো ৪৬টি কোরবানির পশু
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবারও কম খরচে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে’ ঢাকায় গেলো কোরবানিযোগ্য ৪০টি গরু ও ৬টি ছাগল। তবে এবার আলাদাভাবে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ চালু না করে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আলাদা ওয়াগন সংযুক্ত করে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’ এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।
এসময় জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের সহকারি বাণিজ্যিক কর্মকর্তা একেএম নুরুল আলম, স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চালুর এক দিন পরই বন্ধ হয়ে গেল ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের স্টেশনমাস্টার ওবাইদুল্লাহ জানান, ঢাকায় কোরবানির পশু পরিবহন করার জন্য ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের সঙ্গে আলাদা ৩টি ওয়াগন জুড়ে দিয়ে ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে’ এর কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি করে গরু পরিবহন করা যাবে। একটি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ টাকা। ট্রেনটি প্রতিদিন বিকাল ৬টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে (তেজগাঁও) ছেড়ে যাবে। শনিবার (২৪জুন) থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত টানা ৩দিন এ সুবিধা চালু থাকবে।
করোনাকালীন সময়ে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই প্রথমবারের মতো কোরবানির পশু স্বল্পমূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা (তেজগাঁও) রুটে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে ঢাকার পথে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
৬ জুলাই থেকে চলবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
মানিকগঞ্জে পদ্মায় কোরবানির ২৮টি গরুবাহী ট্রলারডুবি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে ৪৭ টি গরুসহ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ১৯টি গরু জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকি গরু ও ট্রলার এখনো উদ্ধার করা যায়নি। শনিবার সকালে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সুত্রকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা থেকে ৪৭টি গরু নিয়ে একটি ট্রলার নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কোরবানির এসব গরু বিক্রি করতে ২৪ জন ব্যবসায়ী ওই ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জের একটি গরু হাটে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার সূত্রকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীতে গরুবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে গরু ব্যবসায়ীরা সাঁতরে তীরে উঠলেও অধিকাংশ গরু নদীতে ডুবে যায়।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ট্রলারের নিচে ফুটো হয়ে গরুসহ সেটি নদীতে ডুবে যায়। তবে এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের কেউ হতাহত হননি।
মানিকগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) ইমতিয়াজ মাহমুদ জানান, স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জাল পেতে ডুবন্ত ট্রলারটি শনাক্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রলার ও একটি সাম্পানের মাধ্যমে ডুবন্ত ট্রলার বাধা হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত দুইটি মৃত গরু ভেসে উঠেছে। বাকি গরুগুলো মৃত অবস্থায় দ্রুত পাড়ে টেনে নেওয়ার কাজ চলছে।
হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য জানান, উদ্ধারকাজে রয়েছে ডুবুরিদল আরিচা স্থলকাম নদী ফায়ার স্টেশন শিবালয়ের ৬জন কর্মী এবং হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৭ জন কর্মীসহ সিংগাইর সদর সার্কেল আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জ শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে শ্রমিক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
মানিকগঞ্জে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ
মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
এবার সাতক্ষীরার কোরবানির হাট কাঁপাবে ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’
ঈদুল আজহা আসন্ন। এর আগেই অস্ট্রেলিয়ান হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ‘হিরো সম্রাট’ ও ‘শুভরাজ’ নামে দুইটি গরু নিয়ে হইচই পড়েছে সাতক্ষীরায়। বিশাল আকৃতির এ পশু দুইটি এবার সাতক্ষীরার কোবরানির হাটে মাঠ কাঁপাবে।
‘হিরো সম্রাট’ এর উচ্চতা- ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৪০ মণ।
অন্যদিকে, ‘শুভরাজ’ এর উচ্চতা- ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৩৫ মণ।
সম্রাটের ১৬ লাখ টাকা, আর শুভরাজের দাম হাকানো হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু
জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘুড্ডেরডাঙ্গী গ্রামের প্রভাষক ইয়াহইয়া তমিজী নিজ বাড়িতেই পরম যত্নে লালন পালন করে বড় করে তুলেছেন গরু দুটি।
পাঁচ বছর বয়সের সম্রাট ও সাড়ে চার বছর বয়সের শুভরাজকে এ বছরই কোরবানি ঈদে ছেড়ে দিতে চান তিনি।
গরু দুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে এলাকা বাসিসহ দূর-দূরান্তের মানুষ।
গরু দেখতে আসা তানজির কচি জানান, এত বড় গরু আগে কখনো দেখিনি। গরু দুটি এতোই বৃহদাকারের যে গোয়াল থেকে বের করা দায়। সারাদিন গোয়ালেই ফ্যানের বাতাসে দিন কাটে তাদের। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রকৃতির বাতাসও।
গরুর মালিক ইয়াহইয়া তমিজী জানান, ভূষি, একাত্তরের প্রি মিক্স, সয়াবিনের খৈল আর নিজ বাড়ির টাটকা ঘাস খেয়েই বেড়ে উঠেছে সম্রাট ও শুভরাজ।
আরও পড়ুন: এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
ঘনিয়ে আসছে কোরবানি ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই আগে থেকেই গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও খামারিরা তাদের পশুগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশাল অঞ্চলে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা দেখা গেলেও আলোচনায় থাকে বিশালাকৃতির গরুগুলো। এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকায় এমইপি এগ্ৰো ফার্মে বেড়ে ওঠা ২৯ মণ ওজনের ‘টাইটানিক’।
দেখতে অন্য সব গরুর চেয়ে বিশালাকার দেহের অধিকারী হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে টাইটানিক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
স্থানীয়দের ধারণা এটি এবার গোটা বরিশালের মধ্যে আকারে সব থেকে বড় কোরবানির গরু হতে যাচ্ছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকার এমইপি এগ্ৰো ফার্ম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩শ’টির মতো গরু লালন পালন চলছে এ ফার্মে। গরুগুলো দেখা শোনার জন্য রয়েছে ১৩ জন কর্মচারী। এর মধ্যে বিশালাকার দেহের অধিকারী টাইটানিক লালন পালনে রয়েছে নির্ধারিত একজন কর্মচারী।
টাইটানিক লালন পালনের দায়িত্বে থাকা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশাল আকৃতির এই গরুটির লালন-পালনে দিনে এক হাজার চারশ টাকা খরচ হয়।
তাছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে গরুটিকে পালন করা হচ্ছে। খাবারে প্রতিদিন ধান ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টাসহ মিক্সড একটি উপাদান দেয়া হয়।
এছাড়া দিনে দুইবার গোসল করানো, দেখাশোনা, নিয়মিত পরিচর্যা করাসহ বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
ইসমাইল বলেন, গত কোরবানির পরপরই গরুটি এই ফার্মে আনা হয়েছে। তারপর থেকেই লালন পালন করতে করতে একটা মায়া হয়ে গেছে। বিক্রি করে দেওয়ার কথা শোনার পর থেকে খারাপ লাগছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছ শিকারির খোঁচায় ১৬ কেজির বোয়াল!
এমইপি এগ্ৰো ফার্মের ইনচার্জ রাফিউর রহমান অমি বলেন, গত কুরবানির পরপরই এই গরুটি ফার্মে আনা হয়েছে। তখন গরুটির ওজন ছিল প্রায় ১২ মণ। এখন গরুটির ওজন হয়েছে সাড়ে প্রায় ২৯ মণ। আগে গরুটির পেছনে ৮-৯শ’ টাকা খরচ হলেও এখন প্রায় ১৫শ’ টাকা খরচ হচ্ছে।
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার পশু। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব পশু প্রস্তুত করেছেন সাতক্ষীরার খামারিরা।
জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোরবানির গরু পাঠানো যাবে অন্য জেলায়।
এছাড়া এ বছর ভারত থেকে গরু না আসায় খামারিরা বেশ খুশি। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে আশানুরুপ লাভ করতে না পারার আশঙ্কা খামারিদের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরবানিতে ৮,৬০৬ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে: প্রাণিসম্পদ বিভাগ
সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর ৯ হাজার ৯২৬ জন খামারি কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করেছেন। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত।
আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে।
যা পাশ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
এদিকে, অন্যবারের তুলনায় এবার লাভ কম হবার আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার খামারি মজনুর রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। আমরা যারা শহরাঞ্চলে গরু পালন করি তারা পুরোটাই বাজার থেকে কেনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, যার ফলে একটি গরু পালন করতে যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সামান্য লভ্যাংশ থাকছে।
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী কুশখারী গ্রামের খামারি অজিয়র রহমান বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু সীমান্ত দিয়ে না আসায় আশার আলো দেখছেন গরুর খামারিরা।
তিনি বলেন, অন্যান্যবছর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসার কারণে দেশি খামারীর মালিকরা গরুর ভালো দাম পেত না।
এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তার আশা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, সাতক্ষীরায় কোরবানির গরুর চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি। আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। প্রায় ৩৫ হাজার গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে। যা পার্শ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, গো-খাদ্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরাতেও ‘নেপিয়ার ঘাস’ নামে একপ্রকার ঘাস বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছেন তারা। এতে কিছুটা হলেও খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত