সৌদি আরব
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলামে' যোগদান এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে ফ্লাইটটি বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৫ নভেম্বর ৩ দিনের সফরে সৌদি আরবে যান প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন তিনি মদিনায় মসজিদে নববীতে আছর নামাজের পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে আজ রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী
এরপর তিনি মক্কার উদ্দেশে রওনা হন এবং একই দিনে এশার নামাজের পর মসজিদুল হারামে (কাবা শরীফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেন এবং ভাষণ দেন।
সম্মেলনের সাইডলাইনে তিনি ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন।
ওআইসি’র সাধারণ সচিবালয়ের সহযোগিতায় সৌদি আরব ৬-৮ নভেম্বর এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: মক্কায় ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য 'ওয়েমেন ইন ইসলাম: স্ট্যাটাস অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সাধারণ সচিবালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সৌদি আরব ৬ থেকে ৮ নভেম্বর এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ৯টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী একজন 'গ্লোবাল স্টার': মোমেন
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রবিবার আসর নামাজের পর মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারকে ফাতেহা পাঠ করবেন। এরপর শেখ হাসিনা জেদ্দার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবেন এবং মক্কায় ওমরাহ পালন করবেন।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
পাশাপাশি, তিনি ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসেইহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
একই দিন (৬ নভেম্বর) প্রিন্সেস নোরা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের উদ্দেশে আগামীকাল ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মসজিদ আল-হারামে নামাজ আদায় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে (মঙ্গলবার) বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে মক্কা ত্যাগ করবেন। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
ইসলামে নারীর অধিকার ও দায়িত্ব, বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর আলেম-ওলামাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে ইসলামের শিক্ষা ও কাজের অধিকারকে স্পষ্ট করার লক্ষ্যে ইসলামে নারী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ বন্ধ না করলে, আমরাই রুখে দেব: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরবের অনেক নামকরা কোম্পানি: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি এবং সৌদি আরব বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘অনেক বিখ্যাত সৌদি কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সৌদি দূতাবাস দিবসটি পালন করবে। তবে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস পালিত হয় ২৩ সেপ্টেম্বর।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি হাসপাতাল, সেতু এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মতো বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফর এবং সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সৌদি আরবের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন সৌদি মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পর সৌদি-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের সম্পর্ক গভীর ও অসামান্য।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তা করে থাকে সৌদি আরব। বাংলাদেশ ইসলাম ও সৌদি আরবকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসে, যা সৌদি আরবকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বিশ্বের বৃহত্তম শ্রমবাজার হিসেবে স্বীকৃত সৌদি আরবে লাখ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘এই দেশের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সৌদি আরব একটি দুর্দান্ত অবদান রেখেছে, কারণ অভিবাসী শ্রমিকরা ক্রমাগত তাদের প্রিয় পরিবারের সদস্যদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখনই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সৌদি আরব সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং বাংলাদেশকে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা করতে পারে ঢাকা-ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: কূটনীতিকদের সঙ্গে রাখাইন সফরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি আরবের ডাটাভোল্ট
সৌদি আরবের ডাটা সেন্টার প্রস্তুত ও বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডাটাভোল্ট’ গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ডাটা সেন্টার স্থাপন করবে।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্ট্যাট্রেজি অফিসার আয়াদ আল আমরি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) গুলশান রেনেসাস হোটেলে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: অর্থমন্ত্রী
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে হাইটেক সিটিতে তিন একর জমি বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দেন। প্রতিষ্ঠানটি সেই জমিতেই অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার স্থাপন করবে বলেও জানায়।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে সরকারের নানা প্রণোদনা এবং ভবিষ্যৎ বাজার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ডাটাভোল্টকে তাদের আগ্রহ প্রকাশে ধন্যবাদ জানিয়ে তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পলক।
বৈঠকে বাংলাদেশের আইসিটিসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহসহ ডাটাভোল্ট এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-ফ্রান্সের
ঢাকা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী
সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াবে রিয়াদ: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স
সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, সৌদি আরব সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সালমানের সঙ্গে হাসিনার অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। সৌদি যুবরাজ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
প্রিন্স সালমান পতেঙ্গা টার্মিনাল, পায়রা বন্দর ও এসিইউডব্লিইএ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে সৌদি বিনিয়োগকারীদের চলমান বিনিয়োগের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ওমরাহ যাত্রা সহজ করতে নুসুক প্ল্যাটফর্মের প্রস্তাব সৌদি আরবের
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, প্রায় ২৮ মিলিয়ন বাংলাদেশি তাদের কঠোর ও যথাযথ পরিশ্রম দিয়ে তার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার জন্য সৌদি আরবকে সমর্থন করার জন্যও হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান সালমান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বেশ কয়েকটি সামাজিক সংস্কার শুরু ও অর্জন করা এবং সাম্প্রতিক সময়ে অসংখ্য কূটনৈতিক সাফল্য অর্জনের জন্য সৌদি যুবরাজকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান। যুবরাজ সালমান তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ সফরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আকাশ সীমা সুযোগ নিয়ে সৌদি মন্ত্রীর বক্তব্য
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে: সৌদি মন্ত্রী
বাংলাদেশিদের ওমরাহ যাত্রা সহজ করতে নুসুক প্ল্যাটফর্মের প্রস্তাব সৌদি আরবের
বাংলাদেশি দর্শনার্থীদের প্রবেশযোগ্যতা বাড়াতে এবং ওমরাহ যাত্রা সহজ করতে নুসুক প্ল্যাটফর্মের প্রস্তাব দিয়েছে সোদি আরব।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক রোড শোতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিগ আল-রাবিয়াহ এই প্রস্তাব দেন।
২০২২ সালে চালু হওয়া নুসুক মক্কা ও মদিনায় হজ বা ওমরাহ’র ভ্রমণসূচি তৈরির জন্য প্রথমবারের মতো অফিসিয়াল পরিকল্পনা, বুকিং এবং অভিজ্ঞতার প্ল্যাটফর্ম।
নুসুকের মাধ্যমে সারা বিশ্বের ভ্রমণকারীরা সহজেই ই-ভিসার জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে হোটেল এবং ফ্লাইট বুকিং পর্যন্ত তাদের পুরো প্রক্রিয়াটি সংগঠিত করতে পারেন।
সৌদি সরকারের ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ নুসুক বাংলাদেশিদের জন্য এর অফিসিয়াল ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রচারে প্রথম রোড শো আয়োজন করে। এখানে নুসুক এপিএসি প্রেসিডেন্ট আলহাসান আলদাববাগসহ সৌদি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আধ্যাত্মিক ও পর্যটন উদ্দেশ্যে সৌদি আরব ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হয়।
রোড শোতে ওমরাহ কোম্পানি, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: ব্রিকস জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে ইরান, সৌদি আরব ও মিশরসহ ৬ দেশ
পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান ড. তৌফিগ আল-রাবিয়াহ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত হয়েছে। আমরা একে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, দুটি পবিত্র মসজিদের রক্ষক হিসেবে সারা বিশ্ব থেকে আল্লাহর মেহমানদের স্বাগত জানাতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মান ও সৌভাগ্যের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব এবং তীর্থযাত্রীদের আধ্যাত্মিক যাত্রা নিরাপদ, সহজ, ঝামেলামুক্ত এবং আরামদায়ক করার জন্য আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ক্রমাগত আপনাদের তীর্থযাত্রার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করছি।’
নুসুকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহাদ হামিদাদ্দিন বলেন, আন্তঃসরকার ও বাণিজ্যিক অংশীদারের সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে এই রোড শো প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। যা দেশটির ভ্রমণকারীদের জন্য অসাধারণ সম্ভাবনা উন্মোচনে আমাদের সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আকাশ সীমা সুযোগ নিয়ে সৌদি মন্ত্রীর বক্তব্য
তিনি বলেন, এ বছর সৌদি আরব এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৩২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ভ্রমণকারীকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৩০ লাখে উন্নীত করার প্রত্যাশায় রয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমরা আমাদের মূল বাণিজ্য অংশীদারদের একসঙ্গে কাজ করতে এবং আমাদের ভাই ও বোনদের ওমরাহ স্বপ্ন এবং আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির সুবিধার্থে তাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।’
নুসুক এপিএসি সভাপতি আলহাসান আলদাববাগ বলেন, ‘nusuk.sa এর মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য বিশেষত ওমরাহ যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য এবং প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি করা।’
সৌদি আরব এই মিশনকে এগিয়ে নিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- মুসলিম দর্শনার্থীরা অনলাইনে ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়াকে সহজতর করেছি এবং ইউকে/ ইউএস/শেনজেন পাসপোর্টধারীদের ভিসা-অন-অ্যারাইভাল পরিষেবা দিচ্ছি, যাতে তারা অবাধে ওমরাহ পালন করতে পারে এবং দেশের অনন্য সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অন্বেষণ করতে পারে।’
আলহাসান আলদাববাগ আরও বলেন, সৌদি আরব ওমরাহ ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করেছে। ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বীমা খরচ কমিয়েছে এবং যে কোনো ধরনের ভিসার সঙ্গে জমজমের পানি সহজলভ্য করেছে। বাংলাদেশ ৯৬ ঘণ্টার স্টপওভার ভিসার জন্যও যোগ্য। এর মাধ্যমে মুসলমানরা ভ্রমণ বিরতি হিসেবে ওমরাহ পালন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে: সৌদি মন্ত্রী
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদির সমর্থন থাকবে: সৌদি মন্ত্রী
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাওজান আল-রাবিয়াহ বুধবার বলেছেন, তার দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সৌদির মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন চমৎকার।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম গন্তব্য। সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি দুই দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কল্যাণে সৌদি সরকার আরও কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ঢাকায় অভিবাসন শেষ হওয়ার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ উদ্যোগের জন্য হজযাত্রীদের জন্য হজযাত্রা ও সম্পাদন সহজ ও আরামদায়ক হয়েছে।
আগামীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব হজযাত্রী আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ বছর রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজের সময় সৌদি সরকারের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, পবিত্র হারাম শরিফ ও মসজিদে নববীসহ বিভিন্ন ইসলামি ঐতিহ্য বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ।
বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি সরকারের মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে সৌদি আরব বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
হজের সময় সৌদি প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, তিনি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।
সৌদির মন্ত্রী বলেন, দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো।
সৌদি মন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশংসা করেন এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশি হজযাত্রীরা যাতে আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট নিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, রাষ্ট্রপতির সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল দুহাইলান উপস্থিত ছিলেন।
ট্রানজিট নিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহ জানিয়েছেন, বিদেশগামী বাংলাদেশিরা এখন থেকে ট্রানজিট নিয়ে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে পারবেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সঙ্গে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহমন্ত্রী তৌফিক বিন ফাউজান আল-রাবিয়াহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের দ্বিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ওমরাহ ই-ভিসা: বাংলাদেশসহ ৫ দেশের যাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য আবশ্যক
এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ট্রানজিটে গিয়েও বাংলাদেশিরা সৌদি আরবে হজ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, শুধু সৌদি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন। ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ হবে ৪ দিন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া ওমরা ভিসার মেয়াদ ১ মাস থেকে বাড়িয়ে ৩ মাস করা হয়েছে। এ ভিসায় গিয়েও দেশটিতে ঘুরতে পারবেন বাংলাদেশি যাত্রীরা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের হজ কোটা বাড়ানো এবং হজ খরচ কমানো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমরাহ করতে গিয়ে বাংলাদেশির ইন্তেকাল
সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক 'ঠিক দিকেই এগোচ্ছে': ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, তার দেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক দিকেই এগোচ্ছে এবং উভয় পক্ষই বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে এগিয়ে নেবে।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠক শেষে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এ মন্তব্য করেন।
গত মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় ২ দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে সম্মত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে সরকারি সফরে আসা ইরানের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক 'ফলপ্রসূ' হয়েছে।
তিনি বলেন, ইরান নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ২ দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রযুক্তিগত ও নির্বাহী কমিটি গঠন করবে।
আরও পড়ুন: 'শান্তি ও স্থিতাবস্থা' বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি চীন-ভারতের
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান নিশ্চিত করেছেন যে ইরানের প্রেসিডেন্ট শিগগিরই সৌদি আরব সফর করবেন।
তিনি ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০৩০ আয়োজনের জন্য সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে সৌদি মন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় রাখার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার।
তিনি বলেন, সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখবে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন অগ্রগতিকে উৎসাহিত করবে।
সৌদি কর্মকর্তাও ইরানের প্রেসিডেন্টের নির্ধারিত সৌদি আরব সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ
আনোয়ার-উল-হক কাকার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
সৌদি আরবে ১১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
চলতি বছর ২৭ জুলাই পর্যন্ত সৌদি আরবে মারা যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ১১৭ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৯১ জন এবং নারী ২৬ জন।
মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হজ বুলেটিনে বলা হয়, মক্কায় ৯৫ জন, মদিনায় ৮ জন, মিনায় ৯ জন, আরাফাতে ২ জন, জেদ্দায় ২ জন এবং মুজদালিফায় একজন হজযাত্রী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ৮ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন: মন্ত্রণালয়
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৬০টি ফ্লাইটে মোট ৯৮ হাজার ৭৪৬ জন হজযাত্রী হজ শেষে দেশে ফিরেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১২৩টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৯৭টি এবং ফ্লাইনাস ৪০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন মুসলমান হজ পালনের জন্য ৩২৫টি ফ্লাইটে যাত্রা করেছেন।
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি গত ২ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফিরতি ফ্লাইটটি ২ আগস্ট আসার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করায় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী