সৌদি আরব
সৌদি আরবে ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাংলাদেশি নিহত
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ হতে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আল-আহসা শহরের হুফুফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ বাংলাদেশি ও ভারতীয় ১ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টার (স্থানীয় সময়) দিকে আল-আহসা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়। এতে ৯ জন অভিবাসী বাংলাদেশি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন ও ২ জন আহত হয়।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ড. পাটোয়ারীর নির্দেশে কাউন্সেলর (শ্রম) মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তারা ঘটনাস্থল, হুফুফ কিং ফাহাদ হাসপাতাল মর্গ এবং সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় পরিদর্শন করেন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন।
ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার বাংলাদেশি কর্মী বিপ্লব হোসেন ও মো. জুয়েল হোসেন দূতাবাস প্রতিনিধিকে জানান যে একজন ভারতীয় নাগরিকের পরিচালনাধীন সোফা কারখানাটিতে ১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করতেন।
তারা আরও জানান, শুক্রবার জুমার নামায শেষে খাওয়া-দাওয়া করে কারখানার উপরের আবাসনে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ নীচ থেকে আগুন আগুন চিৎকার শুনে তারা দু’জন দ্রুত সিড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। চারদিকে কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারে প্রবেশপথ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তারা অনুমানের ওপর নির্ভর করে সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে মার্কিন কনস্যুলেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
অন্যান্য সহকর্মীরা কালো ধোঁয়ায় নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনজন কর্মী ঘটনার সময় কারখানার বাইরে থাকায় আক্রান্ত হননি বলে জানান তারা।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন-
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার জফির উদ্দিনের ছেলে মো. রুবেল হোসাইন; নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মো. দবির উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ উবায়দুল; নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আইজাক প্রামানীকের ছেলে রমজান; রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম; রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোঃ শাহাদাত হোসাইনের ছেলে আরিফ; নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার; মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ইউনুস ঢালীর ছেলে মো. জুবায়েত ঢালী; ঢাকার সাভার উপজেলার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম; রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মো. আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে মো. মো. ফিরুজ আলী সরদার।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহগুলো দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানো বা স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শ্রমকল্যাণ উইংকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সার্বিক সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। রিয়াদস্থ শ্রম কল্যাণ উইং বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১০ দোকান
ইতালির মিলানে বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৬
হজে গিয়ে ৯৬ বাংলাদেশির মৃত্যু, ফিরেছেন ৩৩৬২৭ হাজি
এ বছর সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৯৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, হজ শেষে ৩৩ হাজার ৬২৭ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
রবিবার (৯ জুলাই) রাতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালে প্রকাশিত বুলেটিন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, রবিবার (৯ জুলাই) পর্যন্ত মোট ফিরতি ফ্লাইট সংখ্যা ছিল ৮৮টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৩৩টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ৩৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট ১৯টি।
আরও পড়ুন: ফিরতি হজ ফ্লাইট: ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৩৩ হাজি
অন্যদিকে চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৬ জন হজযাত্রী ও হাজি মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী।
এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ৮০ জন, মদিনায় পাঁচ, জেদ্দা একজন, মিনায় সাতজন, আরাফায় দুইজন ও মুজদালিফায় একজন বাংলাদেশি মারা গেছেন বলে বুলেটিনে জানানো হয়।
এ ছাড়া সর্বশেষ রবিবার (৯ জুলাই) তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন- মমতাজ করিম (৫২), মো. নাজমুল আহসান (৬১), আক্তার উদ্দিন আহমেদ (৫৪)। তারা সবাই সৌদি আরবে মারা গেছেন।
এদিকে, গত ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যান।
হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার ফ্লাইট গত ২১ মে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৪ জুন।
এদিকে, হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট গত ২ জুলাই শুরু হয়। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২ আগস্ট।
হজ বুলেটিনে আরও জানানো হয়, মক্কার বাংলাদেশ হজ অফিসে রবিবার রাত ১০টায় ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সভা হয়।
সভায় বাংলাদেশ থেকে আসা হাজিদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) এবং প্রশাসনিক দলের দলনেতা মো. মতিউল ইসলাম, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম, হজ প্রশাসনিক দলের সদস্য, হাবের সভাপতি, চিকিৎসক ও আইটি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন: মন্ত্রণালয়
হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
৮ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন: মন্ত্রণালয়
এ বছর সৌদি আরবে মারা যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৯ জুলাই পর্যন্ত ৯১ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ ও ২২ জন নারী।
৮ জুলাই রাতে প্রকাশিত মন্ত্রণালয়ের হজ বুলেটিনে প্রকাশ করা হয়েছে যে মক্কায় ৭৫ জন, মদিনায় পাঁচজন, মিনায় সাতজন, আরাফাতে দুইজন এবং জেদ্দা ও মুজদালিফায় একজন করে হজযাত্রী মারা গেছেন।
রবিবার পর্যন্ত হজ সম্পন্ন করে ৭৬টি ফ্লাইটে মোট ২৯ হাজার ৪৪ জন হজযাত্রী দেশে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তিনটি এয়ারলাইন এই ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৮ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে, সৌদি এয়ারলাইন্স ৩১ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে এবং ফ্লাইনাস ১৭ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
এই বছর, ৩২৫ টি ফ্লাইটে প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হাজী হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন।
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি ২ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। শেষ ফিরতি ফ্লাইটটি ২ আগস্ট ফেরার কথা।
আরও পড়ুন: ফিরতি হজ ফ্লাইট: ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৩৩ হাজি
হজ সফরে জেদ্দায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
ফিরতি হজ ফ্লাইট: ফ্লাইনাসের ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৩৩ হাজি
হজ শেষে দেশের মাটিতে ফিরেছেন ৩৩৩ জন হাজি।
বাংলাদেশের প্রথম ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে সৌদি আরবের এয়ারলাইন ফ্লাইনাস।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম ফিরতি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা) এয়ার কমোডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরীসহ বিমানবন্দরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হজ সফরে জেদ্দায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
সফলভাবে সম্পন্ন হলো বিমানের প্রি-হজ কার্যক্রম
সৌদি আরবে মার্কিন কনস্যুলেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলে বন্দুকধারীর গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলে এই ঘটনা ঘটে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিশ্চিত করেছে যে এ ঘটনায় একজন স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষী এবং আততায়ীসহ দুজন নিহত হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সাংবাদিক এ তথ্য জানান, ‘সৌদি আরবের জেদ্দায় আমাদের কনস্যুলেট জেনারেলের বাইরে আজ একটি গুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে কনস্যুলেটের স্থানীয় প্রহরী বাহিনীর সদস্য এবং সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আততায়ী নিহত হয়েছেন।’
মুখপাত্র আরও জানান, ‘ইউএস দূতাবাস এবং কনস্যুলেট সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কারণ তারা ঘটনার তদন্ত করছে। কনস্যুলেটটি যথাযথভাবে তালাবদ্ধ ছিল এবং হামলায় কোনো আমেরিকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।’
স্ত্রীকে নিয়ে হজে রওনা হয়েছেন সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ তার স্ত্রীকে নিয়ে শুক্রবার পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেশটির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশত্যাগের আগে সেনাবাহিনী প্রধান সঠিকভাবে হজ পালন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে।
ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হজ পালন শেষে আগামী মাসের ৩ জুলাই দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: শান্তি মিশনে যৌথ কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের লক্ষ্যে গাম্বিয়া সফরে সেনাপ্রধান
ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
সৌদি আরবের উদ্দেশে সেনাপ্রধানের ঢাকা ত্যাগ
হজ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
পবিত্র হজ পালনের জন্য ১০ দিনের সফরে শুক্রবার সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানিয়েছেন, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ পালন করবেন।
তিনি দুপুর আড়াইটায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা এবং সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে যাত্রা করেন।
রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বঙ্গভবন সচিব এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
সাহাবুদ্দিন মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ, কেএসএ-তে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাংলাদেশ সময়) জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানাবেন।
সূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপ্রধান মক্কার আল সাফা রাজপ্রাসাদে অবস্থান করবেন।
হজের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর রাষ্ট্রপতি ১ জুলাই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাজার জিয়ারতের জন্য মদিনায় যাবেন।
২ জুলাই মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রপতি
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
হুন্ডি পরিহার করা হলে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে: রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী
সৌদি আরব থেকে হুন্ডি পরিহার করে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো হলে তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সৌদি প্রবাসীরা দেশে প্রায় ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। তবে সৌদি আরবে বসবাসরত ২৮ লক্ষ সৌদি প্রবাসী বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করলে তা আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও হুন্ডি প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
সেমিনারে রিয়াদের কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, রিয়াদের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ও বিওডি সদস্যসহ অন্যান্যরা যোগ দেন। এছাড়া দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী দেশের প্রয়োজনে সৌদি প্রবাসীদের হুন্ডি প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহবান জানান। এ সময় তিনি কমিউনিটির সবাইকে হুন্ডি প্রতিরোধে সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিরও আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিদেশে আসার আগে দক্ষতা অর্জন করে আসলে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়া সম্ভব। দক্ষ কর্মী প্রেরণ করা হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমবাজার সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। সৌদির সরকারি প্রতিষ্ঠান তাকামলের মাধ্যমে দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ তৈরি হয়েছে সৌদি গমনে ইচ্ছুক বাংলাদেশি কর্মীদের।
সৌদির সরকারি প্রতিষ্ঠান তাকামল হোল্ডিং বাংলাদেশে বসেই দক্ষ বা আধা-দক্ষ কর্মীদের দক্ষতা যাচাইয়ের কাজ করবে এবং সনদ প্রদান করবে। প্লাম্বিং, ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, ওয়েল্ডিং, কার্পেন্টার পেইন্টার, প্লাস্টারার, বিল্ডারসহ ২৩টি বিষয়ে দক্ষতা যাচাই ও সনদ প্রদান করা হবে।
এছাড়া সৌদি প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালু আছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদি আরবে আসার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ভিসা ট্রেডিং বন্ধে দূতাবাস কাজ করছে এবং প্রত্যেকটি ভিসা যাচাই করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি ভিসা ট্রেডিং বন্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রবাসী কর্মীর মাইগ্রেশন কষ্ট না কমানো হলে তাদের আয়ের সুফল পাওয়া যায় না। কারণ, একজন প্রবাসী কর্মীর কয়েক বছর লেগে যায় তার বিদেশে আসার খরচ তুলে আনতে।
রাষ্ট্রদূত বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সরকারি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা গ্রহণ করার পাশাপাশি দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের আহবান জানান।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) ব্যবহার করে নিজের অ্যাকাউন্ট সৌদি আরবে বসেই পরিচালনা করার কথা এবং সৌদি আরবে বসেই সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট ব্যবহারের বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সৌদি প্রবাসীদের নতুন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর আহ্বান
রাষ্ট্রদূত যে সকল বাংলাদেশি প্রবাসীরা সৌদি আরবে ব্যবসা করছেন তাদের ব্যবসা নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করে বৈধভাবে ব্যবসা করার আহবান জানান। তিনি বলেন, এতে সৌদি আরবে বৈধ ব্যবসার সুযোগের পাশাপাশি দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতেও সুবিধা পাওয়া যায়।
তিনি বিভিন্ন শ্রমিক ক্যাম্পে দূতাবাসের সোনালী ব্যাংকের সেবা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইং-এর কাউন্সেলর রেজা-ই রাব্বী। তিনি সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার নিয়ে পর্যালোচনামূলক গবেষণা তুলে ধরেন। এছাড়া রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে সুপারিশমালা ও সুবিধা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা, ইকোনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান, সোনালী ব্যাংকের এ জি এম মো. তৌফিকুর রহমান, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, রিয়াদ আওয়ামী পরিষদের সভাপতি এম আর মাহাবুব বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আগত প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্ন সমস্যা, সৌদি আরবের শ্রম বাজার, দূতাবাসের বিভিন্ন সেবা নিয়ে তাদের পরামর্শ তুলে ধরেন।
প্রবাসীরা রেমিট্যান্স প্রণোদনা বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যয় ফেরত প্রদান, রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ভালো ব্যাংক রেট প্রদানের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমুহকে রেমিট্যান্স ডেলিভারির জন্য উন্নত সেবা প্রদানের দাবি জানান।
দূতাবাসের প্রেস উইং-এর উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারের সঞ্চালনা করেন প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের বিনিময় হার ১ টাকা বাড়ল
বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ২০৮৬ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরব পৌঁছেছে
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট ২ হাজার ৮৬জন হজযাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে প্রথম ফ্লাইট
এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের পাঁচটি বিমান দিয়ে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জনের মধ্যে ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী বহন করবে। বাকিগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস বহন করবে।
বিমান কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ২১ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ১৬২টি প্রাক-হজ ফ্লাইট এবং ২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৮টি পোস্ট-হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
গত বছরের মতো এবারও বিমান ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
গত ১৯ মে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৪১৯ হজযাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়েছে প্রথম হজ ফ্লাইট
জেদ্দা পৌঁছেছেন ৮২৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী
বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির দুই মন্ত্রী
স্থিতিশীল সরকার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভালো রেকর্ড থাকায় সৌদি আরব বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বড় আকারের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
সৌদি আরবের বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ. আল-ফালিয়াহ এবং অর্থনীতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ফয়সাল আলিব্রাহিম মঙ্গলবার দোহায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবনে যৌথভাবে সাক্ষাৎকালে এই প্রস্তাব দেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব বিনিয়োগকারী হিসেবে কয়েকটি বিষয় দেখে- স্থিতিশীলতা (উক্ত দেশের) ও বিনিয়োগের ভবিষ্যত।
বৈঠকে তারা বলেন যে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যত খুবই ভালো এবং এ কারণেই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী
সৌদি মন্ত্রীরা বলেন, বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুবই ভালো। বাংলাদেশের নেতৃত্ব, দৃষ্টিভঙ্গি ও অঙ্গীকার খুবই ভালো।
তারা জানান, সৌদি আরব এরই মধ্যে কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে তারা পতেঙ্গা বন্দর করতে চায় এবং এর পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল নিতে চায়। সৌদি আরব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যবর্তী হওয়ায় ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সৌদি যদি এটিকে একটি হাব করে তবে তারা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং আরও অনেক দেশকে কভার করতে পারবে।
দুই মন্ত্রী বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশে সৌদি পেট্রোকেমিক্যাল, ডিজেল, জেট ফুয়েল, সার ও শিপিং লাইনের প্রধান বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। তারা পতেঙ্গাকে লোহিত সাগরের প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ইতোমধ্যে অনুমতি দিয়েছেন এবং অবিলম্বে এটি শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে সৌদি সরকারকে মাতারবাড়ী ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ সহজ করার জন্য কোনো বাধা থাকলে তা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে: দোহায় কাতারের শিক্ষার্থীদের জানালেন প্রধানমন্ত্রী
সৌদি আরব পারস্পরিক স্বার্থে কৃষির মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায়।
এ ব্যাপারে তারা বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
সৌদি মন্ত্রীরা বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবে আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।
দুই মন্ত্রী দু'দেশের জনগণের সুবিধার্থে সৌদি আরবে ফার্মাসিউটিক্যালস, বেভারেজ ও রিয়েল এস্টেট শিল্প স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ দেখিয়েছে যে এটি বিশ্বে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতির চিহ্ন বহন করে: মোমেন