মশা
শাহজালালে মশা নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে করা এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজিবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভির আহমেদ।
পরে তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণ জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ওই রিটে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত। আদালত আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেছেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের কাছে থাকবে দুই শিশু, পারিবারিক আদালতে নিষ্পত্তির নির্দেশ
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ। ওইসময় আইনজীবী তানভির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমার দাদিকে নিয়ে টিকিট কেটে দর্শনার্থী হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করি। ওইদিন রাত ১০টার দিকে সেখানে অবস্থানকালে অনেক দেশি-বিদেশি বিমানযাত্রীকে মশার আক্রমণের শিকার হতে দেখি। শাহজালাল বিমানবন্দর দেশের সুনামকে প্রতিনিধিত্ব করে। অথচ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় বিমানবন্দরের ভেতরে মশার তীব্রতা বেড়েই চলছে। এরপর মশা নিধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। নোটিশ পাওয়ার নির্দিষ্ট তিনদিনের মধ্যে বিমানবন্দরের ভেতর মশা নিধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করি। রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারি করেন।
রুলে শাহজালাল বিমানবন্দরে মশা নিধনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি মশা নিধনে কেন জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দর সংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে পালানো হত্যা মামলার আসামি ফের গ্রেপ্তার
দেশের অধস্তন আদালত তদারকিতে ৮ বিচারপতির মনিটরিং কমিটি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২ জন হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুই জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩৪ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় ২৩ জন ও ঢাকার বাইরে ১১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত ১০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও ১ জনের
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
মশার উপদ্রবে অতিষ্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দারা
মহামারি করোনা ভাইরাসের পর আরেক বড় সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএনসিসি)বাসিন্দারা। মশার উপদ্রবে অতিষ্ট তারা। ডিএনসিসি মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযানের কথা দাবি করলেও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না তাদের।
মিরপুর-৬ এলাকায় বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, মশার ব্যাপক উপদ্রব আমাদেরকে হতাশ করেছে। কারণ করোনা মহামারির মধ্যেই এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বন্যার পানির সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মশার সংখ্যা বেড়ে যায়। জমে থাকা বৃষ্টির পানি মশার নিখুঁত প্রজনন ক্ষেত্র।
কিন্তু ডিএনসিসির গৃহীত পদক্ষেপগুলো অপ্রতুল বলে জানা গেছে। ডিসেম্বরের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়ও মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসী রেহাই পাচ্ছেন না।
ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করছে,পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই তারা নিয়েছে।
মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে না পারার কারণেই মূলত ডিএনসিসির আওতাধীন কয়েকটি এলাকায় মশা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। মশারি, কয়েল, ইলেকট্রিক ব্যাট এবং মশানাশক স্প্রে করেও এই অবস্থা থেকে প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
দীর্ঘ বর্ষার কারণে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মশার উপদ্রব আরও বেশি হয়েছে।
নগরবাসী জানায়, নগরীর বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল এমনকি চলন্ত যানবাহনসহ সর্বত্রই মশা।
মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বরাদ্দ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ডিএনসিসির বাজেট অনুসারে, এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বরাদ্দের মধ্যে কীটনাশক সংগ্রহের জন্য ৪৫ কোটি টাকা, আগাছা পরিষ্কারের জন্য তিন দশমিক ৫০ কোটি টাকা, মশা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিন কোটি টাকা, মশা নিয়ন্ত্রণ অভিযানে ডিএনসিসির অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের জন্য ২৭ কোটি টাকা এবং চিরুনি অভিযানের জন্য চার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য আরও ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান অভিযোগ
দক্ষিণ সিটির মালিবাগ, রামপুরা, বনশ্রী, মেরাদিয়া, গোড়ান, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকা, ফকিরাপুল, আরামবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর, মানিকনগর, বাসাবো, মুগদা, খিলগাঁও, ধোলাইখাল, কুড়িল, মীর হাজীরবাগ,শ্যামপুর, কামরাঙ্গীরচর, সূত্রাপুর, মোহাম্মদপুর,হাজারীবাগে মশার উপদ্রব বেশি।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী আকবর আলী বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হিসেবে চমৎকার হলেও মশার সমস্যায় অনেকেই সেখানে থাকতে চান না। এখানে থাকতে হলে আপনাকে সন্ধ্যায় মশারির নীচে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরা এলাকায় মশার উপদ্রব রোধে ডিএনসিসির কোনো অভিযান বা কর্মসূচি আমার চোখে পড়েনি।
ভাটারা এলাকার রুহুল আমিন ইউএনবিকে বলেন, মশার আতঙ্কে আমরা খুবই আতঙ্কিত। মশা যেনো শহর দখল করে নিয়েছে। রাস্তায় স্পে করা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে নগর কর্তৃপক্ষের আর কোনো কার্যক্রম দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: ‘মশার কোন বর্ডার নেই, সচেতনতার বিকল্প নেই’
বাড্ডার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, এ এলাকায় মশার উপদ্রব একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আমরা মশার কামড় এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি, তা সাময়িক হলেও, মশার উপদ্রব আবার দেখা যেতে পারে।
শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ফারুক রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের উচিত সারা বছরই মশা নিয়ন্ত্রণ অভিযান চালানো। মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা কোনভাবেই যথেষ্ট নয়। বাস্তবতা হলো, সিটি করপোরেশন এই সমস্যা রোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান মেয়র তাপসের
ডেঙ্গু মশার লার্ভার তথ্য দেয়ার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘রোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে নয়, লার্ভা পর্যায়ে থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তথ্য দিন।’
বুধবার সকালে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত ঢাকা ম্যাচ কলোনির জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র এ আহবান জানান।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপসমেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা তো মানুষের ছাদে উঠতে পারিনা। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, ছাদে কোথাও পানি জমে আছে। আপনি যদি নিজে পরিষ্কার না করতে পারেন আমাদেরকে জানান। আমরা এসে পরিষ্কার করে দেবো। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন কোন প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে আছে আপনারা যদি তাদের দিয়ে পরিষ্কার না করাতে পারেন তাহলে আমাদেরকে জানান। আমরা কাউন্সিলরসহ উপস্থিত হবো। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হবে। আমরা করে দেবো। শুধু আমাদেরকে তথ্য দিয়ে আপনারা সহযোগিতা করুন। কারণ এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। তাই আমাদেরকে তথ্য দিন। রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য দিয়ে লাভ নেই। কারণ তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন। ‘
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্ত আরও ১৫৩শেখ তাপস আরও বলেন, ‘এডিস মশা বাড়ির আঙিনায়, বাসাবাড়িতে হয়, ফুলের টবে হয়, ছোট বড় যে কোন পাত্রে হয় - অর্থাৎ যেখানেই বৃষ্টির পানি এসে জমে বা পানি জমা হওয়ার সুযোগ থাকে সেখানেই কিন্তু এডিস মশার প্রজনন হয়ে থাকে। আপনাদের মেয়র হিসেবে, আপনাদের সেবক হিসেবে আমি ঢাকাবাসীর প্রতি এটুকু নিবেদন করব, আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিন।’ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করবেন যে ঢাকা শহরের যে প্রতিকূল অবস্থা তার মধ্যে পূর্ণশক্তি আমরা প্রয়োগ করে রেখেছি আমাদের কীটনাশক আছে আমাদের জনবল আছে, আমাদের যন্ত্রপাতি আছে, আমাদের সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে, নিষ্ঠা আছে। সবমিলিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।’
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, আক্রান্ত আরও ১৫৩
পরে শেখ তাপস নগরীর ৫৯, ৫৮ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন আরও বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর ডিএসসিসি মেয়র ডিএসসিসি পরিচালিত ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পুরাতন ঢাকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় এই হাসপাতালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা এই হাসপাতালের আধুনিকায়ন করব। সে লক্ষ্যেই আজকের পরিদর্শন।’
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুলএ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
‘মশার কোন বর্ডার নেই, সচেতনতার বিকল্প নেই’
মশার কোন বর্ডার বা সীমানা নেই, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দু-একজন মানুষের দায়িত্বহীনতার কারণে শহর বা গোটা দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার দশম আন্তঃমন্ত্রণালয় অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৭০
তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটি করপোরেশনে মশা মারলে দক্ষিণ সিটিতে হবে না অথবা দক্ষিণে মারলে উত্তর হবে না এমনটি ভাবা উচিত নয়। প্রতিষ্ঠান বা বাড়ি-ঘর যারই হোক, আমি-আপনি যেই হই না কেন আমরা সবাই এই শহর ও দেশের মানুষ। মশা নিধনে সবাইকে অর্পিত নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগে কাজ না করলে সুফল আসবে না।‘
জেল-জরিমানা করার পরও ঐসব বাসা-বাড়ি অথবা ভবনে পুনরায় মশার লার্ভা পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে এমন তথ্য জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করা গুরুতর অপরাধ। আর এই অপরাধের সাথে কেউ সম্পৃক্ত হলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
ইচ্ছাকৃতভাবে এডিস মশার প্রজননের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনে চিরুনি অভিযানের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বেজমেন্ট এবং ছাদে বিভিন্ন জায়গাতে জমা পানি থাকে। আর এখানেই এডিস মশার প্রজনন বেশি হয়। যারা ভবন নির্মাণ করছেন অথবা নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছেন বা যাদের পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে তাদেরকে জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা সামান্য পরিমাণ কেরোসিন ঢেলে দেয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
ডেঙ্গু নিয়ে এখনও আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা বিস্তার বা প্রজননের সকল ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এডিস, অ্যানোফিলিস বা কিউলিক্স মশা যে মশাই হোক না কেন এগুলো নিধনের জন্য কি করতে হবে তা সবারই জানা। করোনার মধ্যে যেন ডেঙ্গু মাথা ব্যথার কারণ না হয় সেটি লক্ষ্য রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন তিনি।
প্রত্যেক ওয়ার্ডকে দশটি সাব জোন ভাগ করে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে স্থায়ী রূপ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ত্রাণ বিতরণ, মশা নিধন, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকসহ যেকোন সমস্যা দ্রুত সমাধানে এই কমিটিকে কাজে লাগানো সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু: একদিনে ৪৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা বা ঘাস কাটা বছর ভিত্তিক অথবা কোয়ার্টালি না করে নিয়মিত করার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং সিভিল এভিয়েশনসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিক্ষেত্রে মশকের বিস্তার রোধে নিজ নিজ উদ্যোগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার কোন সুযোগ নেই।
সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৭০
গত ২৪ ঘন্টায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আরও ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২০৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
জানুয়ারি থেকে প্রায় ৭৯৬ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ৫৮৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দেশে ক্রমবর্ধমান হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তার মধ্যে ডেঙ্গু সাম্প্রতিক উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শিগগিরই রাজধানীর দুটি সিটি করপোরেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, যদি কেউ এডিস মশা প্রজনন এবং জরিমানা ও অন্যান্য শাস্তির মাধ্যমে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাজুল ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মানুষের জানমালের ক্ষতি করার কোনও অধিকার আপনাদের নেই।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু: একদিনে ৪৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডিজিএইচএসের তথ্য অনুসারে ২০২০ সালে এক হাজার ১৯৩ জন ডেঙ্গুজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।
মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষিত থাকার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়
মশার উপদ্রব থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মশা মারার সঙ্গে সঙ্গে যেসব স্থানে মশা জন্মানোর সম্ভাবনা আছে সেসব সেগুলো পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। মশা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত স্থান, যেমন ঘরের কোনা, আঙিনায় জমে থাকা ময়লা ধুলা, পাত্রে জমে থাকা পানি এসব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে।
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং হলুদ জ্বরের মতো মশা বাহিত বিপজ্জনক রোগগুলি ছাড়াও মশা কামড়ানোর পরে দীর্ঘক্ষণ বিরক্তিকর চুলকানি হতে পারে এবং তাদের শব্দ আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
এমতাবস্থায় চলুন জেনে নিই, মশা তাড়ানোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া টিপ্স।
মশা থেকে বাঁচার কিছু সহজ ঘরোয়া টিপ্স
পুদিনা পাতার কার্যকারিতা
উপকারী এই পাতা মশা তাড়াতে বেশ কার্যকরী। একটি গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তাতে পুদিনার কয়েকটি পাতা রেখে দিন। অবশ্যই তিনদিন পরপর পানি বদলে দেবেন। এছাড়া পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে সেই পানির গন্ধ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। এতেও মশা দ্রুত পালাবে।
আরও পড়ুন: সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
সন্ধ্যায় হলুদ বাতি
পতঙ্গ সাধারণত আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়। ঘরে হলুদ আলো জেলে দিলে মশার উপদ্রব কমে যায়। বৈদ্যুতিক বাতির চারপাশে হলুদ সেলোফন জড়িয়ে দিতে পারেন, যেখানে আলোর রং অবশ্যই হলুদ হতে হবে। আর প্রতি সন্ধ্যায় জ্বালানো এই হলুদ আলোই মশা তাড়াবে।
শুকনো চা পাতা পোড়ানো
চা তৈরি ছাড়াও চা পাতা মশার উপদ্রব কমাতে পারে। সেজন্য চা পাতা ব্যবহারের পর ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন তাতে পানি না থাকে। এরপর এই চা পাতা ব্যবহার করতে পারেন ধুয়া হিসেবে। শুকনো চা পাতা পোড়ালে ঘরের সব মশা-মাছি দ্রুত দূর হবে।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
লেবু ও লবঙ্গ ব্যবহার
প্রথমে একটি বড় লেবু নিয়ে দুই ভাগ করে কেটে এর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে নিন। লবঙ্গের শুধুমাত্র ফুলের অংশটুকু বের হয়ে থাকবে। বাকি অংশের পুরোটাই লেবুর ভেতরে গেঁথে দিন। পরবর্তীতে লেবুর টুকরোগুলো একটি পরিষ্কার থালায় নিয়ে কক্ষের এককোণে রেখে দিন। এতে খুব সহজেই মশা তাড়াতে পারবেন। লেবু ও লবঙ্গ এভাবে রেখে দিতে পারেন জানালার গ্রিলেও। ফলে মশা ভেতরে ঢুকবে না।
ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দেয়া
মশা ভীষণ হালকা একটি পতঙ্গ। তাই ঘরের সিলিং ফ্যানটি যদি ফুল স্পিডে ছেড়ে রাখেন তবে মশা আর কাছে ঘেঁষতে পারবে না। মশার ওড়ার গতিবেগের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ফ্যানের ঘোরার গতি বেশি। তাই মশা সহজেই ফ্যানের ব্লেডের কাছে চলে যায়। মশার উপদ্রব বেড়ে গেলে ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিন।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক হোন
নিম পাতার তেল প্রাকৃতিক মশা নিরধোক
মশা বা কীট-পতঙ্গ থেকে বাঁচতে নিম পাতার তেল ব্যবহার অপরিহার্য। কারণ, নিম পাতার তেল প্রাকৃতিক মশা নিরধোক সমৃদ্ধ।
রসুন দিয়ে বানানো স্প্রে
রসুন পোকা-মাকড় দমনে বেশ কার্যকরী। মধ্যযুগে ইউরোপীয়রা প্লেগ মহামারি প্রতিরোধে রসুনের ব্যবহার করেছিলো।
রসুনের স্প্রে খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। রসুনের কয়েকটি কোয়া ছেঁচে নিয়ে ১ কাপ বা আধা কাপ পানিতে ফুটান। অতঃপর তৈরি স্প্রে মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে দরজা, জানালা, ঘরের চারিদিকে স্প্রে করুন।
আরও পড়ুন: বর্ষায় পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন
ঘরের কোণায় কোণায় কর্পূর ব্যবহার
কর্পূরের গন্ধ মশার জন্য বিদ্ধংসী। ৫০ গ্রাম কর্পূরের একটি ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে ভরে ঘরের কোণে রেখে দিন। সাথে সাথেই দেখবেন, মশা গায়েব হয়ে গেছে। প্রতি দুই দিন অন্তর পানি পরিবর্তন করে দিতে ভুলবেন না।
শেষাংশ
উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো নেয়ার পাশাপাশি মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে প্রয়োজন যথাযথ সচেতনতা। বিশেষত, এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা জরুরি। বাড়ির আঙ্গিনায় আগাছা, ঝোপ-ঝাড় জমতে দেবেন না। ময়লা ফেলার পাত্র ঢাকনাযুক্ত রাখুন এবং নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বাড়ির দরজা ও জানালায় নেট লাগিয়ে আপনি মশার উপদ্রব থেকে দূরে থাকতে পারেন। উপায়টি সবচেয়ে ফলপ্রসূ হয় বর্ষাকালে।
আরও পড়ুন: কালো ছত্রাক সংক্রমণ: কোভিড রোগীদের নতুন আতঙ্ক
জেনে নিন ক্ষতিকর অ্যারোসল, কয়েলের চেয়ে প্রাকৃতিকভাবে মশা তাড়ানোর উপায়
বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় কিউলেক্স মশার সংখ্যা চারগুণ বাড়ার তথ্য সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে। মশাবাহিত রোগবালাইয়ে মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে।
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসিতে সমন্বিত অভিযান শুরু
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যাতীত আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।