দুবাই
২৮তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে দেশের অর্জন নিয়ে আলোচনা
দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ দেশের অর্জন নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলোচনা করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কপ-২৮ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত ছিলেন, তিনি সেখানে যেতে পারেননি, তার পক্ষ থেকে আমাকে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছি সেগুলো সেখানে প্রশংসিত হয়েছে। সে কারণে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি (জিসিসিএম) যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও আইওএমের ডিরেক্টর জেনারেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশকে স্থানীয় অভিযোজনে সাফল্যের জন্য ‘গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশন এওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে।’’
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার হলেও যেভাবে এই জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করে এসেছে সেগুলো বিশ্বব্যাপী সবসময় প্রশংসিত হয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীকে ২০১৫ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কপ-২৮ সম্মেলনের অন্যতম প্রধান অগ্রগতি হচ্ছে ‘লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড’ গঠন করা, যেটি আগে ছিলো না। এবং এই সম্মেলনে সবাই জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার বিষয়ে একযোগে একমত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
এ সময় নগর পরিকল্পনায় প্রকৃতির সাথে মানুষের সংযোগ নিয়ে প্রশ্নে পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, আমাদের দেশে বেশিরভাগ নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটিয়ে তোলা হয়নি। সে কারণে নগরগুলো ইট-পাথরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো উদ্যোগ একা গ্রহণ করেছেন। সে উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অনেকগুলো খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, খাল খননের সঙ্গে যুক্তদের চেয়েও অনেক শক্তিশালী হচ্ছে খাল দখলকারীরা। এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। অবশ্যই প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটিয়েই নগর পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। শুধু নগর পরিকল্পনা নয়, যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাই প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটিয়ে করা প্রয়োজন।
প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, ফোরামের সভাপতি কাউসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু আলোচনার চূড়ান্ত: দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে শেষ দিনে সমঝোতার চেষ্টা
বহুল আলোচিত ও প্রথম দিনে ইতিহাস সৃষ্টি করা দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ শেষ দিনের আলোচনায় দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল জানায়, আজ কেবলমাত্র দুটি ইস্যু সামনে আছে। একটি হচ্ছে, জলবায়ু প্রশমনে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানোর উচ্চাভিলাসী লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে- জলবায়ু সংকট উত্তরণে দেশগুলোর সদিচ্ছা প্রকাশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
দুবাই জলবায়ু সামিট শেষ দিনে চূড়ান্ত চুক্তিতে বিশ্ববাসীকে কী উপহার দেবে সেটা দেখার অপেক্ষায় অধীর বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। আজ দুবাইয়ের স্থানীয় সময় রাত পর্যন্ত চলবে আলোচনা।
জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ বা কমিয়ে আনার প্রশ্নে দুবাই জলবায়ু আলোচনায় এক অচল অবস্থা বিরাজ করছে। এই অচল অবস্থা নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিযে যাচ্ছন সম্মেলনের সভাপতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবেশমন্ত্রী সুলতান আল জাবের। তিনি যেকোনো মূল্যে দেশগুলোকে নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছে দুবাইকে জলবায়ু সম্মেলনের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন। এ লক্ষে সম্মেলনের (কপ) সভাপতি বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় ‘মজলিশ’ করে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
জলবায়ু সম্মেলনের শেষ দিনে এসে সব পক্ষকে সন্তুষ্ট করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কঠিন কাজ। তাই শেষ দিনের কাজকে সহজ করার জন্য দুই দিন আগে থেকেই ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’ শুরু করেছেন কপ সভাপতি সুলতান আল জাবের।
রবিবার থেকে তিনি গ্রুপে গ্রুপে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেন। আরবি ভাষায় যাকে ‘মজলিশ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি প্রতিনিধিদের সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে চূড়ান্ত সামিটে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কী আছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজে
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকটের বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানসহ অভিযোজন তহবিল দ্বিগুন করার দাবি বাংলাদেশের
ক্ষয়ক্ষতি তহবিল কার্যকর, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো, অভিযোজন কার্যক্রম দ্রততর করার জন্য গ্লোবাল গোল অ্যাডাপটেশন গ্রহণ, মিথেন গ্যাস নির্গমন কমিয়ে বৈশ্বিক ক্ষুধা নিবারণে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ণ, কার্বন নির্গমন কমাতে ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন মিটিগেশন গ্রহণ, বৈশ্বিক মূল্যায়নের মাধ্যমে পাঁচশালা পরিকল্পনা গ্রহণ, ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন এবং ২০২৫ সাল থেকে নতুন অর্থায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ। মূলত জলবায়ু সংকট নিরসনে সব বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেই সাজানো হয়েছে দুবাই জলবায়ু প্যাকেজ।
এরমধ্যে বৈশ্বেক মূল্যায়নের পাঁচশালা পরিকল্পনাটি এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্যারিস চুক্তিতে পাঁচ বছর পর পর বৈশ্বিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। সেই মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এই মূল্যায়নেই বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে কী পরিমাণ কার্বন নির্গমন কমাতে হবে। এজন্য কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জালানি কতটা ফেজ আউট বা ফেজ ডাউন করতে হবে।
ক্ষয়ক্ষতির জন্য কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে, অভিযোজন বা প্রশমনের জন্য কী পরিমাণ অর্থ লাগবে সব বিষয়ই এই পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয়েছে। এই মূল্যায়ন ও মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অনুমোদন হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো। তাদের তেলের ব্যবসা কমে যাবে। এজন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর চার শতাধিক লবিস্ট যেমন দুবাইতে সক্রিয় রয়েছে, তেমনি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক জীবাশ্ম জালানি বন্ধের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
কপ২৮: দুবাইয়ে পিটার হাসের সঙ্গে সাবের হোসেনের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সোমবার প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
যোগাযোগ করা হলে মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র ইউএনবিকে জানান, ‘তারা জলবায়ু পরিবর্তন এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাণবন্ত ও বিস্তৃত সম্পর্ক বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে কেন্দ্র করে এই অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও গভীর করার উপায় নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৩ ইউনাইটেড ন্যাশনস ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স অথবা কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস অব দ্য ইউএনএফসিসিসি, যা সাধারণত কপ২৮ নামে পরিচিত। দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি হবে ২৮ তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় দুবাই প্যাকেজ ঘোষণা
আকর্ষণীয় দুবাই প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
২ রাত ৩ দিন প্যাকেজের ন্যূনতম খরচ জনপ্রতি ৭৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
অফারটি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হচ্ছে নবম এটিআর ৭২-৬০০
দুবাইয়ের ল্যান্ডমার্ক গ্র্যান্ড হোটেলে দুই রাত থাকার ব্যবস্থা আছে ভ্রমণ প্যাকেজে। অফারটি প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন পর্যটকের জন্য প্রযোজ্য হবে।
প্যাকেজে সব ধরনের ট্যাক্সসহ ঢাকা-দুবাই-ঢাকা ফিরতি এয়ার টিকিটসহ বুফে ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এয়ারপোর্ট-হোটেল-এয়ারপোর্ট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে।
শর্তসাপেক্ষে প্যাকেজটিতে অতিরিক্ত রাত ও বাচ্চাদের সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। প্যাকেজটি সংগ্রহ করতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত চার্জ ছা্ড়াই ৬ মাসের ইএমআই সুবিধা দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। যা জনপ্রতি মাসে মাত্র ১৩ হাজার ৩৩১ টাকা।
আকর্ষণীয় এ অফারটি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর যেকোনো নিজস্ব সেলস্ কাউন্টার ও হলিডে অফিস থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
দুবাই হলিডে প্যাকেজ অফারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইউএস-বাংলার সব সেলস কাউন্টারে অথবা ০১৭৭৭৭৭৭৮৮১-৮৮৩ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চায়ের দেশ সিলেটে ইউএস-বাংলার আকর্ষণীয় প্যাকেজ
আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে স্বর্ণ জব্দ, দুবাইফেরত যুবক আটক
ট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় এক কেজি স্বর্ণ, তিনটি মোবাইল ও দু’টি ল্যাপটপ জব্দের দাবি করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় দুবাইফেরত এক যুবককে আটক করা হয়।
রবিবার (৪ জুন) সকালে আবদুল করিম সজনকে (৩৪) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহায়তায় আটক করা হয়। তার বাড়ি ফেনীর পরশুরাম উপজেলায়। তার বাবার নাম আবদুল গফুর।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ২০ পিস স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকাল ৮টা ১০মিনিটের দিকে আবদুল করিম ফ্লাই দুবাইয়ের এফজেড-৫৬৩ ফ্লাইটযোগে দুবাই থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছে।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা লাগেজ তল্লাশি করে ৭৪৬ গ্রাম ওজনের ১২টি লম্বা দণ্ডাকৃতির স্বর্ণ, একটি ১১৬ দশমিক ৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার, ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, তিনটি মোবাইল ও দুইটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটক যাত্রী লম্বা দণ্ডাকৃতির স্বর্ণগুলো কৌশলে দরজার কব্জার ভেতরে লুকিয়ে নিয়ে আসছিল। মোবাইল ও ল্যাপটপসহ জব্দ মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩৩ টাকা।
আটক যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেটে বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণের জন্য বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাব
শার্শায় ১.৪ কোটি টাকা মূল্যের ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
অস্ত্র আইনের মামলায় আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরাভ খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এ কে এম সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৭ মে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ঠিক করেন আদালত। আরাভ খান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ২৮ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। পলাতক থাকায় আরাভ খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় ওই দিনই আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি।
এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি
আরাভের সন্ধান পেতে ডিবিকে সাহায্য করতে প্রস্তুত হিরো আলম
দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানকে গ্রেপ্তার করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন আশরাফুল আলম তথা হিরো আলম।।
এছাড়া তদন্তের স্বার্থে তাকে আবারও ডাকা হলে ডিবি কার্যালয়ে আসবেন বলেও জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাইক্রোবাস উপহার নিতে হিরো আলম যাচ্ছেন হবিগঞ্জ
এর আগে এদিন বিকাল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার অভিযোগ নিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের সঙ্গে দেখা করেন হিরো আলম।
বহুল আলোচিত পুলিশ হত্যা মামলার আসামি ও পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রয়োজনে তিনি ডিবিকে সাহায্য করবেন বা তথ্য দেবেন।
তিনি বলেন, আজও এ নিয়ে সামান্য কথা হয়েছে।
হিরো আলম আরও জানান, আরাভ খান যে পুলিশ হত্যা মামলার আসামি তা তার জানা ছিল না, এমনকি ডিবির পক্ষ থেকেও তাকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তাই আরাভ খানের আমন্ত্রণে তিনি দুবাই গিয়েছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ জমা দিতে এসেছিলেন।
আলম আরও বলেন, ‘আপনারা দেখছেন চলচ্চিত্র জগতের কিছু লোক আমাকে নিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলছে। এর আগে কেউ আমাকে তিরস্কার করলেও আমি প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু কিছু চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন, তাই তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এতে এমন ব্যক্তিদের নাম রয়েছে যারা আমার সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেছেন। এছাড়াও, যারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আমার বিষযয়ে রিপোর্ট করেছেন তাদের নামও রয়েছে।’
সম্প্রতি বগুড়া উপনির্বাচনে পরাজিত হিরো আলম ডিবি প্রধানের প্রশংসা করে বলেন, ‘হারুন স্যার খুব ভালো মানুষ। তিনি আমার অভিযোগ শুনেছেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিনি আমাকে সাহায্য করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের যুদ্ধ চলবেই
এবার জরিমানার ফাঁদে হিরো আলম!
আরাভ খান দুবাইয়ে নজরদারিতে রয়েছেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পুলিশ অফিসার হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশ মিশন কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (আরাভ খান) সেখানে নজরদারি করছেন।’
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দুবাইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘না, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি... আপনারা সময়মত জানতে পারবেন।’
দুবাইয়ের আরাভ জুয়েলার্সের মালিক পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধ ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন শনিবার (১৮ মার্চ) বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) গোয়েন্দা শাখার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনে অংশ নেয়া ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আরাভ খান এখনও গ্রেপ্তার হননি: শাহরিয়ার আলম
আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি অনুসন্ধানে ৪ সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ
দুবাইয়ে ৪৫৯ জন বাংলাদেশির সম্পত্তি কেনার অভিযোগের বিষয়ে দুদকসহ চারটি সংস্থাকে অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি করে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অন্য যাদেরকে অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে তারা হলেন-বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আদালত চারটি সংস্থাকে অনুসন্ধান করে এক মাসের মধ্যে অগ্রগতি জানাতে বলেছেন।
একই সঙ্গে দুবাইয়ে ৪৫৯ জনের সম্পত্তি কেনার অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন, বিএফআইইউ, এনবিআর ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের আবেদনে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: রিতা দেওয়ানের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
গত বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ আবেদন করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলে ফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি।
২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে সি৪এডিএসের ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে।
এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বাংলাদেশিরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করেছেন।
বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের গোপনে কেনা সম্পদের অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বৈশ্বিক অর্থনীতির করোনাকালীন বিপত্তির মধ্যেও দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতের বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিল শীর্ষে।
স্থানীয় ভূমি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় দুবাইয়ে বাংলাদেশি ধনীরাই সবচেয়ে বেশি সম্পদ কিনেছেন। এদিক থেকে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোর বাসিন্দাদের পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশিরা।
দেশের বিত্তবানদের কাছে দীর্ঘদিন দুবাইয়ের আকর্ষণ ছিল নিছক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ আকর্ষণ রূপ নিয়েছে প্রকাশ্য ও গোপন লগ্নির কেন্দ্র হিসেবে। আকর্ষণীয় মুনাফার খোঁজে রিয়েল এস্টেট ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায় নাম লেখাচ্ছেন তারা। দেশের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই এখন দুবাইকে বেছে নিয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে।
২০২০ সালে করোনার মধ্যেই দেশের নির্মাণ খাতের ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যবসায়ী দুবাই চলে যান। এর পর থেকে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন। দেশের ব্যবসা থেকে উপার্জিত মুনাফা প্রতিনিয়ত দুবাইয়ে স্থানান্তর করছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি দুবাইয়ের আবাসন ও নির্মাণ খাতে বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ থেকে পুঁজির প্রবাহ বাড়াতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। এজন্য বিদেশি ধনীদের স্থানান্তরিত হতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধাও দেয়া হচ্ছে।
এর সঙ্গে বাংলাদেশও অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যকর ও শক্তিশালী কোনো ব্যবস্থা গড়তে না পারায় এখান থেকে দুবাইয়ে অর্থ পাচার বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ভুজপুরে আ.লীগের ৩ নেতাকর্মী হত্যামামলা স্থগিতের আবেদন খারিজ: হাইকোর্ট
বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের দাবিতে রিট
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিট আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য আগামী রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।
এর আগে, আজ সকালে দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার কোটি টাকার সম্পদ থাকার বিষয়ে অনুসন্ধান করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস জনস্বার্থে এ আবেদন দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন, বিএফআইইউ, এনবিআর ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’-শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ আবেদন করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলে ফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত।
আরও পড়ুন: ডেসটিনির মোহাম্মদ হোসেনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে সি৪এডিএসের ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে। এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বাংলাদেশিরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করেছেন।
বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের গোপনে কেনা সম্পদের অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বৈশ্বিক অর্থনীতির করোনাকালীন বিপত্তির মধ্যেও দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতের বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিল শীর্ষে।
স্থানীয় ভূমি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় দুবাইয়ে বাংলাদেশি ধনীরাই সবচেয়ে বেশি সম্পদ কিনেছেন। এদিক থেকে নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, চীন ও জার্মানির মতো দেশগুলোর বাসিন্দাদের পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশিরা। দেশের বিত্তবানদের কাছে দীর্ঘদিন দুবাইয়ের আকর্ষণ ছিল নিছক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ আকর্ষণ রূপ নিয়েছে প্রকাশ্য ও গোপন লগ্নির কেন্দ্র হিসেবে। আকর্ষণীয় মুনাফার খোঁজে রিয়েল এস্টেট ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায় নাম লেখাচ্ছেন তারা। দেশের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই এখন দুবাইকে বেছে নিয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে।
২০২০ সালে করোনার মধ্যেই দেশের নির্মাণ খাতের ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যবসায়ী দুবাই চলে যান। এর পর থেকে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন। দেশের ব্যবসা থেকে উপার্জিত মুনাফা প্রতিনিয়ত দুবাইয়ে স্থানান্তর করছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি দুবাইয়ের আবাসন ও নির্মাণ খাতে বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন যেকোনোভাবে হোক বিদেশ থেকে পুঁজির প্রবাহ বাড়াতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। এজন্য বিদেশি ধনীদের স্থানান্তরিত হতে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশও অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যকর ও শক্তিশালী কোনো ব্যবস্থা গড়তে না পারায় এখান থেকে দুবাইয়ে অর্থ পাচার বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে হাইকোর্টের অপারগতা প্রকাশ
ভুজপুরে আ.লীগের ৩ নেতাকর্মী হত্যামামলা স্থগিতের আবেদন খারিজ: হাইকোর্ট