সিটি করপোরেশন
গাজীপুরে দেয়াল ধসে শিশু নিহত, আহত ৪
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার জরুন এলাকায় নির্মাণাধীন পাঁচ তলা ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাত পৌনে একটায় বৃষ্টির সময় কোনাবাড়ী থানাধীন জরুন হাজির ইটখোলা সংলগ্ন এলাকায় বাদল খানের বাসার সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পাওয়ার ট্রিলারের ধাক্কায় শিশু নিহত
খবর পেয়ে পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট উদ্ধার কাজ করে।
নিহত শিশুর নাম মুশফিক (৪)।
আহতরা হলেন-রুবেল (৩৫) মোছা. মুক্তা (১৫), মো. জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও শহীদুল ইসলাম (২২)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কোনাবাড়ী থানার জরুন এলাকায় রিপন গার্মেন্টসের মালিক মো. ফারুক আহমেদের নির্মাণাধীন ভবনের তিন তলার দেয়াল ধসে পাশের একটি বাড়ির ওপর পড়ে। এতে মুশফিক ও তার মা মোছা. মুক্তাসহ ওই বাসার পাঁচজন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুশফিক মারা যায়। এছাড়া দেয়াল ধসে পড়ে ওই বাসা বাড়ির ১৮টি কক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনটি কক্ষ ছাড়া অন্য কক্ষগুলোতে লোকজন ছিল না।
কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত ইমতিয়াজ জানান, দেয়াল ধসে এক শিশু নিহত হয়েছে। চারজন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ইজিবাইকের চাপায় শিশু নিহত
লক্ষ্মীপুরে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞ নিয়োগে ১০ সিটি করপোরেশন মেয়রের সুপারিশ
প্রথমবারের মত দেশের ১০ সিটি করপোরেশনের মেয়র নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামোগত বিভিন্ন দিক, এর চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় করোনাকালীন এবং করোনাপরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে অন্তত একজন এপিডেমিওলজিস্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
বুধবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (ইউএস সিডিসি) এর যৌথ উদ্যোগে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-এর অধীনে অনুষ্ঠিত ‘মেয়র সংলাপ: নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, মহামারি-অতিমারিতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশেষ করে মহামারি বিশেষজ্ঞের (এপিডেমিওলজিস্ট) গুরুত্ব পুরো বিশ্ব টের পেয়েছে। যার ফলে এক্ষেত্রে আরও বেশি কাজ করার আছে।
পিটার ডি হাস বলেন, ‘কোভিড- ১৯ মহামারি আমাদের দেখিয়েছে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। একটি পরামর্শ বারবারই এসেছে- জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের স্থায়ীভাবে সিটি করপোরেশন কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন যে কিভাবে জনস্বাস্থ্য ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের ওপর বিনিয়োগ সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে খরচ এবং প্রভাবকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করতে পারে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতে আরও ব্যাপক পরিসরে কাজ করার আছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার করা হবে: মেয়র তাপস
তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের জন্য সিটি করপোরেশনকে আইন দ্বারা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমি যতটুকু জানি সিটি করপোরেশনগুলোতে এপিডেমিওলজিস্ট অন্তর্ভুক্ত করণের জন্য অরগানোগ্রামে একটি প্রস্তাব আমাদের দেয়া হয়েছে, আমাদের কিছু সম্মিলিত অনুমোদন লাগবে। আরবান ও রুরাল হেলথ কেয়ারগুলোকে টেক কেয়ার করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। মেগা হেলথকেয়ার সেন্টার যেমন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল- এসব জায়গায় যদি স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের কিছুটা ভার বহন করা যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরক্ষে তখন অনেক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে।’
এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ইউ এস সিডিসি এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সুসান (নিলি) কায়ডোস-ড্যানিয়েলস, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. শামীম জাহান, সেফটিনেট বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ডা. সৈয়দ হাসান আবদুল্লাহ, দেশের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ ও সেফটিনেট বাংলাদেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি’-টি জনস্বাস্থ্যগত কৌশলগত পরিকল্পনা, কার্যকারিতা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখে চলছে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি নগরে এক জন করে জনস্বাস্থ্য রোগতত্ত্ববিদ সংযুক্ত করা হয়েছে–যারা নগর নেতৃত্বকে যথাযথ গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা ও কর্মকাণ্ড গ্রহণে সাহায্য করে চলছে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে দুই মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
২০ ফিটের কম প্রশস্তের রাস্তার উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নেই: মেয়র আতিক
ডিএনসিসি ভবনে অগ্নিকাণ্ড
রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অফিস ভবনে বৃহস্পতিবার আগুন লেগেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল সোয়া ৭টার দিকে ভবনের সপ্তম তলায় লিফটের পাশে অবস্থিত ইলেকট্রিক কন্ট্রোল রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তের পর আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগ বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
পল্টনে ইলেকট্রনিক্স গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
মাতুয়াইলে প্যাকেজিং কারখানায় আগুন
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।রবিবার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হলরুমে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।মন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর আগেও দেশে ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের শক্ত অবস্থান, সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরের তদারকি, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের পরিশ্রমের কারণে ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, বিগত দুই তিন বছরে কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকজন মারাও গেছে। কিন্তু সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালো ছিল এবং এখনও পর্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে।মো. তাজুল ইসলাম জানান, এ বছর ঢাকায় এখন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর যে অবর্ণনীয় কষ্ট হতো সেটি কিন্তু এখন আর নেই। কারণ ঢাকা ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে খালগুলো হস্তান্তর করায় দুই মেয়র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। অবৈধ ভাবে দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করে সংস্কার, খনন/পুনঃখনন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন যার কারণেই আজকের এই সুফল।প্রধান অতিথি বলেন, ঢাকা শহরসহ সারা দেশে বর্তমানে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ময়লা আবর্জনা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসে। এটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। সরকার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং খুব শিগগিরই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ভলান্টিয়ারের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিলে তারা জানান যে, বাংলাদেশে কোনো স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা নেই। সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের অনুরোধ জানালে তিনি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর সম্মতি নিয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। নীতিমালা প্রণয়নে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে অনেকগুলো সভা এবং তৃণমূল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং মন্ত্রিপরিষদে এই নীতিমালা প্রণয়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে ডিএসসিসির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বেচ্ছাসেবার এই মহৎ কাজকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়া ও স্বেচ্ছাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদেরকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে অন্যদেরকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবা চর্চার বিষয়টিকে আর গতিশীল করবে। যা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি কৌশল হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রী।দেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বেচ্ছাসেবায় জনসাধারণের প্রবেশ ও স্বেচ্ছাসেবার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রাম বাংলা ও শহরের যে কোন জলবায়ু, মহামারি, সামাজিক বা অন্য যে কোন বিপর্যয় থেকে টেকসই উন্নয়ন সম্ভবপর হবে। এই পদক্ষেপ নগর ও গ্রামের মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারি, সামাজিক ও অন্যান্য যেকোন সংকট মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই শতবর্ষের দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে দেশকে মুক্তি দিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী ট্যানেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ দেশের অর্থনৈতিক চালচিত্র পাল্টে দিবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে যাতে কোনভাবেই কেউ উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে।ইউএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর আকতার উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা: মো. এনামুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং ইউএন রেসিডেনসিয়াল কো-অর্ডিনেটর এমএস জ্বিন লুইস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া, একশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর এবং ইউএনভি এর এশিয়া এন্ড দ্যা প্যাসিফিকের রিজিওনাল ম্যানেজার মি. ডিমিত্রি ফ্রাসচিন বক্তব্য দেন।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস ভলান্টিয়ার (ইউএনভি) ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১ রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি
বন্যা: সিলেট নগরীর সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট নগরীর ছোট বড় একশ’র ওপর সড়কে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর পুরো জেলার ক্ষতির পরিমাণের প্রায় দশগুণ বেশি।
সওজ, এলজিইডি, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে- পাহাড়ি ঢলে এবার সবচেয়ে বড় ধকল গেছে সড়কের ওপর দিয়ে। আর সড়ক ডুবে যাওয়ার পরও যানবাহন চলাচল অব্যাহত ছিল। এতে করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়েছে।সিলেট নগরের ভেতরে রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি সড়ক। এর মধ্যে একটি আম্বরখানা থেকে শুরু হওয়া সুনামগঞ্জ রোড ও অপরটি কুমারপাড়া হয়ে সুবহানীঘাট সড়ক। দুটি সড়কের ওপরেই ছিল পানি। যানবাহনও চলেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়ক। এরই মধ্যে সড়ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিটি মেয়র ও প্রধান প্রকৌশলী। দুটি সড়কে আপাতত ইট-সুরকি ফেলে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বর্ষার মৌসুমের পর স্থায়ীভাবে সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় সড়ক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি নেমে যাওয়ার পর ধ্বংসচিত্র ভেসে উঠেছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, টাকার অঙ্কে সিলেট নগরের সড়কে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।নগরের উপ-শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে একশ’র ওপরে রাস্তা। এছাড়া সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার সব সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিআইপি সড়ক তালতলা থেকে শেখঘাট পয়েন্ট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর মধ্যে কিছু কিছু স্থানে মেরামত করা হচ্ছে। তবে সব এখনও করা সম্ভব হয়নি। সওজ’র যে সড়কগুলো রয়েছে সেগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম জানিয়েছেন, তার ওয়ার্ডে ১০৮টি সড়ক রয়েছে। সবক’টি সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত। দুই দফা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপ-শহরের সড়ক। মানুষের কষ্ট লাঘবে দ্রুততম সময়ে ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামতের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে আরেকটি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
ববিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম জানান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সমর্থক অমিত হাসান রক্তিম ও মাইদুর রহমান এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সমর্থক মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত ও সৈয়দ রুম্মানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা হয়। দুই গ্রুপের সদস্যরা একে অপরের ওপর হামলা চালালে এতে মাইদুর, মহিউদ্দিন ও রুম্মানসহ সাতজন আহত হয়।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘হলের সিট দখল’ নিয়ে ঢাবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ
ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেত্রীর মামলা
ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ড: নাগরিক সেবায় নেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার বাসিন্দা এখনও তাদের প্রাপ্য নাগরিক সেবা পায়নি। ওয়ার্ডের নাগরিক সেবায় সিটি কর্পোরেশনের নেই কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
তবে সেবা না পেলেও সিটি কর্পোরেশন থেকে চিঠির মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এতে নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।
অনেক বাসিন্দা জানান, তারা শুধু নামেই সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। গত পাঁচ বছরে কোনো সেবা পাননি তারা।
সম্প্রতি ডিএনসিসির আওতাধীন কয়েকটি ওয়ার্ড সরেজমিনে দেখা যায়, বেশির ভাগ ওয়ার্ডের সড়ক উন্নয়নে হাত পড়েনি, নেই ফুটপাত ও সড়ক বাতি। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট কাঁচা, নেই সড়কবাতি ও ফুটপাত খালগুলো ময়লার ভাগাড়, দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে অথচ বাড়ির মালিকদের হোল্ডিংস ট্যাক্স দিতে চিঠি দেয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশন থেকে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: প্রায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা
৪০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াহিদ বলেন, আমরা পাঁচ বছর আগে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু সিটি করপোরেশন আমাদের ওয়ার্ডে কোনো উন্নয়ন কাজ করেনি। এখন ডিএনসিসি বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে যা স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সেবা না পেয়ে আমরা হোল্ডিং ট্যাক্স কেন দিব? এটা অন্যায়।
৪২ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ কিরন বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সব রাস্তাই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে আমাদের রাস্তা মেরামত করতে হবে।
ডিএনসিসির দাবিকৃত হোল্ডিং ট্যাক্সেরও প্রতিবাদ জানান তিনি।
২০১৬ সালের ২৮ জুন নাগরিক সেবা বাড়াতে হরিরামপুর, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, বাড্ডা, সাতারকুল ও ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে ১১৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়েন নতুন ১৮টি ওয়ার্ড হিসাবে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যুক্ত করা হয়। এসব অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডগুলো নিয়ে ৫টি অঞ্চল তৈরি করা হয়। কিন্তু সিটিতে অন্তর্ভুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পায়নি এসব এলাকার নাগরিকগরা।
ডিএনসিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজের জন্য ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন করে। চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। তবে তহবিলের অভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উন্নয়ন কাজ শুরু করেনি। দ্বিতীয় দফায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই নতুন ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির সম্প্রসারিত ওয়ার্ডের ১৩ খাল পুনরুদ্ধার করা হবে: মেয়র
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সিটি করপোরেশনের অধীনে ১৮টি নতুন ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ঠিকাদারি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার মধ্যে পেয়েছি মাত্র ৮৯ কোটি টাকা। বাকি টাকা দ্রুত পাবো বলে আশা করছি। এখন কম টাকা দিয়েই সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
এ বিষয়ে নগর বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ ইউএনবিকে বলেন, একটি আদর্শ ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে প্রশস্ত রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সুয়ারেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাকেন্দ্র, শরীর চর্চা কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, কমিউনিটি সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাদুঘর নাট্যমঞ্চ, খেলার মাঠ, পার্ক, পশু জবাই খানা, গনচৌচাগার, বাস টার্মিনাল থাকা অবশ্যক। অথচ নতুন ওয়ার্ডগুলোতে একেবারেই এসব সুবিধা নেই।
তিনি বলেন, নতুন ওয়ার্ড এর জন্য পর্যাপ্ত সরকারি জায়গা থাকলেও তা বেদখল হয়ে গেছে, বেশিরভাগ স্থানে বহুতল ভবন উঠে গেছে আবার অনেক সরকারি জায়গায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে সব কিছু অধিগ্রহণ করে প্রকল্পের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অতিরিক্ত সচিব সেলিম রেজা ইউএনবিকে বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডকে উন্নয়ন করতে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা প্রকল্প আনুমদোন হয়েছে। তবে সব টাকা এখনো পাওয়া যায়নি। কিছু টাকা আমরা পেয়েছি এবং সাথে সিটি কর্পোরেশন থেকে আরও কিছু টাকা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজ আপাতত শুরু হয়েছে। ৪৪ ও ৪৬ ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেছি। কাজটি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্পের আরও টাকা পেলেই বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও কাজ শুরু হবে শিগগিরই।
২০১৬ সাল থেকে সিটি কর্পোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়ার বিষয়ে সেলিম রেজা বলেন, সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে জোড়-বিজোড় নম্বরের ভিত্তিতে গাড়ি চলবে: মেয়র আতিক
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের লেকে ডুবে ২ কিশোরের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের লেকের পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নগরীর জল্লারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমতিয়াজ আহমেদ (১৪) সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকার ইকবাল খানের ছেলে ও মিহাদ হোসেন (১৩) একই এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে। তারা দুজনই স্থানীয় দেওভোগ মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, জুমার নামাজের আগে দুই কিশোর লেকে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পরে মিহাদের লাশ পানিতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসী উদ্ধারের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
কুসিক নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সকল দলের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে এবং এটি থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশের নির্বাচনই উত্তেজনাপূর্ণ হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনাই আমরা চাই না।
আরও পড়ুন: নিম্নবিত্তের মানুষকে সাশ্রয় মূল্যে পানি দিন: ওয়াসাকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনকালীন কমিশনের অধীন কাজ করবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বাংলাদেশের নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে কাজ করতে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পরবর্তীতে যৌথভাবে নগর ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করা হবে।
দ্বিপক্ষীয় ও অভ্যন্তরীণ সমসাময়িক সমস্যা সমাধানে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে অঙ্গীকার করেন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সেই সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও নতুন উচ্চতায় নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঋণের দিক দিয়ে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভালো: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজার স্থিতিশীল রাখার আহ্বান
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে মোস্তফা আজাদ দেশীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং বৈশ্বিক বাজার সংকটকে পুঁজি না করার আহ্বান জানান।
এসময় তিনি সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিং করার জন্য বাজার কমিটিকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য মূল্যায়নের আহ্বান মন্ত্রিসভার
সভা শেষে মোস্তফা আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত মসলার কোনো সংকট নেই।
তিনি বলেন, পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য দায়ী কাউকে খুঁজে পেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া চিনি, লবণ, ময়দা ইত্যাদির ডিলার তালিকা এফবিসিসিআইতে পাঠানোর জন্য মিল মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর টাউনহল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান (বাবুল) জানান, যেসব দোকানে বেশি দামে পণ্য মজুদ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, সমিতি সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শুধু ভোজ্যতেল নয়, বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও