মিয়ানমার
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে কারাগার থেকে বুধবার ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরবেন।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমার নৌবাহিনীর চিন ডুইন জাহাজে করে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
বুধবারের মধ্যে জাহাজটি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পৌঁছাবে এবং ওই সময় বাংলাদেশি নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে প্রকৃত রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করুন: জাতিসংঘে মিয়ানমারকে বাংলাদেশ
১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের ১২৯ জন, বান্দরবানের ৩০ জন, রাঙামাটির ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।
মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশে সম্ভাব্য সফরের তথ্য পাওয়ার পর মিয়ানমারে কারাগারে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর হয় ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস। এরপরই তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে।
দূতাবাস মিয়ানমারে বিভিন্ন কারাগারে থাকার পর মেয়াদ শেষ হওয়া বা ক্ষমাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ১৪৪ জনকে নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।
এছাড়াও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক যারা এখনো কারাদণ্ড পাচ্ছে বা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মিশনের প্রচেষ্টায় এই ২৯ জনকেও ক্ষমা করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসে ২৯ বাংলাদেশি। সর্বশেষ বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট বাকিদের ফিরিয়ে আনতে ‘অবিচলভাবে’ কাজ করছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও সিতওয়ের প্রতিনিধিরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে একীভূত করার প্রস্তাব ঢাকার প্রত্যাখ্যান
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে বসবাসে সব ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ইউএনএইচসিআর ও আইওএমসহ সব মানবিক সহায়তা সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন।
তিনি দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত ১৩ মার্চ জেনেভায় রোহিঙ্গাদের জন্য ২০২৪ জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাসুদ এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মোমেন সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে মৌলবাদ ও চরমপন্থার ঝুঁকি থেকে উদ্ভূত হুমকি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়িত্ব নিয়ে নীতি বাস্তবায়ন না করলে, শুধু বাংলাদেশ, ইউএনএইচসিআর, আইওএম ও ডব্লিউএফপির পক্ষে রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য কার্যক্রম চালানো এবং সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। ক্রমবর্ধমান তহবিল সংকট কাটিয়ে ঊঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের প্রতিশ্রুত অনুদান আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা ও সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর এর গুরুতর প্রভাব থাকা সত্ত্বেও দেশটি গত ছয় বছর ধরে ১.১ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সর্ববৃহৎ দাতা দেশ এবং ২০২২ সালেই ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের চাপ কমাতে বিকল্প পথ অনুসন্ধানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রতি বছর ৩০ হাজার নবজাতক জন্ম নিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একীভূত করার সম্ভাবনা নাকচ করে, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে ইউএনএইচসিআর এবং আইওএমসহ সমস্ত মানবিক প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেন মাসুদ।
এই বছর জেআরপিতে ১৯৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১.৩৫ মিলিয়ন রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ৮৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল চাওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে জেআরপি-২০১৪ এর প্রথম কৌশলগত উদ্দেশ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনই হবে এই সংকটের টেকসই সমাধান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারীদের জন্য জাতিসংঘ ও সহযোগী সংস্থাগুলোর ৮৫২.৪ মিলিয়ন ডলার আহ্বান
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এছাড়াও, তিনি রোহিঙ্গা ও নিজ দেশের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কল্যাণ নিশ্চিতে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ ক্রেডিট তহবিল থেকে অনুদান ও ঋণ গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
হাই কমিশনার আরও বলেন, সরকারের এই উদ্যোগ জেআরপির সম্পূরক তহবিল স্ফীত করবে।
মানবিক সহায়তা তহবিলের ক্রমবর্ধমান তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ জানান আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগণের মধ্যে অনেক ইতিবাচক সম্ভাবনা রয়েছে। মিয়ানমারে নিজ ভূমিতে তাদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে এই জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়াও কক্সবাজারের বাস্তুসংস্থান ও জীব-বৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে উপস্থিত প্রতিনিধিগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল কক্সবাজারেই ছয় হাজার হেক্টর সংরক্ষিত বনভূমির অস্তিত্ব এখন বিলুপ্তির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করতে বলেন।
ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ সদস্য
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৯ সদস্য সোমবার আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবককে ‘কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা’ করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী
২২ দিন পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের কাজ এখন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এটি এখন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’
সোমবার সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অধ্যাপক পায়াম আখাভান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আখাভান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের নিযুক্ত আইনজীবী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তারা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে।’
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যায় তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোনো ধরনের বিদ্রোহের জন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতে কাউকে তা করতে দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা যুবকদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার জন্য সরকার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে এবং এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে অস্ত্র, নারী ও মাদক পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
ড. পায়াম আখাভান প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ এখন জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো নির্ভরশীল না হয়ে, বাংলাদেশ কপ-১৫ এর পর জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর সুরক্ষায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলাসহ বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
'জলবায়ু ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতে' রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামতের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) বাংলাদেশের আইনি উপস্থাপনের প্রস্তুতিতে সহায়তা করায় অধ্যাপক পায়াম আখাভানকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সংকট অবসানের পথ খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘাতের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট দিয়ে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪ টার দিকে মিয়ানমারের একটি ছোট মাছ ধরার ডিঙি নৌকা দিয়ে নাফ নদী পাড় হয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে এসে অবস্থান করে।
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওর্য়াডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুস সালাম জানান, নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বিকালে একটি ডিঙি নৌকায় মিয়ানমার থেকে ৫ রোহিঙ্গা এসে আমাদের জেটিঘাটে পৌঁছায়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) খবর দিলে ঘটনাস্থলে তারা পৌঁছান।
তবে, এ বিষয়ে টেকনাফ বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে ৪ রোহিঙ্গা আটক
অস্ত্র নিয়ে অনুপ্রবেশকারী ২৩ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা, নেওয়া হয়েছে আদালতে
আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে জাহাজে তোলা সম্পন্ন শেষে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয় তাদের জাহাজ।
এর মধ্যে ৩০২ জন বিজিপির সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুইজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করুন: ফরটিফাই রাইটস
এদিকে, বৃহস্পতিবার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে তাদের জাহাজে তোলা শুরু করে। জেটি ঘাট থেকে প্রথমে বাংলাদেশের জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে তোলা হয়। সেই জাহাজে করে গভীর সমুদ্রে অবস্থানকারী মিয়ানমারের জাহাজে তোলা হয়। তার আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তায় বান্দরবান ঘুমধুম সীমান্ত ও কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা সীমান্তে আশ্রয়ে থাকা ৩৩০ জনকে ৬টি বাসে করে ইনানীস্থ নৌ বাহিনীর জেটিঘাটে আনা হয়।
হস্তান্তর শেষে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। বাংলাদেশ মানবিক সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। অতিসম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এই সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তেও এসে পড়ে।
সীমান্তে বিজিবির টহল ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা বাহিনীকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
তিনি আরও বলেন, সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে বিজিবি সীমান্তের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি যাই হোক, সীমান্ত দিয়ে আর একজন মিয়ানমারের নাগরিককেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে।
বাংলাদেশের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মায়ো থুরা নাউংয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজিপি প্রতিনিধিদল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের ৩৩০ সদস্যের হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে
বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো হবে: বিজিবি
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও অন্যান্য ৩৩৩ সদস্যদের বৃহস্পতিবার একটি জাহাজে করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলার ইনানীর নৌ জেটিঘাট দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের সকাল ৮টায় দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, শিগগিরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে যা বললেন বিজিবি মহাপরিচালক
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩২৭ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে: বিজিবি
মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করুন: ফরটিফাই রাইটস
ফরটিফাই রাইটস মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের উচিৎ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সদস্য দেশগুলোর উচিৎ রোম সংবিধির ১৪ অনুচ্ছেদের অধীনে দেশের পরিস্থিতি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পাঠানো।
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী হামলার সময় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে হামলা, হত্যা, বেসামরিক বাড়িঘর ধ্বংস এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা নথিভুক্ত করেছে মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস। এসব হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।
ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি বলেন, ‘যুদ্ধের আইন জান্তা বাহিনী ও সংঘাতের সমস্ত পক্ষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং যখনই সম্ভব বেসামরিক নাগরিকদের আসন্ন আক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নৃশংস অপরাধের জন্য মিয়ানমার থেকে আসা বিজিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গেছে, সামরিক হামলার কার্যকর সতর্কবার্তা বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারত। জান্তার নৃশংস অপরাধ নিত্যদিনের ঘটনা। আইসিসির সদস্য দেশগুলোর উচিৎ জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি আদালতের কাছে পাঠানো এবং জান্তাকে বার্তা দেওয়া যে এসব হামলা অগ্রহণযোগ্য।’
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে টানা চার দিন ধরে উত্তর রাখাইন রাজ্যের বুথিডং টাউনশিপের হপন নিয়ো লেইক গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।
২৪ জানুয়ারি আরাকান আর্মি হপন নিয়ো লেইকে পরিখা খনন করার পর এই হামলা শুরু হয়।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার চার দিনের গোলাবর্ষণের ফলে ৪৪ জন বেসামরিক লোক হতাহত হন।এর মধ্যে কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত ও ৩২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ৮ শিশু ছিল এবং সবাই রোহিঙ্গা।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা গেছে, হামলায় হপন নিয়ো লেইক ও আশপাশের এলাকা থেকে শিশুসহ ১৫ হাজার বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
একজন কমিউনিটি ভিত্তিক কর্মী এবং হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দা গ্রামে ধ্বংস হওয়া ৪১টি বেসামরিক বাড়ি চিহ্নিত করেছেন। ওই এলাকায় আনুমানিক ১ হাজার বাড়ি রয়েছে।
বেসামরিক ভুক্তভোগী এবং আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের পাশাপাশি ধ্বংসপ্রাপ্ত সম্পত্তির মালিকদের নাম এবং শনাক্তকরণের তথ্য ফরটিফাই রাইটসের ফাইলে রয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরটিফাই রাইটস বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারের জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন (এলআইডি) ২২, লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৫৫১ ও মিলিটারি অপারেশনস কমান্ড (এমওসি) -১৫ সম্ভবত এই হামলার জন্য দায়ী এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য তাদের তদন্ত করা উচিৎ।
২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ফরটিফাই রাইটস হপন নিয়ো লেইক গ্রামের চার বাসিন্দাসহ হামলায় বেঁচে যাওয়া ছয় রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়।
ফরটিফাই রাইটস মোবাইল ফোনের ভিডিও এবং কয়েক ডজন ছবি পর্যালোচনা করে দেখেছে যাতে আহত বেসামরিক নারী, পুরুষ ও শিশুদের পাশাপাশি জ্বলন্ত ভবন এবং বাড়িঘর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে।
হপন নিয়ো লেইকের বাসিন্দারা ফরটিফাই রাইটসকে বলেছেন, আরাকান আর্মি ২৪ জানুয়ারি গ্রামে পরিখা খনন করেছিল।
হপন নিয়ো লেইক গ্রামের ২২ বছর বয়সী এক কৃষক ফরটিফাই রাইটসকে বলেন, ‘আমার গ্রামে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ জনের বেশি লাশ দেখেছি। এত ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছিল যে আমি ও অন্যরা বাকি মৃত বা আহত গ্রামবাসীদের সন্ধান করার সাহস পাইনি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক টেকনাফে
মিয়ানমার থেকে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শনিবার সকাল থেকেই গুলির মাত্রা বাড়তে থাকে।’
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যাচ্ছেন এবং মাছ চাষিরা ঘেরে যেতে পারছেন না।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে একটি মর্টার শেল এসে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে সীমান্ত শান্ত থাকলেও শনিবার থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুমুল লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ২০১৭ সালের চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অঙ্গীকারবদ্ধ মিয়ানমার: দেশটির মন্ত্রী
সীমান্তে সংঘাতের আশঙ্কায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের তিন শতাধিক সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপায়তলী গ্রামের আকেটি বাড়ির রান্নাঘরে মিয়ানমারের দিক থেকে আসা মর্টার শেল আঘাত করে। এতে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বছরের ২য় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ
মিয়ানমার থেকে আসা মর্টারশেল নিস্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ ভূখন্ডে আসা একটি মর্টারশেল নিস্ক্রিয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের নয়াপড়া সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ায় অবিস্ফোরিত মর্টারশেলটি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
বিজিবির সদর দপ্তর জানায়, নয়াপাড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে আসা অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করে। এসময় বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে তৎপর সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের সময় বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় এই প্রাণঘাতী শেলটি ফেলে রেখে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজিবি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন
সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা