চসিক
চট্টগ্রামে এবার একুশে বই মেলা হবে সিআরবিতে
চট্টগ্রামে এবার একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে নগরীর সিআরবিস্থ শিরিষতলায়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেনের (চসিক) উদ্যোগে আগামী ৯ ফ্রেরুয়ারি থেকে অমর একুশে বই মেলা শুরু হচ্ছে।
২৩ দিনব্যাপী এ বই মেলা শেষ হবে ২ মার্চ।
আরও পড়ুন: বায়তুল মুকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, প্রতি বছর নগরীর কাজীর দেউড়ি এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার স্থান সংকুলানের কারণে সিআরবির শিরিষতলা বই মেলার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে স্টেডিয়াম সংলগ্ন শিশুপার্কের খালি মাঠেও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
মেয়র রেজাউল আরও বলেন, চট্টগ্রামের অমর একুশে বই মেলা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। এই মেলার জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান নির্বাচন করা জরুরি। আমি মনে করি সিআরবি শিরিষতলাতে স্থায়ীভাবে থাকবে। আমরা যদি বইমেলা এবার শিরিষতলায় করতে পারি তাহলে স্থায়ীভাবে প্রতি বছর বই মেলা ওখানে করার একটা সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় বইমেলা শুরু
তিনি বলেন, বই মেলা সফল করতে উপকমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি ঠিকভাবে কাজ করলেই বই মেলা সফল হবে বলে আমি মনে করি। বই মেলা সফল করতে প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস। কেউ ইগোতে ভুগলে বই মেলা সফল করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, উৎসবমুখর বাঙালির প্রাণের উৎসব এই বই মেলা হয়ে উঠে বাঙালির মিলন মেলায়।
আরও পড়ুন: বইমেলা গেট প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন করলেন কোয়ান্টামের ১৫০ স্বেচ্ছাসেবী
চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের অনিয়ম খুঁজতে এই অভিযানে নেমেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর টাইগারে চসিকের প্রধান কার্যালয়ে যায় দুদকের একটি টিম।
এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ের-১ সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযান চালায় দুদকের এ দল।
সূত্র জানায়, প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছেন দুদক কর্মকর্তারা। তারা ঝুলন কুমার দাশের ৪১৬ নম্বর রুমে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করেছেন। পরে ঝুলন দাশকে নিয়ে দুদকের টিম নির্বাহী প্রকৌশলী তাসমিয়া তাহসিনের রুমে (৩০৩ নম্বর কক্ষ) যান।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বলেন, ‘২০১৯ সালে জাইকার অর্থায়নে ৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে টেন্ডারে অনিয়ম, নিজের পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেওয়াসহ দুনীর্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে এসেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন যাচাইবাছাই করতে হবে। আরও কিছু কাগজপত্র আমরা চেয়েছি। সেগুলো যাছাইবাছাই শেষে একটা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব। তারপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
চসিক’র কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, মশার ওষুধ কেনায় অনিয়ম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় ৮ জনের একটি টিম চসিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, নথি তল্লাশি করেন। এসময় মশা মারার ওষুধ কেনায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা ১টার দিকে অভিযান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। এসময় সংস্থাটির বিভিন্ন বিভাগের নথিপত্র তল্লাশি করেন তারা। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা বেশ কিছু নথি নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর কক্ষে দীর্ঘসময় সময় অবস্থান করেন এবং মেয়রের সঙ্গে এসব ইস্যুতে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দুদক কর্মকর্তারা নগরীর টাইগার পাসস্থ নগর ভবনেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: চসিকের সার্ভার হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ উত্তোলন, আটক ৪
এবিষয়ে চসিকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা নগর ভবনে এসেছেন। মেয়রের সঙ্গেও ঘণ্টাখানেক কথা বলেছেন তারা। পরে তারা কিছু ফাইল তল্লাশি করেন এবং নিজেদের জিম্মায় নেন।
তবে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের আকস্মিক এই অভিযান, তা জানেন না বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটা অভিযোগ ছিল, চসিকে মশার ওষুধ কেনায় দুর্নীতি হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে বারবার কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে। মেসার্স বেঙ্গল মার্ক ইন্টারন্যাশনাল নামের ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডিসেম্বর ২১ থেকে অক্টোবর ২২ পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৫ লাখ টাকার বেশি কেনাকাটা করতে হলে দরপত্র আহ্বান করতে হয়। কিন্তু একই ব্যক্তিকে কাজ পাইয়ে দিতে ৫ লাখ টাকার নিচে রাখতে ১৬ লটে ভাগ করে ওষুধ কেনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে আমরা অনিয়মের সত্যতা পেয়েছি। বাকিটা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্র ছাড়াই চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক অরভিন সাকিব ওরফে ইভান নামের এক নেতার কাছ থেকে কেনা হয় এসব মশার ওষুধ।
আরও পড়ুন: নির্মাণে ত্রুটির কারণেই ফ্লাইওভারে ফাটল: চসিক মেয়র
চসিকের প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হলেন তিন কাউন্সিলর
চসিকের সার্ভার হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ উত্তোলন, আটক ৪
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হ্যাক করে ১৫ দিনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৫৪৮ জনকে জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়েছে হ্যাকার দল। এ ঘটনায় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে চারজনকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
এসব সনদ যাদের দেয়া হয়েছে তাদের ঠিকানা দেখানো হয়েছে জামালপুর, শরীয়তপুর, উখিয়া ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এদের মধ্যে রোহিঙ্গারাও রয়েছে।
পুলিশ জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: চসিকের ২১৬১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি পাঁচটি ওয়ার্ডের ৫৪৬টি জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি ও ইস্যু করার তথ্য পাওয়া যায়। পরে কাউন্সিলর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানা যায়, পাঁচটি ওয়ার্ডের মোট ৫৪৬টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করেছে হ্যাকাররা। এরমধ্যে ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৪০৮টি, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের ৮৪টি, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের ৪০টি, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ১০টি এবং ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের চারটি।
এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে, অবহিত করা হয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়কে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইস্যুকৃত সনদগুলো বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চসিকের আইটি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হাসান বলেন, সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে। তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, চসিকের জন্ম নিবন্ধন আইডি প্রথম হ্যাক করা হয় ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন দেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের অফিসিয়াল সার্ভারের আপগ্রেডেশনের কাজ চলার সময় হ্যাক করে ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা, ছয় নম্বর চকবাজার এবং ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে ১৮টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে ১২টি ছিল রোহিঙ্গার নামে। এ ঘটনায় পতেঙ্গা ও চকবাজার থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেন সংশ্লিষ্ট জন্মনিবন্ধন সহকারীরা।
এদিকে ৮ জানুয়ারি আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে ইস্যু করা হয় চারটি জন্মনিবন্ধন সনদ। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ১৪ জানুয়ারি জিডি করেন জন্মনিবন্ধন ডাটা এন্ট্রি সহকারী সঞ্জীব আচার্য্য।
এছাড়া ১০ জানুয়ারি ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে ১০টি এবং ২১ জানুয়ারি ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের আইডি হ্যাক করে ৮৪টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়।
একের পর একে হ্যাকিংয়ের ঘটনায় চিন্তিত কাউন্সিলর ও জন্মনিবন্ধন সহকারীরা। তাদের ধারণা, সংঘবদ্ধ প্রশিক্ষিত কোনও চক্র এই হ্যাকিংয়ে জড়িত।
চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের অনেক জায়গায় ঘটছে। রেজিস্ট্রার জেনারেল এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যেসব সনদ ইস্যু হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চসিক মেয়রের বাড়িতে হাঁটু পানি
চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
চসিকের ২১৬১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে।
রবিবার (২৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র হিসেবে এবার দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা করলেন তিনি।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন অনুদান খাতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২১২ কোটি টাকার আয় দেখানো হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে দেখানো হয়েছে বকেয়া কর ও অভিকর খাতে ২১৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। হালকর ও অভিকর খাতে আয় দেখানো হয়েছে ২১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এছাড়া ফিস আদায় বাবদ ১২৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার, জরিমানা আদায় বাবদ ৬০ লাখ, সম্পদ হতে অর্জিত ভাড়া ও আয় বাবদ ১১১ কোটি ৮০ লাখ, ব্যাংক স্থিতি থেকে আয় বাবদ ৫ কোটি ও ভর্তুকিসহ নিজস্ব উৎস থেকে আয় বাবদ ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা, বকেয়া দেনা বাবদ ১৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তবে চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও পারিশ্রমিক প্রদান বাবদ ব্যয় হবে বছরে ২৯০ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এছাড়া মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ভাড়াকর ও অভিকর বাবদ ৭ কোটি ৩৫ লাখ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও পানি ব্যয় বাবদ ৫০ কোটি ৫০ লাখ, কল্যাণমূলক ব্যয় বাবদ ৪২ কোটি ৭০ লাখ, ডাক তার দূরালাপনী বাবদ ১ কোটি ২০ লাখ, আতিথেয়তা ও উৎসব বাবদ ৬ কোটি ৫ লাখ, বীমা বাবদ ৬৫ লাখ, ভ্রমণ ও যাতায়াত ব্যয় বাবদ ১ কোটি ৩০ লাখ, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা ব্যয় বাবদ ৬ কোটি টাকাসহ মুদ্রণ ও মনিহারী বাবদ ৬ কোটি ৮১ লাখ, ফিসবৃত্তি ও পেশাগত ব্যয় বাবদ ১ কোটি ২৩ লাখ, প্রশিক্ষণ বাবদ ১ কোটি, ভাণ্ডার ও বিবিধ খাতের ব্যয় মিলিয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। শুধুমাত্র বেতন, ভাতা, পারিশ্রমিকসহ চসিকের বার্ষিক পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় হবে ৫৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া বাকি ১ হাজার ৫৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা উন্নয়ন, বকেয়া দেনা, ত্রাণ ক্রয় ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।
বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র রেজাউল করিম চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তুলতে তার একগুচ্ছ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বর্তমান ও ভবিষ্যতের আলোকে চসিক নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা ও চট্টগ্রাম নগরকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ, নান্দনিক ও বাসযোগ্য নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই বাজেট বলে জানান তিনি। জনগণের প্রত্যাশিত সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করার জন্য নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পড়ুন: ৯২২.৪৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দিল ঢাবি সিন্ডিকেট
আয়কর, ট্রেড লাইসেন্স এ রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে চসিকের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মেয়র রেজাউল জানান, নগরের ব্যবসায়ীদের সঠিকভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা গেলে সেটার সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৪ লাখ। অথচ চসিকের রেজিস্টার অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা মাত্র ৮৫ হাজার।
মেয়র রেজাউল বলেন, অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে চসিকের অনুমোদিত বিভিন্ন পদ শূন্য হওয়ায় উক্ত পদগুলো পূরণের লক্ষ্য কার্যক্রম চলছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের ব্যাপারে কার্যক্রম চলছে। মানবিক দিক বিবেচনায় বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের দুই দফা বেতন বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কর আদায়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাজেট ঘোষণাকালে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
পড়ুন: সরকারের সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে: বিএনপি
বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
প্রধানমন্ত্রীর নামে সড়ক হবে চট্টগ্রামে
চট্টগ্রাম মহানগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের নাম ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক। রবিবার চসিকের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন এবং বিশেষ করে কোনরূপ ম্যাচিং ফান্ড ব্যতিরেকে ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার যে অনুমোদন দিয়েছেন তার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ সড়কটির এই নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়।
পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
চসিকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চসিকের সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা দেয়া আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত এম এ হান্নানের সমাধিতে তার বিভিন্ন কীর্তিগাঁথা নিয়ে ফলক স্থাপন করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রামের বরেণ্য ব্যক্তিদের ছবি, নাম ও কীর্তিগাঁথা সম্বলিত ফলকও স্থাপন করা হবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও বিভাগীয় প্রধানরা সভায় বক্তব্য দেন।
পড়ুন: নির্মাণে ত্রুটির কারণেই ফ্লাইওভারে ফাটল: চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম নগরীর ১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত: চবি
চট্টগ্রাম নগরীর ৯৯টি এলাকার ৫৭টি স্থানের নমুনা বিশ্লেষণ করে ১৫ স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল।
গত ৫ জুলাই থেকে এ জরিপ পরিচালনা করে চবির গবেষক দলটি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ না করলেও রবিবার রাতে গবেষক দলের আহবায়ক চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে, সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি চসিককে হস্তান্তর করা হবে। এটি হাতে পেলে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরালো হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ: ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৩৭ রোগী হাসপাতালে
গবেষক দল বলছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে ৫৭টি স্পট থেকে গত জুলাই মাসে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এতে পরীক্ষা করে ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
তারা বলেন, নগরীতে মশার উপদ্রব বাড়ায় সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ওষুধ নিশ্চিতকরণে সহযোগিতার উদ্দেশে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। গত ৫ জুলাই থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জরিপ চালিয়ে গবেষক দল মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। লার্ভাগুলো লালন-পালনের পর জন্ম নেওয়া মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে ১৫টি স্পটের নমুনায় শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
এদিকে এ বছর চট্টগ্রামে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস। এরই মধ্যে এ রোগে চট্টগ্রামে দুজন মারা গেছে।
আরও পড়ুন: দেশে একদিনে আরও ২৩১ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪, ৮৪৪
গবেষক দলের আহ্বায়ক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন এবং অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অনুরোধ করা হয়। এরপর তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন উপাচার্য।
তিনি জানান, অনেকগুলো লার্ভা লালন-পালন করে এখন মশা হয়ে গেছে। মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে কার্যকারিতা দেখা হচ্ছে। কোন ওষুধ মশা মারার জন্য কার্যকর তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে। এছাড়া, কোন ওষুধ কি পরিমাণে দিতে হবে, কীভাবে ওষুধ প্রয়োগ করলে মশা নিধন সহজ হবে তা উল্লেখ করা হবে প্রতিবেদনে।
এর আগে নগরীতে মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চসিক। এর অংশ হিসেবে গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারকে অনুরোধ করে চসিক।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। এরমধ্যে দু’জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৪ সদস্য আটক: অস্ত্র, গুলি উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘মশার ওপর আমাদের যে সার্ভে হয়েছে তাতেও এডিস মিলেছে। এটা আমরা সিটি করপোরেশনকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও ওষুধ ছিটানো জোরালো করতে বলেছি। এছাড়া নগরবাসীকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করতে বলেছি, আমরাও মাইকিং করছি। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট পাঠানো হয়েছে।’
চসিক সূত্রে জানাগেছে, প্রতিদিন চার থেকে ছয়টি ওয়ার্ডে বিশেষ টিম মশক নিধনে কাজ করবে। যে ওয়ার্ডে যেদিন অভিযান চালানো হবে সেই ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা স্থানে মশক নিধনের অভিযান চলবে।
যেখানে সেখানে চামড়া ফেললে ব্যবস্থা
কোরবানির ঈদের দিন চট্টগ্রাম নগরীর যত্রতত্র জবাই করা কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে দেয়া যাবে না। কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যদি অন্যান্য বারের মতো চমড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে যত্রতত্র ফেলে দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এই জন্য ঈদের দিন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর থাকবেন বলে জানা গেছে ।
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে জাতীয় সম্পদ কাঁচা চামড়ার সংরক্ষণ, ক্রয় ও বিক্রয়, পরিবহনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সার্বক্ষণিক তদারকির লক্ষ্যে চসিক টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত মনিটরিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন পর সরকার এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণ এড়াতে কোরবানির সময় যা যা মেনে চলবেনসভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন পর এবার চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকেও বলা হয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে চামড়া সংরক্ষণে প্রচার প্রচারণা চালাতে। শেষ মুহূর্তে যেহেতু সিদ্ধান্ত এসেছে এবার প্রাথমিকভাবে প্রচার প্রচারণা হিসেবে সিসিএলে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তৎপর থাকবেন যাতে কোন মৌসুমী ব্যবসায়ী যেখানে সেখানে চামড়া ফেলে যেতে না পারে।‘
আরও পড়ুনঃ কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ালো সরকারজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, ‘এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও চামড়া ছাড়ানোর প্রক্রিয়ার বিষয় নিয়ে ২০ হাজার লিফলেট ছাপিয়েছেন। যা মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও নগরবাসীর মাঝে বিলি করা হবে। কারণ চামড়া সংরক্ষণ করে মাদ্রাসা ও এমিতখানাগুলো। কাজেই যতাযথ প্রচারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন তৎপর থাকলে চামড়া শিল্প এবার লাভজনক হবে বলে আশা করি।‘
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম নগরে এইবার আট লাখ নয় হাজার পশু জবাই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চসিকের প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হলেন তিন কাউন্সিলর
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্যানেল মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ২৫ নং রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড নারী কাউন্সিলর আফরোজা জহুর।
চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে ডা. শাহাদাতের মামলা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফশিল ঘোষণার মাধ্যমে পুননির্বাচন দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ৯ জনকে বিবাদী করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।