ফরিদপুর
ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে ফরিদপুরের ৪ যুবক নিখোঁজ
লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ফরিদপুরের দুই যুবককে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনও চার যুবকের খোঁজ পায়নি পরিবার৷ তাদের পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন।
এসব যুবক আট থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করে দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ে।
গত রবিবার(১২ মার্চ) বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে লিবিয়া থেকে ৩০ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা নৌকাটি উল্টে যায়। এদের মধ্যে ১৭ জনকে সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়। যাদের সবাই অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের সিসিলির শহর পোজালোতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিলগোবিন্দপুর গ্রামের নান্নু সররদারের ছেলে হৃদয় সরদার (২৫) ও আহমেদ ফরাজীর ছেলে রাসেল ফরাজী (২০) নামে দুজন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে করবস্থান থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্লার ছেলে মাহফুজ মোল্লা (২২), এসকেন মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরামুল ব্যাপারী (২৭) নামে চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিখোঁজ আল আমীনের মা চামেলী বেগম বলেন, দুই মাস আগে তার ছেলে বিদেশ রওনা হয়। এরপর বিভিন্ন দেশ হয়ে গত বৃহস্পতিবার তাদের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি নেয়ার জন্য ট্রলারে ওঠানো হয়।
তিনি জানান, দালাল চক্রের এক সদস্য কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা মুরাদ ফকির (৩৬) গত সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সাগরে ট্রলারডুবির পর আল আমিনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান।
চামেলী বেগম আরও বলেন, ৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার ছেলের সঙ্গে সবশেষ কথা হয়। ওই দিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুরাদ চামেলী বেগমকে ইমোতে জানান, তাদের ইতালি যাওয়ার জন্য স্পিডবোটে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ জানুয়ারি ইতালির যাওয়ার জন্য ঢাকা যান তারা। এরপর ৮ জানুয়ারি দুবাই যান। দুবাইয়ে চার দিন থাকার পর মিশর হয়ে ১২ জানুয়ারি নাগাদ তারা লিবিয়া পৌঁছান। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের ট্রলারে উঠিয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দালাল চক্রের মুরাদ ফকিরের সঙ্গে ডাঙ্গী ইউনিয়নের মশাউজান গ্রামের ফরহাদ ফকির, বিলগোবিন্দপুর গ্রামের লিটন সরদার ও আবুল হোসেন এবং বাসাগাড়ি এলাকার কাদের মাতুব্বর নামে আরও চারজন রয়েছেন। মুরাদ ফকির লিবিয়া থাকেন। কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছিলেন। ১৫ দিন আগে আবার লিবিয়া চলে যান।
ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, মুরাদ একজন মানবপাচারকারী। তিনি এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ তরুণকে পাঠিয়েছেন। তিনি লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন। তার অবস্থা রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। গ্রামে বড় বিল্ডিং করেছেন। এলাকায় তিনি ‘বিদেশে পাঠাইনা মুরাদ’ নামে পরিচিত।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। লিবিয়া থেকে অবৈধ পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা ইতালি যাচ্ছিলেন। সোমবার ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়েছে।
ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এএনএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের ইতালির সিসিলির শহর পোজালোতে রাখা হয়েছে।
ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ৩০ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা নৌকাটি গত রবিবার বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে এবং উল্টে যায়।
আরও পড়ুন: অবশেষে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে উঠলো নিখোঁজ শিশুর লাশ
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোতে আগুনে নিহত ১৯, নিখোঁজ ৩
ফরিদপুরে আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিস থেকে ৬ ‘দালাল’ আটক
ফরিদপুরের আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিস থেকে ছয় জন দালালকে আটকের দাবি করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার (৫ মার্চ) বিকালে ফরিদপুর শহরের কুঠিবাড়ি কমলাপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন-আল-আমিন শেখ (২৮), মো. আবু রাসেল (৪২), মো. ইমরান শেখ (২২), মো. ফয়সাল ভূইয়া (২৬), মো. রাজিব মোল্যা (২৮) ও মো. রাব্বি মোল্যা (২৮)। তাদের সবার বাড়ি জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে অবৈধ ভিসা ব্যবসার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আটক
আটকদের সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে ফরিদপুরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ছয় দালালকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরে দুদকের গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয় সেখানে পাসপোর্ট অফিসে মানুষের হয়রানির বিষয়টি উপস্থাপিত হলে বিষয়টি জেলা পুলিশকে দেখার অনুরোধ জানায় দুদক কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া আটকদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের শেষে দুপুরে আদালতে পাঠানো করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীর পেট থেকে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
নাটোরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ জব্দ, আটক ৩
ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ১০ বছর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামকে (৩৮) হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: তহসিলদার হত্যার ২৫ বছর পর দুইজনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বকুল মোল্লা (৩২), সুজা মোল্লা (৩৩), নজরুল মোল্লা (৫৫) এবং দুই সহোদর ফিরোজ মোল্লা (৩৫) ও মঞ্জু মোল্লা (৩২)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষক কামরুল বাড়ি থেকে একটি বাইসাইকেলে করে বোয়ালমারী বাজারের দিকে যাচ্ছেলেন। তিনি চতুল চিতা ঘাটা এলাকায় মঞ্জু মোল্লার দোকানের সামনে পৌঁছালে পাঁচ আসামিসহ মোট ১২ জন স্থানীয় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে কাঠের লাঠি, বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় ওই শিক্ষকের কাছে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়।
আহত শিক্ষক কামরুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেয়ার পথে ওইদিন (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিপুণ মজুমদার এহাজারভুক্ত ১২ জন আসামিকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর এপিপি সানোয়ার হোসেন জানান, আদালত এ হত্যা মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বাকি সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালতকে বেআইনিভাবে বাধা দওয়ার দায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
ফরিদপুরের মধুখালীতে যাত্রীবাহী একটি বাস থেকে এক যুবককে নামিয়ে ২০টি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের কামারখালী সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইয়ের শিকার মো. রাসেল মিয়া (৩২) কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার চান্দিনা হাসিমপুর এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় রাতে মধুখালী থানায় মামলা করেন রাসেল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অর্ধকোটি টাকার হেরোইন জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
রাসেল বলেন, ঢাকার তাঁতীবাজারে নিলখী বুলিয়ন স্টোর ও ঢাকার উত্তরায় নিউ মা-মনি জুয়েলার্স নামে তার দু’টি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। তিনি গয়না বানানোর জন্য চুয়াডাঙ্গার বড় বাজার এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করেন।
পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি রইচ মিয়া (৪০) মধুখালীর পশ্চিম আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কামারখালী সেতুর টোল প্লাজায় কাজ করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে শুক্রবার বিকালে মধুখালী থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ননী গোপাল সরকার বলেন, এ ঘটনায় শনিবার সকালে পশ্চিম আড়পাড়া গ্রাম থেকে রইচকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তিনি আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাসেল ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার বড় বাজারে যাওয়ার জন্য বরিশালগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। এ সময় তার সঙ্গে স্বর্ণের বারগুলো ছিল। সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। সেখান থেকে খান পরিবহনের একটি বাসে করে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা দেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খান পরিবহনের বাসটি মধুখালী উপজেলার পশ্চিম আড়পাড়া এলাকার কামারখালী গড়াই সেতুর টোল প্লাজায় পৌঁছায়। টোল পরিশোধের জন্য বাসটি থামলে আট থেকে নয়জন একটি মোটরসাইকেল সামনে থামিয়ে বাসটি আটক করে। এরপর তারা বাসের ভেতরে উঠে ওই ব্যবসায়ীকে শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে নিচে নামান।
তিনি প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং ভয়ভীতি দেখান। পরে আসামিরা তাকে সড়কের পাশে থাকা একটি করাতকলের মালিকের বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ২০টি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে আসামিদের মধ্যে একজন স্বর্ণের বারগুলো নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে মাগুরার দিকে চলে যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রী সোনিয়া হত্যা: মামাতো ভাই গ্রেপ্তার
নগরকান্দায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল গুদামঘর
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি বাড়ির গুদামঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ম তআক্তার হোসেন অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ওই উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ২০২২ সালে ৯৮ জনের মৃত্যু: ফায়ার সার্ভিস
জানা যায়, রামনগর এলাকার রতন শেখ নামে এক ব্যক্তির রান্না ঘর থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা মুহূর্তের মধ্যেই পাশের গুদাম ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। দুই ঘণ্টা পর্যন্ত পুড়তে থাকে গুদাম ঘরটি। এসময় গুদাম ঘরে থাকা পাট, ধানসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম স্থানীয়দের সহায়তায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক, রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান কাইমউদ্দিন মন্ডল, নগরকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বশির উদ্দিন প্রমুখ। এসময় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দেন ইউএনও।
নগরকান্দা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ধারণা করছেন যে বাড়ির একটি রান্না ঘর থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৭ দোকান পুড়ে ছাই, আহত ১০
ঝাড়খন্ডে অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ নিহত ১৪, আহত ১২
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
ফরিদপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক নারী (৩৩) এ অভিযোগ এনে ভাঙ্গা উপজেলা সদরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. সজল মাহমুদ (৪০)। তিনি ভাঙ্গা থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মানিক মজুমদার বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
ফরিদপুর ব্লাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, এ মামলাটি ব্লাস্ট পরিচালনা করবে।
লিখিত অভিযোগে ওই নারী জানান, তিনি অবিবাহিত। তারা দুই বোন ও এক ভাই। মা ও বাবা মারা গেছেন। ২০০৬ সালে তারা দুই বোন জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। ওই সময় তার ছোট ভাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তিনি দেশে এসে স্থায়ীভাবে বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
গত ২০ অক্টোবর বাড়িতে চুরি হলে থানায় জানাই। গত ২৪ অক্টোবর এএসআই মো. সজল রাতে বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলার ছলে তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে খুন ও গুম করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
পরে তাকে বিয়ের কথা বলে ৩০ জানুয়ারি ভাঙ্গা বাজারে নিয়ে একটি মেডিকেল সেন্টারে রেখে পালিয়ে যান।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি তিনি এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে ওসিকে সব খুলে বলেন। ওসি মুঠোফোনের সজলকে ডেকে আনেন। তখন সজল তাকে পুলিশ কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে কিছু কাগজপত্র ও সাদা কাগজে সই করতে বলেন।
তিনি সই করার পর সজল বলে ‘তুমি আমাকে বিয়ে করেছো এবং এরপর তালাকও দিয়েছো।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীকে মারধর করে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারেন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বাড়ি এসে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভাঙ্গায় মামলা করতে গেলে থানা মামলাটি গ্রহণ না করে আদালতে করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্য ‘ক্লোজড’
অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই সজল মাহমুদ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে, তার কাছে কাবিননামাও আছে।
তিনি বলেন, তার আগের স্ত্রী আছে। বড় স্ত্রীর সম্মতিতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তাকে তিনি তালাক দেননি। ওই নারী এখন তার স্ত্রী।
বিস্ময় প্রকাশ করে সজল মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে ওই নারী আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে কেন মামলা দিলেন-তা তিনি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভুইয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনিক কারণে এএসআই সজলকে গত ১০ দিন আগে ফরিদপুর পুলিশ লাইনস এ বদলি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা তারা এখনও পাননি। তবে শুনেছেন এই জাতীয় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষাণার সময় আসামি মো. সুমন শেখ (৩৮) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ী সদরের বিনোদপুর নিউ কলোনীতে।
আরও পড়ুন: কটিয়াদীতে সাবেক ইউপি সদস্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ফদিরপুর শহরের চরকমলাপুর ভাড়া বাড়িতে ২০১৮ সালের ১৫ আগষ্ট রাতে তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন দণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী। পরে বিষয়টি গোপন করতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ওড়না মমতাজের গলায় বেধে ঘরের আড়ার সঙ্গে বেধে রাখে পালিয়ে যায় তিনি।
এই ঘটনায় গত ১৭ আগষ্ট নিহতের বোন আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফরিদপুর জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. নবাব আলী মৃধা জানান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক অশোক কুমার দত্ত আসামির উপস্থিতিতে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে নদীর গতিপথ বন্ধ করে বালু ভরাট, হুমকিতে হাট-বাজার
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ভুবনেশ্বর নদীর মূল গতিপথ বন্ধ করে বালু ভরাটের প্রতিবাদ ও তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও চর হাজীগঞ্জ হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চরহাজিগঞ্জ বাজারের পাশের বালু ভরাটের স্থানে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২
অপরিকল্পিত এ বালু ভরাটের ফলে পাশের চর হাজীগঞ্জ হাট-বাজার নদী ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এসময় বক্তব্য দেন- চরভদ্রাসন উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কাওসার ব্যাপারী, চর হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবিরুল আলম, সহ-সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক খবিরুদ্দিন আহমেদ, ৪ নম্বর গাজীরটেক ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন, চর হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল খন্দকার, খলিল ব্যাপারী, শেখ আব্দুস সালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভুবনেশ্বর নদীর মূল উৎস পথ বন্ধ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের ব্যক্তি স্বার্থে প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ'কে ভুল বুঝিয়ে ব্যক্তি মালিকানা ও রেকর্ডকৃত জমির ওপর দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করছে। এতে চর হাজীগঞ্জের হাট-বাজার বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে ভাঙনের হুমকিতে পড়বে বলে অভিযোগ তাদের। অতি দ্রুত তারা নদীর মূল গতিপথ ফিরিয়ে পেতে প্রশাসন ও সরকারের কাছে জোর পদক্ষেপ দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে জানলাম সেহেতু অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে ও সরেজমিনে পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের ক্ষতি হোক ও হাট-বাজার হুমকিতে পরুক এমন কিছু করতে দেয়া হবে না।
বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ঋদ্ধি রুবাইয়াৎ বলেন, ফরিদপুর জেলা ড্রেজ ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপানা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে যেখানে আমাদের বালু ভরাট করতে বলেছেন আমরা সেখানে বালু ফেলছি। এখানে আমি নিজ ইচ্ছায় বালু ভরাট করছি না। তবে স্থানীয়দের ক্ষতি করে তো কাজ করা যায় না।
যেহেতু স্থানীয়রা বালু ভরাট বন্ধে মানববন্ধন করেছেন। সেটা স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা ড্রেজ ম্যাটেরিরাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এছাড়া স্থানীয়দের মানববন্ধনের পরে চরভদ্রাসনের ইউএনওর মৌখিক নির্দেশে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বালু দিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
ফরিদপুরে পূণ্যস্নানে হাজারো মানুষের ঢল
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার পূণ্যস্নান শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন পূণ্যার্থীরা।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগরে অবস্থিত কয়ড়া কালীমন্দির ঘেঁষে প্রবাহিত চন্দনা-বারাসিয়া নদীতে এ পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান ও নানা আয়োজনের পাশাপাশি বসেছে ঐতিহ্যবাহী মেলা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এ মেলা।
প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দুবলারচরে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩ দিনের রাস উৎসব
ফরিদপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের পূর্ব চরশালিপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওহাব মোল্যা (৪০) ওই এলাকার বারেক মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: মতলবে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ৩
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ওহাব মোল্যা ও ইমারত মোল্যা নামের দুই ভাই সরিষা খেতে কাজ করছিলেন। এসময় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আইয়ূব আলী ও বক্কারসহ বেশ কিছু লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওহাব মোল্যা।
এছাড়া নিহতের ভাই ইমারত মোল্যাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৪
গুলশানে ‘টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১