ফরিদপুর
ফরিদপুরে পৃথক স্থান থেকে ২জনের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরের সালথায় সোমবার পৃথক স্থান থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিন দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রাম থেকে জেবা আক্তার (২১) এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত জেবা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের খসরু মোল্যার মেয়ে ও একই গ্রামের প্রবাসী কামরুল ইসলামের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জেবা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেবার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, সে আত্মহত্যা করেছে।
একইদিন বিকালে উপজেলার জয়ঝাপ গ্রাম থেকে হারুন শেখ (৬০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে হারুন শেখকে খুঁজে পাচ্ছিলেননা তার পরিবার। পরে, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্থানীয় পরিত্যক্ত একটি বসতভিটার ছাপড়া ঘরে গলায় রশি দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় হারুন শেখের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
পরে খবর পেয়ে বিকালে পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে।
তবে, তিনি তিন বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন বলে জানা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পৃথক দুটি স্থান থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি জানান, লাশ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা দুইজনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে, ময়নাতদন্তের রির্পোট আসার পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: থানার পাশে থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার!
জয়পুরহাটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল, বিচারক জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ফরিদা বেগম উপজেলার বাগাট গ্রামের রাশেদ শেখ মেয়ে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সরোয়ার শেখ (৩৫) মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে এবং পেশায় ভ্যানচালক।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-সরোয়ার শেখের মা ছাহেরা বেগম (৫৫), মামা ওবায়দুল শেখ (৪৫) ও আলিয়ার শেখ (৬০)।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট স্বপন পাল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ৬ জুলাই সকালে তার মেয়ে তাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে মারধর করছে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পান যে তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত জব্দ করে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে। দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে নিহতের গলায় চারটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে গলাটিপে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামি সরোয়ার শেখের বিরুদ্ধে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর ১১(ক) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় উল্লেখিত আসামিকে ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। এসময় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার মো.হাবিব মোল্যা (২৫) নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের সুতারকান্দা গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার ছেলে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম হোসেন জানান,গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুতারকান্দা গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও হাবিব মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানকালে ভাঙ্গার মনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা বাবলু মোল্যা (৫১) ও মাহবুব মোল্যা (৩২) নামে দুজন পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে বাবলু মোল্যা গ্রেপ্তার হাবিব মোল্যার আপন ভগ্নিপতি।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।শামীম হোসেন আরও জানান,পলাতক বাবলু মোল্যা একজন আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসার জন্য তিনি বেশিরভাগ সময় শ্বশুর বাড়িতেই অবস্থান করেন।
গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যমতে, কক্সবাজার থেকে ছয় হাজার পিসের একটি ইয়াবার চালান আসে গত শুক্রবার এই বাবলু মোল্যার কাছে। যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৮০০ পিস ইয়াবা তারা বিক্রি করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন,পলাতক বাবলু ও মাহবুবের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে একজন আটক, ২০ স্বর্ণের বার জব্দ
সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
বালু বোঝাই ট্রাক থেকে ভারতীয় প্রসাধনী ও শাড়ী জব্দ, আটক ১
ফরিদপুরে সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন
ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দায় এমএন একাডেমী প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে তার মৃতদেহ বেলা পৌনে ১১টার দিকে নগরকান্দায় এসে পৌঁছে।
জানাযার আগে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এদিকে জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি ও কনিষ্ট পুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
পড়ুন: আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহ্জাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আরিফসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবীদ ও সরকারি কর্মকর্তা এবং বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১২টার দিকে তার মৃতদেহ নিয়ে নেতৃবৃন্দ ও পরিবারের সদস্যরা ঢাকার পথে রওনা হন।
সোমবার বিকাল ৩টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে। এরপর বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান।
গতকাল রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে কিছু দিন আগে সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
পড়ুন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এফবিসিসিআই সভাপতির শোক
ফরিদপুরে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
ফরিদপুরে এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা এলাকা থেকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. স্বাধীন শেখ (২৪) ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুর সদরের একটি বাজার থেকে চিকিৎসক দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিল পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি। পথে মো.স্বাধীনসহ আরও ৩-৪ জন তরুণ ওই শিশুর পথ রোধ করে। তারা তাকে একটি পিকআপে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে ভ্যানগাড়ি দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ আগস্ট ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় মো. স্বাধীন শেখসহ চার জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং একজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি মো.স্বাধীনকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত রিমান্ডের শুনানির দিন পরে ধার্য করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আসামিকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
পরিদর্শক আরও জানান, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া আদালত ওই শিশুটির জবানবন্দি নথিভূক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগে দাদা গ্রেপ্তার!
খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ফকিরের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসাসহ দলের শীর্ষ ৩০ নেতাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং বাকিরা অজ্ঞাত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পুলিশকে আক্রমণ করে। এতে পুলিশের অন্তত চারজন আহত হয়। এছাড়া তারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, রবিবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলার আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাদের মতে, সংঘর্ষে তাদের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
অতিরিক্ত এসপি সুমন বলেন, হামলার ভিডিও ফুটেজ থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপি'র সাবেক এমপিসহ ৪'শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
ফরিদপুরের ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতু লিংক রেলপথের (ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রান্ত রেলপথ) জংশন ও রেললাইনের কাজ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী সার্বক্ষণিক এ কাজে তদারকি করছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে এখন রেল চলাচলের অপেক্ষায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা। আর সেই লক্ষেই দ্রুত গতিতে এই রেল সংযোগের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আশা পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল এ অঞ্চলের যোগযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। পরিবর্তন হবে আর্থসামাজিক উন্নয়নের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রড সেট করে বসানো হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি কংক্রিট স্লিপার। আর দুই পাশে থাকছে স্টিলের রেলপাত। রড, স্লিপার ও পাত স্থাপনের পর দেয়া হচ্ছে ঢালাই।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইনে ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ হচ্ছে
পেঁয়াজ সংরক্ষণে আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
দেশে বছরে ৩৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও সংরক্ষণের অভাবে এক-চতুর্থাংশই নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে স্থানীয় চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। পেঁয়াজ নিয়ে এই সংকট মোকাবিলায় আশার আলো দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’।
ইতোমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পেঁয়াজের এসি খ্যাত এই মেশিন। আর সুফল মেলায় খুশি সংশ্লিষ্টরা।
পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতার জেরে নেয়া পদক্ষেপের সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ। গত কয়েকবছর ধরে ক্রমাগত উৎপাদন বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী বাংলাদেশ। এরপরও ঘাটতি মেটাতে আমদানি করতে হচ্ছে বছর পর বছর। আর আমদানি কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়ে। আবার দাম পড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। তবে ঘাটতির অন্যতম কারণে হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে পেঁয়াজের অপচয় বা নষ্ট হওয়াকে।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমদানির কারণে দেশের অর্থ যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনি ভালো দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চাষিরা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি অভাবে খুলনায় ফসল আবাদে নদীর পানি ব্যবহার
সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশের মাচায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ হলেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, অধিক তাপমাত্রায় ও অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পে পচন ধরে যায়। এই প্রেক্ষাপটে উদ্ভাবন হলো ‘বায়ু প্রবাহ যন্ত্রের মাধ্যমে পেঁয়াজ সংরক্ষণ’প্রযুক্তি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সমন্বিত পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-দ্বিতীয় পর্যায়ের পরামর্শক দলের উদ্ভাবিত ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’ব্যবহৃত হচ্ছে ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রামে। এই মেশিন স্থাপনে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ পড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফরিদপুরের সদর ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বেশ কিছু পেঁয়াজ চাষিকে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে দেখা গেছে। ছাদযুক্ত টিনের কিংবা ইটের ঘরের মেঝেতে ইট দিয়ে মাচা তৈরির পর ছিদ্রযুক্ত মাদুর বা বানা দিয়ে ঢেকে তার মধ্যে সাড়ে ছয় ফুট লম্বা ও ১৪ ইঞ্চি চওড়া একটি ভার্টিকাল সিলিন্ডার বসানো হয়েছে। এক হর্স পাওয়ারের একটি বৈদ্যুতিক মোটরযুক্ত করে পাখার সাহায্যে উপর থেকে বাতাস টেনে নিয়ে নামিয়ে নেয়ার পর আটকে থাকা বাতাস পেঁয়াজের মধ্যে দিয়ে বের হচ্ছে। ছোট্ট একটি কক্ষে এভাবে বাতাস প্রবাহ করে মজুদকৃত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
বিয়ের আসর থেকে আদালতে!
প্রেমের টানে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পোয়াইল গ্রামে ভারত থেকে আসা পূজা বিশ্বাসকে (১৬) বিয়ের আসর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ওই কিশোরীকে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী কলকাতার নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার ফুলিয়াপাড়া এলাকার সুনীল দাসের মেয়ে। সে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বোয়ালমারীতে আসে।
জানা যায়, বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবাহা গ্রামের তন্ময় রাজবংশী (২১) ফেসবুকে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায় ওই কিশোরীকে শুক্রবার বোয়ালমারীতে নিয়ে আসে ওই যুবক।
কিশোরী বোয়ালমারীতে আসার পর তাকে পোয়াইল গ্রামে তন্ময় তার ভগ্নিপতি
গোপাল রাজবংশীর বাড়িতে উঠায়। সেখানে রাতে বিয়ের আয়োজন চলে। রাত ১১টার
দিকে বিয়ের পিড়িতে বসলে থানা পুলিশ খবর পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় তন্ময়কে আটক করে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব বলেন, মেয়ের বয়স কম। তাছাড়া মেয়েটির কাছ কোন পাসপোর্ট কিংবা ভিসা পাওয়া যায়নি। তাকে তন্ময় ফুঁসলিয়ে কি কারণে এদেশে এনেছে সে জন্য তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, তদন্ত করে দেখা হবে কি উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীকে আনা হয়েছে। অপরদিকে ওই কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় সমাজসেবা বিভাগের কিশোরী সংশোধন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অরও পড়ুন:ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
ফরিদপুরে নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(গ) ধারায় অপরাধের অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালত এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় পুলিশ কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা আদালত উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তার স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমি ফরিদপুরে আমার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করি। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে তার চাকরি করার কারণে যশোরে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করি। এর কয়েকদিন পর থেকেই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করি।
তিনি আরও জানান, `ওই সময় জানতে পারি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত সে। আমি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করতো শামসুদ্দোহা।'
পাবলিক প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পর ফারজানার কাছে তার প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলে। আমি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিই, কিন্তু তিনি তাতে খুশি হননি। এরপর আরও নির্যাতন বাড়তে থাকেন। প্রতিদিন নেশা করে এসে আমাকে মারপিট করতেন। ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই আমি পুত্র সন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ দেখেননি তিনি।
অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মঙ্গলবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ সাজা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০