ফরিদপুর
ফরিদপুরে বিএনপির ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের চার শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ ফকিরের অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসাসহ দলের শীর্ষ ৩০ নেতাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং বাকিরা অজ্ঞাত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা পুলিশকে আক্রমণ করে। এতে পুলিশের অন্তত চারজন আহত হয়। এছাড়া তারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, রবিবার বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলার আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। এতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাদের মতে, সংঘর্ষে তাদের অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
অতিরিক্ত এসপি সুমন বলেন, হামলার ভিডিও ফুটেজ থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি
বিএনপি'র সাবেক এমপিসহ ৪'শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ঢাকা-ভাঙা রেলপথের কাজ
ফরিদপুরের ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতু লিংক রেলপথের (ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রান্ত রেলপথ) জংশন ও রেললাইনের কাজ। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী সার্বক্ষণিক এ কাজে তদারকি করছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে এখন রেল চলাচলের অপেক্ষায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষেরা। আর সেই লক্ষেই দ্রুত গতিতে এই রেল সংযোগের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আশা পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল এ অঞ্চলের যোগযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। পরিবর্তন হবে আর্থসামাজিক উন্নয়নের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রড সেট করে বসানো হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি কংক্রিট স্লিপার। আর দুই পাশে থাকছে স্টিলের রেলপাত। রড, স্লিপার ও পাত স্থাপনের পর দেয়া হচ্ছে ঢালাই।
আরও পড়ুন: খুলনা-মোংলা রেললাইনে ৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ হচ্ছে
পেঁয়াজ সংরক্ষণে আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
দেশে বছরে ৩৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও সংরক্ষণের অভাবে এক-চতুর্থাংশই নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে স্থানীয় চাষিদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। পেঁয়াজ নিয়ে এই সংকট মোকাবিলায় আশার আলো দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’।
ইতোমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পেঁয়াজের এসি খ্যাত এই মেশিন। আর সুফল মেলায় খুশি সংশ্লিষ্টরা।
পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতার জেরে নেয়া পদক্ষেপের সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ। গত কয়েকবছর ধরে ক্রমাগত উৎপাদন বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী বাংলাদেশ। এরপরও ঘাটতি মেটাতে আমদানি করতে হচ্ছে বছর পর বছর। আর আমদানি কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়ে। আবার দাম পড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। তবে ঘাটতির অন্যতম কারণে হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে পেঁয়াজের অপচয় বা নষ্ট হওয়াকে।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমদানির কারণে দেশের অর্থ যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনি ভালো দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চাষিরা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি অভাবে খুলনায় ফসল আবাদে নদীর পানি ব্যবহার
সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশের মাচায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ হলেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, অধিক তাপমাত্রায় ও অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পে পচন ধরে যায়। এই প্রেক্ষাপটে উদ্ভাবন হলো ‘বায়ু প্রবাহ যন্ত্রের মাধ্যমে পেঁয়াজ সংরক্ষণ’প্রযুক্তি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সমন্বিত পানি সম্পদ পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-দ্বিতীয় পর্যায়ের পরামর্শক দলের উদ্ভাবিত ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’ব্যবহৃত হচ্ছে ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রামে। এই মেশিন স্থাপনে মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ পড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফরিদপুরের সদর ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বেশ কিছু পেঁয়াজ চাষিকে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে দেখা গেছে। ছাদযুক্ত টিনের কিংবা ইটের ঘরের মেঝেতে ইট দিয়ে মাচা তৈরির পর ছিদ্রযুক্ত মাদুর বা বানা দিয়ে ঢেকে তার মধ্যে সাড়ে ছয় ফুট লম্বা ও ১৪ ইঞ্চি চওড়া একটি ভার্টিকাল সিলিন্ডার বসানো হয়েছে। এক হর্স পাওয়ারের একটি বৈদ্যুতিক মোটরযুক্ত করে পাখার সাহায্যে উপর থেকে বাতাস টেনে নিয়ে নামিয়ে নেয়ার পর আটকে থাকা বাতাস পেঁয়াজের মধ্যে দিয়ে বের হচ্ছে। ছোট্ট একটি কক্ষে এভাবে বাতাস প্রবাহ করে মজুদকৃত পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
বিয়ের আসর থেকে আদালতে!
প্রেমের টানে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পোয়াইল গ্রামে ভারত থেকে আসা পূজা বিশ্বাসকে (১৬) বিয়ের আসর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ওই কিশোরীকে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী কলকাতার নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার ফুলিয়াপাড়া এলাকার সুনীল দাসের মেয়ে। সে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বোয়ালমারীতে আসে।
জানা যায়, বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবাহা গ্রামের তন্ময় রাজবংশী (২১) ফেসবুকে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায় ওই কিশোরীকে শুক্রবার বোয়ালমারীতে নিয়ে আসে ওই যুবক।
কিশোরী বোয়ালমারীতে আসার পর তাকে পোয়াইল গ্রামে তন্ময় তার ভগ্নিপতি
গোপাল রাজবংশীর বাড়িতে উঠায়। সেখানে রাতে বিয়ের আয়োজন চলে। রাত ১১টার
দিকে বিয়ের পিড়িতে বসলে থানা পুলিশ খবর পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় তন্ময়কে আটক করে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব বলেন, মেয়ের বয়স কম। তাছাড়া মেয়েটির কাছ কোন পাসপোর্ট কিংবা ভিসা পাওয়া যায়নি। তাকে তন্ময় ফুঁসলিয়ে কি কারণে এদেশে এনেছে সে জন্য তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, তদন্ত করে দেখা হবে কি উদ্দেশ্যে ওই কিশোরীকে আনা হয়েছে। অপরদিকে ওই কিশোরীকে আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় সমাজসেবা বিভাগের কিশোরী সংশোধন কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অরও পড়ুন:ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
ফরিদপুরে নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
ফরিদপুরে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট ও নির্যাতনের অপরাধে দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(গ) ধারায় অপরাধের অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালত এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার সময় পুলিশ কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা আদালত উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট স্বপন পাল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায়। তার স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার তুলি জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমি ফরিদপুরে আমার বাবার বাড়িতেই অবস্থান করি। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর মাসে তার চাকরি করার কারণে যশোরে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করি। এর কয়েকদিন পর থেকেই তার আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করি।
তিনি আরও জানান, `ওই সময় জানতে পারি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত সে। আমি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে মারপিট করতো শামসুদ্দোহা।'
পাবলিক প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পর ফারজানার কাছে তার প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলে। আমি ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দিই, কিন্তু তিনি তাতে খুশি হননি। এরপর আরও নির্যাতন বাড়তে থাকেন। প্রতিদিন নেশা করে এসে আমাকে মারপিট করতেন। ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই আমি পুত্র সন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ দেখেননি তিনি।
অ্যাড. স্বপন পাল বলেন, মঙ্গলবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ সাজা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
খেলায় বাধা দেয়া নিয়ে ফরিদপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা!
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে স্কুলপড়ুয়া চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যার অভিযোগ এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের ইচাডাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রী ফারিহা খানম (১২) ওই গ্রামের মোক্তার হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
আটক রাসেল সিকদার (১৮) একই গ্রামের মানোয়ার সিকদারের ছেলে।
ফারিহার পরিবারের অভিযোগ, রবিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে ফারিহার চাচাতো ভাই রাসেল সিকদার (১৮) তার চাচা মোক্তার হোসেনের মুদি দোকান থেকে দেড়শ’ টাকার পণ্য বাকিতে কিনে। সন্ধ্যায় রাসেল বাড়ি গিয়ে ফারিহাকে ডেকে ওই বাকি টাকা নিয়ে যেতে বলে। ফারিহা সরল মনে টাকা আনতে গেলে চাচতো ভাই রাসেল তাকে বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাসেলদের বাথরুম থেকে ফারিহাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রাসেল উচ্ছৃংখল প্রকৃতির। এর আগে সে একবার পরিবারের অমতে বিয়ে করে। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। একমাত্র ছেলে উচ্ছৃঙ্খল হওয়ায় রাসেলের বাবা-মা রাসেলের সঙ্গে থাকেন না। রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করে। তার বাবা-মাও ঢাকায় থাকেন। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার এখনও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
ভাঙ্গায় তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পৌরসদরের নুরপুর গ্রামে তারেক মাসুদ ও বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে গুণী এই নির্মাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধায় জানায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
এর আগে তারেক মাসুদের সমাধিতে তার মা নুরুন্নাহার মাসুদ, স্ত্রী ক্যাথিরিন মাসুদসহ ঢাকা চলচ্চিত্র সভা, এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সভা, বাংলাদেশ শর্ট ফ্লিম ফোরাম, ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে এ উপলক্ষে আয়োজিক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন বাচ্চু, জহিরুল ইসলাম কচি, রাশেদ চৌধুরী, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রয়াত এ নির্মাতা সস্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন তারেক মাসুদের ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক ঢালী আল মামুন, তারেকের সহধর্মিণী ক্যাথিরিন মাসুদ, শর্ট ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, লেখক মফিজ ইমাম মিলন।
কবি চঞ্চল আশরাফের সঞ্চালনায় এ সময় তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী,বাবুল আশরাফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুধীন সরকার মঙ্গল, সাইদ মাসুদ প্রমুখ আরও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তারেক মাসুদ এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জুকা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
পড়ুন: তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন: সিআরআই
নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান
ফরিদপুর জেলা কারাগার: ৯১৪ বন্দির জন্য একজন ফার্মাসিস্ট, নেই চিকিৎসক
ফরিদপুর জেলা কারাগারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক না থাকায় পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না বন্দিরা। অসুস্থ বন্দিদের জন্য ডায়াগনস্টিক পরীক্ষারও কোন ব্যবস্থা নেই। প্রাচীন এই কারাগারে বিপুল সংখ্যক বন্দিদের জন্য টিনসেডে ঘরের একটি কক্ষ রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে, যদিও তা ব্যবহারের অনুপযোগী।
১৮২৫ সালে ৩৪ একর জায়গা নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র মূল সড়কের ( মুজিব সড়ক) ঝিলটুলী এলাকাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কারাগার। ৯ একর জায়গা বন্দিদের থাকার ব্যবস্থার স্থাপনা নির্মিত হয়েছে, অন্য ২৫ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে পুকুর, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসনের ইমারত।
ফরিদপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানিয়েছেন, প্রাচীন এই বন্দিশালায় ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪২০ জন। বর্তমানে ৮৯৭ জন পুরুষ, ১৭ নারী বন্দি অবস্থান করছেন, যদিও প্রতিদিন বন্দি কম-বেশি আপডাউন করে। এখানে একটি পদ রয়েছে সহকারি সার্জন, সেটি এক যুগের বেশি সময়ে শূন্য রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্দিদের কেউ অসুস্থ হলে আমরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি। এছাড়াও জেলা সিভিল সার্জন অফিস একজন চিকিৎসককে প্রেষনে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি মাঝে মধ্যে আছেন। এর বাইরে আমাদের একজন সিনিয়র ফার্মাসিস্ট রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে জনবল রয়েছে তাতে বন্দি রোগী একজনকে বাইরের হাসপাতালে প্রেরণ করলে তার পেছনে তিন জন ফোর্স দিতে হয়। এতে অন্য কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
ফরিদপুরের কারাগারের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট আশরাফুল আলম জানান, কম করে হলেও কারাগারে বন্দিদের জন্য দুই থেকে তিন জন চিকিৎসক দরকার। এছাড়াও অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল পাশাপাশি তিন থেকে চার জন সেবিকা ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার দরকার।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে এক হাজার ৫০ বন্দি, বর্তমানে দুইজন বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও গত এক মাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এক বন্দি।
জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জানান, শুধু ফরিদপুর কারাগারে বন্দী নয় পার্শ্ববর্তী অন্য জেলার কারাগার থেকে অসুস্থ বন্দি আসেন এখানে। তাদের কারাবিধি নিয়মানুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য কারারক্ষীদের প্রহরায় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফরিদপুর কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, ফরিদপুরের কারাগারের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি বন্দি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বন্দিদের নানাবিধ সমস্যা হয় এটা সত্য।
তিনি বলেন, কারাগারের বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাসমূহ নিশ্চত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিতে হবে।
ফরিদপুর কারাগারের বন্দিদের চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল প্রসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিসি) অতুল সরকার বলেন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একজন চিকিৎসককে কারাগারে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত কারাগার পরিদর্শন করা হয়, বন্দিদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেয়া হয়। বড় কোন সমস্যা সৃষ্টিহলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
পড়ুন: চলাচলের অনুপযোগী ফরিদপুর পৌরসভার শতাধিক কিলোমিটার সড়ক
অরক্ষিত রেলক্রসিং: ফেনীতে ৭ মাসে ৯ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে গোখরা সাপের ৫০টি বাচ্চা উদ্ধার
ফরিদপুরের শহরের টেপাখোলা এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে ৫০টি গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, জেলা সদরের চাঁদপুর থেকে আসা একটি যুবক সাপের বাচ্চা গুলো নিয়ে লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলছিল। বিষয়টি ভাল মনে হয়নি। এ কারণে বন বিভাগকে ফোন দিয়ে অভিযোগ করা হয়। পরে বনবিভাগের লোক এসে সাপ গুলো নিয়ে যায়।
ফরিদপুর বন বিভাগ ফরেস্টার জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ৫০টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে অজগর সাপের বাচ্চা অবমুক্ত
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার উপজেলার তালমার সদরবেড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রায়হান ইসলাম রাজিব (২৬) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের বাসিন্দা ও ফরিদপুর জেলা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরকান্দার তালমার সদরবেড়া এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন রায়হান।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এদিকে রায়হানের মৃত্যুতে ফরিদপুর জেলা পুলিশ শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত আরও একজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র আহত, মাইক্রোবাসে আগুন