ফরিদপুর
ফরিদপুরে বাসচাপায় প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসচাপায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের ফরিদপুরে ভাঙ্গা গোল চত্বর ফ্লাইওভার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ২ ভাই হলেন- মেহেরপুর সদর থানার নতুন দরবেশপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৯) ও তার ছোট ভাই হামিম (১৪)।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাসচাপায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল জানায়, দুপুরে ট্রেনে দুই ভাই ভাঙ্গা রেল স্টেশনে নেমে ভাঙ্গা গোল চত্বর ফ্লাইওভারের হাইওয়ে এক্সপ্রেস পার হচ্ছিলেন। সে সময় ঢাকাগামী ইলিশ পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৬০৫৭) দুই ভাইকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সে সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করলে বাসটি ফেলেই চালক পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, পুলিশ বাসটি জব্দ করে লাশ দুইটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলেই লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরে সহযোগিতা করবে জাপান: নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাসচাপায় ২ পথচারী নিহত
ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
ফরিদপুর একটি দ্রুতগামী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুর আখ সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শহরের বদরপুরের জনৈক মোহাম্মদ আলীর ছেলেনাম মিরাজ হোসেন (২২) এবং বোয়ালমারীর সাগর (২৫)। সাগরের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। সে একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে নারী বিশ্বকাপের আগে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাগেরহাট হতে ছেড়ে আসা ফরিদপুর অভিমুখী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক মিরাজ নিহত হন। মোটরসাইকেলের অপর আরোহী সাগরকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত পৌনে ৯ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে শনিবার একটি মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সাতজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দুইজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাইমুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে মাইক্রোবাসে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চাকা বিস্ফোরণ হয়ে মার্কেটে ঢুকে গেল বাস, আহত ৩০
আহত মাইক্রোবাস চালক সদর উপজেলার বাসিন্দা মৃদুল মালো বিএসএমএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের বাড়ি জেলার বোয়ালমারী উপজেলায়।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং আহত চালকের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহত জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মিলন খান (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক মো. হফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি মিলন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। ঘটানার প্রায় এক যুগ পর বৃহস্পতিবার (২২ জুন) এ আদেশ দিলেন আদালত।
মিলন খান ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আসামি মিলন খান। কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলে মিলন খান কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পুকুরে পানি আনতে গেলে মিলন খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নরী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলন খানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মিলনের মা চম্পা বেগম বলেন, মিলনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। কিশোরীর পরিবার বড় লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) স্বপন পাল বলেন, এ আদেশে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে গণপিটুনিতে আহত হাজতির মৃত্যু
ফরিদপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনির তিন দিন পর আহত এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন এলাকায় বিকালে নিজ গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত হাজতি হলেন- রিপন শেখ (৩৫)। তিনি মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের চান শেখে ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
ফরিদপুর কারাগারের জেল সুপার তায়েব উদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, রিপন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আসার পর গত ১৮ জুন আবার অসুস্থ হলে তাকে মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
তার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার জোয়ারের মোড় এলাকায় গত ৯ জুন ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
রিপন ৯-১৩ জুন পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিল।
তিনি বলেন, ১৮ জুন সন্ধ্যায় রিপন হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
হাজতির মৃত্যু প্রসঙ্গে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন সরকার জানান, রিপন গণপিটুনিতে আহত হওয়ার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
এরপর তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
সাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে শ্বশুর তোতা মিয়াকে হত্যার দায়ে জামাতা সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়রশি গ্রামের বাসিন্দা আলামিনকে (৪১) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাকে আরও ছয়মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
হত্যার শিকার তোতা মিয়া সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের গফুর মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গফুর মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামে তোতা মিয়া বাড়িতে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে তোতা মিয়ার মেয়ে আজুফা বেগমের (৩৮) সঙ্গে আলামিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আলামিন বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকার জন্য তাকে নির্যাতন করে আসছিল।
জুয়া খেলা ও মাদকের টাকার জন্য আজুফার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে। এতে আজুফা অস্বীকৃতি জানালে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আলামিন।
নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি ফরিদপুরের নোটারি পাবলিক-এর মাধ্যমে আলামিনকে একতরফা তালাক দেয় আজুফা।
এ ঘটনা জানার পরে আলামিন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর ২০ জানুয়ারি শ্বশুর বাড়িতে এসে আলামিন ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার শ্বশুর তোতা মিয়াকে টিউবয়েলের মাথা দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। ওইদিনই (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শহরের রাজবাড়ির রাস্তার মোড় এলাকায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ২২ জানুয়ারি আলামিন ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করে সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলাটি প্রথমে সদরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অখিল কুমার বিশ্বাস, পরে সিআইডি ফরিদপুর জোনের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম এবং সর্বশেষ সিআইডি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফসার উদ্দিন তদন্ত করে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর আলামিনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ওই আদালতের পিপি সানোয়ার হোসেন বলেন, ১৮৬০ সালের ফৌজদারি আইনের ৩০২ ধারায় এ রায় প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, এর ফলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৫ জনের কারাদণ্ড
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার সকাল ১০টায় শহরের ঝিলটুলিস্থ ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: জিকে শামীমের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে ৩ জনকে দুদকে তলব
প্রায় আড়াইঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক।
ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিলের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানা সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির আশ্রয় ও তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে ডাকা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এজন্য তদন্তের সঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারছি না। এছাড়াও ওসির বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, থানায় ঘুষ গ্রহণসহ এ রকম অপরাধের সব রকম অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।
দুদকে তলবের বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সাংবাদিকদের তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল। অভিযোগের বিষয় ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিন্তু মার্কেটতো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং টাকার বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে। ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলো বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পকলার ডিজিকে দুদকে তলব
ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫ শিক্ষককে দুদকে তলব
ফরিদপুরে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে একটি ফ্লাট বাসার তৃতীয় তলার একটি রুম থেকে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১১জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
শহিদুল ইসলাম (২৩) একই জেলার সালথা উপজেলার কাগদী এলাকার টুকু মোল্যার ছেলে।
জানা গেছে, শহিদুল এ বছরের ১ মে জেলা শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী এলাকায় সুধীর রঞ্জন মালো নামের এক ব্যক্তির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটের একটি রুম ভাড়া নেন। সেখানে সে তার স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী গত মঙ্গলবার দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য গ্রামের বাড়িতে যান। অতঃপর গত মঙ্গলবার থেকে শহিদুল ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে একই শাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গতকাল রবিবার রাতে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পেয়ে বাড়ির মালিক থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতেই ফ্ল্যাট বাসার ডাইনিং রুমের ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শহিদুলের ঝুলন্ত অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহিদুল তার নিজ এলাকায় একটি এনজিও পরিচালনা করতে গিয়ে সাত থেকে আট লাখ টাকা ঋণ হয়। যে কারণে সে এলাকা ত্যাগ করে ফরিদপুর শহরে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে একই শাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত মৃত্যুর আসল কারণ জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিয়ের ১ দিন পর বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, ২ পাচারকারী আটক
ফরিদপুরে দুই পাচারকারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) ৩টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ঢাকা-খুলনা মহসড়কের মাঝকান্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণবারের ওজন ১ কেজি ৩৫০গ্রাম। এছাড়া উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বারের বাজারমূল্য মূল্য এক কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: ডাকাতির পর পালানোর সময় পিকআপচাপায় পথচারী নিহত, স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ আহত ৩
আটক পাচারকারীরা হলো- ফরিদপুর সদরের ভাটি কানইপুর গ্রামের মৃত মলিন কুমার মালোর ছেলে শংকর কুমার মালো (৩৯) ও ফরিদপুর সদরের তালতলা গ্রামের মৃত রশিদ মোল্যার মেয়ে জামিলা পারভীন(২৫)।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ৩টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ঢাকা-খুলনা মহসড়কের মাঝকান্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উদ্দেশ্যহীন এক জোড়া নারী ও পুরুষ ঘোরা-ঘুড়ি করছিল।
পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের দেহ তল্লাশি করে ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, তারা ঢাকার তাতী বাজার থেকে ভরতে পাচারের উদ্দেশ্যে চুয়াডাংঙ্গা জেলার দর্শনায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
এই ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বাদি হয়ে আটককৃতদের নামে মধুখালী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ আইনের ২৫-বি মোতাবেক নিয়মিত একটি মামলা রুজু করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ১৪ স্বর্ণের বার জব্দ, ৪ পাচারকারী আটক
রংপুরে ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
ফরিদপুরে ডাকাতিকালে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে আহত ২
ফরিদপুরে ডাকাতিকালে এলাকাবাসীর হাতে গণধোলাইয়ে দুইজন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুন) সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা বাজার ও মহিলা সদর রোডে ঘটনাটি ঘটে।
পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করছে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গণধোলাইয়ে ‘ছিনতাইকারী’ নিহত
আহত ডাকাতরা হলো- মো. জুবায়ের মল্লিক (৩০) ও রিপন (৩০)।
গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হক জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর তথ্যমতে সবমিলিয়ে ছয় জন মিলে বাখুন্ডা বাজার ও মহিলা সদর রোডের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গরু চুরির উদ্দেশে রাতের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে হানা দেয় তারা।
রাতভর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার বাখুন্ডা বাজারের পাশে একটি বাড়িতে দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, পরে কৌশলে চারজন পালিয়ে গেলেও দুইজন হাতেনাতে ধরা পড়ায় এলাকাবাসীর নিকট গণধোলাইয়ের শিকার হন৷
এছাড়া সম্প্রতি সময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে এলাকায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আব্দুল গাফফার জানায়, উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কোতোয়ালি থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে উক্ত এলাকায় পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলার দেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই, যুবককে গণধোলাই
চৌদ্দগ্রামে ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ