তরুণ
ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ
তরুণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
এই সিরিজে থাকছে দুটি মডেল- ইনফিনিক্স নোট ৪০ এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো।
ইনফিনিক্সের নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং।
অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ এর আওতায় ম্যাগচার্জ নামক এই ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স। এর সাহায্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে ও যেকোনো আবহাওয়ায় সহজেই ফোনে চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে সুবিধাজনক চার্জিং প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইনফিনিক্স।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করতে পারবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি।
নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামক ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এছাড়াও নোট ৪০ এর সাথে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রো এর সাথে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।
ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১। ব্যাটারির ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই চিপ। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১-এর সক্ষমতা ২০৪% বেশি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর।
সারাদিন ধরে ব্যবহারের সুবিধার জন্য নোট ৪০ এবং নোট ৪০ প্রো উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।
৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ হবে এই ফোন।
এছাড়াও নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।
ফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এই সিরিজে নতুন কৌশল এনেছে ইনফিনিক্স। নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর নোট ৪০ প্রো-তে আছে বেজেল-বিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে।
প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির সাহায্যে নোট ৪০ সিরিজের ফোনে উন্নতমানের ইমেজ পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৩ গুণ জুমেও পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হবে।
ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ।
এছাড়াও ফোনে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।
৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রো-এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা।
ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।
অন্যদিকে, ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এই দুটি রঙে।
১ এপ্রিল থেকে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি আরও নিরাপদে স্থানান্তর যেভাবে করবেন
তরুণদের বিপণনযোগ্য কাজের দক্ষতা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতামূলক করবে: মাইকেল শিফার
ইউএসএআইডির এশিয়া অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার বলেন, ‘বাজারে চাহিদা আছে এমন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে, এদেশের তরুণরা দেশকে আরও প্রতিযোগিতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারবে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী এশিয়ান টাইগার – 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার' হিসেবে তারা দেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। সেই সঙ্গে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
নোয়াখালীতে তরুণকে গলা কেটে হত্যা
পূর্ববিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ইসমাইল হোসেন নামে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাজী ইসমাইল মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একলাশপুর ইউনিয়নের হাজী ইসলাম মিস্ত্রি বাড়ির একটি ঘরে প্রায় সময় বসে চার বন্ধুসহ আড্ডা দিতেন আসিফ। এখানে বসে তারা নেশা করতেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
অন্যদিনের মতো সোমবার সকালেও তারা একসঙ্গে ওই ঘরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকে চিৎকার দিয়ে বের হয়ে ঘরের সামনে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েন আসিফ।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীকে গলা কেটে হত্যা
ওই সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার চার বন্ধু বের হয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যে নিহত হয়েছে এবং ওই ঘরটিতে যারা থাকত তারা সবাই পূর্বপরিচিত বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
তিনি আরও জানান, ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যাকারীরা আসিফের ঘাড় কেটে দিয়েছে এবং রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিাযোগ
তরুণদের প্রত্যাশাকে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান ইয়ুথ সামিটে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘আমিও জিততে চাই ইয়ুথ সামিট’- এ তরুণেরা কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘আমিও জিততে চাই ইয়ুথ সামিট ২০২৩’- এ অংশগ্রহণকারীরা কর্মসংস্থান ছাড়াও নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তাদের নানা প্রত্যাশা তুলে ধরেন।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যুব সংগঠনের শতাধিক তরুণের অংশগ্রহণে এই ইয়ুথ সামিটে নাগরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বির্তক, কুইজ ও ভিডিও বার্তা তৈরির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সামিটের অংশ হিসেবে আয়োজিত ‘আমিও জিততে চাই আঃন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা’য় রাজশাহী ইউনির্ভাসিটি ডিবেটিং অর্গানাইজেশনের (আরইউডিও) দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর ইউনির্ভাসিটি ডিবেটিং সোসাইটি (জেইউডিএস) দল।
এতে ডিবেটর অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মো. ওবায়দুল্লাহ।
সংসদীয় পদ্ধতির এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস)।
প্রতিযোগিতায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিতর্ক দল অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় বিতার্কিকরা বলেন, একজন তরুণ চাকরি না করে উদ্যোক্তা হতে চাইলে দেশে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যাংক লোন ও সরকারি পরিষেবা এখনও সহজ নয়।
আরও পড়ুন: নৈতিক সাংবাদিকতা নিশ্চিতের উপায় নিয়ে চীনে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট
লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা: সিআরআইয়ের সংলাপে তরুণদের মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ‘লেটস টক’ সিরিজের ৫৩ তম পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৩০০ জনেরও বেশি তরুণের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এদের মধ্যে সুপার অ্যাচিভারস, ট্রান্সজেন্ডার আইকন, ক্রীড়া তারকা ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ীরাও ছিল। তবে এদিন তারা সবাই অভিন্ন উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিলেন।
এই তরুণেরা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় এবং ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত তরুণ বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা সঞ্চালিত ‘লেটস টক’-এর বিশেষ পর্বটি যুব ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ে সজীব ওয়াজেদের উত্তর নিয়ে আসছে 'লেটস টক'
তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, তারা ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আরও ব্যবসা দেখতে চান। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' (বিডিওয়াইএস) শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রমেই একটি আকর্ষণীয় বাজার হয়ে উঠছে। এ কারণেই আমাদের সম্পর্ক বিভিন্ন পর্যায়ে একটি অংশীদারিত্বে পরিণত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মজুরি নয়, অধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সফররত ইইউ প্রতিনিধি দল: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, তারা বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক আগ্রহ বাড়াতে ও এগিয়ে নিতে চান।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতের মূল ইস্যুগুলোতে তরুণদের কথা শোনা জরুরি। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মূল্যবান সুযোগ করে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন। ইইউ বিশ্বব্যাপী তরুণদের সহায়তা করছে, যার মধ্যে গত বছর গৃহীত আমাদের ইয়ুথ অ্যাকশন প্ল্যানও রয়েছে।’
হারনেট টিভির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ও এমডি আলিশা প্রধানের পরিকল্পনা ও ভাবনায় এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের আয়োজন করে হারনেট ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের সহঅর্থায়নে ও সহযোগিতায় আয়োজিত এ আয়োজন বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের অঙ্গীকারের দলিল।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক পণ্য এখনও বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করছে।
তিনি কৃষি খাতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, এ খাতের সাফল্য আশ্চর্যজনক এবং বাংলাদেশ এখন প্রধান ফসলের ক্ষেত্রেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ইইউ রাষ্ট্রদূত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে যৌথ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেক বেশি মনোযোগ দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি গার্মেন্টস খাতের বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন এবং এটি কীভাবে নারীদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে তা তুলে ধরেন।
ইইউ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের পথে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের সদ্ব্যবহার করেছে এবং 'এভরিথিং বাট আর্মস' ব্যবস্থার আওতায় ইইউতে বৈশ্বিক আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ ইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রপ্তানি ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যু পূরণের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়, যা ইবিএ ব্যবস্থার একটি অন্তর্নিহিত অংশ।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মতামত শোনেন এবং দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় হারনেট টিভিতে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নারীদের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের বৈচিত্র্যময় গল্পগুলো তুলে ধরতে গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক বুয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
তারা বিকশিত বাংলাদেশে তরুণদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার; জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের গভর্নর ড. জারিন দেলাওয়ার হুসেন; জেসিআই-এর জাতীয় সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান; মেঘনা ব্যাংকের এমডি মো. সোহেল হোসেন ও ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, রোটারির গভর্নর, আইটোর প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়া,বাংলাদেশে ফরাসি দূতাবাস, রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, জাজ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা লাইভ, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জেসিআই, জোন্তা, সাভার টেক্স এবং ব্যাকপেজ পিআরসহ পার্টনাররা এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তারা হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য যুব জনগোষ্ঠীকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের যুব উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন হারনেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আলিশা প্রধান।
রোটারি ক্লাব তরুণদের কল্যাণে অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে একটি রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। মেঘনা ব্যাংক বিডিওয়াইএস ফোরামের সহযোগিতামূলক চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই উদ্যোগের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
ফরাসি দূতাবাসের সহযোগিতায় 'টেকসই আগামীর জন্য আজকের কণ্ঠস্বর' স্লোগান নিয়ে ফোরামটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে সৌদি দূতাবাস, গুলশান ক্লাব ও ওয়েস্টিন হোটেলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: শ্রম-মানবাধিকার খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান ইইউ প্রতিনিধি দলের
বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ: সজীব ওয়াজেদ
বাংলাদেশের তরুণরা সমস্যা সমাধানে চিন্তা করতে পারে। তাই বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের অনেক সমস্যা আছে, তবে আপনারা শুধু সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন না এগুলোর সমাধানও চিন্তা করছেন। এরপর সমাধান বের করছেন এবং বাস্তবায়ন করছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম আসরের চূড়ান্ত পর্বে পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এবার ৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি সংগঠনকে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে ২০১৫ সাল থেকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে যেই উন্নতি হয়েছে তা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আমি শুরু থেকে বাংলার তরুণদের বলছি, আমরা দেশ হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশের তরুণরাও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। নিজের উদ্যোগে আপনারা নিজের কর্মসংস্থান বের করতে পারেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যত সমস্যা আছে আপনারা এই সমস্যাও সমাধান করতে পারেন। শুধু সরকার পারে তা না, আমরা সবাই সব সমস্যা মোকাবিলা করতে পারি।
আরও পড়ুন: সামরিক শাসক ও মৌলবাদীদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আ. লীগ: জয়
এ সময় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও শীর্ষ বাছাই হওয়া সকল সংগঠনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ৭০০’র বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। সবাইকে আমরা পুরস্কৃত করতে পারিনি। কিন্তু সবার জয়ই বাংলার জয়। আপনাদেরও অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এত বছর ধরে ইয়াং বাংলার অ্যাওয়ার্ড করছি; পুরস্কার দিচ্ছি, আমি নিজেও অত্যন্ত গর্বিত। সংগঠনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, আমরা শুরু করেছিলাম মাত্র কয়েকশো’ নিয়ে। এখন সাতশোর বেশি আবেদন এসেছে।
তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে সব জেলায় কাজ করছেন, যেভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছেন এবং পরিশ্রম করছেন, জাতিসংঘ-ইউনেস্কো সবখানে স্বীকৃতি পাচ্ছেন, তা দেখে খুব গর্ব হয়।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছেন, পরিবেশের জন্য যে চিন্তা ও পরিশ্রম করছেন তা অসাধারণ। আমাদের স্বপ্ন ছিল তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনারাই হচ্ছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমাদের চিন্তা শুধু বাংলাদেশের বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎ নিয়েও। গত ১৫ বছর ধরে যে গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আপনারা তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমরা যখন শুরু করেছিলাম বাংলাদেশ তখন ছিল দরিদ্র দেশ, এখন মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছি।
তরুণরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে পাথফাইন্ডার আছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল; স্বাধীনতার আগে থেকেই আপনারা বাংলাদেশের চেতনা ও স্বাধীনতার চেতনা দেখিয়েছেন। এই তরুণরা আপনাদেরই সন্তান। আপনাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা। আমাদের জুরিরা পরিশ্রম করেছেন। আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে, তাদের (জুরি) পরিশ্রমও বাড়ছে। আপনাদের প্রতিও আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে কেউ কল্পনা করতে পারেনি উন্নয়নের এই গতি হতে পারে। এই গতি যদি ধরে রাখা যায় আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে। আর আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত বলে কোনো দল টিকবে না। যখন বাংলাদেশ থেকে এই জঙ্গি ও মৌলবাদী শক্তির চিহ্ন মুছে যাবে, তখন বাংলাদেশে শান্তি আসবে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ নেই জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেন, অনেকেই মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের উস্কাচ্ছে। যেহেতু নির্বাচন সামনে, তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করব এদের কথায় কান দেবেন না। বিশেষ করে আমাদের অনেক বিদেশি রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের আগে অনেক বেশি কথা বলা শুরু করে। ঠিক তখনই এই সন্ত্রাস, সংঘর্ষ, জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়। তার মানে কি? তাদের এরাই উস্কাচ্ছে।
তবে চিন্তা করবেন না, যেদিন নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তারাও চুপ হয়ে যাবে। আর বেশি দিন নাই, মাত্র দেড় মাস। সামনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চাইলে একটি উপায়। আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
রাজশাহীতে অস্ত্র হাতে তরুণদের উল্লাস, আটক ৭
রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানা এলাকায় দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উঁচিয়ে একদল তরুণের উল্লাস করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অস্ত্র কারখানার সন্ধান, সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ২
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় সাতজনকে নগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশ আটক করেছে। তাদের শাহ মখদুম থানা হেফাজতেই রাখা হয়েছে।
তারা হলেন- মো. সোহেল রানা, মো. মনিরুল ইসলাম অপূর্ব, মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, নাজমুস সাকিব আবির, মোহাইমিনুল শেখ, মো. জিসাদ ও মো. মারুফ হোসেন। আটক সবার বাড়ি নগরীর শাহ মখদুম থানার চকপাড়া দুরুলের মোড় এলাকায়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (শাহ মখদুম জোন) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘অস্ত্র হাতে একদল কিশোরের (তরুণ) নাচানাচির একটি ভিডিও আমাদের নজরে আসে। এরপর মঙ্গলবার রাতভর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে সাতজনকে আমরা আটক করি।’
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ২
জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চা কর: ঢাবির সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
জ্ঞান অর্জন ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে দেশকে উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্য যা যা সম্ভব আমি তাই করছি। তরুণদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন থেমে না যায়।’
রবিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সড়ক যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনায় বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদানের লক্ষ্যে এই বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
নয়াপল্টন ও শাপলা চত্বরে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত সরকারবিরোধী সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবারের সহিংসতার প্রতিবাদে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতাল সত্ত্বেও কর্মসূচি পালন করা হয়।
শেখ হাসিনা গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘গবেষণাকাজে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষি গবেষণায় আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। আজ আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে এবং দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আমাদের চাঁদে যেতে হবে। চাঁদে যাওয়ার জন্য আমি ইতোমধ্যে লালমনিরহাটে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার একমাত্র লক্ষ্য জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আমার কাছে কিছুই নয়। আমি অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারতাম। কিন্তু আমি এটা এভাবে চাইনি।’
তিনি বলেন, তিনি জনগণের কল্যাণে ক্ষমতা ব্যবহারে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, ‘আমি যা করছি তা হলো জাতির পিতা যেভাবে দেখতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই দেশের উন্নয়ন করা। এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
তিনি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের কথা ভুলে না যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ মানুষ যত বেশি উন্নত হবে, দেশের জন্য তত ভালো হবে। মুষ্টিমেয় মানুষের অগ্রগতি কাম্য নয়। এটি সর্বজনীন হতে হবে। আমাদের উন্নয়ন তৃণমূল থেকে, গ্রাম থেকে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বার বার উল্লেখ করেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) কৃষি, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপর গুরুত্বারোপ করার কথা বলতেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হবেই: আনোয়ারায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে এবং বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতিটি বাণী হৃদয়ে ধারণ করে এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি। আমি এভাবেই করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। তবে করোনা ও যুদ্ধ গোটা বিশ্বের জন্য বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এই স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেব। এই বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
বঙ্গবন্ধুকে ‘ডক্টর অব লজ’ প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার হৃদয়ের বিশ্ববিদ্যালয়। আমি যদি আবার ভর্তি হতে পারতাম, এখান থেকে মাস্টার্স শেষ করতে পারলে খুশি হতাম।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বিশ্বের অনেক দেশ থেকে অনেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এতে সন্তুষ্ট নই। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তা পাইনি। যদিও আমাকে এখান থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল, তবে আমি যদি এখানে আবার পড়াশোনা করতে পারতাম তবে আরও ভালো হতো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের কাছ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ (মরণোত্তর) ডিগ্রি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে টোল নিয়ে ঝুমুরের স্বপ্ন পূরণ
ফেসবুকে কথা-কাটাকাটি, ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও এক যুবক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমুড়া ইউনিয়নের আমনি বাজারের পূর্বে শাহী ঈদগাহের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
নিহত তাজেল আহমদ (১৮) উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের ময়ন মিয়ার ছেলে এবং আহত তানভীর আহমদ একই গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।
তানভীর আহমদ জানান, এক সপ্তাহ আগে আমুড়া ইউনিয়নের কদমরসূল গ্রামের অপু আহমদের সঙ্গে তানভীর আহমদের ফেসবুকের মেসেঞ্জারে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার অপু আহমদ ৫/৬ জন যুবক নিয়ে তাজেল আহমদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাজেল আহমদকে ছুরিকাঘাত করা হলে তাজেলের সঙ্গে থাকা তানভীর তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাজেল মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় আহত তানভীর বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য জনি চৌধুরী জানান, ফেসবুক মেসেঞ্জারে গালাগালি নিয়ে অপু ও সাঈদ নামে দুজনের ছুরিকাঘাতে তাজেল নিহত হন। লাশ বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে পরে বলব।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাসচাপায় তরুণ নিহত
কুড়িগ্রামে ‘বিএসএফের গুলিতে’ বাংলাদেশি তরুণ নিহত