শিশু
অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-এর পেনিসিলিন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয় অ্যান্টিবায়োটিক। গিণিপিগ হিসেবে পশুর উপর সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ক্যান্সারের চিকিৎসা, অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে বড় অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করেছে, যা ওষুধ শিল্পে অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ এবং কার্যকারিতা হ্রাস পাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
ভুল সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোগাক্রান্ত অবস্থার আরো অবনতি ঘটায়। প্রেসক্রিপশন ছাড়া রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ তো আছেই, কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক ডাক্তারও ছোট ছোট ক্ষেত্রে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক নেয়ার পরামর্শ দেয়। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে অ্যান্টিবায়োটিকটি এক সময় কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। চলুন, অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ না করার সাথে অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগের সম্পর্কটি নিরূপণ করা যাক।
বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ
শিশুদের আপাত ভাইরাল শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রধানত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হওয়া সত্ত্বেও, ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। শিশুদের কানে টিউবযুক্ত সমস্যায় কানে অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ারড্রপ না দিয়ে মুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোহয়। এতে অবাঞ্ছিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সাঁতারুদের কানে অ্যান্টিবায়োটিক ইয়ারড্রপ দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত, মুখে অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে নয়।
পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
মানসম্মত নির্দেশিকা ছাড়া অনেক দেশে এমনকি উন্নত বিশ্বেও প্রায়শই স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকরা জনসাধারণকে অ্যান্টিবায়োটিক নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চিকিৎসা ছাড়াই সমাধানযোগ্য সাইনোসাইটিস-এর সমস্যার ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক নিতে বলা হয়। প্রায়ই রোগীর ব্যাকটেরিয়াজনিত কনজাংটিভাইটিস আছে কিনা তা নিশ্চিত না হয়েই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষায় সনাক্ত করা হয়। এখানে ব্যক্তির মূত্রনালীর সংক্রমণের লক্ষণ না থাকলেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ধাবিত করা হয়। মুখ দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ একজিমার চিকিৎসা নয়। শুষ্ক ত্বক বা অন্যান্য উপসর্গের চিকিৎসায় লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
অস্ত্রোপচারের ক্ষতগুলো সারানোর জন্য নন-অ্যান্টিবায়োটিক মলম বা কোনও মলমের চেয়ে ভালো কাজ না করলেও টপিক্যাল অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগের কুফল
যখন প্রথম সারির অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা সংক্রমণের চিকিৎসা করা যায় না, তখন আরও ব্যয়বহুল ওষুধ ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। এতে অসুস্থতা এবং চিকিৎসার দীর্ঘ সময়কাল প্রায়ই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা খরচ বাড়ায়; সেইসাথে পরিবার এবং সমাজের উপর আর্থিক বোঝা গেড়ে বসে। কখনো কখনো এর কারণে মৃত্যুর আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলায় সমূহ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। অঙ্গ প্রতিস্থাপন, কেমোথেরাপি এবং সিজারিয়ানের মত অস্ত্রোপচারগুলো অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এন্টিবায়োটিকগুলো কম কার্যকর হওয়ার কারণে সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান তালিকা - যেমন নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, রক্তে বিষক্রিয়া, গনোরিয়া এবং খাদ্যজনিত রোগের চিকিৎসা করা কঠিন এবং কখনও কখনও অসম্ভব হয়ে উঠছে।
যে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি আগে থেকেই অ্যালার্জি থাকলে, সেই রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে ত্বকের ফুসকুড়ির মতো উপসর্গগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে, যাকে অ্যানাফিল্যাক্সিস বলা হয়। এই রোগে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে এবং ঠোঁট বা জিহ্বা এবং মুখ ফুলে যেতে পারে।
পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
অ্যান্টিবায়োটিক-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ পেট খারাপ বা ফুসকুড়ির মতো হালকা উপসর্গ থেকে শুরু করে মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, কিডনির আঘাত এবং লিভারের ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণ: অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধক
অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধক হল সেই অবস্থা, যখন ব্যাকটেরিয়াকে তাকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে আর ধ্বংস করা যায় না। অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং অপব্যবহারের ফলাফল-ই হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধক।
অ্যান্টিবায়োটিকগুলো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ তখনি ঘটে যখন ব্যাকটেরিয়া এই ওষুধগুলো ব্যবহারের প্রতিক্রিয়াতে আর সাড়া দিতে পারে না। আর এই সময়টি হলো যখন অ্যান্টিবায়োটিক অত্যধিক হারে ব্যবহার করা হয়।
পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
যতবারই একটি নতুন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রবর্তিত হয়, তার সাথে সাথে ঔষধের প্রতিরোধী হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিকও আসে। পেনিসিলিনের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালের এক দশকের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধকের আবির্ভাব ঘটে। অতঃপর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকে।
শেষাংশ
অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ সমগ্র জাতিকে ঠেলে দিচ্ছে এক পোস্ট-অ্যান্টিবায়োটিক যুগের দিকে, যেখানে ছোটখাটো আঘাতই মৃত্যু ঘটাতে পারে। চিকিৎসকদের অপর্যাপ্ত পেশাদার দক্ষতা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের সাথে সম্পর্কিত জটিলতাগুলোকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। প্রেসক্রিপশন বা রোগ নির্ণয় ছাড়াই শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা এবং উচ্চ কার্যকারিতা অত্যধিক ব্যবহার বিশেষ করে অপব্যবহারের দিকে পরিচালিত করছে। তাই এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের নিমিত্তে শিগগিরই অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধকের ব্যাপকতা রুখতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।
পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
পৃথিবীর আলো না দেখেই মা-বাবার সঙ্গে না ফেরার দেশে!
পৃথিবীর আলো না দেখেই মা-বাবার সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে গেলো এক অনাগত শিশু। চাঁদপুরের কচুয়ায় ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হাটমুড়া এলাকায় কচুয়া-সাচার-ঢাকা সড়কে এই দুর্ঘটনার পর পুলিশ ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করেছে ।
নিহতরা হলেন- উপজেলার সাচার ইউনিয়নের বারৈয়ারা গ্রামের ওয়াজ উদ্দিন (৩০) এবং তাঁর আটমাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী সাবিকুন নাহার (২৪)।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম খলিল ইউএনবিকে এ ঘটনা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কচুয়ার বারৈয়ারা গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে ওয়াজ উদ্দিন আট মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী সাবিকুন নাহারকে নিয়ে সাচার বাজারে একটি প্রাইভেট মেডিকেল চেকআপ করতে যান। চিকিৎসা শেষে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে হাটমুড়া এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে হঠাৎ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দম্পতি। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
সাচার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আক্কাছ মোল্লা বলেন, ‘খবর পেয়ে সাচার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়াসহ আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই। কচুয়া-সাচার-ঢাকা সড়কে দিনদিন সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে আর মানুষ মারা যাচ্ছে। এসব দুর্ঘটনা রোধে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।’
ওসি বলেন, ‘ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
আগস্টে ৪৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৯
ফুলবাড়ীতে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী আটক
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে তিন বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলায় এ ঘটনায় নজরুল নামে এক প্রতিবেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে প্রতিদিনের মতো শিশুটি প্রতিবেশি নজরুলের বাড়িতে খেলতে গেলে কৌশলে তাকে তার থাকার ঘরে নিয়ে এসে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫
শিশুটির চিৎকারে তার স্বজনেরা দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় নজরুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় তারা।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্লাস টাইমে মোবাইল গেম ও টিকটক তৈরি, ৯ শিক্ষার্থী আটক
গাজীপুরে অস্ত্র-মাদকসহ ৪ চোরাকারবারি আটক
মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে সিজান নামে দেড় মাসের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মা শান্তা খাতুন এবং মোটরসাইকেল চালক নানা আবুল কালাম।
শুক্রবার সকালে উপজেলার মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
নিহত শিশু সিজান উপজেলার ছোট শিমলা গ্রামের শিহাব হোসেনের ছেলে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, সকালে শিশুটির নানার মোটরসাইকেলে করে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন মা শান্তা খাতুন।
পথে ঝিনাইদহগামী একটি পিকআপ মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মা ও কোলে থাকা শিশুটি রাস্তার ওপর পড়ে গেলে দ্রুতগামী পিকআপটি শিশুটিকে পিষ্ট করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনাস্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত দুইজনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পিকআপ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রানির মৃত্যু: অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও দাফন
নারায়ণগঞ্জে শাওনের মৃত্যু: ডিবির এসআই কনক প্রত্যাহার
বাংলাদেশে শিশুদের জন্য সাড়ে ৫৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করবে যুক্তরাজ্য
ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেছেন, সকল শিশুর জন্য ১২ বছরের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করাই যুক্তরাজ্যের দারিদ্র্য মোকাবিলা, লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি ও সংঘাত কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়নের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে, আমরা শিশুদের; বিশেষ করে মেয়েদের ও প্রান্তিক শিশুদের শিক্ষার উন্নতির জন্য আগামী আট বছরে ৫৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত বিনিয়োগ করব।’
ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন যে খেলাধুলা একটি শিশুর শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘বর্তমানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মেয়েদের ফুটবল দলের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।’
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন
তিনি বৃহস্পতিবার মেয়েদের ফুটবল দলের জন্য একটি বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যারা শিগগিরই কাতারে অনুষ্ঠিত স্ট্রিট চাইল্ড ফুটবল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এই দলটি এমন শিশুদের নিয়ে গঠিত, যাদের সবাইকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তারা এখন ঢাকার স্থানীয় শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা (এলইইডিও) পিস হোমে বসবাস করছে।
এলইইডিও হলো ২০০০ সালে গঠিত একটি অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা। এলইইডিও এর লক্ষ্য শিক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্র ও জীবনধারা সহায়তার ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্বল পথশিশুদের রক্ষা করা এবং তাদের মূলধারার সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী এসব তরুণ অতিথিরা তাদের রাস্তায় থাকার সময়ের গল্পগুলো ভাগ করে নেন এবং অন্যান্য অসহায় শিশুদের ভবিষ্যত উন্নত করতে অতিথিদের কাছে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে রাজি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের দুই খেলোয়াড় আকলিমা খাতুন ও হালিমা আক্তারের সঙ্গে দেখা করার এবং তাদের আসন্ন বড় এই ম্যাচ সম্পর্কে পেশাদার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে তারা উচ্ছ্বসিত।
এসময় তারা তাদের ফুটবলের দক্ষতা দেখায় এবং ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে একটি ‘কিপি-আপপি’ প্রতিযোগিতার জন্য চ্যালেঞ্জ জানায়!
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম প্রমুখ।
এলইইডিও-এর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, রাস্তার বিপদ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত শিশুদের রক্ষা করার জন্য তাদের সবাইকে একসঙ্গে তাদের আওয়াজ তুলতে হবে যাতে তারা একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, ইএনসিআরসি অনুসারে সকল শিশুরই মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। ‘আমি ব্রিটিশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এলইইডিও-এর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তায় ৫ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিল যুক্তরাজ্য
ট্রলির ধাক্কায় পাঁচ বছরের শিশু নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুরে ধান বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় পাঁচ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের লালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
নিহত শিশুর নাম মোহাম্মদ আলী। সে ওই এলাকার মেরাজুল ইসলামের ছেলে।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমাস আলী সরকার জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের লালপুর এলাকায় শিশু মোহাম্মদ আলী বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে খেলা করছিল। এসময় হঠাৎ ধানবোঝাই একটি ট্রলি তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পারিবারিক কলহের জেরে খুলনায় বাবার আছাড়ে শিশু নিহত
ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে শিশু নিহত
ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ধামরাই সদর ইউনিয়নে এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম শরীফবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু আহম্মেদ (১০) ধামরাই পৌরসভার কান্দিকুল এলাকার মো. তোতা মিয়ার ছেলে এবং রাজু শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। নিহত অপর শিশু মো. রিয়াজুল ইসলাম (৮) ধামরাই সদর ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম শরীফবাগ এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং শরীফবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে বাচ্চারা খেলছিলো। পাশেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কেটে চতুর্দিকে আইল তৈরি করে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ভরাট করছিল। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে অনেক পানি জমে ছিল। সেখানে খেলা করার সময় শিশু দুটি পানিতে পড়ে যায়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাচ্চারা বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওখানে কাছে জানতে পারেন তারা বিকালে পাশেই খেলা করছিল। তখন পাশের লোকজন সেই গর্তের পানিতে নেমে শিশুদের খুঁজতে থাকেন। সেখান থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশু দুটিকে ধামরাই সরকারি হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে ধামরাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গায় ভরাট করার জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কেটে আইল তৈরি করে বালু ফেলে ভরাটের কাজ চলছে। সেখানে বাচ্চারা খেলা করতে গিয়ে পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর শুনে ঘটস্থল পরিদর্শন করে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
বল তুলতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু!
লক্ষ্মীপুরে শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, সৎ মা আটক
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চার বছরের শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির সৎ মা কহিনুর বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আহম্মদ শাহ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চর জিয়া নগর গ্রামের হাবীবুল্লাহ ছেলে। গত তিনদিন ধরে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। অভিযুক্ত কহিনুর হাবীবুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে স্বামীর বাড়ি হাজীগঞ্জ থেকে ছেলেকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে কহিনুর। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২৬ আগস্ট কহিনুর তার বাবার ঘরে শিশু আহম্মদকে হত্যা করে খাটের নিচে মাটিচাপা দিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ বলে প্রচারণা চালায়। সোমবার বিকালে শিশুটির নানার ঘরের খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে । মঙ্গলবার সকালে শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কহিনুর নামে শিশুটির সৎ মাকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে দু’দিন ধরে নিখোঁজ ৪ কিশোরী
লক্ষ্মীপুরে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাণীনগরে পৃথক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু
নওগাঁর রাণীনগরে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্টে এক যুবকের এবং দুপুরে মালশন গ্রামে জমির ডোবার পানিতে পড়ে এক বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার বিকালে পোয়াতাপাড়া গ্রামে পুকুরের পানিতে পড়ে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিদ্যুৎপৃষ্টে নিহত যুবকের নাম রনি হোসেন (২৮)। তিনি উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের খলিল রহমানের ছেলে। আর পানিতে পড়ে নিহত শিশুরা হলেন-মালশন গ্রামের মুক্তার হোসেনের এক বছর বয়সী মেয়ে আমেনা খাতুন এবং পোয়াতাপাড়া গ্রামের সবুজ প্রামাণিকের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে সুমি খাতুন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, রবিবার সকাল ৭টার দিকে যুবক রনি বাড়ির একটি কক্ষে বিদ্যুতের নষ্ট তার ঠিক করছিলেন। এ সময় বিদ্যুত তারের স্পর্শে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিন দুপুরে মালশন গ্রামের মুক্তার হোসেনের এক বছর বয়সী মেয়ে আমেনা খাতুনকে নিয়ে তার এক চাচাতো বোন বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় ওই বোন বাড়ির ভিতরে গেলে শিশু আমেনা হামাগুড়ি দিতে দিতে জমির ডোবার পানিতে পড়ে মারা যায়। পরে পরিবারের লোকজন ডোবার পানি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে শনিবার বিকালে শিশু সুমি ও তার এক চাচাতো বোন বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলাধূলা করছিলেন। এ সময় শিশু সুমি খেলনাপাতি ও হাত-পা ধুতে গিয়ে পা পিছলে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায়।
পৃথক তিনটি দুর্ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত
নুডলস খেতে গিয়ে শিশুর গলায় আটকে গেল সেফটিপিন!
নাটোরের লালপুর উপজেলার বড় বাড্ডা এলাকায় মায়ের হাতে নুডলস খেতে গিয়ে তিন বছরের শিশু জিদনীর গলায় আস্ত একটা সেফটিপিন আটকে গেছে।
শুক্রবার সকালে শিশুর বাবা শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে জিদনীকে নুডলস খাওয়ান মা জুলেখা বেগম। ওই সময় নুডুলসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি সেফটিপিন জিদনীর গলায় আটকে যায়। তৎক্ষণাত সে বমি করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই রাতেই বাঘার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
জিদনীর মা জানান, নুডলস খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গলায় কি যেন আটকে যায়। সে তৎক্ষণাত বমি করতে শুরু করলে রাতেই বাঘার ক্লিনিক থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং অপারেশনের মাধ্যমে সেফটিপিন বের করা হয়। রামেকের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করানো হয়। এখন স্যালাইন চলছে। তবে চিকিৎসক বলেছেন আর কোনো সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার