শিশু
সিরাজগঞ্জে ৭ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ সদরে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের থেকে সাত বছরে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মহিষাহাটা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু মাহমুদা একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে শিশু মাহমুদা নিখোঁজ হয়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন শুক্রবার সকালে পুকুরের হাঁটু পানিতে তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ বিকালে হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরির করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্রোতে ভেসে যাওয়া ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, শিশু মাহমুদার দুটি হাতই ভাঙা ও নাকে রক্ত দেখা গেছে। তাকে কেউ ধর্ষণের পর হত্যা করেছে কিনা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
করোনার কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি আনুমানিক ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত শুক্রবারের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও হুপিং কাশি (ডিটিপি৩) এর বিরুদ্ধে তিনটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে এমন শিশুদের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৫ শতাংশ কমে ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
ফলস্বরূপ, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই ২৫ মিলিয়ন শিশু ডিটিপির নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির এক বা একাধিক ডোজ মিস করেছে।
২০২১ সালে টিকা মিস করা শিশুর সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় ২ মিলিয়ন বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৬ মিলিয়ন বেশি।
এই টিকাগ্রহণ ব্যাহত হওয়ার কারণ হলো- যুদ্ধাবস্থায় বসবাসকারী শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভঙ্গুর সামাজিক কাঠামো। কেননা এর ফলে টিকাদান কর্মসূচি প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
এছাড়া ভুল তথ্য, কোভিড-১৯ এর কারণে পরিষেবা ও সরবরাহ শৃঙ্খল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, টিকার স্বল্পতা এবং অসম স্বাস্থ্য সুবিধাপ্রাপ্তি ইত্যাদিও প্রভাব রেখেছে।
আরও পড়ুন: কাউকে পেছনে না ফেলে ন্যায়সঙ্গত ও বর্ধনশীল কর্মী তৈরির আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘এটি শিশু স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিপদ সঙ্কেত। আমরা একটি প্রজন্মকে শৈশবকালীন টিকাদানে সবচেয়ে বেশি ঘাটতির শিকার হতে দেখছি। এর পরিণতি জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন,‘যদিও গত বছর কোভিড-১৯ মহামারি ও লকডাউনের ফলে মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর টিকাগ্রহণের পরিমাণ প্রত্যাশিত ছিল, তবে বর্তমানে তা হ্রাস পেয়েছে।’
বছরে ২৫ মিলিয়ন শিশুর মধ্যে ১৮ মিলিয়ন পর্যন্ত ডিটিপি টিকার একটি ডোজও পায়নি। এসব শিশুদের বেশিরভাগই ভারত, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন এবং অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বাস করে।
২০১৯ ও ২০২১ সালের মধ্যে একটিও টিকা না পাওয়া শিশুদের সংখ্যা আপেক্ষিকভাবে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার ও মোজাম্বিক রয়েছে।
ডব্লুউএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, ‘হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো ঘাতক রোগের টিকা দেয়ার সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকাদানের পরিকল্পনা ও সমন্বয় করা উচিত।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় বহুমুখী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে: জাতিসংঘ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিপুল সংখ্যক শিশুর অপুষ্টি ঝুঁকি বাড়িয়েছে: জাতিসংঘ
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হাটহাজারী থানার চৌধুরীহাট শিকদার পাড়ার আলী খান চৌকিদার বাড়ির পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো- ওই এলাকার মো. ইকবালের মেয়ে ইসরাত জাহান (৭) ও ফাতেয়াবাদ এলাকার সন্দ্বীপ কলোনির মো. রাসেলের মেয়ে সুবর্ণা (৭)।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, হাটহাজারীতে পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই শিশু পানিতে ডুবে যায়। পুকুরে খোঁজাখুঁজি করার পরও তাদের পাওয়া যায়নি। পরে জাল দিয়ে গভীর পানি থেকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু
মহানন্দায় ডুবে কিশোরের মৃত্যু
বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটের মোংলায় পুকুরে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাববুনিয়া এলাকার তেলিখালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-একই গ্রামের দেলোয়ার শেখের ছেলে মো. জীম (৫) এবং লাভলু শেখের মেয়ে বৃষ্টি (৪)।
আরও পড়ুন: মহানন্দায় ডুবে কিশোরের মৃত্যু
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল থেকে জীম ও বৃষ্টি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু দুটির লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
বিশেষ শিশুদের জন্য সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী (এনডিডি) বিশেষ শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়তার জন্য শিক্ষার সমন্বিত পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশের জন্য সমন্বিত শিক্ষার পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিসঅ্যাবিলিটিস (এনএএএনডি) কমপ্লেক্স’-এর স্থাপত্য নকশা প্রত্যক্ষ করার সময় এসব কথা বলেন।
অটিজম ও এনডিডি শিশুদের ন্যায্য ও সমান শিক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, অটিজম ও এনডিডি আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
তিনি শহরগুলোতে যে কোনও নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণে ক্রস ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি অটিজম ও এনডিডি শিশুদের জন্য বিদ্যমান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ আপগ্রেড করার পাশাপাশি নতুন প্রশিক্ষক ও শিক্ষক তৈরির ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী সূর্যের আলো ব্যবহার করা, খোলা বাতাস বা অক্সিজেনের ব্যবহার নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় জলাধার সংরক্ষণ, উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ও এনএএএনডি কমপ্লেক্স ডিজাইন করার জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গার আহ্বান জানান।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের প্রথম বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে খোলামেলা পরিবেশে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
ঈদ আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু থাকে শিশুরা। শৈশব-কৈশোর পার করে আসার মানুষেরা এই শিশুদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখেই নিজেদের মধ্যে সুপ্ত চঞ্চলতাটা টের পান। ফিরে যান আবার নিজেদের সেই শৈশবে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের ঈদের দিনগুলো কাটানোর জন্য প্রধান পছন্দ থাকে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। ঘুরতে যাবার আগের দিন এমন পরিবারের অভিভাবকদের সাথে সাথে শিশুদের অস্থিরতাটাও বেশ দেখার মত হয়। ঘুরতে যাবার আগে মনের ভেতর সেই জায়গাটির ছবি আঁকতে শুরু করে। আর বাবা-মার দিকে সেই জায়গাগুলো নিয়ে ছুড়ে দেয় হাজারো প্রশ্ন। ঈদের দিনগুলো উদযাপনের জন্য ঢাকার ভেতরেই দারুণ কিছু জায়গার তথ্য থাকছে আজকের নিবন্ধে।
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে বেড়ানোর মত ১০টি মনোরম জায়গা
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই বিমান বাহিনী জাদুঘরটি। জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার এবং রাডারে পূর্ণ বিশাল খোলা চত্বরের এই জায়গাটি বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী জাদুঘর। এগুলোর মধ্যে তিনটি বিমান ভারতী বিমান বাহিনীর, যেগুলো তারা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করেছিলো। পরবর্তীতে বিমান তিনটি বাংলাদেশকে উপহার দেয়া হয়।
শিশুরা দুয়েকটি বিমান ও হেলিকপ্টারে চড়তে পারে। এছাড়া তাদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড এবং লেকে নৌকা ভ্রমণ। চত্বরের আশপাশ জুড়ে আছে স্যুভেনির শপ নীলাদ্রি, একটি ফুড কোর্ট, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি, নান্দনিক ফোয়ারা ও থিম পার্ক। জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। তবে সামরিক বাহিনীর পরিবারের জন্য তা ২৫ টাকা।
পড়ুন: ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
হাতিরঝিল
দিগন্তের দৃশ্য দেখতে বাধা দেয়ার জন্য হাতিরঝিলের চারপাশে ঘেরাও করা কোন দৈত্যাকার অট্টালিকা নেই। লেকের পাশ দিয়ে পায়ে চলা রাস্তা থেকে খুব সহজেই সেই দিগন্ত এবং লেকের পানিতে আকাশের প্রতিবিম্ব উপভোগ করা যায়। এটি মুলত ঢাকার মগবাজার থেকে গুলশান-বাড্ডার যাওয়ার পথ, তাই এখানে নেই কোন প্রবেশদ্বার বা বের হওয়ার গেট।
দিন-রাত পুরোটা সময়েই দর্শনার্থীরা বিনামূল্যেই ঘুরতে পারেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের ব্রিজের নিচ থেকে রঙ-বেরঙের আলো পুরো হাতিরঝিলের রূপ যেন আরো বাড়িয়ে দেয়। হাতিরঝিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যাওয়ার জন্য স্থলপথে আছে চক্রাকার ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস। আর লেকের পানিপথ পেরোবার জন্য আছে ওয়াটার ট্যাক্সি।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
ঢাকার বাইরে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও যে ভ্রমণপিপাসুরাই রাজধানী ঘুরতে আসেন, তারা মিরপুরের চিড়িয়াখানা দেখতে ভোলেন না। তাদের মুল আকর্ষণ থাকে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা। কিন্তু প্রায় ৭৫ হেক্টর আয়তনের এই দর্শণীয় জায়গাটিতে ১৯১ প্রজাতির ২১৫০টি দেশ-বিদেশের প্রাণীদের আশ্রয়স্থল।
পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
শিশুরা এখানে দেখতে পারে সিংহ, চিত্রা হরিণ, বানর, ভালুক, নীলগাই, গন্ডার, ফ্লেমিংগো, কুমির, জলহস্তি, জেব্রা, কানাবক, এবং অজগর সাপ সহ নানা ধরনের প্রাণী। আর প্রায় ২৪০ প্রজাতির স্টাফিং পশুপাখি নিয়ে আছে প্রাণী জাদুঘর। চিড়িয়াখানার ভেতরে আছে ১৩ হেক্টর আয়তনের দুইটি লেক। চিড়িয়াখানায় প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। প্রাণী জাদুঘরের জন্য দিতে হয় ১০ টাকা। তবে দুই বছরের নিচে শিশুদের জন্য জন্যে কোন টিকেট লাগে না।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
মিরপুরের চিড়িয়াখানা দেখতে গেলে হাতে আরো একটু বেশি সময় নিয়ে যাওয়া ভালো। কারণ পাশেই আছে বাংলাদেশের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন। এর প্রায় ২০৮ একর জায়গা বুকে ধারণ করে আছে প্রায় ৮০০ প্রজাতির নানান ধরনের বৃক্ষ।
এখানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু ২০ টাকা দিতে হয় আর শিশুদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা। চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘোরার ক্ষেত্রে যেটা খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে সন্ধ্যার বেশ কিছু সময় আগেই এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে। কেননা এ দুটি জায়গা গরমের সময় বিকেল পাঁচটা আর শীতের সময় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
চন্দ্রিমা উদ্যান
শিশুদের নিয়ে খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য চন্দ্রিমা উদ্যান সেরা জায়গা। লেকের দু’ধারে সিড়ি ও বসার জায়গা এবং উপর দিয়ে নজরকাড়া সেতু উদ্যানটির প্রবেশপথকে মনোরম করে তুলেছে। সেতুতে দাড়িয়ে দু’পাশের লেক থেকে ফোয়ার দেখার আকর্ষণেই মুলত দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এখানে।
এর ভেতরের বিশাল ঘাসে বিছানো জায়গাটিতে নির্দ্বিধায় শিশুদেরকে ছেড়ে দেয়া যায় আপন মনে খেলা করার জন্য। এর প্রায় ৭৪ একর জায়গার ভেতরে সেতু পেরলেই দেখা যাবে মরহুম জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স। চন্দ্রিমা উদ্যানের ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত জাতীয় সংসদ। এখানে আসার আগে বিজয় সরণী এলাকায় অতিক্রমের সময় এক পাশে চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটার।
ধানমন্ডি লেক
ঢাকার ছড়ানো-ছিটানো লেকগুলোর মধ্যে ধানমন্ডি লেক সবচেয়ে বেশি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এই বেশি বলতে কিন্তু একপার থেকে অন্য পাড়ের দূরত্ব অনেক বেশি তা নয়। পুরো ধানমন্ডি এলাকাটার আশপাশ দিয়ে সংকীর্ণ পানিপথ তৈরি করে বয়ে গেছে লেকটি। এই দর্শনীয় স্থানটিতে প্রবেশের সাথে সাথেই পুরো ধূসর পরিবেশটা যেন আচমকা পরিণত হয় সবুজের সমারোহে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
এখানে বেশ পরিপাটি করে বিছানো হয়েছে হাঁটার রাস্তা, তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যায়ামের স্থান, বসার বেঞ্চ, ফাষ্টফুড শপ ও রেস্টুরেন্ট। নির্দিষ্ট ফি দিয়ে লেকে মাছ ধরা আর বোটে চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। তাছাড়া এটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রবীন্দ্র সরোবর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসস্থানের জন্য বেশ নামকড়া।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
মাঝে ছোট্ট একটি লেক নিয়ে বিস্তৃত মাঠের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যে কোন এক বিকেল কাটানোর জন্য দারুণ এক জায়গা। ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত এই উদ্যানটির পূর্ব নাম রমনা রেসকোর্স ময়দান। ঘোড়দৌড় খেলার জন্য জায়গাটি বেশ জনপ্রিয় ছিলো।
এখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ৭ মার্চের সেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এখানেই ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এখানকার নান্দ্যনিক স্থাপনা স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং শিখা চিরন্তন এখনো তার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে। হাতে একটু বেশি সময় নিয়ে শিশুদের ঘুরিয়ে আনতে পারেন তিন নেতার মাজার আর কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি।
পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
রমনা পার্ক
ঢাকা নগরীর সব বয়সের অধিবাসীদের ঘোরাঘোরির জন্য সাধারণ পছন্দ হলো রমনা পার্ক। একসাথে এত জায়গা জুড়ে সুনিবিড় ছায়া ঘেরা পরিবেশ ঢাকার আর কোথাও নেই। প্রায় ৬৮.৫০ একরের এই পার্কটির দুর্লভ প্রজাতির গাছ-গাছালির ভিড়ে অপরূপ লেকটি সরবে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়।
প্রতি বছর এর বটমূল নামক জায়গাটিতে ছায়ানটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ভোরে আলো ফুটার আগ থেকেই শরীর চর্চার ধুম পড়ে যায় পার্কটিতে। পাশাপাশি হওয়ায় আরো কিছু সময় নিয়ে এই পার্কের সাথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও ঘুরে নিতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এই স্থানদুটিতে ঘোরার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়সূচী নেই এবং কোন ফি দিতে হয় না।
জিন্দা পার্ক
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বের জিন্দা পার্ককে খুব বেশি দূরে বলা যায় না। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক ধরে গেলে সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাওয়া যায় আদর্শ গ্রাম নামে খ্যাত এই দর্শনীয় স্থানটিতে। এটি পড়েছে মুলত নারায়ণগঞ্জ জেলার দাউদপুর ইউনিয়নে। এর প্রায় ১৫০ একর এলাকার জুড়ে আছে ২৫০ প্রজাতির দশ হাজারেরও বেশী গাছপালা এবং ৫ টি জলাধার। এর সুন্দর ভাবে গড়া গাছের উপর টং ঘর, পুকুরের উপর সাঁকো, মাটির ঘর, বড় সান বাধানো পুকুর, লাইব্রেরি দেখলে নিমেষেই মন ভরে যায়।
পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ঢাকা নগরবাসীর ডে-আউটের জন্য সেরা জায়গা হতে পারে জিন্দা পার্ক। জিন্দা পার্কে ঢোকার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হয়। বাচ্চাদের জন্যে এই টিকেট ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা। লাইব্রেরিতে ঢুকতে হলে ১০ টাকা খরচ করতে হয়। যারা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাবেন তাদের ৫০ থেকে ১০০ টাকা পার্কিং ভাড়ার কথা মাথায় রাখতে হবে।
লা রিভারিয়া রিসোর্ট এন্ড পার্ক
যারা রিসোর্ট পছন্দ করেন তাদের জন্য ঢাকার অদূরেই এই দৃষ্টিনন্দন জায়গাটি সেরা পছন্দ হতে পারে। যারা ঢাকার ভেতরে নদীর হাওয়া পেতে চান তাদের চাহিদাও মেটাবে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেসে গড়া এই রিসোর্টটি। কাঞ্চন ব্রীজ দিয়ে মায়ার বাড়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে কাছেই এই রিসোর্টটিতে পৌছে বড়জোর আড়াই ঘন্টা লাগতে পারে।
এই দারুণ অবকাঠামোরটির অবস্থান মুলত নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ-এ। কোন প্যাকেজ বুকিং ছাড়া শুধুমাত্র ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে রিসোর্টটি ঘুরে দেখা যাবে। এখানে সকাল ১০ থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত ডে-লং প্যাকেজের জন্য জনপ্রতি ২,৫০০ টাকা খরচ করতে হয়। এর মধ্যে পাওয়া যাবে কটেজে থাকা, দুপুরের খাবার এবং সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সুবিধা।
পড়ুন: সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান: অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নগরী
পরিশিষ্ট
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে ঘোরার জন্য এই জায়গাগুলো কেবল খোলামেলাই নয়, বেশ নিরাপদও বটে। তাছাড়া উন্মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানো শুধু মন নয়, দেহের জন্যও উপকারি। দৈহিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে শিশুদের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা জরুরি। ভ্রমণের সময় শিশুদের এই দর্শনীয় স্থানগুলোর তাৎপর্যের পাশাপাশি এই জায়গাগুলোকে যে যত্ন করা আমাদেরই দায়িত্ব তা বুঝাতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ও ফুল ছেড়া সহ স্থানীয় সম্পদের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিশুদেরকে অভ্যস্ত করে তোলা প্রত্যেক অভিভাবকদের দায়িত্ব।
শিশু গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান আইন প্রণেতা ও অধিকার কর্মীদের
এক সংলাপে সংসদ সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা গৃহকর্মী শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) নামক একটি অলাভজনক সংগঠন পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব মিলনায়তনে ‘গৃহকর্মী শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা: আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপে বক্তারা বলেন, সরকারের একার পক্ষে শিশুশ্রম বন্ধ করা বা গৃহকর্মী শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বিষয়টি মোকাবিলায় সকল সুবিধাভোগীদের এগিয়ে আসা উচিত।
বক্তারা বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা দূর করতে গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫-এর পরামর্শে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার ২০১৫ সালে গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করলেও গৃহকর্মীরা এখনও পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। ফলে গৃহকর্মীরা দমন-পীড়নের পরও ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান শামসুল হক টুকু বলেন, সরকার গৃহকর্মীর অধিকার রক্ষায় একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অধিকার রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের অধিকার রক্ষায় শিশুবান্ধব আইন ও নীতিমালার সংশোধন আনেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ২০২১ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ চুক্তি বেড়েছে
টুকু আরও বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। শিশুদের অধিকার রক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠনের প্রস্তাবও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন একটি আইন প্রণয়ন করা এবং শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা সময়ের ব্যাপার।’
সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য রেজাউল করিম, সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।
এএসডির প্রকল্প পরিচালক হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক লাবণ্য আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম, শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুস শহীদ মাহমুদ, ডন ফোরামের মাহবুবুল হক, আইএলও প্রতিনিধি সৈয়দা মুনিরা সুলতানা, সুন্দরবন ও উপকূল রক্ষা আন্দোলনের নিখিল চন্দ্র ভদ্র এবং স্ক্যানের মনিরুজ্জামান মুকুল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, গৃহকর্তী আটক
উলিপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে সুমাইয়া নামের সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া পাশ্ববর্তী দলদলিয়া ইউনিয়নের উত্তর দলদলিয়া বামন পাড়া গ্রামের সাইদী মিয়ার কন্যা।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশু সুমাইয়া খাতুন মায়ের সঙ্গে থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার গ্রামের নানা মশিউর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর সবার অগোচরে শিশুটি বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ডোবা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বন্যার পানিতে ডুবে সিলেটে কিশোরের মৃত্যু
বিয়ানীবাজারে বন্যার পানিতে ডুবে ব্যক্তির মৃত্যু
বোয়ালখালীতে ডাকাত দলের হামলায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় ডাকাতদের হামলায় নারী ও শিশুসহ ১০জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সারোয়াতলী মজু ভান্ডার এলাকায় নুরু ছাফার বসত ঘরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটির সদস্যরা জানান, নুরুচ্ছফার দোতলা বাড়ির পেছনের লোহার গ্রিলের তালা ভেঙে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে আগ্নেোস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। ডাকাতদল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে ভবনের প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। এসময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন- শাহনাজ (৩৮), আনোয়ার ছাফা (৫৪), আফরিন সুলতানা (১৭), হাবিবুল বাশার (১৩), ফরিদা বেগম (৩৩), আহমদ ছাফা (৫২), তাহের ইসলাম (১৮), ওবাইদুল আকবর তারেক (২৪), নুর মহল বেগম (৪০) ও নুরু ছাফা (৫৬)।
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুদের করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমরা শিশুদের টিকা প্রয়োগে অনুমোদন পেয়েছি। এমনকি সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৫-১২ বছরের শিশুদের জন্মনিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’- শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও আমরা এখনো শিশুদের টিকা দিতে পারিনি। প্রথম কারণ হলো শিশুদের টিকায় এতদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছিলো না। এখন অনুমোদন পেয়েছি, তাই অতি দ্রুতই আমরা এই কার্যক্রম শুরু করব।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের টিকা বড়দের টিকার চেয়ে একটু আলাদা। আমাদের কাছে এতদিন শিশুদের জন্য আলাদা এই টিকা টিকা ছিল না। এখন আমাদের হাতে শিশুদের জন্য উপযোগী টিকা চলে এসেছে। যেসব শিশুরা এখনো নিবন্ধন করেনি, তারা যেন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত নিবন্ধন করে নেয়।অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় দেড় কোটির মত শিশু রয়েছে। সেই হিসেবে শিশুর সংখ্যা কিন্তু অনেক। তাদের টিকা দিতে আমাদের সময় লাগবে। তাই আপনারা দ্রুত শিশুদের টিকার নিবন্ধন করিয়ে নিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক শাহীন আখতার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু।
আরও পড়ুন: ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে স্কুলগামী শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার