শিশু
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুদের করোনা টিকা দেয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমরা শিশুদের টিকা প্রয়োগে অনুমোদন পেয়েছি। এমনকি সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৫-১২ বছরের শিশুদের জন্মনিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’- শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও আমরা এখনো শিশুদের টিকা দিতে পারিনি। প্রথম কারণ হলো শিশুদের টিকায় এতদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছিলো না। এখন অনুমোদন পেয়েছি, তাই অতি দ্রুতই আমরা এই কার্যক্রম শুরু করব।
আরও পড়ুন: জুনে ৫-১২ বছরের শিশুদের টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের টিকা বড়দের টিকার চেয়ে একটু আলাদা। আমাদের কাছে এতদিন শিশুদের জন্য আলাদা এই টিকা টিকা ছিল না। এখন আমাদের হাতে শিশুদের জন্য উপযোগী টিকা চলে এসেছে। যেসব শিশুরা এখনো নিবন্ধন করেনি, তারা যেন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত নিবন্ধন করে নেয়।অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় দেড় কোটির মত শিশু রয়েছে। সেই হিসেবে শিশুর সংখ্যা কিন্তু অনেক। তাদের টিকা দিতে আমাদের সময় লাগবে। তাই আপনারা দ্রুত শিশুদের টিকার নিবন্ধন করিয়ে নিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক শাহীন আখতার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু।
আরও পড়ুন: ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে স্কুলগামী শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু
৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ফাইজার
ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় সাত বছরের শিশুকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরে রবিবার পুলিশ শিশু নির্যাতনের দায়ে দাদিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সোমবার বিকালে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত শিশু তানিশার বাবা মো. হারুন হাওলাদার এবং মা মনোয়ারা বেগম। প্রায় ছয় বছর আগে তানিশার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন। মা মনোয়ারা বেগমেরও অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। সেই থেকে তানিশা তার নানার বাড়িতে বসবাস করত। সম্প্রতি তানিশাকে তার দাদার বাড়িতে আনা হয়। গত ২৩ জুন সকালে উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের বড়পাতা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে একটি মোবাইল ফোন হারায়। ওই ফোন তানিশা চুরি করেছে এমন অভিযোগ তুলে দাদি সোনিয়া বেগম তানিশাকে অমানবিক নির্যাতন করেন। স্থানীয় এক কিশোর মোবাইল ফোনে নির্যাতনের একটি ভিডিও করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী নির্যাতন মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অনুদান
দুঃস্থ নারী ও শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা সহায়তা ও সাধারণ আর্থিক অনুদান হিসেবে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল বোর্ড থেকে এক হাজার ৮৩৬ জনের মধ্যে এই অনুদান বিতরণ করা হয়।সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা’র সভাপতিত্ব্বে নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভায় এ অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এর ফলে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৪ লাখ পদ খালি: ফরহাদ
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ডও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানে সৃষ্ট। যার মাধ্যমে আমরা দুঃস্থ নারী ও শিশুদের শিক্ষা এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছি।নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ডা. আ. এ. মো. মহিউদ্দিন ওসমানী, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হোসনে আরা জুলি, ওয়াহিদা বানু, আব্দুল মতিন ভূইয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়
হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পশ্চিম কৃষ্টপুর গ্রামে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আকাশ (৬) ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির পরিবারের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিশু আকাশ মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে সমবসয়ী শিশুদের সঙ্গে খেলা করতে গিয়ে বাড়ির পাশে কুশলাই খালে বন্যার পানিতে গোসল করতে নামে।একপর্যায়ে বন্যার পানিতে সে ডুবে গেলে অন্য শিশুরা এসে বাড়িতে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: শিশু কন্যাকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মায়ের মৃত্যু
রেকর্ড ১০৩.৫ মিলিয়ন ডলারে রুশ সাংবাদিকের নোবেল পদক বিক্রি
ইউক্রেন যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সহায়তা জন্য নিলামে তোলা রাশিয়ান সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভের নোবেল শান্তি পুরস্কার রেকর্ড ১০৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। নোবেল পদকের ইতিহাসে নিলামে তোলা সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড এটি।
হেরিটেজ অকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান নিলামটি পরিচালনা করে। তবে প্রতিষ্ঠানটি নিলামে বিজয়ী দরদাতা কে ছিল তা প্রকাশ করেনি।
প্রায় ৩ সপ্তাহের নিলামে বিড করার পর মুরাতভ বিশ্ব শরণার্থী দিবসে (২০ জুন) এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমি আশা করেছিলাম বিপুল পরিমাণে এটি বিক্রি হবে, তবে এটি এত বিশাল পরিমাণ হবে তা আশা করিনি।’
গত বছরের অক্টোবরে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হন দিমিত্রি মুরাতভ। তখন তিনি রাশিয়ান স্বাধীন সংবাদপত্র নোভায়া গাজেটার প্রধান সম্পাদক ছিলেন। পরে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের ওপর ক্রেমলিনের বাধা এবং জনগণের অসন্তোষের মধ্যে মার্চ মাসে প্রকাশনাটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
মুরাতভ ইতোমধ্যে নগদ পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করছেন।
নিলামে প্রাপ্ত অর্থ ইউনিসেফের মাধ্যমে সরাসরি ইউক্রেনের অসহায় শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
পড়ুন: ইউক্রেনের শিশুদের জন্য নিলামে রুশ সাংবাদিকের নোবেল পদক
ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সারা দুতার্তে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারের মহেশখালীতে রবিবার রাত ৯টার দিকে অতি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রবিউল হোসেন (৫) উপজেলার কালারমারছড়ার গোরা পুছুনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজার পর রাত ৯টার দিকে স্থানীয় এক শিশুর দেখিয়ে দেয়া স্থানে পাহাড় ধসের মাটি সরিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জানান, ধসে পড়া পাহাড়ের মাটির নিচ থেকে একটি শিশু মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পড়ুন: কক্সবাজার পাহাড়ে ১২ হাজার পরিবারের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস
জামালপুরে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের নয়াগ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত মিথিলা আক্তার বৃষ্টি (১২) চর ডাকাতিয়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের মেয়ে এবং আসমানি আক্তার আসমা (১১) একই এলাকার আছর উদ্দিনের মেয়ে।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের খাল পার হয়ে ছাগলের জন্য পাট পাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে শিশু বৃষ্টি ও আসমা খালের পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে খালের পানিতে তাদের লাশ ভাসতে দেখে স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
যশোরে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ১৬ মাসের শিশুর কামড়ে বাচ্চা সাপের মৃত্যু!
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর কামড়ে একটি সাপের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক জান্নাতুল ফেরদৌস নামে শিশুটির পরিবার ক্ষতবিক্ষত সাপটিসহ শিশুটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিন ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, সাপটি কোন প্রজাতির তা শনাক্ত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: হাতীবান্ধায় ধানখেত থেকে অজগর সাপ উদ্ধার
হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, শিশুটিকে প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের রাখা হয়েছিল। সাপটি শিশুকে দংশন করলে বিষক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া দেখা যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় শিশুটি বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, শিশুটি সাপের শ্বাসনালীতে কামড় দিয়েছিল। এ কারণেই মৃত্যু হয়েছে। সাপটি কোন প্রজাতির তা শনাক্ত করা যায়নি। তবে বিষধর সাপের বাচ্চা ছিল।
শিশুটির মা বলেন, জান্নাতুল সকালে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ঘরে খেলছিল। খেলার সময় জান্নাতুল খাটের নিচে চলে যায় এবং কিছুক্ষণ পর তার হাতে ক্ষত-বিক্ষত সাপের বাচ্চাটিকে পাই। সৌভাগ্যবশত সেটি আমার মেয়েকে কামড় দেয়নি এবং তার কিছু হয়নি।
ভেজাল প্যারাসিটামলে মৃত্যু: ১০৪ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ভেজাল প্যারাসিটামল খেয়ে প্রাণ হারানো ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ, অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট শাহিন আরা লায়লী। অন্যদিকে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত ভেজাল প্যারাসিটাল সিরাপ সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যায়। এরপর ২০০৯ সালে রীড ফার্মার প্যারাসিটামল খেয়ে মারা যায় ২৮ শিশু। ভেজাল ওষুধ খেয়ে শিশুদের মৃত্যুর পর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১০ সালে হাইকোর্টে রিট করে। আজ (বৃহস্পতিবার) ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
পড়ুন: বোরকা পরায় শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
রায়ের পর মনজিল মোরসেদ জানান, এ ঘটনায় ২০১০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করে। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। এরপর রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, রায়ে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবনে মৃত্যুর ঘটনায় ১০৪ শিশুর প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ ঘোষণা, ভেজাল ওষুধের অপরাধের ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি আদালত বলেছে, ভেজাল ওষুধের কারণে শিশু মৃত্যুর দায় ওষুধ প্রশাসন অধিপ্তর এড়াতে পারে না।
২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করে সারাদেশে ২৮ শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকার ড্রাগ আদালতে কোম্পানিটির মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচার শেষে এ মামলায় সবাইকে খালাস দেন আদালত।
এদিকে ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কিডনি অকেজো হয়ে ৭৬ শিশুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি সে সময় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় প্যারাসিটামল সিরাপ নিয়ে অভিযোগ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা জানান, ভেজাল প্যারাসিটামল খেয়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে তদন্ত ও ল্যাব পরীক্ষায় ধরা পড়ে, পলিক্যাম ল্যাবরেটরিজসহ পাঁচ কোম্পানির তৈরি প্যারাসিটামল সিরাপে বিষাক্ত পদার্থ ডাই-ইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি।
এরপর ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে পলিক্যামের পরিচালক আবদুর রবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। কিন্তু আসামিরা হাইকোর্টে গেলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৬ বছর পর আবদুর রবকে এক বছরের সাজা দেন আদালত।
পড়ুন: পলাতক আসামির মামলা শুনে ভুল করেছেন হাইকোর্ট
দুই শিশুকে বিদেশে নিতে জাপানি মায়ের আবেদন খারিজ
দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপলি বিভাগের ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এদিকে, একই বেঞ্চ দুই শিশুর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে জাপানি মা নাকানো এরিকোর করা আদালত অবমাননার অভিযোগও খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করা নিয়ে জাপানি স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর পাল্টা দালত অবমাননার অভিযোগও আমলে নেননি আদালত।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে আগামী ২ দিন জাপানি মায়ের জিম্মায় দিতে নির্দেশ
গত ১৭ মে জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে বিদেশে বেড়ানোর জন্য আদালতের অনুমতি নিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকোর আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
আবেদনে বলা হয়, দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো বাংলাদেশে অনেক দিন কাটিয়েছেন। তারা অবকাশ কাটাতে দেশের বাইরে বেড়ানোর জন্য যেতে চান। সেটা জাপানও হতে পারে। একই সঙ্গে দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসরণ না করার অভিযোগ তুলে শিশুদের বাবা বাংলাদেশি নাগরিক ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে আবেদন করেন মা নাকানো এরিকো। এর পরেই আবার বাবা ইমএরান শরীপও বাচ্চাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দিতে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ তুলে পাল্টা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সবগুলো আবেদনি বৃহস্পতিবার খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: দুই সন্তান জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাপানি বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি দুই কন্যাশিশু আপাতত তাদের মা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর হেফাজতেই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
ওই আদেশে বলা হয়, শিশু দুটির বিষয়ে ঢাকার পারিবারিক (সহকারি জজ) আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা মায়ের কাছেই থাকবে। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে পারিবারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের আদেশে গত বছর ১২ ডিসেম্বর থেকে মায়ের হেফাজতেই রয়েছে শিশু দুটি। তবে, তাদের বাবা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
গত বছর ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের হেফাজতে থাকবে বলে রায় দেন। এতে বলা হয়, যেহেতু মা জাপানি নাগরিক, সেখানে থাকেন এবং কাজ করেন, তাই তিনি নিজের সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশে এসে বছরে তিন বার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের কাছে থাকবে দুই শিশু, পারিবারিক আদালতে নিষ্পত্তির নির্দেশ
হাইকোর্ট বিভাগের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মা। এ আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গত বছর ১২ ডিসেম্বর মায়ের কাছে শিশু দুটিকে দিতে তাদের বাবাকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।