মৃত্যুদণ্ড
মাকে ৫ টুকরো করে হত্যা: সুবর্ণচরে ছেলেসহ ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মাকে পাঁচ টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ছেলেসহ সাত আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের নূরজাহান বেগম (৫৮) এর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলো- ওই ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের আবদুল বারেক, নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২), একই গ্রামের মিলন মাঝির ছেলে নিরব (২৬), নূর আলমের ছেলে কসাই নূর ইসলাম (৩২), দুলাল মাঝির ছেলে কালাম ওরফে মামুন (২৮), মমিন উল্যার ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫), হারুনের ছেলে মিলাদ হোসেন সুমন (২৮) এবং মারফত উল্যার ছেলে হামিদ (৩৫)।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যার ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় একটি মামলা করে। মামলার সূত্র ধরে পুলিশী তদন্তে হত্যার সঙ্গে সন্তানের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। একইসঙ্গে তার ৬ সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে ৭ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় ২৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একইসঙ্গে আটক নিহতের ছেলের বন্ধু নিরব ও নূর ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি, বালিশ, কোদাল ও নিহতের ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বুধবার বিকালে উপজেলার চর জব্বর ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের একটি বিল থেকে নূরজাহানের পাঁচটি খন্ডিত অংশের একটি অংশ উদ্ধার করে। পরে, পুলিশ নিহতের শরীরের আরও চারটি খন্ডিত অংশ উদ্ধার করে।
এর আগে, জমি বিরোধ নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর ৬ অক্টোবর রাতে খাওয়ার পর নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন নূরজাহান। রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে কোন এক সময় হুমায়ুন কবির তার ৬ সহযোগীকে নিয়ে ঘুমন্ত নূরজাহানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিহতের লাশকে পাশ্ববর্তী একটি ধানখেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা আলাদাসহ পাঁচ টুকরা করে খন্ডিত অংশ ধানখেত ও বিলের মধ্যে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় মামলা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হুমায়ুন কবিরকে আটক করে। পরে, জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন হয়েছে প্রমাণ হয় এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তার ছয় সহযোগীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢামেকে ৭০ বছর বয়সী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
রবিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া আসামির নাম শুক্কুর আলী। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার লালনগর গ্রামের খায়ের উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির ‘আত্মহত্যা’
তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, শুকুর আলীর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা ছিল। ওই মামলায় কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট তাকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
গত ১৯ ডিসেম্বর শুকুর আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ওই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করেন। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেল কোড অনুসারে রবিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসি কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজয়ান আহামেদ, সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
ফেনীতে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ, ৩ জনের ফাঁসি
জিয়ার আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার বিচার নিশ্চিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ চান
জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। তারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' এর ব্যানারে সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেন।
বুধবার সকালে ঢাকার শাহীনবাগে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের ডাক'-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের বাসায় গেলে তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি এ আহ্বান জানান।
সানজিদা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, যিনি ২০১৩ সালে বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান লেনিনের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে 'মায়ের কান্না' সংগনের সংগঠকরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
কামরুজ্জামান লেনিনের বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান, যিনি পরে বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং জেনারেল জিয়ার শাসনামলে ‘অন্যায্যভাবে’ তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে আবেদনে, ‘মায়ের কান্না’ আয়োজকরা লিখেছেন: ‘আমরা সুষ্ঠু বিচারের জন্য আপনার কাছে এসেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুনি জিয়ার এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থান নেবে এবং বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে মার্কিন সরকার এই বিষয়গুলো অত্যন্ত মানবিকভাবে বিবেচনা করবে, একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার জোরদার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বাধীন গবেষকদের মতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর তার আদেশে ১০০০ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তারা জানান, জেনারেল জিয়ার শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের প্রিয়জনের দেহাবশেষ সম্পর্কে অনেকেই এখনও অবগত নন।
১৯৭৭ সালে ‘জাপানি রেড আর্মি কর্তৃক ঢাকায় একটি জাপানি বিমান ছিনতাই ও অবতরণ’- এর ঘটনার কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ন্যায়বিচারের জন্য চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জেনারেল জিয়ার অনুগত বাহিনী’ ঢাকায় একটি অভ্যুত্থানের নামে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর শত শত অফিসারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জিয়া অন্যায়ভাবে প্রায় এক হাজার ১৫৬ জন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
‘মায়ের কান্না’-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী পরিবারগুলো উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
বিক্ষোভের অভিযোগে আরেক ইরানী বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ইরানের সমসাময়িক শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে দেশব্যাপী চলা বিক্ষোভের মধ্যে সোমবার দ্বিতীয় বন্দী বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
দেশটির সংবাদ সংস্থা মিজান বার্তা এ তথ্য জানায়।
মিজান বার্তা সংস্থা জানায়, দেশটির বিচার বিভাগের অধীনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তির নাম মাজিদ্রেজা রাহনাভার্ড। ১৭ নভেম্বর মাশহাদে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং চারজনকে আহত করার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের মধ্যে আটক প্রথম বন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।
বিক্ষোভগুলো ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে, চলমান বিক্ষোভকারীরা বলেছেন যে ভবিষ্যতে আরও অনেককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে।
তাদের দাবি, বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় এক ডজন লোককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ইরানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা
ইরানের উপমন্ত্রী ও শাহরিয়ার আলমের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
১০ মার্কিন নাগরিক ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইরানের
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
ঢাকার একটি আদালতের প্রাঙ্গণ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসার আল-ইসলামের সদস্যদের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির পালানোর ঘটনা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
রবিবার (২০ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রিজন সাব-ডিভিশন) এর নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার জাগৃতি পাবলিকেশন্সের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের (ঢাকা সিএমএম কোর্ট) প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে দিয়ে জঙ্গি ছিনতাই: নাটোর আদালতে বিপুল নিরাপত্তায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আরিফ
পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: হিলি সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা
কক্সবাজারে মাদক মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাদক মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড প্রদান করে। ২০২০ সালে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা পাচার করার অভিযোগে তাদের এ দণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন-বালুয়াখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার আব্দুল মজিদের ছেলে বিল্লাল (৩৭), মকবুল আহমেদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) ও খাগড়াছড়ি জেলার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা সকলে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়,২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭ টা ৫ মিনিটের দিকে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রীজ এলাকায় একটি ফিশিং বোট আটক করে। একইসঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো.আয়াজ ও মো. বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে। তখন র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও চার থেকে পাঁচ জন দৌড়ে পালায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার ৯০০ নগদ টাকাস ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত দু’জন সহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার ঘটনাস্থলে আটক আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট দেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রী মজুমদারকে হত্যায় বিচারিক আদালতের দেয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকি দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড শুনানি করে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এদের মধ্যে জুনায়েদ ও জাহিদুল পলাতক ছিল।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ আসামিরা হলেন-মাহাবুব আলী ড্যানি,জাহিদুল ইসলাম শাওন ও জুনায়েদ রিয়াদ।
খালাস দেয়া হয়েছে-শাহ সেলিম ওরফে টিপু ও শাহাদাত হোসেন সাজুকে।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে অসদাচরণ: খুলনার বার সমিতির সভাপতিসহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল হিমাদ্রীকে ধরে নিয়ে যান আসামি শাওন,রিয়াদ,সাজু ও ড্যানি। হিমাদ্রী ওই স্কুল থেকে ‘এ’ লেভেল পাস করেন। আসামিরা তাকে ধরে পাঁচলাইশ এলাকায় রিয়াদের বাবা ব্যবসায়ী টিপুর বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে মারধরের পর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয়া হয় ছাদ থেকে। হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর একই বছরের ২৩ মে মৃত্যু হয় হিমাদ্রীর।
এ ঘটনায় তার মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
বিচার শেষে ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
বুধবার মৃত্যুদণ্ড, আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ৩ আসামিকে অব্যাহতির আদেশ বাতিল হাইকোর্টের
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: হাইকোর্টে জামিন পেলেন রাজবাড়ীর স্মৃতি
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় সাত বছরের শিশু তাবাসসুমকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রবিবার বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে বাপ্পি আহম্মেদ (২৪), দলিল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে কামাল পাশা (৩৭), ছানোয়ার হোসেনের ছেলে শামিম রেজা (২৪) এবং মৃত সাহেব আলীর ছেলে লাভলু শেখ (২৩)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুনিয়াকে ধর্ষণ-হত্যা: আনভীরসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধুনটের নশরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন খোকন ও তার স্ত্রী মরিয়ম ডেইজি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তাদের মেয়ে মাহী উম্মে তাবাসসুম দাদা আবদুস সবুরের বাড়িতে থেকে স্থানীয় পাঁচথুপি-নশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থান চত্বরে দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শিশু তাবাসসুম তার দাদা ও ফুফুর সঙ্গে প্রথম দিনের তাফসির শুনতে গিয়ে রাত ১০টার দিকে মিষ্টি কিনতে মঞ্চের পাশের দোকানে যায়। সেখানে খোকনের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ থাকা কলেজছাত্র বাপ্পী আহমেদ তাফসিরে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছিল। বাপ্পী শিশুটিকে দেখতে পেয়ে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। সে বাদাম কিনে দেয়ার প্রলোভনে তাবাসসুমকে স্থানীয় হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে বাপ্পী তার তিন বন্ধু কামাল পাশা, শামীম রেজা ও লাবলু শেখ পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশু তাবাসসুম নিস্তেজ হয়ে যায়। এ সময় বাপ্পী তাকে গলাটিপে হত্যা করে। এছাড়া তাকে কোনো প্রাণী কামড়ে হত্যা করেছে এমন প্রমাণ করতে কাটিং প্লাস দিয়ে হাতের একটি আঙুল কেটে দেয়। এরপর লাশটি কাঁধে তুলে মঞ্চের কাছে বাদশা মিয়ার বাঁশঝাঁড়ে ফেলে দেয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
পরেরদিন ১৫ ডিসেম্বর নিহত তাবাসসুমের বাবা খোকন অজানা কয়েকজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাপ্পীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধকে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করে। সন্দেহভাজন বাপ্পী ও তার তিন বন্ধুকে পর্যবেক্ষণে রাখে পুলিশ। ২৫ ডিসেম্বর রাতে প্রথমে বাড়ি থেকে শামীম রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার স্বীকারোক্তিতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে বাপ্পী, রেজা ও লাবলুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে চারজনই শিশু তাবাচ্ছুমকে ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করে।
এরপর ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর চারজনকে আসামি করে ধুনট থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাহিদুল হক আদালতে চার্জশীট জমা দেন। পরে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আশিকুর রহমান সুজন জানান, তাবাসসুম হত্যা মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে তারা সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাকরির সন্ধানে বের হয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী!
হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় হত্যা মামলায় জসিম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিল।
বাদীর দায়ের করা মামলা থেকে জানা গেছে, নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন হাজী ইসমাঈল লিংক রোড ইসলাম কমিশনার মোড়ের বাসিন্দা হেলাল উদ্দীনের ছেলে। তিনি শেরে বাংলা রোড বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের সাহায্যকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হেলালের বাড়ির নিচতলায় জনৈক রবিউল ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস ও ঘরের সঙ্গে মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করত।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
আসামি জসিম পেশায় একজন রিকশা চালক ছিলেন। তিনি রবিউলের প্রতিবেশি ছিলেন। ঘটনার ছয়দিন আগে রবিউলের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। জসিম মোবাইল ফোন উদ্ধার করা বাবদ মুদি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮০০ টাকা নেয়। কিন্তু মোবাইল ফোন উদ্ধার করে না দিয়ে জসিম টালবাহানা শুরু করে দেয়।
এ নিয়ে ওই এলাকায় একটি শালিসীর আয়োজন করে মুদি ব্যবসায়ী রবিউল। ২০১৫ সালের ১৯ মে শালিসীর পর জাহাঙ্গীর জসিমকে মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহ করে এবং তাকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলে।
এ ঘটনায় জসিম বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে জাহাঙ্গীর মুদি দোকান ব্যবসায়ীর বেঞ্চে বসে বাড়ির কাজ দেখাশুনা করছিলেন। আসামি জসিম পেছন থেকে জাহঙ্গীরের গলায় ও ঘাড়ে সজরে ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এসময় আসামিকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যায়।
পরে জাহাঙ্গীরকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানা একটি হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই জি এম নজরুল ইসলাম ঘাতক জসিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
দণ্ডিত রেজোয়ান সাদ্দাম (২৬) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা, ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট তৈয়বা বেগম জানিয়েছেন, দিনাজপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা রেজোয়ান সাদ্দাম যৌতুক দাবিতে স্ত্রী লায়লা বানুকে (২২) গেল ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই পিটিয়ে হত্যা করেন।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা সাজ্জাদ বাদী হয়ে রেজোয়ান সাদ্দামের বিরুদ্ধে পরদিন নবাবগঞ্জ থানায় হত্যা দায়ের করেন।
আসামি সাদ্দাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে নেয়।
এছাড়াও মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক। এতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ ও অন্যায্য