গুজব
অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে জবাদিহির আওতায় আনা যায় সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চান নবনিযুক্ত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার হচ্ছে। অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করেও অপপ্রচার হয়। সমস্যা যেটি হয়, এই অপপ্রচার রোধ করতে গিয়ে আমরা চিন্তা করি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু নতুন একটা ফেনামেনা তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিস্তৃতি ঘটে এই জায়গায় এসেছে। কাজেই নতুনভাবে আমাদের ভেবে কর্মকৌশল নিতে হবে।
তিনি বলেন, কীভাবে অপপ্রচার ও গুজবকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনতে পারি, সেটির একটি কাঠামো দাঁড় করাতে পারি। কারণ দিন শেষে সবকিছু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, যদি অপপ্রচার অবাধ ও স্বাধীনভাবে বিস্তৃতি লাভ করার সুযোগ পায়। তাহলে কিন্তু কোনোকিছুই দিন শেষে গণতন্ত্রের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না, সেটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলি আর যাই বলি। সেখানে আমাদের একটি কর্মকৌশল নিতে হবে আলাদা করে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর ক্যাম্পেইন হচ্ছে। সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য নিয়ে যে অভিজ্ঞতা আছে, তার কাছ থেকে সহায়তা নেব।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের পূর্ণাঙ্গ অঙ্গিকার আছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমরা নিশ্চিত করেছি এবং করতে চাই।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, একই সঙ্গে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে কোনো গোষ্ঠী যদি অপপ্রচার বা মিথ্যাচার করে সেটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা ডিজার্ভ করে না। তার জন্য এটা অবিচার হয়, আপনি যখন অসত্য বলে তাকে ধোকা দেন। এই অসত্য এবং অপপ্রচারকে কীভাবে জবাবদিহির আওতায় আনা যায় সেই বিষয়গুলো যাতে সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ আরও সুন্দরভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আগামীতে কাজ করতে চাই।
এ সময় সদ্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নেন এবং নতুন প্রতিমন্ত্রীকে সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (জানুয়ারি ৩) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের দুটি প্রতিনিধি দল পৃথকভাবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আধুনিক যুগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাংবাদিকদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
তিনি বলেন, ‘অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এখন দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। মানুষ এখন সংবাদ পড়ার জন্য সংবাদপত্রের পরিবর্তে অনলাইনে ব্রাউজ করছে যা প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ।’
সাংবাদিক সমাজের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সিড মানি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যদি আবার ক্ষমতায় আসি, তাহলে আমি আবারও ট্রাস্টে অর্থ দান করব।’
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দেওয়ার জন্য মিডিয়া হাউজের মালিকদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য ধরে সাংবাদিক নেতাদের কথা শোনেন। সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মূলত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতের জন্য ব্যাংক, বিমা ও গণমাধ্যম উন্মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, তার সরকার দেশবাসীর উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ছাড়া তার কোনো বিদেশি প্রভু নেই এবং জনগণই তার একমাত্র শক্তি। শুধু তাদের সমর্থনই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অন্য কিছু নয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক এবং এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সঞ্চালনা করেন।
বিএফইউজে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও আক্তার হোসেন।
এডিটরস গিল্ডের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার ও ডিবিসি টিভির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
মার্কিন দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির গতিবিধির গুজব সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’: মুখপাত্র
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, দূতাবাস থেকে কোনো ব্যক্তির বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে যে গুজব তা সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও ভুল’।
একটি ভিডিওর দিকে মার্কিন দূতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘এই ভদ্রলোক মার্কিন সরকারের পক্ষে কথা বলেন না।’
শনিবারের সংঘর্ষের পর বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সঙ্গে এক ব্যক্তির ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাপি শার্ট পরা এক ব্যক্তি ইংরেজিতে কথা বলছেন। ইশরাক ও অন্যরা তার পাশে বসেছিলেন।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেয় না: মুখপাত্র
বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া অনলাইন প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আমরা অবগত; যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট কোনো দলকে পছন্দ করে না: মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজব উপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নতুন পর্যায় সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আল্লার দোহায়, এসব (গুজব) নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ঘুম নষ্ট করবেন না।’
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের (পিইএএম) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন মানুষও আমাদের বলেনি যে ঝড় আসবে। আপনার (গণমাধ্যম) এসব বাবান। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দটিও উচ্চারণ করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
নির্বাচনী প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে এসেছে।
মোমেন বলেন, তারা সফররত এনডিআই-আইআরআই'র যৌথ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন। আরও বলেছেন, সরকার কোনো সহিংসতা ছাড়াই 'অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ' নির্বাচন করতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি 'সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি' গড়ে তুলেছেন, যা 'অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী'।
মোমেন বলেন, 'তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেয়নি, তারা আমাদের কথা শুনেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সহিংসতামুক্ত করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তারা গত ১৫ বছরে অর্জিত তুলনামূলক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, কেউ এই সাফল্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
ড. মোমেন বলেন, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন বলেন, জনগণ যদি অংশগ্রহণ করে এবং অবাধে ভোট দিতে পারে তাহলে তা অংশগ্রহণমূলক।
তিনি বলেন, তারা চায় সবাই নির্বাচনে অংশ নিক, কারণ সরকার পরিবর্তনের একটাই উপায়- তা হলো নির্বাচন।
আরও পড়ুন: কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্য দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ রবিবার বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিআই-আইআরআই যৌথ মিশন নির্বাচনী প্রস্তুতির অবস্থা মূল্যায়নের জন্য কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের কথা শুনতে এবং একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন দেখাতে এসেছি।
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহসভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রাক্তন সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ; জামিল জাফর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ; আইআরআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও রয়েছন দলে।
বনি গ্লিক বলেন, 'এই যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সমর্থনের প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, 'আমরা প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করব। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী বিশ্লেষণ দেব।’
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
এনডিআই ও আইআরআই হলো নির্দলীয়, বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চার প্রতি সমর্থন ও শক্তিশালী করে।
প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ দেশের উন্নয়ন বিঘ্ন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ পরিবেশনের সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ভুল তথ্যের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা অক্ষুন্ন রাখতে মিথ্যা গুজব সম্পর্কে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরে দেশবাসীকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাড়াবাড়ি না করতে বিএনপির প্রতি খাদ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ার
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব আয়োজিত প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার গতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোন বিকল্প নাই।
বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিত। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের মতামত তুলে ধরে স্বাধীনভাবে কাজ করছে, যা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয় নাই।
নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারাই ভিসানীতিতে ফেঁসে গেছেন: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সারাদেশে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই। গুজব রটতে পারে, গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অটিস্টিক শিশুদের বয়সের শর্ত শিথিল করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গুজব রটানো ঠেকাতে সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই কোনো ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে, কেউ গুজব ছড়াবার চেষ্টা করছে বা কিছু হচ্ছে, সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আগামী বছর পরীক্ষার সময় আরও এগোবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর পরীক্ষা এগিয়ে আনার চেষ্টা করব। তবে যারা পরীক্ষা দেবে তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কি না তা দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের শিক্ষকদের একটি মতামত নেওয়া হবে—তারা কোন সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে পারবেন। শুধু তো তাড়াহুড়া করে শেষ করলে হবে না, স্বস্তিতে শেষ করতে হবে। শিক্ষকদের মতামত নিয়েই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর আমরা পরীক্ষা এগিয়ে আনতে পারতাম, কিন্তু বন্যার কারণে আমাদের পেছাতে হয়েছে। এইবার আমরা গত বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছি। সামনের বছর চেষ্টা করব, স্বাভাবিকের যতো কাছাকাছি যাওয়া যায়।
প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুলভ্রান্ত্রি যেটা সেটাই তো ভুলই। গতবার যে কয়েকটি জায়গায় যে কয়েকটি ভুল হয়েছে তাদের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। যারা দায়িত্বে থাকেন, তাদের যাতে ভুল না হয়, সেদিকে যেন সচেতন থাকেন।
আরও পড়ুন: ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু নিয়ে গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কোনো বইয়ে বানর থেকে মানুষের উৎপত্তির কথা বলা হয়নি।
শুক্রবার চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীর তীরে ব্র্যাকের তিনটি শিক্ষাতরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বরং পাঠ্যপুস্তকে বলা হয়েছে যে মানুষ বানর থেকে বিবর্তিত হয়নি। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ছড়ানো ভুল তথ্যে কান দিবেন না।’
তিনি বলেছেন যে পাঠ্যপুস্তকে বানরের দৃষ্টান্ত ব্যবহার করা হয়েছিল এটি দেখানোর জন্য যে মানুষ তাদের থেকে বিকশিত হয়নি। বইয়ে তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে যে বানর মানুষের পূর্বপুরুষ নয়।
মন্ত্রী সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জনগণকে বই পড়ারও আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম সম্পর্কে কোনো অবমাননাকর মন্তব্য নেই।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি নিয়ে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: দীপু মনি
নতুন পাঠ্যপুস্তকে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ জাফর ইকবালের
যারা গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করছে, তাদের বিশ্বাস করবেন না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল নানা গুজব ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তবে জনগণের বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আজকে কিছু কথা নানাভাবে প্রচার করা হচ্ছে এবং এসব কাজ আরও অনেক দিন চলবে। অনেক মানুষ এতে বিভ্রান্ত হতে পারে। আমি বলতে চাই বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।’
সোমবার মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২২ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২২-এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হচ্ছে যখনই দেশ একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যায়, তখন সকলের কাছে (স্বার্থান্বেষী মহল) এটা পছন্দ হয়না।
যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তার সরকার এখনো বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চার ভাগের এক ভাগ মানুষ বিভিন্ন কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়াচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কোভিড-১৯ সময়কালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে। যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের অর্থ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, টেস্টিং কিট, খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য সংগ্রহে ব্যয় করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য সবসময়ই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত রেখে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখব। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছেন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে গড়তে কমিশনপ্রাপ্তদের '২০৪১ সালের সৈনিক' হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কারণ, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। যুদ্ধের পরিণতি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। যদি কোন সমস্যা হয়, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রতিবেশিদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমুদ্রসীমা বিরোধের সমাধান এবং আলোচনার মাধ্যমে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের ওপর জোর দেন। ‘যদি না আমরা অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জন করতে না পারি, আমরা আমাদের স্বাধীনতা এবং এর চেতনাকে ধরে রাখতে পারব না। সুতরাং, আমরা লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার সরকারের বিশেষ মনোযোগের কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বহাল রাখার ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনী যে কোনো দুর্যোগে সর্বদা জনগণের পাশে থাকে। তারা দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশের ভূখন্ডে শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে তাদের ভূমিকা পালনের জন্য সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ জাতিসংঘের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি নতুন এনডিসি ও এএফডব্লিউসি গ্র্যাজুয়েটদের তাদের নিজ নিজ কোর্স সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: চলমান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করুন: সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ভিত্তিহীন।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাংকের আমানত ও তারল্য নিয়ে প্রচারিত ভুল তথ্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচার করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের তাদের ব্যাংক আমানত তুলে নিতে বলা হচ্ছে। এটা বলা হচ্ছে যে ব্যাংকগুলোতে নগদ নেই বা তারল্য সংকট রয়েছে।’
আরও পড়ুন: তারল্য সংকট রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এফবিসিসিআই
‘কিন্তু এটা সত্য না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা খুবই ভালো।
সংবাদ সম্মেলনে আজাদ বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য থাকায় কোনও তারল্য সংকট নেই।
তারল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনও ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তা সমাধানের পদক্ষেপ নেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ৫১ বছরের ইতিহাসে কোনও ব্যাংক বন্ধ হয়নি।
আজাদ আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ব্যাংকে মানুষের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্যাংকগুলোতে মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয় নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার মতো কিছুই ঘটেনি।’
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট নেই: প্রধানমন্ত্রী
মানি চেঞ্জাররা নগদ ২৫ হাজার ডলারের বেশি রাখতে পারবে না: বিবি
রাজশাহীতে পদ্মা সেতুর নামে গুজব ছড়ানোর দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়ানোর দায়ে এক যুবকের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রাজিব (১৯) রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বড়গাছি হাজীপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
রাজশাহী সাইবারক্রাইম আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাট ইউএনও হত্যাচেষ্টা মামলায় বাগান মালির ১৩ বছরের কারাদণ্ড
তিনি বলেন, ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে আসামি রাজিব তার ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর নির্মাণ চলা পথে বাধা পড়েছে। তাই এক লাখ বা তারও বেশি মানুষের মাথা প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে বের হয়েছে ৪১টি দল। তারা এই মাথা সংরক্ষণ করার জন্য পথে ঘাটে, খেলার মাঠে, হাটে বাজারে ইত্যাদি জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের কাছে রয়েছে ধারালো ছুরি ও গ্যাস স্প্রে। যা ১০-১৫ হাত দূর থেকে নিক্ষেপ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হয়ে যাচ্ছে অজ্ঞান। আর তখন তারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাথা। এদের প্রধান লক্ষ্য হলো নারী ও শিশু। ঘরে ঢুকেও এরা করছে এই জঘন্যতম কাজ। আজও কেটে নিয়েছে অনেক অনেক মানুষের মাথা। তাই পুরো এলাকায় মাইকে এলাউঞ্জ করে সতর্ক করে দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, আসামি রাজিব হোসাইনের বিরুদ্ধে আনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(১)/৩১(১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩১(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড
সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড