চিকিৎসা
খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি নিয়ে কোনো রাজনীতি হয়নি।
তিনি বলেন, এ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এটা আইনি ব্যাপার, এখানে রাজনীতির কোনো প্রশ্ন নেই। তার (খালেদা জিয়া) পরিবার দরখাস্ত করেছিল, সেটা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে কোথাও নেই তাকে এই দরখাস্তে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যায়। বিদেশ যেতে পারবেন না বলে আগেই শর্ত দেওয়া ছিল, এখন সেটিকে পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই।
যে দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করা যায় কি না- এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্তমুক্ত। শর্ত যদি দেওয়া হয় তা মানতে হবে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করেছেন, এটা পুনরায় প্রয়োগ করার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়ে আইনমন্ত্রী কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে দোষ স্বীকার করে চাইতে হয়। বিষয়টি যিনি ক্ষমা চাইবেন তার বিষয়। এটা হচ্ছে সাংবিধানিক অধিকার, যে কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারে।
আরও পড়ুন: হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী
অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান বিএনপির
প্রবীণ নাগরিকের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে দলের অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সঠিক চিকিৎসা পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বেগম খালেদা জিয়া দেশের একজন প্রবীণ নাগরিক। সংবিধান তার জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করেছে।’
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশে যে রোগের চিকিৎসা করা যায় না, তার চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া সংবিধানকে উপেক্ষা করার শামিল।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের নেত্রীকে (খালেদা) সংবিধানে দেওয়া চিকিৎসা সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা অন্যায্য, অমানবিক ও অসাংবিধানিক।’
তিনি বলেন, আইনের অজুহাতে গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই।
ফখরুল বলেন, দেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসা অসম্ভব। ‘সরকার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আইনের অজুহাতে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে সরকারের: আইন বিশেষজ্ঞরা
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অন্যায়ভাবে হত্যার পরিণতি কখনোই ভালো হতে পারে না। তাই আমরা আবারও সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের নেত্রীকে নাগরিক হিসেবে তার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিন।
অন্যথায়, একজন গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় প্রবীণ নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার অস্বীকার করা এবং তার প্রতি অবৈধ, অমানবিক ও নিষ্ঠুর মনোভাব দেখানোর জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে একটি ‘উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে’ চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে, আইন মন্ত্রণালয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে পরামর্শ দিয়েছে যে তাকে প্রথমে কারাগারে ফিরতে হবে এবং এরপরই এই বিষয়ে অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন করতে পারেন তিনি।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বলে গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা।
সরকার খালেদাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় বিএনপি কী করতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকরা তাকে দেশেই সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে জোর করে বিদেশে নিয়ে যেতে পারি না। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়... আমরা বিশ্বাস করি জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত হবে এবং তারপর তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালে ১০ বছরের সাজা ভোগ করে কারাগারে থাকা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের নেতা আ স ম আবদুর রবকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে যেতে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, একইভাবে ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম ২০০৮ সালে ১/১১ সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। ‘এমন আরও উদাহরণ রয়েছে।’
লন্ডনে খালেদাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘অশালীন’ মন্তব্যের জন্য ফখরুল বলেন, এটা বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই... একজন দায়িত্বশীল প্রধানমন্ত্রী এমন অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যও প্রমাণ করে যে তিনিই এই দেশের একমাত্র মালিক এবং তিনিই বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেন। ‘তিনি আইন ও প্রশাসনের পরোয়া করেন না এবং সমস্ত অপকর্মের আদেশদাতা।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা অমানবিক ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে এবং খালেদাকে বাদ দিয়ে বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না। ‘এটা আমাদের স্পষ্ট অবস্থান। আমি আবার এটি পুনরাবৃত্তি করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ায় সরকারকে ‘কাপুরুষ’ বললেন ফখরুল
খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে সরকারের: আইন বিশেষজ্ঞরা
সরকার তার বিবেচনার ক্ষমতা ব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে যেতে দিতে পারে বলে মত দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। যদিও আইন মন্ত্রণালয় বলছে আইনি বাধার কারণে তাদের কিছু করার নেই।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবিকে দেয়া এক বক্তব্যে আইন বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেন, সরকার যখন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ অষ্টমবারের মতো বাড়িয়েছে, তখন ‘মিমাংসিত বিষয়(পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রানজেকশন)’বিবেচনায় নিয়ে আবেদনের বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইভাবে শর্ত প্রত্যাহার বা পরিবর্তন করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতিও দেওয়া যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৪০১(১) অনুসারে খালেদাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিয়ে নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারে।
সিআরপিসি ধারা ৪০১ (১) -এর উদ্ধৃতি দিয়ে তারা বলেছে, সরকার যেকোনো সময় শর্ত ছাড়াই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত বা মওকুফ করতে পারে।
গত ১ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আইন মন্ত্রণালয় পরামর্শ দেয় যে তাকে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে এবং তারপরেই কেবল এ বিষয়ে অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন করতে পারেন।
৫ সেপ্টেম্বর খালেদার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে ‘উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে’ চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একটি আবেদন জমা দেন।
জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী নিষ্পত্তি হওয়া রিট আবেদনটি শুনানির কোনো সুযোগ নেই। ‘আমরা মতামত দিয়েছি যে ৪০১ ধারায় নিষ্পত্তি করা পিটিশনটি একটি ‘মিমাংসিত বিষয়(পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রানজেকশন)’। এটি চালুর আর কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যেতে খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন আইনজীবী এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনবিদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, সরকার শর্ত সাপেক্ষে বা শর্ত ছাড়াই যে কোনো বন্দীর সাজা স্থগিত করতে পারে বা শাস্তির সম্পূর্ণ বা কোনো অংশ মওকুফ করতে পারে।
তিনি বলেন, সিআরপিসির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী সরকার দুটি শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘প্রথম শর্তটি ছিল তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস এবং দ্বিতীয় শর্ত ছিল তাকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, প্রথম শর্ত পরিবর্তন করে সরকার কয়েকবার তার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ বাড়িয়েছে, কিন্তু এই শর্ত পরিবর্তনের জন্য খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে যেতে হয়নি। ‘এর মানে হলো সরকার তার বিবেচনার ক্ষমতা দিয়ে এটি করেছে।’
একইভাবে দ্বিতীয় এই শর্ত তাকে অবশ্যই ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে। সরকার এটি পরিবর্তন করে বলতে পারে যে তিনি যেকোনো 'উপযুক্ত' হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, সরকার যদি তা করে, তাহলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে কোনো আইনি বাধা থাকবে না।
আইনবিদ বলেছেন, তিনি আইনমন্ত্রীর সিআরপিসি ধারা ৪০১(১) -এর ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়াকে কেন আবার কারাগারে যেতে হবে তা আমার বোধগম্য নয়।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ায় সরকারকে ‘কাপুরুষ’ বললেন ফখরুল
তিনি বলেন, সরকার ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে এবং এটি আরও কিছু শর্ত যোগ করতে পারে যেমন তিনি বিদেশে রাজনীতি করতে পারবেন না এবং তাকে অবশ্যই চিকিৎসার পর দেশে ফিরে আসতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মালিক আরও বলেন, তিনি মনে করেন না খালেদার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার জন্য আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন আছে, যখন সরকার তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে এটি করতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী শিশির মনির ড. মালিকের মতো একই ধরণের মতামত দেন। তিনি বলেন, সরকার যদি সদিচ্ছা দেখায়, তবেই খালেদা জিয়াকে অনুমতি নিতে বা বিদেশে চিকিৎসা নিতে কারাগারে যাওয়ার দরকার নেই।
তিনি বলেন, সিআরপিসির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী বিএনপি প্রধানকে মুক্তি দেওয়ার সময় সরকার শর্তসাপেক্ষে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। ‘তারা (সরকার) এখন কোনো শর্ত ছাড়াই এ ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
আইনজীবী বলেন, এটি সিআরপিসি’র ৪০১(১) ধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকার যে কোনও সময় তার বিবেচনার ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে। ‘সুতরাং, সিআরপিসি’র ৪০১ (১) ধারায় খালেদা জিয়ার নতুন আবেদন পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই বলে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, সরকার নতুন করে নির্বাহী আদেশ দিলেই খালেদাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আইনি বাধা দূর করতে পারে।
শিশির বলেন, এটা কোনো ‘মিমাংসিত বিষয়(পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রানজেকশন)’ নয় কারণ সরকার প্রতি ছয় মাস অন্তর খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে। ‘যেহেতু সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াচ্ছে, এটা কোনো ‘মিমাংসিত বিষয়(পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড ট্রানজেকশন)’ নয়। তাই আইনমন্ত্রীর ব্যাখ্যা স্ববিরোধী।’
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাজা স্থগিত করেছে এবং আদালতের পরামর্শ ছাড়াই নির্বাহী আদেশে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে। তাই খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আদালত নয়, সরকারই সিদ্ধান্ত দিতে পারে।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সিআরপিসির ৪০১ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, সরকার তার নির্বাহী আদেশে একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে এবং বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে।
তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে রাষ্ট্রীয় বন্দিদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি দেওয়ার নজির রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আবেদন আমলে নেয়নি সরকার।
২০২০ সালের মার্চ মাসে সরকার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের সাজা স্থগিত করে এবং তার পরিবারের একটি আবেদনের জবাবে তাকে দুটি শর্তে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ২ বিজ্ঞানী
চিকিৎসাশাস্ত্রে অবসদানের জন্য ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইজম্যান নামের দুই বিজ্ঞানী।
সোমবার (২ অক্টোবর) নোবেল কমিটি তাদের নাম ঘোষণা করেছে।
কমিটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিজয়ীরা আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটির ভ্যাকসিন বিকাশে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে এবারের পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। যা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা বিকাশকে সক্ষম করেছে।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে নোবেল কমিটির সেক্রেটারি থমাস পার্লম্যান, ফিজিওলজি বা মেডিসিনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, দুই বিজ্ঞানীই খবর পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন বেলারুশের আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া–ইউক্রেনের দুই মানবাধিকার সংগঠন
১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির স্জোলনোকে জন্মগ্রহণকারী কারিকো ১৯৮২ সালে সেজেড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পিএইচডি অর্জন করেন।
২০২১ সাল থেকে তিনি সেজেড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অব মেডিসিনের একজন সহযোগী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ওয়েইসম্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৮৭ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পিএইডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ভ্যাকসিন গবেষণায় রবার্টস ফ্যামিলি প্রফেসর এবং পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরএনএ উদ্ভাবনের জন্য গঠিত পেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন।
পুরস্কারের পরিমাণ হল ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১ মিলিয়ন ইউএস ডলার), দুই বিজয়ীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে তা ভাগ করে দেওয়া হবে। (১ সুইডিশ ক্রোনা= ০.০৯১ মার্কিন ডলার)
আরও পড়ুন: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি আর্নাক্স
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
খালেদার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ায় সরকারকে ‘কাপুরুষ’ বললেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ‘কাপুরুষোচিত’ সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে না দিয়ে তাকে হত্যা করতে চায়।
তিনি বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত ও গণবিরোধী সরকার তাকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ না দিয়ে হত্যা করতে চায় বলে দেশের জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে হত্যার জন্য সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে প্রতারণা ও আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তারা ভীত ও কাপুরুষ। তারা জানে, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে জনগণের মাঝে ফিরে এলে তাদের সিংহাসন ভেঙে পড়বে।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘অন্যায্য’ বন্দিদশা থেকে মুক্তি, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১/১১ এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কানের সমস্যার চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকার বিভিন্ন আইন দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে আছেন, তখন আপনারা এসব কথা বলছেন কেন?
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিতে রাজি নয়।
তারা চায় না বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে উঠুক এবং তারা তাকে রাজনীতি করতে দিতে চায় না। আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, এ দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবে না।
একমাত্র তারাই এ দেশে সরকার পরিচালনা করবে। তাদের বক্তব্য থেকে মনে হয়, তারাই এ দেশের একমাত্র মালিক এবং আমরা সবাই তাদের প্রজা।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্য নিষ্ঠুর: গণতন্ত্র মঞ্চ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের বক্তব্যকে নিষ্ঠুর ও নৃশংস আখ্যায়িত করেছে কয়েকটি বিরোধী দল ও সংগঠনের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, চিকিৎসা পাওয়া তার নাগরিক ও মানবাধিকার। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নিলে যেকোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকির পুরো দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু'র সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বেশ কয়েকটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন এবং তিনি কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত করে বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য তার ভাই আবেদন করলেও কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে তার ঢাকার বাসভবন থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শুক্রবার বিকালে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী বিকালে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি বলেন, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত কেবল-কার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া যতবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাচাঁনো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হযয়ে বাড়ি ফেরত গেছেন। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।'
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কিছু করার নেই, কারণ এটি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীই ভালো জানেন।’
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ার কথা নয়। আমাদের মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা পড়লে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যদি আইন মন্ত্রণালয় মনে করে বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, তাহলে তা আদালতে পাঠানো হয়।’
খালেদা জিয়ার ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনো আবেদন মুলতুবি থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো আবেদন পাইনি। এরকম আবেদন আসলে কি হতে পারে সেটা আপনাদের বলার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির আগের আবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা যতবার আবেদন করেছে, আমরা সাধ্যমত অনুমোদন দিয়েছি। এর বাইরেও তাদের আদালতে যেতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, কারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে সে বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন ভিসা নীতি সম্পর্কে ঘোষণা শুনেছি, কিন্তু তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমরা জানি না কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে। যেহেতু আমাদের কাছে এই তথ্যের অভাব রয়েছে, তাই আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি তাদের প্রণয়ন করা ভিসা নীতি এবং কারা তাদের দেশে প্রবেশ করতে পারে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের উপর নির্ভর করে। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিশেষ কারো বিষয়ে বিবৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬৮
এ ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩০৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- খাদিজা বেগম, কৃষ্ণপদ পাল, তাজল মোল্লা ও সজিব মোল্লা।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩০৯ জন রোগী।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৯৭ জন। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরকে অর্থনৈতিক হাব গড়ে তুলতে হবে: এফবিসিসিআই সহসভাপতি
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু