চিকিৎসা
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬৮
এ ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩০৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- খাদিজা বেগম, কৃষ্ণপদ পাল, তাজল মোল্লা ও সজিব মোল্লা।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩০৯ জন রোগী।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৯৭ জন। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরকে অর্থনৈতিক হাব গড়ে তুলতে হবে: এফবিসিসিআই সহসভাপতি
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু
সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজ যখন তিনি (খালেদা জিয়া) জীবনের সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছেন, তখন তাকে আটকে রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু বন্দ নন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রীও।
তিনি বরেন, তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দেশের সেবা করেছেন।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
শুক্রবার বিকালে ঢাকার উত্তরায় সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও এক দফা দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা উত্তর শাখা বিএনপি হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে আব্দুল্লাহপুর পলওয়াল সুপার মার্কেটসংলগ্ন মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকার খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। শিগগিরই তার অবস্থার অবনতি হতে পারে।
তার পরিবার, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির দাবি সত্ত্বেও সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবিক কারণে চিকিৎসার স্বার্থে তাকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো উচিত।
ফখরুল বলেন, কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর উদাহরণ রয়েছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনাকে চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল।
সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ও উত্তর শাখার নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন খালেদা।
করোনাভাইরাসপ্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: সরকার পদত্যাগ না করলে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ফখরুল
সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করে জানান যে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দিয়ে সরকার ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’ করছে।
ফখরুল জানান, সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসা দেশের জনপ্রিয় এই নেতা মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজ হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি।
তিনি আরও বলেন, তার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। যদিও চিকিৎসকরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে তার জরুরি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা দরকার। এটি তাকে বিদেশে পাঠানো ছাড়া সম্ভব নয়।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বগুড়া হাটখোলা মাঠে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের যুব রোড মার্চের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলো ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর রোডমার্চ করবে
দলটির মহাসচিব বলেন, সরকারকে বারবার জানানো হয়েছে। তার পরিবার বলেছে কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) শুনতে রাজি নন।
বিএনপি এই নেতা অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দাবি করেন। এতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সরকার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আবারও মামলা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের বার্তা স্পষ্ট যে, এক দফা দাবি, (আপনি) পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দিন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করুন।
আজ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আসুন আমরা জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হই এবং এই দানব সরকারকে সরিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে আমি বাংলাদেশের মানুষকে এই বার্তা দিতে চাই, আসুন জেগে উঠি, তাদের পরাজিত করি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন।
তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা চুরি করেন তারপর দাবি করেন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। চাল, ডাল, তেল, লবণ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বচ্ছসেবক দল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঘোষিত যুব রোডমার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত শুরু হয়। রোডমার্চটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর শান্তাহারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাকে করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এই রোডমার্চে অংশ নিচ্ছেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে এবং যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল যৌথভাবে সমাবেশ পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
মারা গেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা চট্টগ্রামের সেই বানর
কয়েকদিন টানা চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো গেল না হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সেই বানরকে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বানরটি মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) চিকিৎসকরা।
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়েছিল বানরটি। এরপর সে নিজেই সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পরপর তিন দিন চিকিৎসা নেয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) বানরটির চিকিৎসা চলছিল।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য জানান, চেষ্টা করেও আহত বানরটিকে বাঁচানো গেল না। শুক্রবার দুপুরে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দুই দিন বানরটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। খাওয়া দাওয়া করছিল, রেসপন্সও ভালো ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। যাই খাওয়ানো হচ্ছিল বমি করছিল। বিকাল ৫টার দিকে তাকে আবার সিভাসুতে পাঠানো হয়। ডাক্তাররা দুটি স্যালাইন পুশ করেন। আর মুখে খাওয়ানোর জন্য লিকুইড খাবার দেন। কিন্তু খুব একটা উন্নতি হয়নি। শুক্রবার দুপুরের দিকে মারা গেছে। আমাদের অফিস এলাকায় কোথাও মাটিচাপা দেওয়া হবে বানরটিকে।
জানা যায়, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে কোনোভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হয় বানরটি। সোমবার বানরটিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এটির চিকিৎসা চলছিল।
আরও পড়ুন: অসুস্থ বানরটি চিকিৎসা নিতে নিজেই হাসপাতালে হাজির
সরকার অমানবিকভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার তাদের দলের চেয়ারপার্সন অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা বারবার তার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার কথা বলেছি। কিন্তু তারা (সরকার) কতটা অমানবিক এবং মধ্যযুগীয় বর্বর হতে পারে যে তারা তাকে যথাযথ চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তৃতাকালে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অপরিসীম অবদান রাখা শারীরিকভাবে অসুস্থ বিএনপি নেত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য সরকারের নিন্দা করেন ফখরুল।
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
পরে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
মেডিকেল বোর্ডের মতে, বিএনপি প্রধানকে যত দ্রুত সম্ভব বিদেশে একটি উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে তার চিকিৎসা করা মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন। আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার ওঠানামা করছে। আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত।’
আরও পড়ুন: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা
খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ
ব্রেন টিউমারে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসা নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, মোশাররফ ও বিলকিস আক্তার হোসেন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
৭৬ বছর বয়সী সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ গুরুতর অসুস্থ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ জুন সিঙ্গাপুরে যান।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এই বিএনপি নেতার ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, তার বাবার মস্তিষ্কের বহির্ভাগে ‘মেনেনজিওমা টিউমার’ ধরা পড়েছে।
মারুফ বলেন, তার বয়স বিবেচনা করে সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা তার বাবার টিউমার অপসারণে অস্ত্রোপচার করা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছেন। তাই তারা তাকে অগ্রিম রেডিওথেরাপি দিয়েছেন।
মোশাররফকে আট সপ্তাহ বেড রেস্টে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
১৮ জুন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসা নেন তিনি।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালে যান বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
অসুস্থ বানরটি চিকিৎসা নিতে নিজেই হাসপাতালে হাজির
অসুস্থ শরীর নিয়ে সেবা পেতে মানুষের মতো নিজেই হাসপাতালে হাজির হয়েছে এক বানর।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে বন্য প্রাণী বানরকে চিকিৎসা সেবা নিতে দেখে অনেকে অবাক বিস্ময়ে দেখেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে ক্ষত নিয়ে দুই দফায় প্রাণীটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে চিকিৎসকরা তাকে পরম যত্নে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ড বন থেকে একটি বানর লোকালয়ে চলে আসে। প্রায় এক মাস যাবত বানরটি বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছিল। গত দুই দিন ধরে বানরটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সীতাকুণ্ড সামনে এসে বসে থাকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ২ বানর
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, একমাস আগে বানরটি হাসপাতালের পাশে দৌড়াদৌড়ি করছিল। এরপর আর দেখিনি। গত শনিবার বিকালে ডিউটি শেষ করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বারান্দায় বানরটি বসে থাকতে দেখি। দেখা যায় তার শরীরে ক্ষত রয়েছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে ক্ষত স্থানে ড্রেসিং করে দিলে সেটি চলে যায়। রবিবার বিকালে ডিউটি শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আবারও বারান্দায় প্রাণীটিকে বসে থাকতে দেখি। পরে বানরটির ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দিই।
তিনি আরও বলেন, যন্ত্রণায় কাতর বানরটির শরীরের পেছনের অংশের ক্ষতে পচন ধরছে। কোথাও বৈদ্যুতিক শকে প্রাণীটির এমন অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করছি। আমি আসার পর হাসপাতালে খবর নিয়েছি বানরটি গাছে বসে রয়েছে।
জানা গেছে, অসুস্থ বানরের চিকিৎসায় এগিয়ে আসেননি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের পশুচিকিৎসকরা। তারা বলেছে এটি বনবিভাগের দায়িত্ব।
বন বিভাগ বলছে, যেহেতু বানর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেহেতু পশুচিকিৎসকরা বানরটির চিকিৎসা দিতে পারেন।
জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাহমিনা আরজু বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বলা হয়েছে অসুস্থ বানরের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। দেখি আমরা কাল গিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জ কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসার বিষয়টি দেখবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়। কিন্তু তারা কোনো দায় নিচ্ছে না। প্রাণীটি নিজে থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা প্রাণীটির চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিব তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ঘাড়ের স্নায়ুতে ব্লকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ফখরুল সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে তার স্ত্রী রাহাত আরা কিছু স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য র্যাফেলস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০১৫ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফখরুল চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। যেখানে তার ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারি সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
খুমেক হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যা ও জনবল, চিকিৎসায় ভোগান্তি
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রোগীদের অতিরিক্ত ভিড় ও জনবল সংকটের কারণে যথাযথ চিকিৎসা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
৫০০ শয্যার হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা ৩ গুণ বেশি হওয়ায় শয্যা স্বল্পতার কারণে খুমেক কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকদেরও প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৫০০ রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
খুমেকের উপ-পরিচালক ডা. নিয়াজ মুস্তাফি চৌধুরী বলেন, নতুন বিভাগ খোলার পর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা সম্প্রসারিত করায় রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভিড় করছেন।
তিনি আরও বলেন, যদিও আমরা রেকর্ড সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে অনেক সংগ্রাম করছি, তবুও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় ইউএনবির এই সংবাদদাতা দেখতে পান, হাসপাতাল ভবনের প্রবেশদ্বারের কাছে মেঝে, বারান্দা এবং সিঁড়িগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। বিছানার স্বল্পতার কারণে অনেকেই মেঝেতে মাদুর, বাথরুমের কাছে এবং সিঁড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
রূপসা উপজেলা থেকে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাবাকে নিয়ে এসেছি। গত ৭ দিন ধরে তিনি বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বারান্দায় ফ্যান না থাকায় গরমে বাবার খুব কষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে খুমেক হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক নিখোঁজ