চবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন উপাচার্য হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মো. আবু তাহেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময়ে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। উপাচার্য পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
নতুন উপাচার্য মো. আবু তাহেরের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কাঞ্চনায়। সেখানকার কাঞ্চনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি।
এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।
কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন আবু তাহের।
১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি ওই বিভাগের অধ্যাপক হন।
আরও পড়ুন: চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চবি সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী সম্পন্ন
চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাহাদাত হোসেন ও মায়েশা।
এ ঘটনার জেরে ১ নম্বর গেইট ও রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি।
আরও পড়ুন: চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার চবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা।
সড়ক অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করলেও তার রিপোর্ট এখনো দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি। তাই তারা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের এ আন্দোলন চলমান রয়েছে। এছাড়াও মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
আরও পড়ুন: চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
এ ঘটনায় বখতিয়ার ও ওই ছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গেও বখতিয়ারের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বখতিয়ারের হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ৩ জন। এ ঘটনার জের ধরেই স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের মারধর করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় মন্ত্রী সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
অতীতে যারা এই ধরনের সহিংসতায় জড়িত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত অছাত্রদের হল ত্যাগ নিশ্চিতকরণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন মন্ত্রী।
কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে যেন কোন দায়ী ব্যক্তি নিষ্কৃতি না পায় এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভা আহ্বান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কে এম নূর আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
চবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অধ্যাপক ড. মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৮নং বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যৌন হয়রানির অভিযোগটি গুরুতর। এজন্য একটা এজেন্ডা নিয়ে এই বিশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিটির সদস্যরা ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণ করার সুপারিশ করেছে। সে অনুযায়ী সিন্ডিকেট চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে শিক্ষক মতিন কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ করেন চবির রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলার দাবিতে টানা আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগে বলা হয় থিসিস চলাকালীন ওই শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। পরে ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
পূর্ব বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের বিজয় ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সংঘর্ষ শুরুর এক ঘণ্টা পর পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ শাহজালাল হলে অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনায় উভয় গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘর্ষে জড়ানো বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা নিজেদের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে গতকাল বুধবারও বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রবিবার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।
পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
এ ঘটনার জের ধরে সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিজয়ের এক কর্মীকে কলা ঝুপড়ি এলাকায় মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলে নিক্ষেপে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুইটি।
শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে আজকের চলমান পিঠা উৎসবে মারধর করে তারা। সেই মারধরের ঘটনা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
চবি'র সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, দুই পক্ষকেই হলে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আরও পড়ুন: চবিগামী শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই প্রক্টরের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. মো. মোরশেদুল আলম ও অরূপ বড়ুয়া।
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নূর আহমদ বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
আরও পড়ুন: ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও ৩ উপদেষ্টার পদত্যাগ কার্যকর
পদত্যাগপত্রে ড. মোরশেদুল আলম উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আমি রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষকের পদ ও সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একইদিন চবির পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া সহকারী প্রক্টর পদ এবং চাকসু কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই। রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি রবিবার সকালেই।’
এর আগে গত বছর মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির একটি বড় অংশ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে থাকা ১৯ জন শিক্ষক একযোগে গণপদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করা ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন
চবিগামী শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে লিংকন দেবনাথ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের পশ্চিম ছড়ারকুল বালুর ঢাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লিংকনের বাড়ি চৌধুরীহাট এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দূর্গাবাড়িতে।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লিংকন দেবনাথ চৌধুরীহাটে একটি ফার্মেসিতে চাকরি করেন। ডিউটি শেষে বাড়িতে যাওয়ার সময় তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। শুক্রবার তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে দাহ করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার কর্মকর্তা গোফরান বলেন, রাতের কোনো এক সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় লিংকন। খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কীভাবে লিংকন মারা গেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় ডিউটিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় এএসআই নিহত
কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
বিসিএস পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে চবি’র ছাত্রী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ৪৫তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয়তি জান্নাত নামে এক ছাত্রী।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক সপ্তাহের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে ছেলেবন্ধুর হয়ে মেয়েটি প্রক্সি দিতে এসেছিল।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ট্রেনে নাশকতার পৃথক মামলায় ৩ আসামি গ্রেপ্তার
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে স্বাক্ষর পত্রে গড়মিল দেখে মেয়েটিকে আটক করা হয়।
আটকের পর ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি ও সাক্ষ্যগ্রহণ করে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, মূলত ওই মেয়ে যে রোল নম্বরে পরীক্ষা দিতে আসছে সে একজন ছেলে।
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, মেয়ে নিজের ছবি দিয়ে ভুয়া প্রবেশপত্রও করেছে। পরীক্ষায় দায়িত্বরত পরিদর্শক স্বাক্ষর নেওয়া সময় মেয়েটি ছেলে নামে স্বাক্ষর করা দেখে ধরা পড়েন।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি বলেছে সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। যে ছেলের পরীক্ষা দিতে এসেছেন তার সঙ্গে ওই মেয়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। এরপর আটক পরীক্ষার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সবকিছু যাচাই বাছাই করে সরকারি কর্ম কমিশন আইন-২০২৩ এর (১০) ধারা অনুযায়ী তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৩৪ জন পরীক্ষার্থী ছিল। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৬২৫ জন।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
চবিতে একাডেমিক জট নিরসনের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একাডেমিক জট নিরসন ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছে ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
এসময় বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ডে ‘স্পোর্টস সায়েন্সে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘একাডেমিক ক্যালেন্ডার চাই’, ‘বয়স গেলে শেষ হয়ে, কী করব আর অনার্স করে’, ‘আমরা দেই ট্রপি, আপানার দেন সেশনজট’ হাতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল আলম পাশা বলেন, ২০১৫-১৬ সেশন থেকে এ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোনও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। আমাদের পরীক্ষার পর রেজাল্ট পেতে ও ক্লাস শুরুর জন্য আন্দোলন করতে হয়।
আরও পড়ুন: বামনায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি-নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালে তালা
১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম বলেন, আমাদের একটা ভবিষ্যৎ আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা বিভাগের জট নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখানেই জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছি। তারা কি আমাদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে দেবে।
বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, এটা একটি খেলাধুলা সম্পর্কিত বিশেষ ডিপার্টমেন্ট। এখানে খেলাধুলা হয়। এটা বাংলা বা ইংরেজি ডিপার্টমেন্টর মতো না। বাংলাদেশের মাত্র তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু হয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি। যার কারণে এ বিভাগের পর্যাপ্ত গ্র্যাজুয়েট নেই। তাছাড়া যারা বের হয়েছে তাদের শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে। এজন্য বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সেশনজট দীর্ঘায়িত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবি’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের আন্দোলন সমর্থন করি, আমরা নিজেরাও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চাই না।
তারা দাবি করছে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে, আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি ম্যাডামের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
চবি’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের একাংশের বিরুদ্ধে। এর আগে সোমবার অবরোধে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়েছিল ছাত্রদল।
চবির দুই শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিভাগের অফিস ও পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের একাংশের দল ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ২০৪ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন হাসিব ও হাবিব নামে দুই শিক্ষার্থীর নকল ধরেন দায়িত্বরত শিক্ষক সভাপতি আসমা আক্তার। ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম। পরে তাদের পরীক্ষার খাতা রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হলে গত এক বছরেও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি চবি শৃঙ্খলা কমিটি।
যার কারণে, ওই দুই শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট আসেনি। এমনকি তারা তৃতীয় বর্ষেও ভর্তি হতে পারেননি।
এর মধ্যে বছর ঘুরে তৃতীয় বর্ষের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, গত এক বছরেও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ছাত্রলীগের কর্মীরা বিভাগের অফিস ও পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম বলেন, এটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ। আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসে খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। এখানে আমাদের কোনো কাজ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা বলেন, গত বছর তাদের নকল ধরা হলেও বিভাগ আমাদের খাতা দিয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। তাছাড়া, এরইমধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং না হওয়ায় কিছুদিন আগেও আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। মিটিং হলে সেখানে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরকম নকল ধরা পড়লে শিক্ষার্থীদের সাধারণত এক বছরের জন্য এক্সপেল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থীকে বলেছিলাম, তোমরা দ্বিতীয় বর্ষের সঙ্গে আবারও পরীক্ষা দাও। তারা কথা শুনেনি। ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় বর্ষের দুইটা পরীক্ষা চলে গেছে। এখন তারা যদি এক বছরের জন্য এক্সপেল হয়, তাহলে দুই বছরের একাডেমিক গ্যাপে পড়ে যাবে। তবে, বিভাগ যদি সুপারিশ করে শাস্তি কমানোর জন্য, তাহলে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে তাদের বিষয়ে উপাচার্য বিবেচনা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ