কৃষক
জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে হলে জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে কৃষিতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্টারনেট অব থিংস, ড্রোন প্রভৃতির ব্যবহার এবং প্রিসিসন ও ভার্টিকাল এগ্রিকালচারে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এছাড়া, দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গ্রাজুয়েটদেরকে এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে।
রবিবার সকালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামীতে টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করতে দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। সেজন্য, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কারিকুলামকেও উন্নত ও আধুনিক করতে হবে।
এছাড়া নবীন কৃষিবিদদের সেভাবে যোগ্য করে গড়ে তুলতে শিক্ষকমণ্ডলীদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধবনীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে চাল, গম, ভুট্টা, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এখন অনেক ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে আছে।
তিনি জানান, বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে চালের উৎপাদন চার কোটি চার লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যা সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
এছাড়া বিগত ১৪ বছরে চালের উৎপাদন ২৯ শতাংশ, গম ৩৭ শতাংশ, ভুট্টা শতাংশ, আলু ১১০ শতাংশ, ডাল ৩২৮ শতাংশ, সবজি ৬৪৫ শতাংশ, পেঁয়াজ ৩৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনে অর্জিত বিস্ময়কর সাফল্যের ফলেই দেশের মানুষ এখন পেট ভরে খেতে পায়। করোনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধসহ শত দুর্যোগের মাঝেও কেউ না খেয়ে থাকে না।
এছাড়া বিগত ১৪ বছরে কোন খাদ্য সংকট হয় নি।
ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিখাতে আজ যে অভাবনীয় সাফল্য দৃশ্যমান, এর পেছনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের গ্র্যাজুয়েটরা।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী চ্যান্সেলরের পক্ষে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন এবং সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন।
সমাবর্তনে জুলাই ২০১৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি সম্পন্নকারী ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
এদের মধ্যে ২২৪ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী এই সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন ও ডিগ্রি প্রদান করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
বরগুনায় বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
বরগুনায় বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। মৃদু শীতে বেড়েছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। জমি তৈরি, হালচাষ, চারার বীজতলা থেকে উঠানো ইত্যাদি। এসব শেষে এবার চারা জমিতে রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধান আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার বেশিরভাগ ফসলি জমিতে কেউ কেউ ট্রাক্টর আবার কেউ কেউ পাওয়ার টিলার দিয়ে হাল চাষ করছেন। কেউ কেউ স্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠাচ্ছেন। বেশকিছু জমিতে আবার অনেকে চারা রোপণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে চাষ হচ্ছে বিশাল আকৃতির জাপানি মুলা
কৃষক বারেক মিয়া জানান, তিনি তিন একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন। নিজেই ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠিয়েছেন।
আরেক কৃষক আ. খালেক দুই একর জমিতে চারা রোপণ করেছেন। বীজতলা থেকে চারা উঠানোসহ তিনি শ্রমিকদের দিয়েছেন তিন হাজার হাজার টাকা।
উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কৃষক কুদ্দুস আকন বলেন, আমরা পাঁচজন করে দলবদ্ধ হয়ে ভাটিয়ালি গান গাইতে গাইতে চারা রোপণ করি। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই একর জমিতে চারা রোপণ করতে পারি, এতে আমাদের ৪০০-৫০০ টাকার মতো ইনকাম করতে পারি। আবার অনেক দিন কাজ থাকেও না। সর্বশেষ মৌসুমে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা বেশ লাভের মুখ দেখেছেন, সেজন্য এবার বোরো ধানের চাষাবাদ বেশি হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, এবার তুলনামূলক বেশি জমিতে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে। এ বছর বরগুনা বোরো ধানের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার হেক্টর। এখন পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর রোপণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ
চাঁদপুরে নিজের সরিষা ক্ষেতেই প্রাণ গেল কৃষকের
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নিজ সরিষা ক্ষেতে চাষাবাদ করা অবস্থায় এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে সরিষার জমিতে মই দেয়া অবস্থায় হঠাৎ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যু হয় তার।
মৃত কৃষক হাবিবউল্লাহ (৬০) বলিয়া চৌকিদার বাড়ির মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকনিকের বাড়িতে পড়ল ট্রাক, প্রাণ গেল শিশুর
গ্রামের এক পথিক সরিষার জমিতে পড়ে থাকতে দেখে কৃষকের পরিবারের লোকদের খবর দিলে মেয়ে সেলিনা এসে বাবার লাশ পড়ে থাকতে দেখে মাটি থেকে তোলার চেষ্টা করলে দেখতে পান যে কোনো শ্বাসক্রিয়া নেই।
তার চিৎকার শুনে কৃষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।চিকিৎসক বলেন, হাবিবুল্লাহ মাঠেই স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার ও ইউপি সদস্য মিলন পাটোয়ারি এ মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মাদরাসা শিক্ষকের
ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ
সূর্যমুখীর তেল অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় ফরিদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সূর্যমুখী ফুল চাষ। অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় সূর্যমুখী আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এছাড়া বৈচিত্র্যময় কৃষির জেলা ফরিদপুরে প্রায় সবধরণের ফসলই উৎপন্ন হয়ে থাকে।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে এখানে বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। এছাড়া ফরিদপুরের ৯টি উপজেলায় হচ্ছে এর আবাদ। আর স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষবাদ।
ফরিদপুর বিএডিসির উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফরিদপুর বিএডিসির উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা পুরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
আরও পড়ুন: সূর্যমুখীর হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন খুলনার কৃষকরা
এদিকে সূর্যমুখী ফুল চাষে সবধরনের সহযোগিতা করার কথা জানালেন বিএডিসি’র কর্মকর্তা।
ফরিদপুরের গঙ্গাবদ্দি এলাকার চাষী হারিজুর রহমান বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে খরচ কম, অধিক লাভ হওয়ার কারণে এই ফুলের চাষ করেছি।
আর ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা আগামীতে সূর্যমুখী ফুল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব।
এছাড়া সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ফরিদপুর ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন খামার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাহমুদুল ইসলাম খান জিয়া জানান, দিন দিন চাষীরা সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদের দিকে ঝুকছে। এই তেলে কোনো কোলেস্টোরেল নেই, যে কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, এটা অন্য ফসলের চেয়ে স্বল্প জীবনকাল ও লাভজনক। সে কারণেই সূর্যমুখী ফুল চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।
বৈচিত্র্যময় কৃষির জেলা ফরিদপুর। এ জেলায় প্রায় সবধরণের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। সে কারণেই ফরিদপুরে শুরু হয়েছে অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন সূর্যমুখী ফুলের চাষ।
সূর্যমুখীর তেল কোলেস্টেরলমুক্ত ও প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা কমিয়ে কার্যক্ষমতা বাড়াতে অনন্য ভূমিকা রাখে।
যে কোনো তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশী পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর সে কারণেই ফরিদপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে বাড়ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ
মাগুরায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের মুখে হাসি
শেরপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদর উপজেলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের প্রতাবিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের একটি কাঠের গাছের বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিক মিয়া (৬০) ওই ইউনিয়নের প্রতাবিয়া গ্রামের মৃত শাহ ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিখোঁজের চারদিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে রফিক মিয়া ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি। রফিক মিয়ার প্রতিবেশি ওমেদ আলী ও আঙ্গুর মিয়া গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে নিহতের পরিবার।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, নিহতের মাথায়, গলায় ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
ফসলের খেত থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদ্যুৎচালিত কৃষি মটরের তারে জড়িয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোররাতে উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রহিদুল ইসলাম (৪৫) একই গ্রামের ছলেমান মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
প্রতিবেশিরা জানান, শনিবার রাতের কোন এক সময় মটরের সুইস বন্ধ করতে গেলে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলের তার মৃত্যু হয়। পরে ভোররাতে পরিবারের লোকজন খোঁজা-খুঁজির একপর্যায়ে মটরের পাশের কেনালের মধ্যে থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রহিদুলের মৃত্যুর ঘটনা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নাটোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
টেকনাফে ৪ কৃষক অপহরণের অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় থেকে চার স্থানীয় কৃষককে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে হ্নীলার লেচুয়াপ্রাং পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অপহৃতদের স্বজনরা জানিয়েছেন।
অপহৃতরা হলেন- লেচুয়াপ্রাং এলাকার আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, মুহিবুল্লাহ ও আব্দুল হাকিম। তারা সবাই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আরও পড়ুন: টেকনাফে অস্ত্রধারীদের হাতে ৮ জন অপহৃত
অপহৃত আব্দুস সালামের বড় ভাই মুন্সি রফিক জানান, পাহাড়ের পাদদেশে তাদের জমি আছে। যেখানে প্রায় প্রতিদিন পাহাড় থেকে হাতি নেমে ফসলের খেত নষ্ট করে ফেলে। তাই হাতি থেকে ক্ষেতের বাগান রক্ষায় শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে পাহাড়ে যায় চারজন। কিন্তু প্রতিদিনের মতো ভোরে ফিরে আসার কথা থাকলেও সকাল ১০টা পর্যন্ত চারজনের কেউ বাড়ি ফিরেননি।
তিনি ধারণা করছেন, তার ভাইসহ চারজনকে অপহরণ করেছে ডাকাতরা।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটক, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
টেকনাফে পর্যটকবাহী জাহাজে আগুন
বাগেরহাটে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার আলিপুর গ্রামের একটি ধানের জমিতে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মোজাহার মোল্লা (৫৫) বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার আলিপুর গ্রামের জোনাব আলীর মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম জানান, কচুয়া উপজেলার আলিপুর গ্রামের হাফিজুর মোল্লার সঙ্গে একই গ্রামের আফসার শেখের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে আফসার গ্রুপের লোকজন আলিপুর সকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে একটি ধানের জমিতে বোরো ধানের বীজপাতা রোপণ করছিল। এসময় হাফিজ গ্রুপের লোকজন সেখানে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোজাহার মোল্লাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোজাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক বা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান কাটা নিয়ে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১
কৃষকদের সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ার উদ্যোগ লাল তীরের
লাল তীর সীড লিমিটেড দক্ষিণ বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি জেলায় কেএফডব্লিউ-ডিইজি এর সহযোগিতায় আধুনিক প্রযুক্তিতে সবজি চারা উৎপাদনের ওপর ডেভেলপ প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২১ সাল থেকে বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে:
উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে গুণগত মানসম্পন্ন চারা সরবরাহ করার মাধ্যমে দক্ষ নার্সারিম্যান তৈরি করা, তাদের আর্থিক উন্নয়ন ঘটানো এবং পারিবারিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সর্বোপরি প্রত্যেক নার্সারিম্যানকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
এ লক্ষ্যে লাল তীর সীড লিমিটেড উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রকল্পের মানদণ্ড অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ জন এবং তৃতীয় ধাপে ১০ জন হিসাবে মোট ৪০জন নার্সারিম্যান প্রতিষ্ঠা করে।
উক্ত কার্যক্রমকে অধিক সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার কবিতা মন্ডল, গ্রাম: কররী, ইউনিয়ন-রাখালগাছি, উপজেলা-বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাট লাল তীর সীড লিমিটেডের সার্বিক সহায়তায় এক কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করেন।
উক্ত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন অত্র এলাকার কৃষক প্রশান্ত কুমার, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাহাবুব আনাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাল তীর সীড লিমিটেড, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা টিংকু রানী দাস এবং আবু রায়হান, সিনিয়র ম্যানেজার, লাল তীর।
মাঠ দিবসের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রকল্প সমন্বয়কারী ফোরকান আহমেদ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অত্র এলাকার দুই শতাধিকের বেশি কৃষক-কৃষাণী।
প্রকল্পের কার্যক্রমকে অধিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সীড-ট্রে’তে লবণ সহনশীল সবজির চারা উৎপাদন কৌশল ও চারা বিক্রয় কার্যক্রম বিষয়ক আলোচনা করা হয় এবং লাল তীর সীড লিমিটেডের প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।
নার্সারি মালিক কবিতা মন্ডল জানান, লাল তীর সীড লিমিটেডের সার্বিক সহায়তায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে লবণ সহিষ্ণু গুণগত মান সম্পন্ন উৎপাদন করে আজ আমি স্বাবলম্বী।
লবণ সহনশীল গুণগত মানসম্পন্ন চারা উৎপাদন কার্যক্রম অত্র এলাকার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এবং কবিতা মন্ডল একজন স্বাবলম্বী নার্সারিম্যান হিসাবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন এবং তার কার্যক্রম দেখে অন্যান্য কৃষকেরাও আধুনিক পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপস্থিত কৃষকেরা লাল তীর সীড লিমিটেড এমন কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে স্বাবলম্বী তেরখাদার চাষিরা
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত যশোরের সবজির বাজার
কুমিল্লায় আগামজাতের রোপা আমনের ফলনে খুশি কৃষক
আগামজাতের রোপা আমনে ভালো ফলন পেয়ে খুশি কুমিল্লার কৃষকরা। ধানের জাত গুলোর জীবনকাল স্বল্প হওয়ায় ভালো ফলনের পাশাপাশি সরিষা চাষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কৃষককেরা রোপা আমনের আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কার্তিক মাসের শেষ সপ্তাহে। ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, বিনাধান-১৭ ইত্যাদি নতুন জাত দখল করে নিচ্ছে ব্রি ধান ৪৯ ও স্বর্ণমসুরি ধানের মাঠ। তাছাড়া আবাদ বেড়েছে ব্রি ধান ৮৭ ও ব্রি ধান ৯৫ জাত ধানের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রোপাআমন মৌসুমের শুরুতে বুড়িচং উপজেলার কৃষকদের মাঝে ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯৫, ব্রি হাইব্রিড ধান ৪, ব্রি হাইব্রিড ধান ৬, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭, বিনাধান-২০ ও বিনাধান-২২ জাতের ১ টন বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করে উপজেলা কৃষি অফিস। পুরাতন দীর্ঘ জীবনকালীন জাত গুলোর পরিবর্তে আগাম জাতের ধান আবাদের মাধ্যমে শস্য বিন্যাসে সরিষা চাষ অন্তর্ভুক্তির জন্য এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। জাত গুলোর মধ্যে এ বছর প্রথমবারের মতো ছয় হেক্টর জমিতে চাষ হওয়া ব্রি ধান ৭১ বেশি পছন্দ হয়েছে কৃষকদের। ১১৫ দিনে ভালো ফলন হওয়ায় ও জাতটিতে রোগ পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় এই আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন
তাছাড়া ব্রি ধান ৭৫ জাতটি ৯৫ হেক্টর, ব্রি ধান৮৭ জাতটি ২৮৫ হেক্টর, ব্রি ধান ৯৫ জাতটি ৩১ হেক্টর ও বিনাধান-১৭ জাতটি ২১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
রোপা আমন মৌসুমে মোট ৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন অর্জিত হয়েছে বুড়িচং উপজেলায়। আগাম জাতের ধানে ফলন পাওয়া যাচ্ছে প্রতি হেক্টরে চাউলে দুই দশমিক ৮৭ টন থেকে দুই দশমিক ৯৮ টন পর্যন্ত। যা জাতীয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
উপজেলার পাহাড়পুর বেলবাড়ির কৃষক ওমর ফারুক জানান, আগাম জাত বিশেষ করে ব্রি ধান ৭১ চাষ করে আমরা ভালো ফসল পেয়েছি। সঙ্গে সময় কম লাগায় সরিষার চাষ করতে পারবো বলে মনে হচ্ছে।
বুড়িচং উপজেলার রামপুর ব্লকের উপ-সহকারী সুলতানা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের কৃষি অফিসার মহোদয় মাঠে পরীক্ষামূলক আগামজাতের ধানের বীজ দিয়েছেন। আগামজাতের ধানে ভালো ফলন হয়েছে। এতে সরিষা চাষে কৃষক জমি খালি পাবে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, বুড়িচং উপজেলার কৃষকেরা সরিষা চাষে অভ্যস্ত ছিলেন না। ফলে ব্রি ধান ৪৯, ব্রি ধান৩২ ও স্বর্ণমসুরি ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেশি ছিল। সরিষা আবাদ বৃদ্ধির পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আগাম জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করে কৃষকদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বেশ কয়েকটি জাত জাত যেমন ব্রি ধান৭১, বিনাধান-২০, বিনাধান-২২ প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে। কৃষকেরা জাত গুলো পছন্দ করছেন।
যে জমি গুলো আগাম জাত করা যাবে সেগুলোকে সরিষা আবাদের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি বলেও জানান কৃষি অফিসার।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আমন ধান কাটা উৎসব উদযাপন