কৃষক
দিনাজপুরে বজ্রপাতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কৃষক নিহত
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জমি চাষের সময় বজ্রাঘাতে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের খটখটিয়া কৃষ্টপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক রবিন সরেন (৩৮) একই এলাকার বাবু রাম সরেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
স্থানীয় গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদুল কবির রাজু জানান, শনিবার সকালে ইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে মাঠে জমি চাষ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন রবিন সরেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের জন্য কৃষকদের আরও ছয় টাকা বেশি খরচ করতে হবে। সোমবার থেকে এ নতুন দাম কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এ নতুন দাম ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে, ইউরিয়া সার এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৬ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকায় বিক্রি হবে এবং ডিলার পর্যায়ে কেজি প্রতি ১৪ টাকা থেকে ২০ টাকায় দাম পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
হ্যান্ডআউট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম বর্তমানে ৮১ টাকা। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ৬ টাকা বাড়ানো সত্ত্বেও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া সারে ১৫ টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে এবং এর ফলে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণে সরকারের ভর্তুকি চার গুণ বেড়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকার যেখানে সারের জন্য সাত হাজার ৭১৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ হাজার কোটি টাকা।
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের চারদিন পর কৃষকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিখোঁজের চারদিন পর এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাগেশ্বরী পৌরসভার পয়রাডাঙ্গা এলাকার মসলিয়া বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৩০) উপজেলার বদিজামারপুর গ্রামের কয়ছার আলীর ছেলে।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীউল হাসান বলেন, সোমবার পাট কাটার উদ্দেশে আব্দুর রাজ্জাক বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এ ঘটনায় পরের দিন নাগেশ্বরী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার মসলিয়া বিলের মধ্যে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে লোকজনকে খবর দেয়া হলে আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার ও পুলিশ তার লাশ শনাক্ত করে।
শুক্রবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রামে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
রেললাইনের পতিত জমিতে আনারস চাষে সফল কৃষক
কৃষক আব্দুল কাদেরের বাড়িতে তার এক বন্ধু বেড়াতে এলে সঙ্গে নিয়ে আসেন আনারকলি জাতের আনারস। সুমিষ্ট সেই আনারস খেয়ে স্বপ্ন দেখেন এর জাত বাড়ানোর। বাড়ির পাশে এর কাণ্ডও রোপণ করেন। পরে ওই গাছে ফল দেখে অবাক কাদের চিন্তা করেন এ আনারসের বাণিজ্যিক চাষাবাদের।
তবে বিপত্তি বাঁধে উপযুক্ত জমি নিয়ে। পানি জমে না এমন ঢালু ও উঁচু জমি আনারস চাষের জন্য বেশ উপযোগী। কিন্তু লালমনিরহাটের জমি সব সমতল হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও আনারস চাষে লাভের সুযোগ খুবই কম।
তবে অদম্য কৃষক আব্দুল কাদের ২০০৮ সালে বাড়ির পাশে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেল লাইনের ঢালু জমিতেই পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেন তার স্বপ্নের আনারস। এতে সফলও হন তিনি।
আরও পড়ুন: মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন!
কৃষক আব্দুল কাদের লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের লাল ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, আনারকলি জাতের এ আনারস ভারতের শিলিগুরিতে তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি ওজনের হয়। তবে তার বাগানে ফলেছে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজন পর্যন্ত। ওজন কিছুটা কম হলেও স্বাদে কমতি নেই। এই জন্য এর চাহিদাও অনেক বেশি।
সুনামগঞ্জে নামছে বন্যার পানি
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় প্লাবিত অঞ্চলগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে।
বন্যার পানি উপজেলার নিন্মাঞ্চলের জনবসতি থেকে নামলেও বসত বাড়িঘরের নাজুক অবস্থার জন্য এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি বানবাসি লোকজন। তারা বাধ্য হয়েই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বন্যায় এ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হলে জানা গেছে।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ১নং আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন নোমান জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় তিনশ’ পরিবারের বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও দুই হাজার পাঁচশ’ বাড়ির আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১১২
তিনি আরও জানান, পশুখাদ্য নষ্ট হয়েছে প্রায় কোটি টাকার ওপরে।
২নং হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস বলেন, তার ইউনিয়ন এলাকায় চলতি বন্যায় প্রায় তিনশ’ পরিবারের বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও তিন হাজার তিনশ’টির বেশি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি টাকার ওপরে পশু খাদ্যের ক্ষতি হয়েছে।
৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ইউনিয়নে প্রায় ৩৫০টির বেশি বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও এক হাজার পাঁচশ’টির বেশি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং পশুখাদ্যের ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার ওপরে।
এছাড়া ৪নং শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, তার ইউনিয়নে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দেয়া প্রায় সবকটি ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া প্রায় ২৫০টির বেশি পরিবারের বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও তিন হাজার দুইশ’টির বেশি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্যায় ৭২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: জাতিসংঘ
তিনি আরও জানান, তার ইউনিয়ন এলাকায় প্রায় তিন কোটি টাকার পশুখাদ্যের ক্ষতিসহ কৃষকদের সংরক্ষিত প্রায় ছয়শ’ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, বন্যায় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো চুড়ান্ত ভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ ছয়শ’ ৩০টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে নগদ ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত ৩০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করতে পেরেছে।
রাজশাহীতে শিয়ালের কামড়ে ১৮ কৃষক আহত
রাজশাহীর বাগমারায় এক দল শিয়ালের কামড়ে ১৮ জন কৃষক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতেরা হলেন- লোকমান আলী, আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও আফসার মৌলভি।
এছাড়াও অপর ১৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পান বরজে পান ভাঙতে গেলে ৮ থেকে ১০টি শিয়ালের একটি দল কৃষকদের ওপর হামলা করে। আগে থেকেই ওই পান বরজে শিয়ালগুলো লুকিয়ে ছিল। প্রথমে একজনের ওপর হামলা করলে অন্যরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে শিয়ালের কামড় ও আঁচড়ে আহত হন ১৮ জন। পরে গ্রামবাসী ধাওয়া করে একটি শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, এসময় অন্যগুলো পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শিয়ালের কামড়ে মাগুরায় আহত ৫
বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.গোলাম রাব্বানি বলেন, শিয়ালের কামড় ও আঁচড়ে আহত ১৮ জনের মধ্যে লোকমান আলী, আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও আফসার মৌলভি- এই চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ১৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, মঙ্গলবার ভোরে পান বরজে কৃষকরা শিয়ালের হামলার শিকার হন। শিয়ালগুলো পান বরজে লুকিয়ে ছিল।
তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় কামড়ে বেশি আহত এমন চারজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্যদের মধ্যে যারা কামড়ে বা আঁচড়ে আহত হয়েছেন তাদেরকেও ভ্যাকসিন দিতে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন: শিয়াল মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে সিরাজগঞ্জে শিশুর মৃত্যু
শিয়াল আতঙ্কে গ্রামবাসীর রাত জেগে পাহারা!
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে জখম
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শরীয়তপুর সদরে এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার টুংচর নতুন রাস্তায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত আলী হোসেন সরদার (৫৫) উপজেলার মজুমদার কান্দী গ্রামের মৃত নোয়াব আলী সরদারের ছেলে। তিনি সদর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আসন্ন চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সমর্থক।
স্থানীয়রা জানায়, চিতলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম হাওলাদার এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মাস্টার হারুন অর রশিদ হাওলাদারের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, কিশোরকে কুপিয়ে জখম
৩ মে মজুমদার কান্দী গ্রামে এই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুস সালাম হাওলাদারের সমর্থক কুদ্দুছ বেপারী নিহত হন। ওই ঘটনায় আলী হোসেন সরদারকে কুদ্দুস বেপারী হত্যার আসামি করা হয়। এদিকে ঘটনার পর নিজ বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী টুংচর এলাকায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন আলী হোসেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলী হোসেন সরদারকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় প্রতিপক্ষ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সালাম হাওলাদারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে এসআইকে কুপিয়ে জখম
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, চিতলিয়ায় আলী হোসেন সরদার নামে এক লোকের ওপর হামলা হয়েছে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
শত্রুতার বলি ২ হাজার কলা গাছ!
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুষ্টিয়ার মিরপুরে দুর্বৃত্তরা প্রায় দুই হাজার কলাগাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোররাত ৫ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফিরোজ মন্ডল জানান,কৃষ্ণপুর গ্রামের বাইলদাড়ি মাঠ জিকে ক্যানালের পাশ দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে কলাগাছের চাষ করেছিলেন তিনি।
তাঁর দাবি,শত্রুতাবশত পাশ্ববর্তী এলাকার প্রতিপক্ষের লোকজন দুই হাজার কলাগাছ কেটে ক্ষতি করেছে। এ ঘটনায় প্রায় ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এঘটনায় জড়িত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ সেখানে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লাউ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা
মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন!
গাইবান্ধায় পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণেই ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দরও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এতে পটল চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটাসহ সাত উপজেলার অনেক জমিতেই এ বছর পটল চাষ হয়েছে। কার্তিক মাসে জমিতে মাচা করে লাগানো পটলের সারিসারি খেত দেখলে কৃষকসহ সকলের মন ভরে ওঠে। মাচায় মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
গাইবান্ধা ঘাগোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান রিংকু বলেন, রাস্তার দু’পাশে যতো দূর চোখ যায় পটলসহ সাথী ফসলের খেত । শুধু পটল নয় একই মাচায় ঝুলছে চিচিংঙ্গা, ধুন্দল, করলাসহ নানা জাতের সাথী ফসল। গাইবান্ধার যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকা গিদারী , ঘাগোয়া , মালিবাড়ি, লক্ষ্মীপুর খোলাহাটি , রুপারবাজার জুড়ে, সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট , রসুলপুর , জামালপুর। এসব এলাকায় হাট বসে কয়েক জায়গায়। হাট থেকে পাইকাররা ট্রাক ভর্তি করে কিনে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: গরমে ঠাকুরগাঁওয়ে কদর বেড়েছে তালশাঁসের
পটল চাষী আলতাফ হোসেন জানান, মাচায় যে পটল হয়েছে। ৪৩ হাজার টাকার পটল বিক্রি করেছি তারপরেও আরও অন্তত ৬০ হাজার টাকার পটল বিক্রি করতে পারবো । তাতে খরচ বাদ দিয়ে আমার লাভ হবে অন্তত ৮৫ হাজার টাকা ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজা ই মাহমুদ জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ, কোচাশহর, গুমানীগঞ্জ , তালুক কানুপুর, হরিরামপুর, দরবস্ত , শালামারা ইউনিয়নের জমিতে জমিতে সবুজের সমারোহ। তিনি বলেন, উপজেলা সদরে হাট বসে পটলের। এই পটল কেনার জন্য দূরদুরান্ত থেকে পাইকাররা আসেন। তারপর বস্তা ভরে ট্রাকে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি হয়।
কৃষি কর্মকর্তা বলেন, চৈত্র, বৈশাখ মাস থেকে পটল উঠানো শুরু হয়। অনুকূল আবহওয়ায় এবছর পটলের ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজার দর ভালো পাওয়ায় লাভবান হয়েছেন চাষীরা। প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
আরও পড়ুন: চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন
পটল চাষী মোহাম্মেল হোসেন জানান, তিনি এবার তার ৫ বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছেন। পটল চাষে ঝামেলামুক্ত এবং অল্প খরচেই হয় বলে এ আবাদ বেশী লাভজনক। পটল মানেই নগদ টাকার আবাদ। লাভের অংশ বেশি হওয়ায় প্রতিবছরই কৃষকদের মাঝে পটল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আতিমাত্রায় বৃষ্টি বা বন্যা না হওয়ায় অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে পটল আবাদ হয়েছে। এক বিঘার জমি থেকে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত পটলের উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়াও পটলের মধ্য আদা, কাঁচা মরিচ, হলুদ, আদা, মুখী কচু আবাদ করছেন। বিক্রি করেও নিজের চলে যায়।
ব্যাপারী আহম্মেদ আলী এসেছেন ঢাকা থেকে পটল কিনতে। হাটবারে পটল কিনে রাতেই নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন ,উৎপাদনের শুরুতেই বাজারে প্রতিমণ পটল এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখনও তা এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা কম লাভে আড়তে বিক্রি করি। কাঁচামালের ব্যবসা ভালো মন্দ দুই আছে। সে কারণে প্রতিদিন কিনি প্রতিদিন বিক্রি করি।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বেলাল হোসেন জানান, এবার জেলায় ৪শ’ ৮১ হেক্টর পটলের চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন ২০ মেট্রিক টন। সরকার এ সবজির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে এ চাষ আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চাষীরা।
আরও পড়ুন: হালদায় আশানুরূপ মাছের ডিম মিলছে না
কচুয়ায় ফসলের মাঠে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
চাঁদপুরের কচুয়ায় জমিতে কৃষি কাজে গিয়ে বজ্রপাতে মিল্লাত হোসেন ওরফে সাদ্দাম (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
মিল্লাত হোসেন উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের বেপারি বাড়ির মোস্তফা কামালের ছেলে।
শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, মিল্লাত হোসেন সকালে বৃষ্টিতে ভিজে ধানের বীজ বপন করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ভারী বৃষ্টি ও প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হলে এলাকার লোকজন সাদ্দামকে মাঠে সংজ্ঞাহীন পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে স্বজনরা দ্রুত নিকটস্থ শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩
দৌলতপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু