ইলিশ
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং ইলিশ বেড়ে উঠার পথে কোনোভাবেই যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় সেজন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের কর্মসূচি ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে। ‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’ এই প্রতিপাদ্যে আমাদের এবারের কর্মসূচি। এ সময় ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষা এবং জাটকা নিধন বন্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাটকা আহরণ বন্ধকালে ইলিশ আহরণে জড়িতদের যাতে সমস্যা না নয়, সেজন্য তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্র্যান্ডেড এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা মাছ ইলিশ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। আশা করছি- ভবিষ্যতে এটা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে।
ইলিশ উৎপাদনকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাটকা রক্ষায় ও মা ইলিশ আহরণ বন্ধে জলে, স্থলে ও আকাশপথে বিভিন্নভাবে মনিটর করা হচ্ছে। ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য ক্ষতিকর জাল তৈরি করে জাটকা নিধন করে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকাসহ অন্যান্য মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে এ বছর বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে ৩০ দিনে ১৭টি জেলায় মোট ৯৩১টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ৪৭৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যার মাধ্যমে- ৭ হাজার ৬৬৯টি বেহুন্দি জাল, ৪৪৮ দশমিক ৭১ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১৯ হাজার ৭৪২টি বেড় জাল, চরঘড়া জাল, মশারি জাল ও পাইজাল আটক করা হয়েছে এবং প্রায় ২৩ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৯২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা খুব কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭১টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৭১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বিতরণ করা হয়েছে। কারণ, আমাদের মৎস্যজীবীদের পরিবারের কথাও মাথায় রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে কম লাভে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর
মন্ত্রী আরও বলেন, ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩১ হাজার ৭০০ জেলেকে চাহিদানুযায়ী নানা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।
ইলিশ সংরক্ষণে শুধু মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর নয়, সকলকে সম্পৃক্ত থাকতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে।
এমন কি মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। আমরা জাটকা ধরবো না। বড় ইলিশ তৈরির সুযোগ করে দেবো। আমরা বড় ইলিশ খাওয়ার সুযোগ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করবো না। এটা হোক জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে আমাদের অঙ্গীকার।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, জাটকা নিধনের সাথে যারা জড়িত, গোচরীভূত হওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার কাজ করছে। মা ইলিশ রক্ষা পেলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দাম কমে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, তবে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার এসব বিষয় সদিচ্ছার সঙ্গে মনিটরিং করছে।
শুধুমাত্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জাটকা বা মা ইলিশ ধরা বন্ধে সামাজিক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে, জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটা বড় ক্ষেত্র।
তিনি বলেছেন, তাই এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা ও বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এটিকে আরও বেশি উৎপাদন বাড়ানো এবং এটিকে সত্যিকার অর্থে বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেই আমরা এগোতে চাই।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ২০০১-২ সালের চেয়ে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এ প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা ও একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্যই এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা করা জরুরি।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠুভাবে তা পালনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি অভয়াশ্রম সম্পৃক্ত এলাকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে তাদের জন্য ভিজিএফের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের উদ্যোক্তাদের চেয়েও দ্বিগুণ লাভ করার মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের রক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের জন্য ইলিশের দাম অনেক শ্রেণির মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ অসাধু ব্যবসায়ী যারা কারসাজি করে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
পরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর প্রতিবেদন শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স।
এর মধ্যে নৌপুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স ৫ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নৌপুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নৌপুলিশের অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌপুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২জন জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
এসব ঘটনায় দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োজিত ও ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে জব্দ ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌপুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২৪ জেলে আটক
ভোলায় ইলিশ ধরায় ১২ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানে ১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ২০ হাজার মিটার সুতার জালসহ ৬০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল থেকে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ.এম.এম হারুন অর রশীদ জানান, মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে কোস্টগার্ডের একটি দল এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদী থেকে ২২ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে জব্দ করা জাল মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ১০ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ৩৪ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত থেকে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৩৮ জেলেকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৫৪ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৮টি নৌকা ও ১৯২ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
এ নিয়ে ৪ দিনে মোট ৩৬ জেলেকে আটক করা হলো।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ৩৬ জেলের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জেলেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা, দুই জেলেকে ১৫ দিন কারাদণ্ড ও ৬ জেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং জব্দ করা মাছ অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
চাঁদপুরের হাইমচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ২৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, দুটি নৌকা ও মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ও শনিবার (১৪ অক্টোবর) হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও কোস্ট গার্ড।
গ্রেপ্তার ২৭ জেলের মধ্যে ২০ জেলেকে মৎস্য আইন মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে এবং ৭ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
জব্দ করা মা ইলিশ হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহ্লা চৌধুরী বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা মা ইলিশ রক্ষায় গত ২ দিনে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের প্রথম দিনেই ২৭ জেলেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় গ্রেপ্তার করেছি।
পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা গেলে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জেলেদের সহায়তায় সরকারের মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা, জাটকা নিধন বন্ধ করাসহ ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অতীতের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন এবং ইলিশের আকারও বেড়েছে। জেলেরা এখন বড় আকারের ইলিশ আহরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, একটি মা ইলিশ ৬ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত ডিম দেয়। একটি মা ইলিশ আহরণ করা মানে লাখ লাখ ইলিশ ধ্বংস করা। সুতরাং মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
এ সময় জেলেদের স্বার্থেই মা ইলিশ নিধন বন্ধ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকার ভিজিএফ সহায়তা দিচ্ছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলায় এ সহায়তা পৌঁছে গেছে। ভিজিএফের আওতায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে মোট ১৩ হাজার ৮৭২ দশমিক ১৮ টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় জেলেদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কারো খারাপ পরামর্শ বা ভুল প্ররোচনায় নিষেধাজ্ঞার সময় কোনোভাবেই মাছ ধরতে নদী বা সাগরে নামা যাবে না। মা ইলিশ সংরক্ষণের সময় আইন মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ করলে জেল ও জরিমানার আওতায় আসতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সারা দেশে ২২ দিনের ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে বাংলাদেশের জাতীয় এই মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চর ভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে জেলেরা মাছ ধরতে পারবে না।
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দিয়েছে এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
স্থানীয় প্রশাসন জেলার উপকূলীয় এলাকায় একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচিও পরিচালনা করেছে।
জেলেদের অলস সময় কাটাতে এবং কয়েকজনকে তাদের জাল মেরামত করতে দেখা গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নিবন্ধিত ৪৩ হাজার ৭৭২ জন জেলের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম এক-দুই দিনের মধ্যে শেষ হবে।
এ সময় টাস্কফোর্স নিষেধাজ্ঞা অমান্য রোধে সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত এর পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করবেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, টাস্কফোর্স কমিটি কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং জেলার মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপজেলায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগ নিম্ন আয়ের মানুষেরই নাগালের বাইরে ইলিশ। তবে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় তারা শুকনো, নোনা (লবণ দেওয়া) ইলিশের স্বাদ নিতে পারে।
প্রতি বছর চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য ঘাটের শ্রমিকরা অবিক্রীত ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাত করেন। তারা এখন মাছ কেটে তাতে লবণ দিতে ব্যস্ত।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় শুকনো লবণাক্ত ইলিশ বা ‘নোনা ইলিশ’পাওয়া যাচ্ছে এবং এর চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
আরও পড়ুন: ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
মৎস্য ঘাটে মৌসুমে নরম হয়ে যাওয়ায় অনেক ইলিশ অবিক্রীত থেকে যায়। কিছু ব্যবসায়ী এগুলো অল্পদামে কিনে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে। শুকনো লবণযুক্ত মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১২০০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া শ্রমিকরা মাছ থেকে আলাদা করা ডিম বিক্রি করছেন আড়াই হাজার থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। গত বছর প্রতি কেজি ইলিশের ডিম বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ টাকায়।
রমজান বেপারী নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এবং প্রতি বছর ইলিশ মৌসুমে ময়মনসিংহ থেকে এসে এই এলাকায় থাকেন।
পাইকারি বাজার থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে ৭০০-১০০০ গ্রাম ওজনের অবিক্রিত ইলিশ কিনেছেন তিনি।
এ বছর ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার মণ ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তিনি। এই শুকনো নোনা ইলিশ আগামী ৬ মাস খাওয়ার উপযোগী থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।
রমজানের মতো আনোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, চারি গাজীসহ অনেক ব্যবসায়ী একই উদ্দেশ্যে চাঁদপুরে এসেছেন।
প্রায় ১০০ জন নারী ও ১৫০ জন পুরুষ ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। তারা যে দৈনিক মজুরি পান তাতেই খুশি।
চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিসুর রহমান বলেন, লবণ দিয়ে ইলিশ ছয় মাস সংরক্ষণ করা যায়।
রেফ্রিজারেটরে সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ইলিশের ডিমও একইভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ এখন ইলিশ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত এবং তারা মুনাফা করছে।
আরও পড়ুন: মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছটির সর্বোচ্চ প্রজননকালীন সময়ে নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে এ সময়ে ইলিশ ধরা, বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
তিনি বলেন, মাছ ধরার উপর বিধিনিষেধের উদ্দেশ্য হলো- এই সময়কালে ডিম দেওয়া মা ইলিশকে রক্ষা করা
একক প্রজাতির মাছ হিসেবে দেশের মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের সার্টিফাইড পেটেন্ট পণ্য হিসেবে স্বীকৃত মাছটি সাঁতার কেটে নদীতে ডিম দেয়। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বের প্রায় ৭৫ শতাংশ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়।
চাঁদপুরকে বাংলাদেশের ইলিশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ পদ্মা নদীর মাছ অন্যান্য নদী থেকে আসা মাছের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৩ দিনে ১৭৩ টন ইলিশ রপ্তানি