কুমিল্লা
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেবিদ্বার ও চান্দিনা উপজেলায় এই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার অষ্টগ্রাম এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
নিহতেরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজলার জাজিয়ারা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে সলিম (২২) ও একই উপজেলার কুটি গ্রামের শুবল চন্দ্র বর্মণের ছেলে লক্ষ্মণ বর্মণ (২৬)।
আহতদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, পিকআপ ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে। পিকআপটিকে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসচাপায় আব্দুর রশিদ (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নাওতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রশিদ চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের নাওতলা গ্রামের বাসিন্দা।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রেমধন মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত ১২
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মাটিবোঝাই ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত এবং অপর এক আরোহী আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার গোদ লাইন গ্রামের কলিম উল্লাহর ছেলে এবং আহত পুষুন একই এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে প্রাইভেটকার-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুলতান আহমদ বলেন, কাবিলা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের সামনে ক্যান্টনমেন্টগামী ট্রাকটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে শাকিল ও পুষুন ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। এতে শাকিল ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এছাড়া আহত পুষুনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ নিহত ৩
এসআই জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করে আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় ট্রাকের চালক পলাতক রয়েছে এবং থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে জুনায়েদ (৮) ও রিহান (৮) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের নূর মানিকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনায়েদ ওই গ্রামের আবু কালামের ছেলে এবং রিহান একই বাড়ির মুমিন মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। উভয়ই নূরমানিকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
ওই বাড়ির বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, শিশু দুটি বিদ্যালয় থেকে ফিরে বাড়ির সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে যায়। শিশু জুনায়েদ পানিতে ডুবে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে রিহানও ডুবে যায়।
তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, শুনেছি চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু দুটিকে পাঠানো হয়েছে। খবর নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
ওসমানীনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত
গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও বগুড়া জেলায় শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কুমিল্লায় শনিবার সকালে ব্যস্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেকিনগর গ্রামে বাসের ধাক্কায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- বেকিনগরের আব্দুল হকের ছেলে রাসেল (৩০) ও শরিফুল ইসলাম (৩০) ও শাহজালালের ছেলে তাশফি আহমেদ (১৮)।
কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল জানান, সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাসটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাজেন্দ্রপুর-টোক সড়কে শনিবার ভোররাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
চেওরাইট ইলুর মোড়ে কিশোরগঞ্জগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে বাসটি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুইজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩৩
অন্যদিকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার নাল্লা বাজারে শুক্রবার রাতে বাসের ধাক্কায় দুই ভাইবোনসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২) ও মৃদুল (১৫), বজলু মিয়ার ছেলে হাসান (১৯) ও ভ্যানচালক বাবুল কর্মকার (৫০)।
ধনবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আশিকুজ্জামান জানান, বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে জামালপুর থেকে ঢাকাগামী বাসটি তিন চাকার ভ্যানে ধাক্কা দিলে ভ্যান চালক ও আরোহী সাইফুল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর দুইজন আহত হন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
বগুড়ায় শুক্রবার রাতে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় ১৯ বছর বয়সী এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে।
নিহত সাকিব হাসান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বগুড়ার (আইআইটিবি) ছাত্র এবং রফিকুল ইসলামের ছেলে।
শাহজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া থেকে ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি সাকিবের বাইককে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. একেএম বানিউল আলম বলেন, ‘নিহত সাকিব মোটরসাইকেলটির আরোহী ছিলেন আর তার বন্ধু সানি আহমেদ পিলিয়ন এটি চালাচ্ছিলেন। ধাক্কায় দুজনেই বাইক থেকে পড়ে যান। কিন্তু সাকিব ওঠার আগেই তাকে যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়।’
তিনি আরও বলেন, আমরা বাসটি জব্দ করেছি এবং লাশ স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: ঈদে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ নিহত ৩
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ নিহত ৩
কুমিল্লায় পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ তিন জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ও শুক্রবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-লাকসাম নবাব ফয়েজুন্নেছা কলেজের ছাত্রী শ্রাবন্তি (১৯) এবং আনিসুর রহমান ভূইয়া (৩৫)। নিহত আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বালি বোঝাই ট্রাক উল্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী নিহত
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার সাহেব বাজার পুরাতন ওয়েট স্কেলের সামনে ব্রাহ্মণবাড়ীয়াগামী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়ে। এতে বাসটি উল্টে পাশের একটি খাদে পরে গেলে চারকের সহকারী নিহত হন। দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে বাস-লরি সংর্ঘষে নিহত ২
এদিকে ভোর সাড়ে ৪ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা কোটবাড়ী বিশ্বে রোড এলাকায় কুমিল্লাগামী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাইক্রোবাসে থাকা যুবক আনিসুর রহমান ভূঁইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় অন্তত আরও ছয় জন আহত হয়েছেন।
নির্বাচনের সময় বাহাউদ্দিনকে কুমিল্লা সিটি ছাড়ার নির্দেশ ইসি দেয়নি: সিইসি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহারকে নিজ এলাকা ছাড়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘তিনি (বাহাউদ্দিন) নিঃসন্দেহে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তবে নির্বাচন কমিশন কাউকে, এমনকি একজন সাধারণ ব্যক্তিকেও তার এলাকা (স্থায়ী ঠিকানা) ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারে না; তাকে (বাহাউদ্দিন) নির্দেশ দেয়ার কথায় তো আসে না।’
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাহাউদ্দিনকে তার এলাকা ছাড়ার জন্য কোনো আদেশ জারি করিনি। আমরা বিনীতভাবে তাকে নির্বাচনী বিধিমালা রক্ষার স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের কাছে এখনও চিঠিটি আছে।’
আরও পড়ুন: আমরা জানতাম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এমন হবে: ফখরুল
তবে ইসি নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না বলে সর্বত্র খবর ছড়িয়ে পড়ে বলেও জানান আউয়াল।
সিইসি বলেন, বহিরাগত কাউকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। কিন্তু কুমিল্লা হচ্ছে ওই সংসদ সদস্যের স্থায়ী ঠিকানা।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রচারণার অভিযোগ পাওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকায় না থাকার নির্দেশ দেয় ইসি। কিন্তু তিনি এলাকা ছেড়ে না গিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, বাহাউদ্দিন কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি।
সিইসি বলেন, তিনি কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ পান। তাই কমিশন তাকে অনুরোধ করে।
তিনি বলেন, ‘তিনি অনুরোধ রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন। তবে তিনি চলে গেলে ভালো হতো।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রিফাত মেয়র নির্বাচিত
তিনি আরও বলেন, ইসি তাকে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখেনি। তবে কেউ কেউ বলছেন তিনি কৌশলে অংশ নিয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা ছিল ইসি তাকে অনুরোধ করলে সব বিভ্রান্তির অবসান হবে।
আউয়াল বলেন, একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বহিরাগত হওয়ায় এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে ইসি।
এর আগে গত ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি নির্বাচন হয় এবং সেখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল ইসলাম সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন।
কুমিল্লায় আরও বেশি ভোটে জয়ের প্রত্যাশা করেছিলাম: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আরও বেশি ভোটে জিতবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম আরও বেশি ভোটে জিতবো। আমাদের ধারণা ছিল ছয় হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধান থাকবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) ম্যাগাজিন ‘বিএসআরএফ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বুধবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র পদে মনিরুল হক সাক্কুর জয়ের ধারা পাল্টে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
দুইবারের মেয়র সাক্কুকে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন রিফাত।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রিফাত মেয়র নির্বাচিত
নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল অনুসারে, রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাক্কু ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়েছেন।
পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে রিফাত নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রিফাত মেয়র নির্বাচিত
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনিরুল হক সাক্কুর জয়ের ধারা পাল্টে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
দুইবারের মেয়র সাক্কুকে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন রিফাত।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটিসহ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি
নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল অনুসারে, রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাক্কু ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়েছেন।
পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে রিফাত নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সাক্কুর হ্যাটট্রিক নাকি রিফাতের প্রথম?
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বুধবার বহুল আলোচিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে প্রথম বড় নির্বাচনও এটি।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো বিরতি ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নগরবাসীর মতে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এগিয়ে রয়েছেন।
এছাড়া মেয়র পদে আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে কুমিল্লা সিটির দুইবারের মেয়র সাক্কু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হ্যাটট্রিক জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ বরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: পুলিশ সুপার
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও স্থানীয় প্রভাবশালী দলের নেতারা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছেন সাক্কু।
এদিকে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রিফাত সুষ্ঠু ভোট এবং জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, নগরীর উন্নয়নে ভোটাররা একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করবেন। দুর্নীতি থেকে মুক্তি ও নগরীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনগণ মেয়র পদে পরিবর্তন চায়।
উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন এবং সকল ভোটার নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রিফাত।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে প্রায় দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন মানুষের ভোটাধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কু আজীবন বহিষ্কার
এছাড়া নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন এবং সংরক্ষিত ৯টি আসনে ৩৬ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে এসব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বলছে ইসি। এছাড়া ১৫ সদস্যের আরেকটি নিরাপত্তা দল প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে।
নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে মোবাইল ফোর্স হিসেবে ২৭টি টিম (পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে), স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৯টি দল এবং সংরক্ষিত বাহিনী হিসেবে দুটি দল রয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে ২৭টি ওয়ার্ডে র্যাবের ২৭টি টিম রয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের শাস্তি নিশ্চিতে ৯ জন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।
গত ২৫ এপ্রিল ইসি এ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এবং গত ১৭ মে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা শেষ হয়।
২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। ২০১১ ও ২০১৭ সালে প্রথম দুটি নির্বাচন হয়। এ দুই নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।
এছাড়া বুধবার সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় একটি উপজেলা পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা এবং ১২৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হবে বলে মঙ্গলবার ইসি থেকে দেয়া তথ্যপত্রে জানানো হয়েছে।
একই দিনে একটি উপজেলা পরিষদ, একটি পৌরসভা ও ৪৪টি ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকটি পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: পুলিশ সুপার
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট আগামীকাল বুধবার হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘পুরো কুমিল্লা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার সকালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কু আজীবন বহিষ্কার
তিনি বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যত ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার দরকার সব নেয়া হয়েছে। নগরীর অন্তত ৭৫টি জায়গায় তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
এই নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন উল্লেখ করে এসপি ফারুক আহমেদ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি ভোটের মাঠে তিন হাজার ৬০৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আজ (মঙ্গলবার) থেকেই কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ও এলডিপির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২, এলডিপি মহাসচিব আটক
বহিরাগতদের ঠেকাতে চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে চেকপোস্টে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছে একটি ছুরি পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে নির্বাচনের ভোট উপলক্ষে কুমিল্লা জিলা স্কুল অডিটোরিয়াম থেকে ইভিএম ও নির্বাচনী সব ধরনের জিনিসপত্র ১০৫টি কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা এসব গ্রহণ করবেন।