কুমিল্লা
কুমিল্লায় স্কুল মাঠগুলোতে চলছে অবৈধ গরুর হাট!
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় স্কুল মাঠেই অবৈধ গরুর হাট চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উপজেলার ২৩টি পশুর হাটের মধ্যে ১১টি হাটেরই কোনও অনুমোদন নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জোয়াগ ইউনিয়নের ধেরেরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও বরকইট ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সপ্তাহে দুইদিন করে গরুর হাট চলে। এর মধ্যে নবাবপুর ও ধেরেরা অস্থায়ী হাট অন্য জায়গা দেখিয়ে সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে পরবর্তীতে বিদ্যালয় মাঠে হাট বসায়।
আরও পড়ুন: পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
এদিকে শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের হাট ইজারা ছাড়াই জোরপূর্বক হাট চলছে।
জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে চান্দিনা উপজেলায় চারটি স্থায়ী গরুর বাজার রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় আরও আটটি অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। স্থায়ী ও অস্থায়ী ১২টি গরুর বাজারের স্থলে বর্তমানে চান্দিনায় অন্তত ২৩টি গরুর হাট রয়েছে। চান্দিনার শ্রীমন্তপুর, ছয়ঘড়িয়া, শুহিলপুর, কালিয়ারচর, গল্লাই-তালতলা, মহিচাইল-ছেঙ্গাছিয়াসহ আরও অন্তত পাঁচটি হাট অবৈধভাবে চলছে। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের অনুমতি না মিললেও, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ওই সব হাটে পশু বেঁচা-কেনা হচ্ছে। এতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
চান্দিনার শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘কে বা কারা গরুর বাজার বসিয়েছে আমি কিছুই জানি না। শনিবার স্কুলে এসে মাঠে খুঁটি দেখে শুনেছি শুক্রবার নাকি গরুর হাট বসেছিল।’
ধেরেরা গরু হাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধেরেরা মৌজার ৫৫১ দাগে ইজারা নিয়েছি। মাঠের এক পাশে খুঁটি বসাই। যেখানে আমাদের ইজারা আছে। স্কুলের জায়গায় খুঁটি দেইনি।’
নবাবপুর গরু বাজার পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আশেক এলাহী জানান, ‘নবাবপুরে স্থায়ী গরুর বাজার আছে। ঈদের সময় ওই জায়গাতে সংকুলান না হওয়ায় স্কুল মাঠে নিয়ে আসি। ঈদের সময় মাত্র দু’টি বাজারই হয় স্কুল মাঠে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি জায়াগায় অস্থায়ী গরুর হাট ইজারা দিয়েছি। কোন বিদ্যালয়ের মাঠে নয়। যারা বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসিয়েছে, খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া অনুমোদনহীন গরুর হাট বন্ধে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।’
ঘরমুখো মানুষের চাপেও যানজটমুক্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার অংশ যানজটমুক্ত রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোথাও যানজট নেই।
আরও পড়ুন: বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপে যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি, গৌরীপুর, চান্দিনা, ক্যান্টনমেন্ট, পদুয়ারবাজার ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় যানবাহনের চাপ দেখা যায়।
এছাড়া মহাসড়কের পশুবাহী ট্রাকগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা গেছে।
কুমিল্লায় আরও ৯ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৭৬
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৮০ জনের। এছাড়া জেলায় নতুন করে ৪৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে করোনায় আরও ১২ মৃত্যু, শনাক্ত ৫৩৫
তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। তাদের বয়স ৩২ বছর থেকে ৯৯ বছরের মধ্যে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৪৬ জনই সিটি করপোরেশনের।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৭১ জন। শানাক্তের হার ৪৩ দশমিক ০১ শতাংশ। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৫২ জন।
আনসার আল ইসলামের ‘আধ্যাত্মিক’ নেতা গুনবি গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ’আনসার আল ইসলাম’ এর আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন বেড়িবাধ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। অভিযানের সময় উগ্রবাদী পুস্তক ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ২০ দলীয় জোট ছাড়ল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
র্যাব জানায়, হাসান গুনবির বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করার পর মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ২০০৮ সালে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর থেকে তাইসির দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকাসহ কুমিল্লা, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সজারের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি ধর্মীয় মতাদর্শের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে ওয়াজ শুরু করেন তিনি। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ধর্মীয় বক্তব্যে উগ্রবাদ প্রচারে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। এছাড়া তিনি ধর্মীয় পুস্তকের ব্যবসার সাথে যুক্ত হন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা ‘খুন ’
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তিনি প্রথমে হুজির (বি) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রহমানির সঙ্গে তার পরিচয় সূত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই ঘনিষ্ঠতার সূত্রেই তিনি আনসার আল বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম) এর সাথে সম্পৃক্ত হন। গ্রেপ্তারের পর জসিম উদ্দিন রাহমানি নিজেকে উগ্রবাদ প্রচারক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতার পদত্যাগ
টুং টাং শব্দ, ব্যস্ততা নেই কুমিল্লার কামার পাড়াতে
প্রতিবছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাড়তি আয়ের আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে থাকেন কামাররা। কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরির কাজে কামার পল্লীতে সবসময় ব্যস্ততা থাকলেও, এবছর দেখা গেছে ভিন্নতা।
এই বছর পল্লী জুড়ে ক্রেতা শূনত্যা দেখে গেছে। জেলার বৃহত্তর চকবাজারের কামারপাড়া এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৩২ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। একমাত্র কামারের কাজ করে তারা পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কামার পল্লীতে তারা লোহা পুড়িয়ে লাল করে হাতুড়ি পিটিয়ে ছুরি, দা, বটি ও চাপাতি তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের জন্য প্রস্তুত দেড় লক্ষাধিক পশু
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা নগরীর চকবাজার, শাসনগাছা, আমতলী, কামারপট্টি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সুজন কর্মকার, বেনু কর্মকার, বাবুচন্দ্র, কৃষ্ণপালরা অবসর সময় পার করছেন।
কর্মকাররা এক মাস আগে থেকে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে শতশত ছোট-বড় ছুরি, চাপাতি, গরু জবাই ও মাংস কাটার জন্য মজুদ করে রাখত। প্রতিটি বড় ছুরি ৭০০ টাকা, ছোট ছুরি ২০০ টাকা ও চাপাতি ৩০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা হত। তাদের তৈরি করা এসব সরঞ্জাম কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা আসতো। কিন্তু এই বছর করোনায় লকডাউনের কারণে পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় পাইকাররা না আসায় বিক্রি একেবারেই কম হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।
চকবাজারের শ্যামল কর্মকার বলেন, ‘ঈদের আর কয়েকদিন বাকি, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সব কামাররা পুঁজি বিনিয়োগ করে। গত বছর করোনা ও কঠোর লকডাউন থাকার বিক্রি করতে পারিনি। সারা বছর আমরা কষ্টে দিন যাপন করছি। এ বছর তিনিও ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃহস্পতিবার সারাদিনে মাত্র তিন জন ক্রেতা এসেছে। গত বছরে মতো যদি এমন অবস্থা চলমান থাকে তাহলে আমাদেরকে বাপ-দাদার এই পেশা পরিবর্তন করে অন্য কাজ খুঁজতে হবে। আমরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
একই এলাকার পিন্টু কর্মকার বলেন, ‘দু-এক বেলা না খেয়ে থাকলেও পেটকে বোঝানো যায়, কিন্তু সপ্তাহে কিস্তিওলারা তো মানবেন না। যেভাবেই হোক তাদের টাকা জোগাড় করে দিতে হবে। করোনায় সরকার লকডাউন দেয়ার পর থেকে বেচাকেনা নেই। কয়েকদিন পর ঈদ, টানা একমাস পর মঙ্গলবার দোকানটা খুললাম,পুলিশ একটু পরপর দৌড়ানি দেয়। তাই টুকটাক কাজ করে কিস্তির টাকা জোগাড় করি। এর মাঝেও দোকান খোলার অপরাধে জরিমানা দিতে হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটকে। আমরা কই যামু, এভাবে চলতে থাকলে তো না খেয়ে মরবো।’
আরও পড়ুন: মাংস সমিতি: সীমিত আয়ের মানুষের ঈদ আনন্দ
চকবাজার কর্মকার সমিতির সভাপতি মধুসূদন কর্মকার বলেন দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ পশু কোরবানি ও গোশত কাটার জন্য যে সব ধারালো সরঞ্জাম আমরা তৈরি করি। গত কয়েক বছর কামার পল্লীর ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। মানুষ এখন বিদেশি আধুনিক জিনিসপত্র দিকে ঝুঁকছে, এর মাঝে গত বছরের মতো এ বছর করোনা নিয়ে পার করতে হচ্ছে কোরবানির ঈদ। বাজার অবস্থা তো আপনারও নিজ চোখে দেখলেন।’
এ বিষয় কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক এ.এস.এম. জোবায়েদ বলেন, সমগ্র জেলা কামার জনগোষ্ঠীদের আমরা বিভিন্ন সময় একাধিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সম্প্রতি এই জনগোষ্ঠীদের জন্য সরকারে একটি প্রকল্প আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই প্রকল্পটি কাজ শুরু করবো। এছাড়া কিছুদিন আগেও আমরা প্রতিজন কামারদের ছয়মাসের প্রশিক্ষণসহ ১৮ হাজার টাকার দিয়েছি।
কুমিল্লায় করোনা শনাক্তের হার ৪৮.০৭ শতাংশ, মৃত্যু ৮
কুমিল্লাতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় ৫৪৬ জন মারা গেছেন। একই সময় নতুন করে ৫৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় মোট মৃত্যু ৩৫৯
তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে ছয় জন পুরুষ ও দুই জন নারী। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৪৬ জনের। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৪৩ জনের। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ০৭ শতাংশ । এদের মধ্যে ২০৩ জনই সিটি করপোরেশনের। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৩০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৫৮৭ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় চমেকের সাবেক সহযোগী অধ্যাপকের মৃত্যু
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
মহাসড়কের চরবাকর এলাকায় একটি পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় তিন রিকশা আরোহী নিহত হন।
আরও পড়ুন: শিশুপুত্র হত্যা : বাবার ফাঁসির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার ছালিয়াকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়া (৪০), জেলার মুরাদনগর উপজেলার আবুল কালাম (৪৫) এবং কামরুন্নাহার (৩০)।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য যাত্রী কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
আরও পড়ুন: জালটাকার সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৫, দুইদিনের রিমান্ড
অন্যদিকে মুরাদনগর উপজেলার থল্লা মোড় এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
মিরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল ঘোষ জানান, নিহত শিশু নিরব থল্লা গ্রামের সোহেলের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
‘হ্যালো ছাত্রলীগ’র অর্থায়নে ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর-খলিলপুর রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নিজস্ব অর্থায়নে বেহাল এই রাস্তার তিন কিলোমিটারের সংস্কার করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘হ্যালো ছাত্রলীগ'।
রবিবার নিজস্ব অর্থায়নে দুর্ভোগপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার করে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের ‘হ্যালো ছাত্রলীগ' টিম। রাস্তার ভাঙা অংশ ও গর্তসমূহে ইট ফেলে সমান করে দেয় কর্মীরা। রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় খুশি আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছাত্রদলের নেতা!
হেতিমপুর গ্রামের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী সানি সরকার বলেন, রাস্তায় চলাচলে অনেক কষ্ট হতো। হ্যালো ছাত্রলীগের কারণে আমরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলাম।
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, এই রাস্তাটি নিয়ে মানুষ দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে আছে। জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালেও যেতে পারতো না অনেক মানুষ।
সংস্কার কাজে অংশ নেন‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ টিমের সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাপ্পু, সাদ্দাম হোসেন, পৌর ছাত্রলীগ সহ সভাপতি নাজমুল হাসান, সাব্বির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রাতুল রহমান আশিক ও মো. আমির হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দোহারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ
উল্লেখ্য, করোনায় লাশ দাফন, টেলিমেডিসিন সেবা, খাদ্য সহায়তা, কৃষকের ধান কাটা, রক্ত দান, অক্সিজেন সেবা, মাস্ক বুথ স্থাপনসহ নানান মানবিক কাজে বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ' টিম ।
কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুমল্লিায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩৬ জনে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করে ৪৫১ জন শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের শতকরা হার ৪১ দশমিক ০৭ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের বয়স ৬০ থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৩৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
তিনি জানান, জেলায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৭১ জনই সিটি করপোরেশনের। এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৫৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৭ জন।
করোনা: কুমিল্লায় নতুন শনাক্ত ৩৬০, মৃত্যু ৫
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় নতুন করে ৩৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তে সংখ্যা ১৭ হাজার ১০৮ জনে পৌঁছেছে ।
রবিবার কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মোবারক হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের বয়স ৫০ থেকে ৮৬ বছরের মধ্যে। এনিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২৫ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে ফরিদপুরে পুলিশের মসজিদভিত্তিক প্রচারণা
সিভিল সার্জন জানান, একদিনে জেলায় ৩৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮৬ জনই সিটি করপোরেশনের। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তে সংখ্যা ১৭ হাজার ১০৮ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৩৩৭ জন।