প্রতিশ্রুতি
উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে জনগণকে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন, আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন; আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা জোরদার করার বিষয়ও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে। এই রূপান্তর একদিকে যেমন সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জের।
আরও পড়ুন: সকালে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নৌকায় ভোট দেবেন: তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাহক আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশ কোনোভাবেই দারিদ্র্যপীড়িত বা অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ 'পরিবর্তিত বাংলাদেশ'। বাংলাদেশ এখন একটি দ্রুতগতির দেশ যা তার সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ছোটখাটো ব্যর্থতা আজ আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতায় এবার আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করেছে। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারেও বজায় রাখা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন খাত নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের কয়েকটি বিষয় সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
যেসব বিষয় ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে:
- ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর- সুশাসন- জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন- জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলা- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন দাবি করবেন না যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা সত্ত্বেও তারা সবসময় সরকার পরিচালনায় শতভাগ সফল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা যা বলি তাই করি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন তারই প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো বেশি দামে পণ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পণ্যের দাম এবং মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। বহুবার বহুমুখী ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে পারিনি। এই সমস্যা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়, এই সমস্যা ধনী-দরিদ্র সব দেশের জন্যও।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্দশা লাঘব করার চেষ্টা করছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা এই বাধা অতিক্রম করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
ইশতেহার উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলটির নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিৎ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনএপি) ও আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত শ্রম অধিকারের বিষয়ে তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করা এবং মূল উদ্বেগের বিষয়ে প্রদত্ত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্জিত অগ্রগতিসম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন দেওয়া অব্যাহত রাখার কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ বলেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ, বাংলাদেশ জিএসপি রেগুলেশনে উল্লিখিত ২৭টি জিএসপি+ আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন করেছে।’
জিএসপি+ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পূর্ণ সম্মতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ভবিষ্যত উত্তরণের আলোকে দেখা উচিৎ, যার অর্থ 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) ব্যবস্থা থেকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপিতে চলে যাওয়া- এমনটাই বলা হয়েছে ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
এই প্রেক্ষাপটে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশ দেখাতে পারে, এটি জিএসপি প্রবিধানের অধীনে এর বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে। বিশেষত উপরে উল্লিখিত হিসেবে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে শ্রম অধিকার সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারমানকে সম্মান করে।
ইইউ বাংলাদেশের জিএসপি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে এবং চলমান সম্পৃক্ততা জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
'ইইউ এনহেন্সড এনগেজমেন্ট উইথ থ্রি এভরিথিং বাট আর্মস বেনিফিশিয়ারি কান্ট্রিজ: বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া অ্যান্ড মিয়ানমার' শীর্ষক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের মূল উদ্বেগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের স্থান উন্নত করা; কথিত নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের মামলা তদন্ত করা; মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হয়, যার মধ্যে মৃত্যুদনডের বিলুপ্তি সম্পর্কিত, পাশাপাশি জাতিসংঘের চুক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জিএসপি সুবিধাভোগী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি দ্বিতীয় জয়েন্ট স্টাফ ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট (এসডব্লিউডি)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের লক্ষ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তা প্রমাণ করতে চায়।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করছেন এবং অনেকে অনেক জল্পনা-কল্পনা করছেন।
মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এসবের সমাধান হবে। ‘তারপর অনেক সমালোচনাই বন্ধ হয়ে যাবে।’
জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আমরা পর্যবেক্ষণ করব, এর মধ্যে সমন্বয় করব। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা চাইছে। আমাদের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে।’
কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।’
উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা অংশগ্রহণ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। তাদের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কেউ কেউ ইতো্মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।’
প্রসেঙ্গত, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
হুন্দাই তুসন: প্রতিশ্রুতির এক নতুন যুগের সূচনা
হুন্দাইয়ের জনপ্রিয় এসইউভি তুসন-এ আরও অনেক বেশি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করল বাংলাদেশে হুন্দাইয়ের অনুমোদিত ম্যানুফ্যাকচারার ও ডিস্ট্রিবিউটর ফেয়ার টেকনোলজি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেয়ার টেকনোলজি’র ডিরেক্টর ও সিইও মুতাসসিম দায়ান ঘোষণা করেন, আমরা বাংলাদেশের বাজারে হুন্দাই তুসন-এর নতুন দাম নির্ধারণ করেছি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মুতাসসিম দায়ান বলেন, বাজারে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা থাকলেও আমরা তুসন-এর দাম ১০ লাখ টাকার বেশি কমিয়েছি। এই পদক্ষেপ স্থানীয় উৎপাদনে হুন্দাইয়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনই শুধু নয়; বরং জনপ্রিয় এই এসইউভি’টি কিনতে আগ্রহী গ্রাহকদের প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারেরও বহিঃপ্রকাশ।
হুন্দাই তুসন-এর প্রত্যেক গ্রাহকের জন্য ফেয়ার টেকনোলজির ‘আরও প্রতিশ্রুতি’-এর নীতি তুলে ধরে দায়ান জানান, ১ দশমিক ৬-লিটার টার্বো ইঞ্জিনের দারুণ এই এসইউভিতে আমরা আরও অনেক আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসার পরই আমাদের নবযুগের সূচনা হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি জানান, যার মধ্যে রয়েছে এক লাখ কিলোমিটার বা ৫ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি এবং একই সময়ে দশটি ফ্রি সার্ভিস। এছাড়াও থাকছে তিন বছর বা ৪০ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে সর্বাচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত বাইব্যাক সুবিধা।
সংবাদ সম্মেলনে ফেয়ার গ্রুপের হেড অব কমিউনিকেশন হাসনাইন খুরশেদ, হেড অব মার্কেটিং জেএম তসলিম কবীর, ফেয়ার টেকনোলজি’র হেড অব সেলস আবু নাসের মাহমুদ, ম্যানেজার- সেলস অপারেশনস আতাউর রহমান ও প্রোডাক্ট ম্যানেজার রুবাইয়াত উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ফেয়ার টেকনোলজি, হুন্দাই-এর ডিরেক্টর ও সিইও জনাব মুতাসসিম দায়ান বলেন, বিশ্ববাজারে তুমুল জনপ্রিয় হুন্দাই তুসন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে। দাম কমানো এবং ওয়ারেন্টি ও ফ্রি সার্ভিস সুবিধা বাড়ানোর কারণে তাদের মধ্যে চাহিদা আরও বাড়বে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
ফিউচারিস্টিক ও হাই-টেক ইমেজের হুন্দাই তুসন-এর প্রাণবন্ত স্পোর্টিনেস ও পরিশীলিত ডিজাইন ক্রেতাদের হৃদয় জয় করে এসইভি জগতে ট্রেন্ড-সেটার হয়ে উঠেছে। থ্রি-ডি প্যারামেট্রিক জুয়েল প্যাটার্ন রেডিয়েটর গ্রিল, হিডেন সিগনেচার ডে-টাইম রানিং ল্যাম্প (ডিআরএল), মাল্টি ফোকাল এলইডি হেড ল্যাম্প, অ্যারো-ডায়নামিক শেপ, প্যানোরামিক সানরুফ আর ১৯ ইঞ্চি ডায়মন্ড-কাট অ্যালয় রিম এবং লেদার সিট ও ছয়টি এয়ার ব্যাগ এর মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে হুন্দাই তুসন অতুলনীয় স্বাচ্ছ্বন্দ্য আর নিরাপদ যাত্রার প্রতিশ্রুতি দেয়।
তুসন- এর ১ দশমিক ৬ লিটার ইঞ্জিন ফোর হুইল ড্রাইভের পাওয়ার আউটপুট হলো ১৮০ পিএস/৫৫০০ আরপিএম, যা ড্রাইভিংয়ের সময় ভালো পারফর্মন্স দেয়।
এতে রয়েছে- প্যানারোমিক সানরুফ, ড্রাইভার মেমোরি ও পাওয়ার সিট, ১০ দশমিক ২৫ ইঞ্চি ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, বোস সাউন্ড সিস্টেম, ওয়্যারলেস চার্জার এবং ড্রাইভ মোড সিলেক্ট-এর মতো অনেক প্রিমিয়াম ফিচার।
তুসনে রয়েছে ছয়টি এয়ারব্যাগ, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ ক্যামেরা, ফরওয়ার্ড এন্ড রিভার্স পার্কিং ডিস্টেন্স ওয়ার্নিং সিস্টেম, ওয়ার্নিং সিস্টেম সম্বলিত ব্লাইন্ড স্পট ভিউ মনিটর। অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস), ইলেক্ট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল, ডাউনহিল ব্রেক কন্ট্রোল, হিল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসিস্ট এবং ট্রেইলার স্ট্যাবিলিটি অ্যাসিস্ট। আর এই সবই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাত্রা।
বাংলাদেশের অটোমোবাইল খাতকে আরও এগিয়ে নিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে জনপ্রিয় এই এসইউভি উৎপাদন করছে বাংলাদেশে হুন্দাই গাড়ির প্রস্তুতকারক ও পরিবেশক ফেয়ার টেকনোলজি।
তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাতটি শোরুম ও তিনটি সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করে হুন্দাই গাড়ির বিভিন্ন মডেলের ক্রেতাদের বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবাদান করছে। যা আরও অনেক সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখের সূচনা
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে খুশি ফ্রান্স
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফ্রান্স। দুই দেশ বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে উন্নত এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অব্যাহত সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শান্তি, সমৃদ্ধি ও জনগণের জন্য বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের অংশীদারিত্বের যৌথ ঘোষণায় উভয় দেশ কৌশলগত খাতে বর্ধিত সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স সার্বভৌমত্ব এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে একটি স্থিতিশীল, বহু-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের মূল নীতি হিসাবে বিবেচনা করে।
একইভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের ২০৪১ সালের রূপকল্পে অবদান রাখার জন্য দুই দেশ এয়ারবাস ডিএস এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) মধ্যে একটি মহাকাশ অংশীদারিত্বের সমাপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। যা নিজস্ব সার্বভৌম পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের মালিক হওয়ার পরে মহাকাশ জাতি হিসাবে বাংলাদেশের অস্থানকে শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: তুরাগে নৌকা ভ্রমণ করলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আইসিটি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফ্রান্স বাংলাদেশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মতো উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
তারা আন্তর্জাতিক আইনে নিয়ন্ত্রিত একটি বৈশ্বিক, উন্মুক্ত এবং নিরাপদ সাইবারস্পেসের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সমস্যাগুলোর একটি বর্ধিত ব্যবস্থাপনার দিকে তাদের প্রচেষ্টায় যোগদানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
ফ্রান্স সাইবার নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা শনাক্ত করতে কাজ করবে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টে একসঙ্গে কাজ করবে।
অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের অগ্রগতি, টেকসই শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব বিদ্যমান।
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহু-স্তর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক বন্ধন যা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখেছে ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তাঁর স্মরণীয় আহ্বান এবং ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার পরবর্তী বৈঠক এপ্রিল 1973 সালে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতাকে সম্মান করে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহুস্তরবিশিষ্ট ঐতিহাসিক সম্পর্ক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তার স্মরণীয় আহ্বান এবং ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের সময় বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁকে। তার আমন্ত্রণের আলোকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২০২৩ সালের ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সোমবার ঢাকায় বৈঠক করেন। বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এবং জনকেন্দ্রিক সংযোগের সমর্থনে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে উৎসাহিত করে একটি বিশ্বস্ত ও অর্থবহ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে তাদের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮৪ ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিসহ এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে সক্ষম।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান বিষয়ে দেশের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের দমন করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। যখনই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং তাদের বিদ্যমান বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেছে.. , যে কোন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তথ্য পাই। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।’
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর কথিত নাশকতার চেষ্টা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাদের জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা করেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
আইজিপি বলেন, ‘যখনই নাশকতার চেষ্টা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসককে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
রবিবার ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানোর মাধ্যমে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর কাছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন এবং ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে এবং এখানকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে।
‘রোহিঙ্গারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত’ উল্লেখ করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা ওআইসির জন্য একটি অগ্রাধিকার ইস্যু।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাইয়ে কক্সবাজারে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
তিনি বলেন, ওআইসির কাছে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, ওআইসিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান অবদানের কথাও স্মরণ করেন।
ওআইসি মহাসচিব বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে জোলিয়ট-কিউরি শান্তি পুরস্কার প্রদানের ৫০তম বছরে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক ইউনিট) রিয়ার আমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম এবং ওআইসি সহকারী মহাসচিব অ্যাম্বাসেডর আসকার মুসিনভ উপস্থিত ছিলেন।
ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা পাঁচ দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় এসেছেন।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি ৩০ মে অনুষ্ঠিতব্য আইইউটির ৩৫তম সমাবর্তনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘুরা নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে: রানা দাশগুপ্ত
আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের জন্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
তিনি বলেছেন, ‘অন্যথায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুরা সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।’
শনিবার (৬ মে) চট্টগ্রাম সংগঠনের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে নগরীর মোমিন রোডস্থ মৈত্রী ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১৩টি জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
সভায় অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত মানবাধিকার আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ওপরে আমরা শেষ ভরসা রাখতে চাই। তিনি তার নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো অচিরেই বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করি।’
অ্যাডভোকেট দাশগুপ্ত ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ভোটারদের অবজ্ঞা, অবহেলা ও উপেক্ষা না করার জন্য সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি
তুরস্কের ভূমিকম্প অঞ্চল পরিদর্শনে ব্লিঙ্কেন, ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ একটি প্রদেশ সফর করেছেন।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) একটি হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি ওই এলাকাগুলো সফর করেছেন। এসময় তিনি এই অঞ্চলের জন্য আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷
ইনসিরলিক এয়ার বেসে ব্লিঙ্কেন বলেছেন,‘এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা হতে যাচ্ছে’ মার্কিন-তুর্কি যৌথভাবে দুর্যোগ সহায়তা বিতরণ করছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কাজ শেষ হচ্ছে। পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলছে এবং তারপরে একটি ব্যাপক পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।
ভূমিকম্পের কয়েকদিন পর দু’টি দেশে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ক এবং সিরিয়ার জন্য ৮৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল, চিকিৎসা সরবরাহ ও সরঞ্জামও পাঠিয়েছে।
ব্লিঙ্কেনের ঘোষিত অতিরিক্ত সহায়তার মধ্যে রয়েছে জরুরি শরণার্থী ও অভিবাসন তহবিলে ৫০ মিলিয়ন এবং মানবিক সহায়তায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দুই বছর আগে দায়িত্ব নেয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যাটো মিত্র তুরস্কে প্রথম সফর করছেন। ব্লিঙ্কেন জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগদানের পর রবিবার আদানার কাছে ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
তিনি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে তুরস্কের হাতায় প্রদেশ সফর করেন। তিনি মার্কিন এবং তুর্কি পরিষেবা কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুর্কি সামরিক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হেলিকপ্টার সফরের পর শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, ভবনের সংখ্যা, অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা, ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির সংখ্যা দেখে বলেন, এটি পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাতে যাচ্ছে।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যাদের প্রয়োজন তাদের সাহায্য পাওয়া, তাদের শীতকালীন সহযোগিতা করা এবং তাদের স্বনির্ভর করা।’ নিকটবর্তী সৈন্যরা সাহায্যের বাক্সগুলো নামাচ্ছে ... আমরা সঙ্গে থাকব, যতক্ষণ না আমরা কাজ শেষ করি।’
মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩৯তম এয়ার বেস উইং এর আবাসস্থল ইনসারলিক -এ সাহায্য বিতরণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক কেন্দ্র করা হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে সরবরাহগুলো ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে এবং ট্রাক এবং যে সকল গ্রামে পৌঁছানো কঠিন সে সকল গ্রামের হেলিকপ্টারযোগে তা অভাবীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন সোমবার তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় যাবেন। এসময় তিনি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। ভূমিকম্পের প্রভাবের পাশাপাশি, ব্লিঙ্কেন ন্যাটোতে যোগদানের জন্য সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যা তুরস্ক বিলম্বিত করছে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী প্রধান অগ্রগতি
ঢাকা-ওয়াশিংটন শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোচনা
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করেছে যে উত্তর আমেরিকার দেশ কীভাবে বাংলাদেশিদের শ্রম অধিকার সুরক্ষা ও দুই দেশের মধ্যে আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নত করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ ইউএস-বাংলাদেশ লেবার ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্বোধনী বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয় অনুসারে, বৈঠকে উভয়পক্ষ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছে। কারণ এটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রোডম্যাপের জন্য বাংলাদেশের তৈরি প্রয়োজনীয়তাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আরও পদক্ষেপ নেয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার মেনে চলে।