অধ্যাপক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার হলেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রবর্তন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। আর এ পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হারুন-অর-রশিদ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫২তম সিন্ডিকেট সভায় ড. রশিদকে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
ড. রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বিএ (অনার্স) ও এমএ উভয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৮৩ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের রিউকোকু বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। তিনি সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন।
ড. হারুন-অর-রশিদ ৪৩ বছরের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে সফলভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ছিলেন তিনি।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তিনবার নির্বাচিত ডিন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি, সহসভাপতি, কাউন্সিল সদস্য, অধ্যাপক শামসুল হক শিক্ষা কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ তিনি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ চেয়ারে ‘বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. রশিদ বঙ্গবন্ধু গবেষণায় ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ অর্জন করেন। ২০১৬ সালে বেস্ট পাবলিকেশনসের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ স্বর্ণপদক লাভ করেন।
ড. রশিদ এ পর্যন্ত ১৯টি মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে-বিদেশে জার্নালে তার ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ছয়টি প্রসিদ্ধ বইয়ের সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক ৭টি বইয়ের সম্পাদনা করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গ্রন্থ হচ্ছে- বাংলাদেশের ৫০ বছরের রাজনীতি অনুধাবন: সংগ্রাম, অর্জন ও চ্যালেঞ্জ নামে নতুন বই। বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা রাউটলেজ লন্ডন ও নিউইয়র্ক থেকে একযোগে বইটি প্রকাশ করছে।
এছাড়া তার অন্যান্য গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-
দ্য ফোরস্যাডোয়িং অব বাংলাদেশ, ফর্ম ১৯৪৭ পার্টিশন টু বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু এন্ড স্টেট ফর্মেশন ইন পারসপেকটিভ, ইনসাইড বেঙ্গল পলিটিক্স, বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশ: রাজনীতি, সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ, ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফার ৫০ বছর’, মূলধারার রাজনীতি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬, ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, বঙ্গীয় মুসলিম লীগ পাকিস্তান আন্দোলন: বাঙালির রাষ্ট্রভাবনা ও বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ: গভর্ন্যান্স, পলিটিক্স, কনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট ১৭৫৭-২০১৮, ৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কী ও কেন, বঙ্গবন্ধুকোষ, সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রভৃতি।
ড. রশিদ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ২০ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
বর্তমানে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ এর ইংরেজি বই রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন
ইউজিসি সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক ড. হাসিনা খান
বিশিষ্ট গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীরের সাথে সাক্ষাৎ শেষে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের কাছে তার যোগদানের চিঠি পেশ করেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়।
অধ্যাপক ড. হাসিনা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত এ বিজ্ঞানী ইলিশের জিন রহস্য ও পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
ইউজিসি প্রফেসর হিসেবেও বিশিষ্ট এ গবেষক দায়িত্ব পালন করেন।
ইউজিসি সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ায় অধ্যাপক ড. হাসিনা খানকে অভিনন্দন জানিয়েছে কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব), সদস্যবৃন্দ, সচিব, বিভাগীয় প্রধানগণ, ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারী ইউনিয়ন।
অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকাল ৮টা তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পারিবারিক সূত্রে গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পান্না কায়সার ছিলেন একাধারে বরেণ্য লেখক, বুদ্ধিজীবি ও সাবেক সংসদ সদস্য। এছাড়াও তার পরিচয় তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী, লেখক এবং রাজনীতিবিদ শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাত্তরে শহীদুল্লাহ কায়সারকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। কিন্তু তার আর ফেরা হয়নি। সংসার ও সন্তানকে সামলেছেন নিজেই। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করার পর করেছেন শিক্ষকতাও।
পরবর্তীতে সাহিত্যাঙ্গনে ছিল তার পদচারণা, হয়েছিলেন সংসদ সদস্যও। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করে ১৯৭৩ সালে দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন পান্না কায়সার। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার কারণে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন সদ্য প্রয়াত বরেণ্য ব্যক্তি পান্না কায়সার।
ঢাবি’র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক রওশন জাহান সমাহিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রওশন জাহানকে শুক্রবার (৭ জুলাই) বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার
ড. জাহান ১৯৪১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে ঢাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে তিনি আরেকটি মাস্টার্স করার জন্য ইংল্যান্ড যান।
তিনি ঢাবি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন লেখালেখি শুরু করেন এবং মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পাঠ্যবই এবং মনোবিজ্ঞানের একটি অভিধানসহ অনেক বই প্রকাশ করেন। এছাড়াও তার ৩৫টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান
খন্দকার মাহবুব আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত
শাবিপ্রবির প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রথম নারী কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেলেন সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা. রোখছানা বেগম সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৮৭ এর ১৪ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে চার বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নতুন কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক আমিনা পারভীন বলেন, কোষাধ্যক্ষ পদটি আমার জন্য একটি বড় দায়িত্ব। আমাকে এ দায়িত্ব অর্পণের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণের জন্য আমি সম্ভাব্য সবকিছু করতে সচেষ্ট থাকবো।
এছাড়া এই দায়িত্ব সফলভাবে পালনের জন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চাই।
উল্লেখ্য, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় জন্ম ও বেড়ে উঠা অধ্যাপক আমিনা পারভীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও ২০০৭ সালে সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স অব সাইন্স ইন সোশাল ওয়ার্ক(আইএমএসএসডব্লিও) এ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
তিনি ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
অধ্যাপক আমিনা পারভীন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি, একাধিকবার কার্যকরী সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা, সমাজকর্ম বিভাগের প্রধানসহ প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও বর্তমানে তিনি শাবিপ্রবির প্রথম নারী ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ডি-নথি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
গবেষণা দক্ষতায় ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ শিক্ষক
অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মহিউদ্দিনের করা এক আবেদনের (রিভিউ) পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অবকাশকালীন চেম্বার আদালতের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ৪ অক্টোবর এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে রিভিউ আবেদনটি আগামী ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে ৫ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রাখেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।
রায়ে তাহেরের একসময়ের ছাত্র,পরে বিভাগীয় সহকর্মী মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসভবনের তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
জাহাঙ্গীরের ভাই শিবিরকর্মী আবদুস সালাম ও তার আত্মীয় নাজমুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়টি ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যায় ৪ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন
এরপর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) পাশাপাশি সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আপিল বিভাগে আবেদন করেন। মহিউদ্দিনের আবেদনটি ৪ অক্টোবর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত করেন।
আদালতে মহিউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।
বৃহস্পতিবার মহিউদ্দিনের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের সঙ্গে মহিউদ্দিনের সাজা কার্যকর স্থগিতের আবেদনও ছিল। চেম্বার আদালত সাজা কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত করে পুনর্বিবেচনার আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন।
ফলে এই সময় পর্যন্ত মহিউদ্দিনের সাজা কার্যকর স্থগিত থাকবে।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে জাহাঙ্গীর ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহালের রায়ের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরের ভাই আবদুস সালাম পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেছেন। আবেদন দুইটি শিগগিরই চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
২০০৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসার বাইরের ম্যানহোলে তাহেরের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেদিন তাঁর ছেলে সানজিদ আলভী আহমেদ মতিহার থানায় মামলা করেন।
মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। দুই জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা ২০০৮ ও ২০০৯ সালে আপিল করেন। আপিলের ওপর ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়ে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। অপর দুই আসামি সালাম ও নাজমুলকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
এসবের ওপর শুনানি শেষে ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে তিন দণ্ডিত পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ, ৩ জনের ফাঁসি
কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির ‘আত্মহত্যা’
কার্ল কুবেল পুরস্কার পেলেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস
কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি সম্প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কার্ল কুবেল পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
ইউনূস সেন্টার সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ফাউন্ডেশন সারা বিশ্বের পরিবারের প্রতি তার অসাধারণ এবং বহুমুখী প্রতিশ্রুতিকে সম্মানিত করেছে।
‘পরিবারের গণনা’- কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশনের জয়ন্তী নীতি, এই বছর জার্মানির বেনশেইমে তার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলবে: হাইকোর্ট
কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশনের বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারওম্যান ড. কার্স্টিন হামবার্গ বলেছেন, ইউনূস তার নারী গ্রাহকদের সন্তান ও পরিবারের জন্য আরও ভাল জীবনযাপন করা সম্ভব করেছেন।
তারা কোভিড-১৯ মহামারি ও বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে নতুন যুদ্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত বৈশ্বিক সংকটের সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদকে একটি বড় আশার উৎস হিসেবে প্রশংসা করেন। ‘তিনি সত্যিই একজন গেম চেঞ্জার এবং আশার স্রষ্টা’।
হামবার্গ বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যেকেই আমাদের চারপাশের অন্যদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারি।’
এ সময় সমাজসেবী কার্ল কুবেল ও মুহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে সাদৃশ্য তুলে ধরেন: ‘উভয়ই ১৯৮০ এর দশকের প্রথম দিকে উদ্যোক্তা হিসেবে স্বেচ্ছায় ‘মানুষদের নিজেদের সাহায্য করতে সহায়তা করার’ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।’
উদ্যোক্তা কার্ল কুবেল ১৯৭২ সালে কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি প্রতিষ্ঠা করেন। ‘মানুষদের নিজেদের সাহায্য করতে সহায়তা করা’ নীতি অনুসারে কাজ করে এবং জার্মানি ও বিদেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সাহায্য করে।
কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলির সদর দপ্তর দক্ষিণ হেসের বেনশেইমে অবস্থিত। গত ৫০ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী এটি শিশুদের ও তাদের পিতামাতাদের সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
ড. ইউনূসের মামলা বাতিল আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি ১১ আগস্ট
রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা: আপিলে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার আসামিপক্ষের আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।এর আগে হাইকোর্টও একই রায় দিয়েছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত অধ্যাপক ড.তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো.জাহাঙ্গীর আলম।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল থাকা দুই আসামি হচ্ছেন- মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালাম।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
এর আগে ১৬ মার্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৫ এপ্রিল দিন রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, শুধুমাত্র প্রমোশনের জন্য একজন শিক্ষককে হত্যা একটি জঘন্যতম ঘটনা। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, আসামিরা এখন চাইলে এ রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। তারপর রিভিউ খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করবেন। সেটিও নাকোচ হলে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার এহসান ই সিদ্দিকী। পরে এহসান এ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, আসামিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করা হবে।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ বছর ধরে এর জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছি, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় কার্যকর হলে পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্ট হবো।
হত্যাকাণ্ডের সময়কার ঘটনা উল্লেখ করে সুলতানা আহমেদ বলেন, খুনি আমাদের সঙ্গে যা করেছে, তা আমাদের চিন্তার বাইরে। সে সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা মস্তিস্কে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাড়ির ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। সবচেয়ে বড় কথা তার সাজা কার্যকর হোক।
এ রায়ে আদালতে উপস্থিত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভী ও মেয়ে শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের লাশ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
২০০৭ সালের ১৭ মার্চ এ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।
এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেন।
২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাবির ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কার্জনের আগাম জামিন
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে জামিন চাইলে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। এই সময়ের মধ্য তাকে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে যাবে প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন-ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।
গত ২২ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে লেখাটি মুছে ফেলে ক্ষমা চান।
তবে বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক গত বছরের ১ আগস্ট অধ্যাপক কার্জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
মাদক মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে পরীমণি
নাশকতা মামলায় ঢাবি অধ্যাপক তাজমেরীর জামিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিএনপির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাজমেরী এস এ ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ এই আদেশ দেন।
অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, চার বছর আগের নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার তাজমেরী এস এ ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়। আদালত সেদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার একটি নাশকতার মামলায় অভিযোগপত্রে আসামি হওয়ার পর তাজমেরী আদালতে হাজিরা দেননি।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা মামলা: সাংবাদিক শাকিলের অন্তবর্তীকালীন জামিন
এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।
অবশ্য তাজমেরীর পরিবার বলছে, ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উত্তরা এলাকায় মারামারি ও বিস্ফোরক নিয়ে গাড়িতে হামলার চেষ্টার অভিযোগে তাজমেরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলাটি গায়েবি মামলা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে।
আদালত ও আইনজীবী সূত্র জানায়, উত্তরা পশ্চিম থানার এই নাশকতার মামলায় ৭৫ জন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামির মধ্যে অধ্যাপক তাজমেরীর নাম রয়েছে। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন।
গত বছরের ৭ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর অধ্যাপক তাজমেরী আদালতে হাজির হননি। এ কারণে গত বছরের ৭ মে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন বগুড়ার তুফান
ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী-শাশুড়ির জামিন, চার্জ গঠন ২৪ জানুয়ারি