যুবলীগ
যুবলীগ নেতাকে ‘নির্যাতনের’ অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি প্রত্যাহার
যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ৮ ঘণ্টা পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
অভিযুক্ত ওসির নাম কামাল হোসেন।
পুলিশ সুপার বলছেন, প্রশাসনিক কারণে ওসি কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়ারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রত্যাহারের অর্ডারে প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বাকি চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার, হাসপাতাল সিলগালা
প্রসঙ্গত, গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলা থেকে সদর থানার ওসি কামাল হোসেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যায়ভাবে হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ এনে বুধবার (১০ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা আদালতে ওসি কামলাসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক।
মামলায় আসামি করা হয়- সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেবকে।
মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দীনকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। এছাড়াও সিভিল সার্জনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলকের চিকিৎসার প্রতিবেদন দাখিল এবং পুলিশ সুপারকে বিভাগীয় মামলা রুজু করার আদেশ দেন বলে জানান বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম।
আদালতে দাখিলকৃত আবেদনে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ওসির কার্যালয়ে পুলককে লাঠি দিয়ে পেটান ওসি কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেব। পরদিন সকালে পুলিশ ১৫১ ধারায় একটি মামলা দিয়ে পুলক ও রকিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।তবে ওসি কামাল হোসেন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন ২৯ এপ্রিল বৈশাখী মেলায় তারা অশালীন আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। উপস্থিত জনতা তাদের মারধর করেছে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও চিনিকলের এমডিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতার হত্যার ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক যুবলীগ নেতা নোমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নিহত একজনের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা করায় নারীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
আসামিদের মধ্যে ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম জিহাদি।
এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় গত ২৫ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান (৩৫) ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও অপর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকার ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে নিহতদের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীর সদস্যরা তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহত নোমান জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মৃত আবুল কাশেমের ছেলে, অপর নিহত রাকিব জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রফিক উল্যাহর ছেলে এবং বশিকপুর ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রাতে মোটরসাইকেলযোগে পোদ্দারহাট থেকে নাগেরহাটে যাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী অপর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা দু’জন মাটিতে লুটে পড়েন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপর গুলিবিদ্ধ রাকিবকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান বলে জানান স্বজনরা।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
নিহতদের পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আবুল কাশেম জেহাদীর লালিত সন্ত্রাসী শরীফ কালু ও সবুজ তাদের গুলি করে হত্যা করেছে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা
চট্টগ্রামে ‘দৈনিক যুগান্তর’- এর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনাল আইনে মামলা করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। বুধবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়।
মামলার আসামি করা হয়েছে- দৈনিক যুগান্তরের ঢাকা অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মাহাবুবুল আলম বাবলুকে।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হেলাল আকবর বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহবুব সম্প্রতি ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’- শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
প্রতিবেদনটি তিনি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেন।
প্রতিবেদনে হেলাল আকবরকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করা হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে ভুক্তভোগীর মানহানি করায় হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনেন বাদী যুবলীগ নেতা।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবর ইউএরবিকে বলেন, কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে আমার বিরোধ নাই, সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক। যুগান্তরের এই সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, তিনি লিখেছেন আমি নাকি সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজ। মামলার আগে তাকে আমি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আরও একটি মানহানির মামলা করবো।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
চট্টগ্রামে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেন আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
এদিন সকালে সম্রাট আদালতে হাজিরা দেয়ার পর তার আইনজীবী অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন আসামীর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। এছাড়া তার আইনজীবী স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২২ সালের ২২ আগস্ট সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয় ছয়টি মোটরসাইকেল।
বিজয় মেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রবিবার ভোরে উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন-চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমানসহ আরও দুই যুবলীগ কর্মী।
যাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশাংকাজনক বলে জানা গেছে।
এছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিককে পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিঁড়ে দেয়া হয়। তাকেও আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চমেকে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া পাথর মেরে এবং গুলিতে আহত করা হয় আরও অন্তত ২০ জনকে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, রবিবার ভোররাতে জোরারগঞ্জ বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়।
এছাড়া কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, এই ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।
এছাড়া জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন আহত নেতাকর্মীরা।
এই বিষয়ে জানতে মাঈন উদ্দিন টিটুর ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে।
এছাড়া যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না।
আরও পড়ুন: মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
গ্রামে ফিরে যান, ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করুন: যুবলীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের গ্রামে গিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়াতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘আমি যুবলীগের প্রতিটি কর্মী ও নেতাকে গ্রামে যেতে বলব এবং কোনও জমি যেন অনাবাদি না থাকে তা নিশ্চিত করুন।’
শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন বাংলাদেশ যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মণি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গঠন করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন,ইউক্রেন যুদ্ধ,নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাচ্চারা ফ্ল্যাটে থেকে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়া উচিত। তাই,আমি এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোভিড-১৯ মহামারিতে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষকদের ফসল তুলতে সাহায্য করেছেন।
তিনি যুবলীগ নেতাদেরও নিজের জমি চাষ করতে এবং অন্যদের জমিতে ফসল ফলাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘এখন আমাদেরকেও সেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যুবলীগের সদস্যদের কাজ করার আহ্বান জানান। যাতে তরুণরা এ ধরনের সামাজিক ব্যাধি থেকে দূরে থাকে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নেতাকর্মীকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য যুবকদের মধ্যেও এ বিষয়ে এমন মনোভাব গড়ে তুলতে হবে।’
আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তাদের সমালোচনা করেছেন যারা আগে ভেবেছিলেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
তিনি বলেছিলেন,‘আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেক মানুষ বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা ভেবেছিল... কিন্তু তাদের মুখে ছাই পড়ে গেছে।’
বিএনপির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান অর্থপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলেও এখন অনেক নেতাই অর্থপাচার, লুণ্ঠন ও দুর্নীতির কথা বলছেন।
তিনি বলেন, তারেক জিয়াকে মানি লন্ডারিং মামলায় ৭ বছর কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের নেতা হত্যা, মানি লন্ডারিং, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় অভিযুক্ত তাদের পক্ষে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করা শোভনীয় নয়।’
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনও দেশ এমন কোনও ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় যিনি অষ্টম শ্রেণি পাশ এবং যিনি ম্যাট্রিক (ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায়) পাশ করতে ব্যর্থ হন। তবে সেদেশটি এগিয়ে যায় না।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ধনী দেশগুলো ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে জাতীয় বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা এখন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছয় লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
তিনি আরও বলেন, কোনও উন্নয়ন না হলে আমরা এত বড় বাজেট কিভাবে রাখতে পারি?
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল তাকে স্বাগত জানান।
এরপর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সমাবেশের সূচনা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি একটি বিশেষ প্রকাশনা উন্মোচন করেন এবং সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে একটি লোগো উন্মোচন করেন। পাশাপাশি যুবলীগের ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে সুবর্ণজয়ন্তী ক্রেস্ট এবং বঙ্গবন্ধুর দু’টি পৃথক চিত্রকর্ম প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু, ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন মইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
যুবলীগের সুবর্ণ জয়ন্তী সমাবেশ, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ারী উদ্যানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মী সমবেত হতে থাকেন।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ইউএনবিকে বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী যুব লীগের বার্ষিক সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
সমাবেশস্থলে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়ে যানবাহনে ও মিছিল নিয়ে আসছে। এতে নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ এর আশপাশের এলাকা মিছিলে ভরে যায়। বিশেষ করে সমাবেশে যোগ দিতে এ উপলক্ষে তৈরি টি-শার্ট পরে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন।
কেউ কেউ রিজার্ভ বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যোগ দেন আবার অনেককে পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়।
লোহাগড়ার যুবলীগ কর্মী ফারুক হাসান জমির বলেন, ‘আমি রাতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসীন হল প্রাঙ্গণে গাড়িতেই থাকি। এত বড় সমাবেশ এবং সম্মেলনে এত লোক দেখতে পেয়ে আমি খুশি।’
ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরাও পূর্ণ উদ্যমে বাস-ট্রাকে করে মিছিল নিয়ে আসছেন।
বর্ণিল প্ল্যাকার্ড, সাংগঠনিক পতাকা, ব্যানার ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে সম্মেলন এলাকা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিআইপি গেট ছাড়া বাকি সব গেট দর্শকদের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
মানিকগঞ্জ যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, ‘আমরা আশা করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা সব অপশক্তিকে শক্ত জবাব দেব। যুবলীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করবে এই সম্মেলন থেকে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের মেঘালয় সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
ব্রিটিশ মিউজিয়ামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পদ্মা দিঘিরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আলাউদ্দিন পাটওয়ারী (৪৫) ওই গ্রামের সাদেক পাটওয়ারীর ছেলে এবং বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসন সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিএনপি-যুবদলের ক্যাডাররা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।’
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে নবজাতক হত্যার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, আলাউদ্দিন বশিকপুর ইউনিয়নের পদ্মা দীঘিরপাড়ে কালভাটের উপর বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। হঠাৎ ৫-৬ জনের একটি দল এসে তাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, আলাউদ্দিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতা বা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমনটি হতে পারে। এ হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ ছুটে এসেছেন। ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাবনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশিকে কুপিয়ে হত্যা!
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি কর্নেল রশিদের জামাতার ৭ বছরের কারাদণ্ড
যশোরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরে মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত বদিউজ্জামান ধানি (৪২) যশোর জেলা যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শংকরপুরের চোপদার পাড়ায় কিছু দুর্বৃত্ত ধানীকে নির্বিচারে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয় বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ