সশস্ত্র বাহিনী
নির্বাচনের আগে সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রিম দল মোতায়েন চায় ইসি
আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৩ দিনের জন্য দেশের সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট দল অগ্রিম মোতায়েন করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটের আগে, ভোটের দিন ও পরে শান্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের অধীনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ইসি ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ, নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য প্রতিটি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট দল আগেই পাঠানো যেতে পারে।
সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সুপারিশ অনুসারে ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবেন।
আরও পড়ুন: সবাই বিএনপিকে অংশ নেওয়ার কথা বললেও তারা ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি: সিইসি
প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। এরপর রিটার্নিং অফিসারদের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর দল নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহায়তা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আইনি কার্যক্রম ও অন্যান্য কাজ করতে হবে তাদের।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে পরে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন রাষ্ট্রপতির: ইসি সচিব
২৩ বছরে জাতিসংঘ মিশন থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আয় ২৭,৯৪১ কোটি টাকা: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ২০০০-০১ অর্থবছর থেকে ২৩ অর্থবছরে বিদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে মোট ২৭ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা আয় করেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।
শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এ পর্যন্ত কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে এবং সরকার কতটা রেমিট্যান্স পেয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চান হাবিবুর রহমান।
লিপিবদ্ধ উত্তরে আনিসুল হক জানান, শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গড় আয় হয়েছে এক হাজার ২১৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষা মিশনে বৈষম্য ও যৌন নিপীড়নের কোনো স্থান নেই: পররাষ্ট্র সচিব
শান্তিরক্ষা মিশনে লেবাননের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য
যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত নৌঘাঁটি বিএনএস শের-ই-বাংলা এবং চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ)সহ আটটি জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখার উপর আমাদের গুরুত্ব থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে; যাতে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এই উদ্দেশ্যে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে হেলিকপ্টার ছাড়াও বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজের সরঞ্জাম সংগ্রহ ও নির্মাণের কাজ চলছে।
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে নৌ ঘাঁটি শের-ই-বাংলাদেশ এবং আটটি জাহাজের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার শপথ নেওয়া সাহাবুদ্দিন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সুপ্রিম কমান্ডার, সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
সুদান সংঘাত: বাংলাদেশিসহ ৯১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সহায়তায় রাজকীয় সৌদি নৌবাহিনী সুদান থেকে বাংলাদেশিসহ ৯১ জনকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। শনিবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, ‘কিংডম লিডারশিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা সুদান প্রজাতন্ত্র থেকে সরিয়ে নেওয়া কিংডমের নাগরিকদের পাশাপাশি কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক কর্মকর্তাসহ ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর বেশ কয়েকজন নাগরিকের নিরাপদ আগমনের ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত।’ এতে আরও বলা হয়, সরিয়ে নেওয়া নাগরিকদের সংখ্যা ৯১ জনে পৌঁছেছে, যখন ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া লোকের সংখ্যা প্রায় ৬৬ এ পৌঁছেছে, যা নিম্নলিখিত জাতীয়তার প্রতিনিধিত্ব করে - কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, তিউনিসিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া, ফিলিপিনস, কানাডা এবং বুরকিনা ফাসো। এর আগে সুদানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশ সরকার তাদের নাগরিকদের সুদান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছিল। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদানে প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের অনুগত বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৩০০ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত বিক্ষোভের মাঝে সুদান সেনাবাহিনীর হাতে প্রেসিডেন্টের পতন
রক্তাক্ত বিক্ষোভের মাঝে সুদান সেনাবাহিনীর হাতে প্রেসিডেন্টের পতন
আমরা শান্তি চাই, তবে বহিঃশক্তির আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, দেশে কোনো বহিঃশক্তির আক্রমণ হলে উপযুক্ত জবাব দিতে সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বহি:শক্তির যে কোন আক্রমণ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে পর্যাপ্ত সক্ষম করে তুলতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দশম টাইগারস রিইউনিয়নে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না।
তিনি বলেন যে আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাসী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি মাওয়া-জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি এভিয়েশন ফরওয়ার্ড ঘাঁটি এবং লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও চলছে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সরকার সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ কোরিয়াকে আহ্বান জানাল প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী অস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বাংলাদেশকে শান্তির দেশে রূপান্তর করতে চায়।
তিনি বলেন, এ জন্য আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে।
তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণ হয়েছে, যাতে উন্নত দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে খাবারের দাম অত্যধিক বেড়েছে এবং খাবার পেতেও সমস্যা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, তবে বাংলাদেশের ভূমি উর্বর এবং মানুষও অনেক দক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে যে জমি আছে, তারা তাতে ফসল ফলাক; যাতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার আঘাত বাংলাদেশে না লাগতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি সত্য কিন্তু এর পাশাপাশি আমাদের এটা (খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি) ততদিন অব্যাহত রাখতে হবে যতদিন না এই (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধ থামে এবং এই মন্দার কবল থেকে বিশ্ব মুক্তি পায়।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা যাতে বাংলাদেশে প্রভাব না ফেলতে পারে সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং খোলা জীপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
তিনি একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
জিয়ার আমলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পরিবার বিচার নিশ্চিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ চান
জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। তারা অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের কান্না' এর ব্যানারে সদস্যরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দেন।
বুধবার সকালে ঢাকার শাহীনবাগে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সংগঠন 'মায়ের ডাক'-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের বাসায় গেলে তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি এ আহ্বান জানান।
সানজিদা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, যিনি ২০১৩ সালে বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
কামরুজ্জামান লেনিনের স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে 'মায়ের কান্না' সংগনের সংগঠকরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপ কামনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
কামরুজ্জামান লেনিনের বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান, যিনি পরে বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং জেনারেল জিয়ার শাসনামলে ‘অন্যায্যভাবে’ তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে আবেদনে, ‘মায়ের কান্না’ আয়োজকরা লিখেছেন: ‘আমরা সুষ্ঠু বিচারের জন্য আপনার কাছে এসেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুনি জিয়ার এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থান নেবে এবং বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
তারা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে মার্কিন সরকার এই বিষয়গুলো অত্যন্ত মানবিকভাবে বিবেচনা করবে, একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করে এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার জোরদার করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বাধীন গবেষকদের মতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর তার আদেশে ১০০০ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তারা জানান, জেনারেল জিয়ার শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের প্রিয়জনের দেহাবশেষ সম্পর্কে অনেকেই এখনও অবগত নন।
১৯৭৭ সালে ‘জাপানি রেড আর্মি কর্তৃক ঢাকায় একটি জাপানি বিমান ছিনতাই ও অবতরণ’- এর ঘটনার কথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে ন্যায়বিচারের জন্য চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জেনারেল জিয়ার অনুগত বাহিনী’ ঢাকায় একটি অভ্যুত্থানের নামে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর শত শত অফিসারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, জিয়া অন্যায়ভাবে প্রায় এক হাজার ১৫৬ জন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
‘মায়ের কান্না’-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বসবাসকারী ভুক্তভোগী পরিবারগুলো উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রেসিডেন্টের
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এবং সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ পাওলা-মে উইকস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তার মেয়াদে অসাধারণ চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান সম্প্রতি ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্রের অনাবাসিক হাইকমিশনার হিসেবে পোর্ট অব স্পেনের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে প্রেসিডেন্ট পাওলা-মাই উইকসের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
হাইকমিশনার তাকে বাংলাদেশে একটি সরকারি সফর করার জন্য আমন্ত্রণ জানান যা অদূর ভবিষ্যতে পারস্পরিক সুবিধাজনক তারিখ এবং সময়ে সেট করা হতে পারে।
মঙ্গলবার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি সানন্দে আমন্ত্রণটি উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছেন এবং আগামী দিনগুলিতে পারস্পরিক সুবিধাজনক তারিখ ও সময়ে সফরের ব্যবস্থা করার কথা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি খুশি হবেন।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রেসিডেন্ট কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোর্ট অব স্পেনে সরকারি সফরের কথা স্মরণ করেন।
হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের মধ্যে কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং শিপিংয়ের মতো খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বহুমুখীকরণ ও বৃদ্ধির বিপুল সুযোগ রয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজনের জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের ওপরও জোর দেন।
পোর্ট অব স্পেনে হাইকমিশনারের পরবর্তী সফরের সময় বা কার্যত সমঝোতা স্মারকটি সম্পন্ন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, জ্বালানি খাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য পারস্পরিক লাভজনক হতে পারে।
হাইকমিশনার ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রত্যাবাসন এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের জন্য অব্যাহত সহায়তার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: কিছু গণমাধ্যম বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্তব্য করতে বাধ্য করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাধীন, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে মোদির উষ্ণ অভ্যর্থনা
দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে মঙ্গলবার চার দিনের সরকারি সফরে নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে (স্থানীয় সময়) রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মোদি অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে সামনের দিকে তার মোটরকেড নিয়ে যায়।
পরে শেখ হাসিনাকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি সার্ভিসের একটি চৌকস দল একটি গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
এরপর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রেজেন্টেশন লাইনে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও মোদির সঙ্গে তার সফরসঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী এম নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুকসহ তার সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে গোড্ডা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ দেয়ার প্রতিশ্রুতি আদানির
ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়া রাতেই চূড়ান্ত হবে: পররাষ্ট্র সচিব
ভারতের মণিপুরে ভূমিধসে নিহত ২৪
ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি সেনা ক্যাম্পে প্রবল ভূমিধসে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই সেনা সদস্য বলে জানা গেছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের ননি জেলার একটি নির্মাণাধীন মেট্রো রেলওয়ে সাইটের কাছে টেরিটোরিয়াল আর্মি ক্যাম্পে বুধবার গভীর রাতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে ২৪ টি লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতদের মধ্যে ১৮ জন সৈন্য এবং ছয়জন বেসামরিক লোক বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। প্রায় ৩৮ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা করেছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, টেরিটোরিয়াল আর্মির নিহত সৈন্যদের সম্পূর্ণ সামরিক সম্মানের সঙ্গে দাহ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫ জনের মৃত্যু
নূপুর শর্মার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট