বিদেশি
ফতুল্লায় ভবন থেকে পড়ে বিদেশি প্রকৌশলীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিকে পাওয়ার প্ল্যান্টের ভবন থেকে নিচে পড়ে ঝাং জি বিন নামে চীনের এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চীনের নাগরিক ঝাং জি বিন টিবিইএ কোম্পানির ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দম্পতি নিহত
টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির দোভাষী মো. সেলিম বলেন, পঞ্চবটিতে বিসিক এলাকায় একটি পঞ্চম তলা ভবনে পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ করার সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে বিদ্যুতের তার সঞ্চালনার ফাঁকা জায়গায় একটি কাঠ পেতে তার উপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন ঝাং জি বিন। হঠাৎ সেই কাঠটি ভেঙে গেলে সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেজমেন্টে পড়ে যান। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির (পরিদর্শক) ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, চীনের নাগরিকের লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনের নাগরিক নিহত
গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনের নাগরিক নিহত
সরকার বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় কিন্তু তাদের আধিপত্য চায় না: কাদের
সরকার বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায়, কিন্তু দেশে কেউ আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে তা হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। তবে তারা বন্ধুর পরিবর্তে প্রভুর ভূমিকায় আসতে চাইলে আমরা বরদাশত করব না।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের সফরকালে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা যা বলেছে তাতে বিএনপির আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই। তারা সরকারের পতন, ব্যর্থতা বা সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেনি। এ কারণে তারা এখন নীরব।’
তারা (বিএনপি) যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যা চেয়েছিল তা পায়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা শুনতে চেয়েছিল, সরকারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, কিন্তু মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষ বুঝতে পারছে এটা সরকারের দোষ নয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। সারা বিশ্বেই দাম বাড়ছে। আমাকে বিশ্বের এমন একটি দেশ দেখান যেখানে দাম স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আমরা আশা করছি, আসন্ন রমজানে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজির একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসায় বিএনপিকে খেসারত দিতে হবে: কাদের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
দেশ-উন্নয়নকে আরও কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম' এর মাধ্যমে দেশ ও দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে এবং কাছ থেকে জানতে পারবেন।
তিনি বলেন, কূটনীতিকরা যাতে আরও কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে- সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন। ফলে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গণমাধ্যমের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দু'দিনব্যাপী 'অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামে'র আওতায় প্রথম দিন আজ দুপুরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মিশন প্রধানদের নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেল পরিদর্শন শেষে ট্রেনে কক্সবাজার যান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরও জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সেকারণেই তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে তারা কক্সবাজার যাবেন।
বিদেশি প্রতিনিধিদের এই পরিদর্শনে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে কি না -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তারা বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সফরে এসেছেন তারা। আজ চট্টগ্রামে কয়েক ঘণ্টা কাটালেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম রোড টানেল তারা দেখলেন।
আরও পড়ুন: কায়রো অপেরা হাউজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
তিনি বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা আজকে কূটনীতিকরা নিজের চোখে দেখেছেন।
কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এরপর দেশ ভাগ হলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
মন্ত্রী বলেন, এই জনপদের মানুষ ১২৫ বছর আগে যে স্বপ্ন দেখেছিল, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এই অসাধারণ কাজ কূটনীতিকদেরকে দেখাবার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে করে কক্সবাজার নিয়ে এসেছি। তাদেরকে এখানে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বাংলাদেশকে জানে এবং চেনে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত যে আমাদের দেশে, এই খবরটা যেন তাদের মাধ্যমে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ে। এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও উন্নয়ন সম্পর্কে তারা যেন ভালো করে জানতে পারে, সেজন্যই তাদেরকে আমরা নিয়ে এসেছি।
বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের সঙ্গে তো কথাবার্তা আমাদের সবসময়ই হয় এবং তারা অনেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। এবং এখনও যদি তারা সুযোগ পায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসোভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য এই আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জাপান দূতাবাস ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ইকেবানা কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর যথাযথ ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকার নিয়মিতভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি দুই মাস পর পর বিদেশি অর্থায়নে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে তার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের তৃতীয় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কমিটি গঠন করেন। নয় বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে পরিকল্পনা কমিশনের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছেন, যারা প্রতি দুই মাস পর পর বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও সময়মতো বৈদেশিক তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রকল্পগুলোর সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করবেন।’
পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ না করে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেন, যথাযথ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সকল সদস্যের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের জন্য সভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল প্রকল্প নির্বাচন ও যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে এই জাতীয় অনুশীলন। এরপর এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি প্রকল্প গ্রহণের আগে যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অন্যথায় প্রকল্পটি থমকে যাবে এবং ব্যয় ও সময় অতিক্রম করবে।
সালাম বলেন, সভায় প্রকল্প পরিচালকদের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বা পুল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রকল্পগুলোর সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৈঠকে সরকারের সার্বিক সরকারি বিনিয়োগ চিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জিডিপির অনুপাতে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার পর্যায়ক্রমে এ ধরনের সরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
কোনো উন্নয়ন সহযোগীর সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী সেই সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এমন কাজ করে, তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। দেশে এখন নির্বাচিত সরকার আছে, কেউ আমাদের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের বিনা সুদে ঋণ দিচ্ছে না, বরং তারা মূল টাকার পাশাপাশি সুদ পাবে। উন্নয়ন সহযোগী ও সরকার উভয়ই চায় প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে।’
সালাম বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি দূতাবাস এবং বহুপক্ষীয় সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করবে।
নির্বাচনের তিন দিন আগে ৪ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন।
বৈঠকে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কমিশন ইতোমধ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছে।
৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
জাতীয় নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে প্রায় ১৮৯৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে মোংলায় ভিড়েছে জাহাজ
মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় পানামার পতাকাবাহী এমভি ফিনিক্স কোরাল নামে জাহাজটি বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙ্গর করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
জাহাজটিতে ১৯৪ দশমিক ৫১০ মেট্রিক টন ওজনের যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে বলে জানা গেছে। রাত থেকেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মোংলা বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন এম শাহিন মজিদ জানান, এমভি ফিনিক্স কোরাল নামের জাহাজটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাপানের কোবে বন্দর থেকে মেট্রোরেলের যন্ত্রপাতি নিয়ে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
জাহাজটিতে ১৯৪ দশমিক ৫১০ মেট্রিক টন ওজনের যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি রয়েছে। গত বছরের ২৮ মার্চ মেট্রোরেলের প্রথম চালান মোংলা বন্দরে আসে।
মেট্রোরেলের সব মালামাল মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি কর হয়। এরপর জেটিতে খালাস করে মালামাল পরিবহন করা হয়।
এমভি ফিনিক্স কোরাল জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানি সূত্র জানায়, রাতেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ শুরু হবে। এরপর এসব যন্ত্রপাতি ঢাকায় পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
পিরোজপুরে ১৪০০ টন ডাল নিয়ে টিসিবির জাহাজ অর্ধনিমজ্জিত
অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অবরোধ ও হরতালের রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের বিক্ষোভের দিনে অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হয়।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই। হরতাল বা অবরোধে প্রতিদিন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাই আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই।’
আমরা ধর্মঘট বা অবরোধ চাই না। ধর্মঘট বা অবরোধ অর্থনীতির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মহাসড়কে সহিংসতা সৃষ্টি করছে, যা বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বেশি দামে পণ্য কিনছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের পূর্বে ক্রয় করা পণ্য সময়মতো পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, সরবরাহকারী ও পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
হরতাল ও অবরোধের কারণে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায়শিল্পখাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এলসি খোলার জন্য ডলার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ এবং রমজান পর্যন্ত শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বানতিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবের পর উদ্যোক্তারা রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি সহ্য করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অসম্ভব এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে জনগণের কল্যাণ আসবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাপক প্রচেষ্টায় এখানে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।
অভ্যন্তরীণ অঙ্গনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বিদেশি ক্রেতাদের নেতিবাচক সংকেত দেবে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিল্প খাতের টিকে থাকার পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য।
তাই সরকার ও বিরোধী দলের উচিত রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে হরতাল-অবরোধের পরিবর্তে বিকল্প কর্মসূচি নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করা উচিত: মোমেন
রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে ওয়াশিংটনের বক্তব্যের বিষয়ে স্পষ্টতই অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা উচিত এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে ও রাজনীতি করার জন্য রাজনৈতিক দলে পরিণত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় মনে করি বোধহয় কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এদেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া উচিত। তারা বোধহয় রেজিস্টেশনের জন্য অ্যাপ্লাই করা উচিত। তারা একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান করবেন এবং আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে তারা রাজনৈতিক অবস্থান নেবেন। তারা একটা দল করুন, আর দেখা যাক জনগণের কাছে তারা কত ভোট পান।’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস আশা প্রকাশ করেন, উত্তেজনা কমাতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অগ্রসর হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে সব পক্ষ একটি শর্তহীন ‘সংলাপ’ করবেন।
ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘এ কথা ভুলে যান। এটা কোনো ব্যাপার না...আমাদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: পূর্বশর্ত ছাড়াই সব পক্ষ সংলাপে অংশ নেবে: সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত হাসের প্রত্যাশা
বিএনপির ‘বর্বরতা ও ধ্বংসযজ্ঞ’ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, এটা তাদের দলের জন্য লজ্জাজনক এবং পুলিশ, হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয়, দলের সদস্যদের করা এসব অপকর্মের জন্য তাদের (বিএনপি) প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া উচিত। আমি বিএনপির কাছ থেকে আশা করব, তারা যেন তাদের বহিষ্কার করে।
মোমেন বলেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির হরতাল ও অবরোধে সারাদেশে মোট ১৬০০ কোটি টাকা (বা ১৯২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বা প্রতিদিন জিডিপির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ খরচ হয়েছে।
মোমেন সোমবার কূটনীতিকদের বলেন, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট কারচুপির মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা লুটপাট, ধর্ষণ ও খুন করেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে।
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও তার মিত্ররা কয়েক হাজার গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পেট্রোলবোমা ব্যবহার করে অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির ভেতরে আটকে থাকা যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়েও মেরেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও ভয়াবহ ক্ষত ও ট্রমা নিয়ে বেঁচে আছেন।
তিনি বলেন, পেট্রোল বোমা ও হ্যান্ড গ্রেনেড হামলায় ২০ জন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'বিএনপি বুঝুক বা না বুঝুক, প্রত্যেক মানুষের জীবনই গুরুত্বপূর্ণ': বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিক-জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আজ ব্রিফ করবে সরকার
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশেরভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত। আজকে সৌদি আরব ভিসা দিয়ে দিচ্ছে সহজেই। তারা আলোচনা করছে ভিসা ছাড়া কীভাবে পর্যটকদের বিনোদন দেওয়া যায়। এরা (সৌদি আরব) আমাদের চেয়ে অনেক রক্ষণশীল। আমরা অনেক এগিয়েছি স্বাধীনতার পরে। তাই এ বিষয়ে আমাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
সেমিনারে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা আছে। আমাদের এখন দরকার বিদেশ পর্যটক আকর্ষন করা। আমাদের নতুন নতুন হোটেল হচ্ছে। এজন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দরকার। ভিসার ক্ষেত্রে আমাদের উদার হওয়ার দরকার।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে নেগেটিভ বিষয়গুলো গণমাধ্যমে সচেতন হতে হবে। যেন দেশ ভুক্তভোগী না হয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
দেশে পর্যটকের অভাব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে পর্যটকের কোনো অভাব নাই। ধারণক্ষমতারও বেশি। এখন আমাদের দরকার বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ করা।
তিনি বলেন, আমরাও অনুভব করি, আমাদের বিদেশি পর্যটক দরকার। আমাদের পর্যটন করপোরেশনের যে মোটেলগুলা ৫০ বছর আগে করা, আপনি চিন্তা করেন কতটুকু রুচিশীল এই সময়ে। কিন্তু, আমরা পরিচালনাও করেছি, সরকারকে কোটি, কোটি টাকা ট্যাক্স দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
পর্যটনের বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেক হোল্ডার বিবেচনা নিতে হবে
বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার ও বিকাশে গণমাধ্যমকে স্টেকহোল্ডার হিসেবে বিবেচনা করে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীদেরও পর্যটন বিকাশে যথাযথ অংশীদারত্বের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই সেক্টরে নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়ীদের একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে আহ্বান করেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও বাংলাদেশের পর্যটন এবং এভিয়েশন খাতের বিকাশে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তেমন কোন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মিডিয়ার গঠনমূলক ভূমিকা ছাড়া কোন দেশের পর্যটন বিকাশসম্ভব নয়। এর জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পর্যায়ে থেকে গণমাধ্যমকে পর্যটনের স্টেকহোল্ডার হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এবার বিশ্ব পর্যটন দিবসে আমরা দেশ ব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। পর্যটন এমন একটি বিষয়ে যা প্রচার করতে হয়, আর এজন্য মিডিয়ার ভূমিকা প্রয়োজন। আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মিডিয়ার সাথে গ্যাপ কমিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।
পর্যটন সচিব বলেন, আমরা সেন্ট মার্টিনকে প্লাস্টিক ফ্রি করবো। এজন্য মিডিয়া ভূমিকা প্রয়োজন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের পর্যটনের অনেক উপদান আছে। সরকারের নানা উদ্যোগ আছে, মিডিয়াও এগিয়ে আসছে। আমাদের আশে পাশের দেশ পর্যটনে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ট্যুরিজম সেক্টর সেরকম প্রমোট হয়নি। আমাদের আরও করনীয় আছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, মালদ্বীপের কোনো কর্মকর্তা যখন অন্য দেশে যান তাদের একটা এজেন্ডা থাকবেই, সেটা হলো ট্যুরিজম। আমাদেরও এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।
প্যাসেফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশনের (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি মেলায় অংশ নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ নেপাল ও শ্রীলংকার মতো দেশ আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট শিবলুল আজম কোরায়েশি বলেন, মিডিয়ার প্রচারের ফলে পর্যটনের নতুন নতুন গন্তব্য মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। শ্রীলংকা দেউলিয়া হলেও পর্যটনের প্রচারে পিছিয়ে নেই।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের প্রচার আরও বেগবান করতে হবে। প্রমোশনের অভাবে বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের প্রচার হচ্ছে না। আমাদের পর্যটনার সম্ভবনা মিডিয়ার মাধ্যমে আরও বেশি প্রচার করতে হবে।
বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমাদের মিডিয়া পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমাদের দেশে নেগেটিভ নিউজ বেশি পছন্দ করে, একারণে কিছু খারাপ খবর বেশি আসে। আমাদের মিডিয়াকে পর্যটনের বিষয়ে আরও আন্তরিক হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের পর ফেরত নেওয়া যাবে পাসপোর্ট
আমন্ত্রণ ছাড়াই কিছু বিদেশি আসেন: কাদের
বিশ্বের অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিদেশিদের মাথাব্যথা না থাকলেও বাংলাদেশের বিষয়ে তারা নাক গলাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় নেতারা কয়েকদিন পর পর এখানে আসেন। অথচ আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি। কিন্তু এত অতিথি কোথা থেকে আসে? ইউরোপীয় ও আমেরিকান অতিথিরা আমাদের না জানিয়ে এখানে আসেন।’
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাম্প্রতিক কালের নাইজার অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা অন্য কোনো দেশের গণতন্ত্র নিয়ে এতটা আগ্রহ দেখায় না। "এখানে একটি খেলা আছে। অন্য কোনো দেশের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা নেই।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না করে কাদের বলেন, তারা হুমকি দেয়, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ভিসা নীতি ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বিএনপির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা যেতে পারে। “মূল বিষয় হলো নতুন মার্কিন ভিসা নীতি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে যারা নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বিএনপি এমন কাজ করছে। আমরা তা করছি না। আমরা নির্বাচন চাই। তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমরাও দেখব এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী এবং নির্বাচনের নামে অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কার বিরুদ্ধে এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বিএনপির দাবি নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এমন সরকারের লক্ষণ নেই।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে আ. লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে পাকিস্তানে যান। এমনকি বিশ্বের আর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চিহ্ন নেই।’