ঈদুল আজহা
ভিভো কিনলেই লাখ টাকা পুরস্কার!
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চমকপ্রদ এক অফারের ঘোষণা দিয়েছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। এখন ভিভো স্মার্টফোন কিনে অনলাইন লটারিতে অংশ নিলেই গ্রাহকরা পেতে পারেন লাখ টাকা কিংবা নানা ধরনের চমৎকার পুরস্কার।
ভিভোর এই ঈদ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে গত ১৩ জুলাই, যা শেষ হতে চলেছে আগামীকাল সোমবার, ১৯ জুলাই।
আরও পড়ুন: রিয়েলমির ‘৫জি একাডেমি’ চালু
ভিভো জানায়, পুরস্কারগুলোর মধ্যে গ্র্যান্ড প্রাইজ বিজয়ী পাবেন এক লাখ টাকা পুরস্কার। এছাড়া প্রথম পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ, দ্বিতীয় পুরস্কার এয়ার কুলার, তৃতীয় পুরস্কার ৫০০ টাকা, চতুর্থ পুরস্কার একটি আকর্ষণীয় ভিভো ব্যাকপ্যাক এবং পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে একটি ভিভো ছাতা। আরো রয়েছে সকল নতুন গ্রাহকদের জন্যে নিশ্চিত ডেটা অফার।
আরও পড়ুন: ঈদে স্যামসাংয়ের ‘বিগ অফার ঈদ জমবে এবার’
দেশের যেকোনো ভিভো স্টোরে গিয়ে এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করা যাবে। যেকোনো গ্রাহক সেখান থেকে যে কোনো মডেলের একটি ভিভো ফোন কিনলেই লটারিতে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিটি বিক্রেতার কাছেই ভিভো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ লিংক শেয়ার করা রয়েছে। স্মার্টফোনটি কেনার পর, কিছু তথ্য ওই লিংকে দিলেই দেখা যাবে, কী জিতলেন ওই ক্রেতা।
এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে ভিভো বাংলাদেশের সেলস ডিরেক্টর শ্যারন বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের তিন বছরের কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এদেশের মানুষেরা খুবই উৎসবপ্রিয়। আর উৎসবের সময়টাতে আমাদের স্মার্টফোনের চাহিদাও থাকে অনেক বেশি। গ্রাহকদের উৎসবের আনন্দটাকে আরো বাড়িয়ে দিতেই আমরা এই ঈদ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছি।’
আরও পড়ুন: সকল পণ্যে ওয়ারেন্টির মেয়াদ বাড়াল স্যামসাং
জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজের সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাযের জামাআত অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত জামাআতসমূহে নিম্নোক্ত আলেমরা, ইমাম ও মুকাব্বির এর দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীনের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত হচ্ছে না
প্রথম জামাআত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ইমাম ও মুকাব্বির হিসেবে বায়তুল মুকাররমের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান থাকবেন।
দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকারমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।
সকাল ৯টায় হবে ঈদের তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।
চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেম, মোকাব্বির হবেন মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। এই জামাতটি সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
পঞ্চম ও শেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান ইমামতি করবেন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের প্রধান খাদেম মো. শহীদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: ঈদের জামাত কাছের মসজিদে আদায়ের আহ্বান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
এই পাঁচটি জামাআতে কোনও ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দায়িত্ব পালন করবেন।
আগামী ১০ জিলহজ্জ ১৪৪২ হিজরী ২১ জুলাই (বুধবার) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
কুমিল্লায় স্কুল মাঠগুলোতে চলছে অবৈধ গরুর হাট!
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় স্কুল মাঠেই অবৈধ গরুর হাট চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উপজেলার ২৩টি পশুর হাটের মধ্যে ১১টি হাটেরই কোনও অনুমোদন নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জোয়াগ ইউনিয়নের ধেরেরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও বরকইট ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সপ্তাহে দুইদিন করে গরুর হাট চলে। এর মধ্যে নবাবপুর ও ধেরেরা অস্থায়ী হাট অন্য জায়গা দেখিয়ে সরকারিভাবে ইজারা নিয়ে পরবর্তীতে বিদ্যালয় মাঠে হাট বসায়।
আরও পড়ুন: পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
এদিকে শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের হাট ইজারা ছাড়াই জোরপূর্বক হাট চলছে।
জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে চান্দিনা উপজেলায় চারটি স্থায়ী গরুর বাজার রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলায় আরও আটটি অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। স্থায়ী ও অস্থায়ী ১২টি গরুর বাজারের স্থলে বর্তমানে চান্দিনায় অন্তত ২৩টি গরুর হাট রয়েছে। চান্দিনার শ্রীমন্তপুর, ছয়ঘড়িয়া, শুহিলপুর, কালিয়ারচর, গল্লাই-তালতলা, মহিচাইল-ছেঙ্গাছিয়াসহ আরও অন্তত পাঁচটি হাট অবৈধভাবে চলছে। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের অনুমতি না মিললেও, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ওই সব হাটে পশু বেঁচা-কেনা হচ্ছে। এতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
চান্দিনার শ্রীমন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘কে বা কারা গরুর বাজার বসিয়েছে আমি কিছুই জানি না। শনিবার স্কুলে এসে মাঠে খুঁটি দেখে শুনেছি শুক্রবার নাকি গরুর হাট বসেছিল।’
ধেরেরা গরু হাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধেরেরা মৌজার ৫৫১ দাগে ইজারা নিয়েছি। মাঠের এক পাশে খুঁটি বসাই। যেখানে আমাদের ইজারা আছে। স্কুলের জায়গায় খুঁটি দেইনি।’
নবাবপুর গরু বাজার পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আশেক এলাহী জানান, ‘নবাবপুরে স্থায়ী গরুর বাজার আছে। ঈদের সময় ওই জায়গাতে সংকুলান না হওয়ায় স্কুল মাঠে নিয়ে আসি। ঈদের সময় মাত্র দু’টি বাজারই হয় স্কুল মাঠে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১৭ শর্তে বসবে পশুর হাট
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি মালিকানাধীন ও সরকারি জায়াগায় অস্থায়ী গরুর হাট ইজারা দিয়েছি। কোন বিদ্যালয়ের মাঠে নয়। যারা বিদ্যালয় মাঠে গরুর হাট বসিয়েছে, খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়া অনুমোদনহীন গরুর হাট বন্ধে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।’
ঈদে বাড়ি ফেরা: শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল
ঈদের আর মাত্র বাকি আছে দুই দিন। তাই প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে।
রবিবার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। তবে ঘাট ব্যবহারকারীরা ফেরি ও লঞ্চ স্বল্পতার অভিযোগ করছেন।
আরও পড়ুন: ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে রাজধানীতে পৌঁছাল ৮০০ গরু
এই নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি এবং ৮৭ লঞ্চের মধ্যে ৮৪টি চলাচল করছে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। আর ৩টি লঞ্চের কাগজ আপডেট না থাকায় সেগুলো চলতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যাত্রী আর যান বাহনের চাপ সামলাতে না পেরে রবিবার চাঁদপুর থেকে ফেরি 'কাকলী' ও ‘কলমীলতা’ যুক্ত করা হয়েছে বহরে। তারপরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপেক্ষমান গাড়ি ও ট্রাকের লাইন ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। আর ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। লঞ্চ ঘাটে পা রাখার জায়গা নেই। তড়িঘড়ি করে লঞ্চে উঠার চেষ্টা করছে সবাই। করোনা সংক্রমণ বর্তমান ঝুঁকির মধ্যেও এখানে কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু!
প্রশাসন বলছে তারা ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের চেষ্টা করছে। যাত্রীদের সেবায় দু’টি পৃথক কন্ট্রোল রুম এখানে বসানো হয়েছে। কিন্তু ঘাটে আসা যাত্রীরা কোনও কথা শুনছেন না। স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। সামাজিক দূরত্ব দূরে থাক শারীরিক দূরত্বও তারা মানছেন না। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত পড়ছেন না।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, পদ্মার প্রবল স্রোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে ছোট আকারের লঞ্চগুলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি মানুষ
বিআইডব্লিউটিসির সহ মহাব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তাল পদ্ময় ফেরিগুলো চলতে সমস্যা হচ্ছে। একে তো সব ফেরি চলতে পারছে না অন্যদিকে ফেরিগুলোর যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি। ফলে ফেরির ট্রিপ কমে যাচ্ছে। তাই ঘাটে গাড়ির জটলা বেঁধেছে। শিমুলিয়া ঘাটেই পণ্যবাহী ট্রাকসহ অর্ধ সহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে নদী পাড় হওয়ার অপেক্ষায়।’
ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে রাজধানীতে পৌঁছাল ৮০০ গরু
মহামারি করোনার মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু পরিবহনের সুবিধার কথা বিবেচনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে "ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন" সার্ভিস চালু করেছে।
এই সেবার আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রেনের মাধ্যমে পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা ০৫ মিনিটে ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে ৯টি ওয়াগনে ৯৭টি গরু কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এতে করে ভাড়া বাবদ ৬৮ হাজার ৩৮০ টাকা আয় করেছে রেলওয়ে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশু নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছেড়েছে ‘ক্যাটল স্পেশাল’ ট্রেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ৮০টি গরু নিয়ে আরও একটি স্পেশাল ট্রেন রবিবার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
এছাড়া জামালপুরের ইসলামপুর বাজার স্টেশন থেকে ২৫টি ওয়াগনে ৪০০ গরু এবং দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ২১টি ওয়াগনে ৩০৬ গরুসহ মোট ৭০৬ গরু ও ২০টি ছাগল দুটি ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বিশেষ ট্রেনে ঢাকায় আসবে কোরবানির পশু
এ দু’টি স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ঘরমুখো মানুষের চাপেও যানজটমুক্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার অংশ যানজটমুক্ত রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোথাও যানজট নেই।
আরও পড়ুন: বেতন-ভাতার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপে যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি, গৌরীপুর, চান্দিনা, ক্যান্টনমেন্ট, পদুয়ারবাজার ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় যানবাহনের চাপ দেখা যায়।
এছাড়া মহাসড়কের পশুবাহী ট্রাকগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা গেছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও ফরিদপুরে আশানুরূপ ক্রেতা নেই
সারাদেশের মতো ফরিদপুরে লকডাউন শিথিল হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে মন্দাভাব। জেলা শহরের বিভিন্ন বিপনী-বিতান, শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারে কম। আর এ জন্য ব্যবসায়ীরা করোনার প্রভাবকে দায়ী করছেন।
ফরিদপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, দীর্ঘ সময় মানুষ কর্মহীন। অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে করোনাকালে মানুষের আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। যে কারণে মার্কেটগুলোতে কেনাবেচা তুলনামূলকভাবে কম। তবে করোনা থেকে মুক্তির পর আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত খুলনা নগরবাসী
তিনি বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতা মানুষ বুঝতে পেরেছে, নিজেদের সচেতনতাও বেড়েছে। যে কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া মার্কেট মুখী হচ্ছে না ক্রেতারা।’
আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন শিথিল হলেও এই জেলায় ব্যবসায়ীদের দুরাবস্থা চলছে। একই সাথে গত দু'দিনে তেমন একটা বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন বিপনী-বিতান ও মার্কেট খোলা থাকলেও তাতে আগের মতো ক্রেতা সমাগম নেই। তাছাড়া ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বড় শপিং মল ও বিপনী-বিতান বিভিন্ন রকম ছাড়ের অফার ঘোষণা করলেও তাতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলার মধুখালী থেকে ফরিদপুর শহরের আসা বি.কে. সিকদার সজল জানান, হাতে প্রয়োজনের তুলনায় অর্থ কম, তাই কেনাকাটার তালিকা ছোট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যবিধি হুমকির মুখে: নারায়ণগঞ্জে ঈদের কেনাকাটায় ধুম
ফরিদপুর নিউ মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আশা ছিল লকডাউন শিথিল হলে বেঁচা-বিক্রি ভালো হবে। কিন্তু অল্প সংখ্যক ক্রেতা আসলেও কাঙ্খিত ব্যবসা হচ্ছে না। অনেক সময় বসেই থাকতে হয়।’
টুং টাং শব্দ, ব্যস্ততা নেই কুমিল্লার কামার পাড়াতে
প্রতিবছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাড়তি আয়ের আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে থাকেন কামাররা। কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম তৈরির কাজে কামার পল্লীতে সবসময় ব্যস্ততা থাকলেও, এবছর দেখা গেছে ভিন্নতা।
এই বছর পল্লী জুড়ে ক্রেতা শূনত্যা দেখে গেছে। জেলার বৃহত্তর চকবাজারের কামারপাড়া এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৩২ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। একমাত্র কামারের কাজ করে তারা পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কামার পল্লীতে তারা লোহা পুড়িয়ে লাল করে হাতুড়ি পিটিয়ে ছুরি, দা, বটি ও চাপাতি তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের জন্য প্রস্তুত দেড় লক্ষাধিক পশু
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা নগরীর চকবাজার, শাসনগাছা, আমতলী, কামারপট্টি এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, সুজন কর্মকার, বেনু কর্মকার, বাবুচন্দ্র, কৃষ্ণপালরা অবসর সময় পার করছেন।
কর্মকাররা এক মাস আগে থেকে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে শতশত ছোট-বড় ছুরি, চাপাতি, গরু জবাই ও মাংস কাটার জন্য মজুদ করে রাখত। প্রতিটি বড় ছুরি ৭০০ টাকা, ছোট ছুরি ২০০ টাকা ও চাপাতি ৩০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা হত। তাদের তৈরি করা এসব সরঞ্জাম কিনতে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা আসতো। কিন্তু এই বছর করোনায় লকডাউনের কারণে পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় পাইকাররা না আসায় বিক্রি একেবারেই কম হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।
চকবাজারের শ্যামল কর্মকার বলেন, ‘ঈদের আর কয়েকদিন বাকি, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সব কামাররা পুঁজি বিনিয়োগ করে। গত বছর করোনা ও কঠোর লকডাউন থাকার বিক্রি করতে পারিনি। সারা বছর আমরা কষ্টে দিন যাপন করছি। এ বছর তিনিও ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃহস্পতিবার সারাদিনে মাত্র তিন জন ক্রেতা এসেছে। গত বছরে মতো যদি এমন অবস্থা চলমান থাকে তাহলে আমাদেরকে বাপ-দাদার এই পেশা পরিবর্তন করে অন্য কাজ খুঁজতে হবে। আমরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
একই এলাকার পিন্টু কর্মকার বলেন, ‘দু-এক বেলা না খেয়ে থাকলেও পেটকে বোঝানো যায়, কিন্তু সপ্তাহে কিস্তিওলারা তো মানবেন না। যেভাবেই হোক তাদের টাকা জোগাড় করে দিতে হবে। করোনায় সরকার লকডাউন দেয়ার পর থেকে বেচাকেনা নেই। কয়েকদিন পর ঈদ, টানা একমাস পর মঙ্গলবার দোকানটা খুললাম,পুলিশ একটু পরপর দৌড়ানি দেয়। তাই টুকটাক কাজ করে কিস্তির টাকা জোগাড় করি। এর মাঝেও দোকান খোলার অপরাধে জরিমানা দিতে হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটকে। আমরা কই যামু, এভাবে চলতে থাকলে তো না খেয়ে মরবো।’
আরও পড়ুন: মাংস সমিতি: সীমিত আয়ের মানুষের ঈদ আনন্দ
চকবাজার কর্মকার সমিতির সভাপতি মধুসূদন কর্মকার বলেন দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ পশু কোরবানি ও গোশত কাটার জন্য যে সব ধারালো সরঞ্জাম আমরা তৈরি করি। গত কয়েক বছর কামার পল্লীর ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। মানুষ এখন বিদেশি আধুনিক জিনিসপত্র দিকে ঝুঁকছে, এর মাঝে গত বছরের মতো এ বছর করোনা নিয়ে পার করতে হচ্ছে কোরবানির ঈদ। বাজার অবস্থা তো আপনারও নিজ চোখে দেখলেন।’
এ বিষয় কুমিল্লা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক এ.এস.এম. জোবায়েদ বলেন, সমগ্র জেলা কামার জনগোষ্ঠীদের আমরা বিভিন্ন সময় একাধিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সম্প্রতি এই জনগোষ্ঠীদের জন্য সরকারে একটি প্রকল্প আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই প্রকল্পটি কাজ শুরু করবো। এছাড়া কিছুদিন আগেও আমরা প্রতিজন কামারদের ছয়মাসের প্রশিক্ষণসহ ১৮ হাজার টাকার দিয়েছি।
চাঁদা না দেয়ায় ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘হত্যা’
চাঁদা না দেয়ায় ফেনীর সুলতানপুরে এক গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালামের বিরুদ্ধে।
নিহত শাহ জালাল (২৭) কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার সাগুলি গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে।
শুক্রবার প্রথম প্রহরে রাত ৩টার দিকে সুলতানপুর এলাকার ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন আহসান মিয়ার বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাগর নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গরু ব্যবসায়ী শাহজালাল ১৫টি গরু কিশোরগঞ্জ থেকে গাড়ি বোঝাই করে এনে বিক্রির জন্য বাড়ির সামনে রাখে। একপর্যায় ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এতে রাজি না হলে গরুগুলো ছিনতাই করতে স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কালামসহ তার তিন সহযোগী অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ী শাহজালালকে জিম্মি করে।
তাৎক্ষনিক ঘটনাটি জানাজানি হলে কাউন্সিলরসহ তার সহযোগীরা ক্ষোভে শাহজালালকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে গুলি করে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এঘটনায় পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা, এএসআই আটক
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় জড়িতে সন্দেহে কালামের সহযোগী সাগর নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মেসে আটকে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল ৬টায় লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বাস।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরবে ইবি শিক্ষার্থীরা
বাসগুলোর মধ্যে তিনটি ঢাকা এবং দু’টি বাস খুলনা বিভাগে যাবে বলে জানিয়েছেন ইবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেনন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। কোনও সমস্যা যেন না হয় সেজন্যে গাড়ির চালক ও তার সহযোগীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও আগামী ১৮ তারিখ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় আরও ছয়টি বাস দিবে প্রশাসন। ওইদিন তিনটি করে বাস রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
এর আগে, গত ৭ জুলাই আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে বিভাগীয় শহরে পৌঁছানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকার ভিত্তিতে পরিকল্পনা করার নির্দেশনা দেন।