পুলিশ
নিহত সাংবাদিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পুলিশের হামলার অভিযোগ
আল জাজিরার নিহত সাংবাদিক শিরিন আবু আকলার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় লাশ বহনকারীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলি দাঙ্গা পুলিশের বিরুদ্ধে। এর ফলে শুক্রবার তারা সংক্ষিপ্তভাবে একটি শোভাযাত্রা করে।
গত ১১ মে অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি অভিযানের প্রতিবেদন করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলা।
বিশ্বব্যাপী মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষার প্রচারকারী অধিকার সংস্থাটি এই নারী সাংবাদিককে হত্যায় জড়িতদের জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছে।
কাতার-ভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আলজাজিরা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের সহকর্মী শিরিন আবু আকলেহকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার জন্য ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নিন্দা ও জবাবদিহি করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে হত্যায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দা
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং হতে পারে ফিলিস্তিনিদের গুলির আঘাতে সংবাদকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি অভিযান কভার করার সময় আল-জাজিরার একজন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেরুজালেম ভিত্তিক আল-কুদস পত্রিকার আরেক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে হত্যায় আর্টিকেল নাইনটিনের নিন্দা
আল জাজিরার সাংবাদিক হত্যায় শোকাহত জাতিসংঘের মহাসচিব, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
সেচের পানি না পেয়েই সাঁওতাল চাষিরা আত্মহত্যা করেছে: পুলিশ
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নিমঘাটু গ্রামের দুই সাঁওতাল কৃষক সেচের পানি না পেয়েই আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুই কৃষকের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলার পৃথক অভিযোগপত্রে পুলিশ এ তথ্য জানায়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জমিতে সেচের পানি না পেয়েই অভিনাথ মারাণ্ডি (৩০) ও রবি মারাণ্ডি (৩২) আত্মহত্যা করেন।
গোদাগাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান জানান, অভিনাথ মারাণ্ডির মৃত্যুর মামলার অভিযোগপত্র গত ২৭ এপ্রিল গোদাগাড়ী আমলি আদালতে দাখিল করা হয়। তদন্তের পর ২৯ এপ্রিল রবি মারাণ্ডির আত্মহত্যার প্রতিবেদন জমা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বরখাস্ত অপারেটর শাখাওয়াত হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘২ সাঁওতাল কৃষকের মৃত্যু কীটনাশক পানেই’
সেচের পানি না দিয়ে আদিবাসী কৃষকদের হয়রানি করতেন শাখাওয়াত। তিনি তার কাছের লোকজনকে পানি সরবরাহ করতেন বলেও জানান এসআই।
এদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক আব্দুর রফিক জানান, আদালত দুটি অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শাখাওয়াত দীর্ঘদিন ধরে নিমঘাটু গ্রামের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দুই কৃষক রবি ও তার চাচাতো ভাই অভিনাথকে সিরিয়াল নম্বর না দেয়ায়, তাদের ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। গত ২৪ মার্চ অভিযুক্ত শাখাওয়াতের সামনেই ভুক্তভোগী দুই কৃষক বিষপান করে।
নিহতদের পরিবারের ভাষ্যমতে, ‘তারা ক্ষোভ থেকে এই (আত্মহত্যার) সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জানা যায়, ওইদিন বাড়ি পৌঁছানোর পর রাত ৯টার দিকে অভিনাথ মারা যান এবং দুদিন পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান রবি।
রামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি বিষপানে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
পরে দুই কৃষকের মৃত্যুর তদন্তে চার সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করে কৃষি মন্ত্রণালয়।
৩ এপ্রিল দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ শাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে, যিনি ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতিও।
আরও পড়ুন: জমিতে পানি না পেয়ে বিষপানে সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা!
রাজশাহীতে সাঁওতাল নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
দিনাজপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ ও বিরল উপজেলার শংকরপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো- নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ের আফতাবগঞ্জের সিরাজুল ইসলামের ছেলে স্বাধীন ইসলাম (১৩) এবং বিরল উপজেলার পৌর শহরের শংকরপুরের আব্দুস সালামের মেয়ে শিমলা আক্তার (৯)।
উভয়ের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জের আফতাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম জানান, একসঙ্গে চার শিশু শিব মন্দির পুকুরে গোসল করার সময় স্বাধীন ইসলাম পানিতে তলিয়ে যায়। পরে রংপুর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে বিরল উপজেলার পৌর শহরের শংকরপুর মহল্লায় ডোবার পানিতে তলিয়ে শিমলা আক্তার মারা গেছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
ফুলবাড়ীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে ৬৮ হাজার ৮০০ প্যাকেট ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলি ও আন্দরকিল্লাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৮ হাজার ৮০০ প্যাকেট ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার করেছে পুলিশ।কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহায়তায় বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৭২ কার্টন এসব ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার করা হয়।অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুজন কান্তি সিকদার (৪২) নামে একজনকে। তিনি সীতাকুণ্ড থানার মধ্যম সোনাইছড়ি এলাকার মৃত নির্মল সিকদারের ছেলে। সীতাকুণ্ড বার আউলিয়া মাজারের সামনে ইসলাম মার্কেটে ‘সিকদার মেডিকেল হল’ নামে তার একটি ফার্মেসি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে ৪টি শুটার গান উদ্ধারগ্রেপ্তার সুজনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, হাজারী গলিতে এসএমসি কোম্পানির প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতারা ৭০ কার্টন ভেজাল ওরস্যালাইনসহ সুজনকে আটক করেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে সমিতির অফিসে গিয়ে তাকে ভেজাল ওরস্যালাইনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তার তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর আন্দরকিল্লা বিনিময় মার্কেটের নিচ তলায় জননী কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে অভিযান চালিয়ে আরও ১০২ কার্টন ওরস্যালাইন উদ্ধার করা হয়। সর্বমোট ১৭২ কার্টনের মধ্যে ৬৮ হাজার ৮০০ পিস ভেজাল ওরস্যালাইন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ঈদে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ৩ শিশু চট্টগ্রামে উদ্ধার
রাঙ্গুনিয়ায় বিলের কাদায় আটকে পড়া হাতি ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জামাই-শ্বশুরের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ধান মাড়াই মেশিন কাঁধে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্বশুর ও জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-শ্বশুর সায়েদ আলী ও জামাই সাজু মিয়া। দুজনের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্তবস্ত ইউনিয়নে।
ঘটনাস্থল থেকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার জানান, দরবস্ত ইউনিয়নের বিশুবাড়ি গ্রামে শ্বশুর সায়েদ আলী তার জমির ধান মাড়াই করতে পাশের গ্রামের জামাই সাজু মিয়াকে ডেকে আনে। দুপুর পর্যন্ত মাড়াই মেশিনে ধান মাড়াই করে মেশিনটি দুজন মিলে ঘাড়ে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় বারান্দার টিনের সঙ্গে স্পর্শ লাগে। আগে থেকেই বারান্দার টিন বিদ্যুতায়িত হওয়ায় ঘটনাস্থলে মেশিনসহ শ্বশুর ও জামাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
লাইনে সংস্কারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লাইনম্যানের মৃত্যু
৯ বছর পর কবর থেকে উঠে আসা ওই নারী পুলিশ হেফাজতে
আজগুবি এক কান্ড ঘটেছে গাইবান্ধায় । এই খবর এখন টপ অব দ্যা টাউন। ৯ বছর পর মৃত ব্যক্তি কবর থেকে উঠে এসেছে-এই খবরে গাইবান্ধায় শহর তোলপাড় অবস্থা। রহস্যজনক ওই নারীকে দেখতে শ শ মানুষ একটি বাড়িতে ভিড় জমায়। লোকজন ঠেকাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বুধবার দুপুরে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে গাইবান্ধায় সদর থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
গাইবান্ধা শহরের ডেভিট কোং পাড়ার বাসিন্দা আনিসুর রহমানের স্ত্রী ৯২ বছর বয়সী বাছিরন বেওয়া ৯ বছর আগে বয়স্ক জনিত কারণে মারা যান। দুদিন ধরে তার মতো দেখতে এক নারীকে গাইবান্ধা রেল স্টেশন চত্বরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ঈদের জামা দেয়ার কথা বলে ২ মেয়েকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে
তাকে দেখতে পেয়ে নিজের মৃত মা কবর থেকে উঠে এসেছে বলে মেয়ে মাজেদা বেগম স্টেশনের পাশেই তার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে তিনি নিজেকে মাজেদা বেগমের মা বলে দাবি করে খিচুরী রান্না করতে বলেন। মায়ের এই কথা শুনে হতবাক মেয়ে মাজেদা আশেপাশের সবাইকে ঘটনাটি খুলে বলেন। তিনি বলেন, আমার মা বাছিরন বেওয়া ৯ বছর পর কবর থেকে উঠেছে। একই কথা বলেন, তার মা সাদৃশ্য মহিলা। কবর থেকে উঠে আসা মাকে পেয়ে মেয়ে মাজেদা খুশিতে গদগদ। তিনি মায়ের আবদার পালন করতে খিচুরী রান্না করে খাওয়ান। মা ফিরে এসেছে এই বিশ্বাসে তার স্বজনরা আসেন মাকে এক নজর দেখতে। কেউ কেউ মা বা বাছিরন দাদী মনে করলেও অনেকেই আবার বলেন ইনি তার মা নয়। কারণ মৃত্যুর পর তাকে স্টেশন জামে মসজিদে জানাজার পর পৌর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তারপর কবর থেকে উঠে আসার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারেনি ।
এলাকার বাসিন্দা রাজনীতিক শফিকুল ইসলাম রুবেল বলেন, মৃত ব্যক্তি কখনোই কবর থেকে উঠে আসতে পারেনা। এর পেছনে অন্যকোন রহস্য থাকতে পারে।
অন্যদিকে কবর থেকে উঠে এসেছে এই খবর চাউড় হয়ে যায় গাইবান্ধা শহরের সর্বত্র। মৃত ব্যক্তি কবর থেকে উঠে এসেছে -শুনে শ শ নারী পুরুষ ভিড় জমায় ওই বাড়িতে। লোকজনকে ঠেকানো যাচ্ছিল না। পরে বেগতিক দেখে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা থানায় নিয়ে যান। তবে এলাকার লোকজন বলেন, মৃত নারীর মতো দেখতে বলে তার মেয়ে তাকে নিয়ে বাড়িতে যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই মহিলা তার মা নয় বলে জানায়। গাইবান্ধা পৌর কবরস্থানের গোড়খোদক টুলু মিয়া বলেন, ঘটনা সত্য নয়। ধর্মীয় বিধানে এমন কিছু নেই যে, কবর থেকে মানুষ উঠে আসতে পারে। এটা ভৌতিক বিষয়। এরমধ্যে বাস্তবতা নেই।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপারেশন জাহাঙ্গীর আলম জানান, দর্শনার্থী লোকজনের ভিড় ঠেকানো যাচ্ছিলো না । শ’ শ’ লোকের ভিড়ে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । সেজন্য ওই নারীকে আমরা পুলিশের হেফাজতে নিয়েছি। তার কোন অভিভাবক খুঁজে পাওয়া গেলে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার বাদী ও রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী সাক্ষ্য প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমেদ চৌধুরী জানান, আজকে বাদীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা প্রস্তুতি নেই মর্মে সময় চেয়েছেন। আদালত তাদেরকে একদিন সময় দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা জেরা করবেন। জেরা শেষ হওয়ার পর আরও দুজন সাক্ষী স্ট্যান্ডবাই আছেন, তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু
তারা হলেন, রায়হানের মা সালমা বেগম ও তার চাচা।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রায়হান হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পিটিশন দিয়েছেন। তারা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে আদালতে আবেদন জানান।
এ প্রসঙ্গে পিপি নওশাদ চৌধুরী বলেন, ‘আসামিপক্ষ যে হাইকোর্টে গিয়েছেন, সেটার ওপর দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। আমি বলেছি, এই মুহূর্তে এটা স্থগিত রাখার কোনো আইন নাই। হাইকোর্ট থেকে তারা যদি স্টে অর্ডার আনতেন, তাহলে আমরা সবাই মানতে বাধ্য। এটাতে তো আমরা অহেতুল বিলম্ব করতে পারি না। যদি হাইকোর্ট কোনো আদেশ দেন, উনারা (আসামিপক্ষ) কিছু যদি নিয়ে আসেন, তাহলে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ রাখা হবে। মূলত এরপর আজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।’
তিনি জানান, এই মামলায় ৬৯ জন সাক্ষী রয়েছেন।
এদিকে, রায়হান হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ‘স্টেট ডিফেন্স’ করবে বলে জানিয়েছেন পিপি নওশাদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বুধবার দুপুরে রায়হান হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
আহত ব্যক্তিকে আটক: জামলাপুরে ৪ এসআই বরখাস্ত, ২ কনস্টেবল প্রতাহ্যার
জামলাপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত এক ভিক্ষুক পরিবারকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে জেল হাজতে প্রেরণের ঘটনায় পুলিশের চারজন উপপরিদর্শক (এসআই) বরখাস্ত ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে বুধবার সকালে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন-সরিষাবাড়ী থানার এসআই আলতাব হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী, মুনতাজ আলী। এছাড়া দুই পুলিশ কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও সাথী আক্তারকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসী বাজার এলাকার ভিক্ষুক আব্দুল জলিলের জমি জবর দখলে নিতে সোমবার দুপুরে একই গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী’র ছেলে মজিবর রহমান ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বসতবাড়ীতে হামলা ও ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলায় গুরুতর আহত ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬০), তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৫০), আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), ওয়াজকরনী (২৫), জসিম (৩২), ছালমা (৩৮), শুভ (১৯), শাহীদা (৫৫) পুলিশি হেফাজতে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এদিকে হামলার পর মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন চার জনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর মঙ্গলবার পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এজাহারভুক্ত আহত ওই চার আসামিদের আটক করেন। এসময় চিকিৎসাধীন ওই চার আসামি পুলিশের সাথে যেতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের শয্যা থেকে তাদেরকে টেনে হেঁচড়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে কিছু সময় তাদের থানাহাজতে রেখে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আব্দুল জলিলের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে আব্দুল জলিল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ উল্টো আব্দুল জলিলকে থানায় আটকে রাখে। পরে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি কর। রাতে উল্টো ওই ভিক্ষুক পরিবারের উপর মামলা দেয়া হয়।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, আহতদের চিকিৎসা চলাকালীনই পুলিশ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে। চিকিৎসাধীন আসামিদের যেভাবে আটক করা হয়েছে তা অমানবিক।
পড়ুন: ছেলের জন্মদিনে বন্ধুদের জন্য ফেনসিডিল এনে আটক বাবা
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার রাতে আব্দুল জলিলসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ায় পরই তাদেরকে আটক করা হয়।
জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত ও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাকির হোসেন সুমনকে দায়িত্ব দিয়ে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
পড়ুন: সিলেটে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২
আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলমগর ও যাত্রাপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতদের একজন সিলেটের জগন্নাথপুরের কাইয়ুম (৫৫)। নিহত অপর যুবকের (২৫) নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন খান নোমান জানান, সকালে যাত্রাপুর এলাকায় রেললাইন পার হতে গিয়ে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতি ট্রেনে কাটা পড়ে ২৫ বছরের এক অজ্ঞাত যুবক নিহত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলমনগর এলাকায় একইভাবে ট্রেনে কাটা পড়ে কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
রেললাইনে গেম খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
বরিশালে গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
বরিশালে পৃথক অভিযানে ৯ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। এসময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকার রসুলপুর বস্তির মৃত বাদল হাওলাদারের স্ত্রী মালেকা (৫০), বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিম খানের স্ত্রী জাহানারা বেগম ওরফে জানু(৪০), কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার রাজমঙ্গলপুর এলাকার বাদশা মিয়া খন্দকারের ছেলে নুর ইসলাম খন্দকার (২৬), একই জেলার একই থানার বাজগড্ডা ঝাকুনীপাড়া এলাকার আবুল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২৬) ও একই এলাকার গাজীপুর গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে জসিম (৩৫)।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটকমহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হরিদাস নাগ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে নগরীর রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই নারীকে এক কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।অপরদিকে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একই টিম বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাট এলাকায় বিকাল ৫টার দিকে ৮ কেজি গাঁজা জব্দসহ নুর, রাসেল ও জসিমকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদেশি মদ ও ইয়াবা জব্দ, আটক ৩