পুলিশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের গুলবাগ নতুনপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীমা খাতুন সাথী (২৩) দিনাজপুর জেলার পারবর্তীপুর উপজেলার পুরাতন বাজার রেল কলোনির মৃত শহিদুল হকের মেয়ে। আটক স্বামী শাহিন আলী (২৩) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চরপাকা শ্যামপুর এলাকার বাবুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে কক্সবাজারে নিরাপত্তা জোরদার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, জেলা শহরের গুলবাগ নতুনপাড়া এলাকায় সাইফুল ইসলাম মাসুদের ভাড়াটিয়া শাহিন আলী তার স্ত্রী শামীমা খাতুন সাথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। রবিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিনকে আটক করে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে রবিবার শাহিন তার স্ত্রী শামীমাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
সাভারে ড্রেনে মিললো নবজাতকের লাশ
সাভারে একটি নির্মাণাধীন ড্রেনের ভেতর থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে সাভারের মর্ডান প্লাজা সংলগ্ন কবরস্থান রোডের একটি ড্রেন থেকে ওই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা ড্রেনের ভেতর একটি নবজাতক দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ড্রেন থেকে ওই নবজাতককের লাশ উদ্ধার করে। নবজাতকটি কন্যাশিশু ও একদিন বয়সের বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা নবজাতককে ড্রেনে ফেলে গেছে।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহারিয়ার বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নালিতাবাড়ীতে কার্টনে মোড়ানো ২ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইনছান আলী রিমন (১৩) নামের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর গলা ও পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার উপজেলার উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
নিহত ইনছান আলী রিমন একই উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের পান বিড়ির দোকানদার লিটন মণ্ডলের ছেলে এবং রানীগঞ্জ আলহেরা স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে একটি হোটেলে কাজ করত।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, খবর পেয়ে সকালে লাশে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন তারা। শিশু শিক্ষার্থী ইনছান আলী রিমনকে জবাই করে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে হত্যার কারন জানতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারীর গলা কাটা বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি ক্রাইম সিনের সদস্যরা। সিআইডির আলামত সংগ্রহ শেষে বিকালে লাশ দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আরও জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে কলে সাড়া দিয়ে দুইটি টাচ মোবাইল ফোনসহ বাড়ি থেকে পার্শ্ববতী রানীগঞ্জ হাটে গিয়ে আর ফেরেনি ইনছার আলী রিমন। সকালে গুটিয়ে রাখা একটি টি স্টলের টেবিল বেঞ্চের পাশে তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে যুবকের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নারীসহ ২ লাশ উদ্ধার
নালিতাবাড়ীতে কার্টনে মোড়ানো ২ নবজাতকের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে কার্টনে মোড়ানো অবস্থায় দুই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার গাগলাজানি খরাঘাট ব্রিজের নিচ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গাগলাজানি গ্রামের জেলে মুকুল হোসেন খরাঘাট ব্রিজের নিচে মাছধরার একপর্যায়ে পানির নিচে কার্টন সদৃশ্য বস্তু হাতে লাগলে সেটি ডাঙায় তুলে আনে। কার্টন খোলার পর দুই নবজাতকের লাশ দেখে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, কে বা কারা ওই নবজাতক দুটির লাশ ফেলে গেছে, তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার গভীর রাতে কেউ সেখানে ফেলে রেখে যেতে পারে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি এলাকায় ডাস্টবিন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে মস্তকবিহীন নবজাতকের লাশ উদ্ধার
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী ও কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী, কলেজ ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- পাবনা জোজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান ফিরোজ (৪৮), পাবনা কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান রনি (২০) ও মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি হাইসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ফিরোজ মারা যান। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পাবনা কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ইসলামগাঁতি গ্রামের জামাল সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
এদিকে একই দিনে পাবনা শহরে বেপরোয়াভাবে মটরসাইকেল চালানোর সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় মেহেদী হাসান রনি (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়। শহরের হাসপাতাল রোডস্থ জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজের ছাত্র। এ বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
অপর এক ঘটনায় একই দিনে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বয়রা কাশিনাথপুর নামক এলাকায় ঢালারচর থেকে রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের চাপায় মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের লোকমান মোল্লার ছেলে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ পৃথক পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
পুলিশকে বিশ্বমানের করে তৈরি করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে বিশ্বমানের পুলিশ হিসেবে তৈরি করতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করছি।
তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে উঠছে। তারা সব সময়ই জনগণের পাশে থাকে। করোনাকালে পুলিশ যেভাবে জনগণকে সেবা দিয়েছে তা সত্যিই অভূতপূর্ব।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ এর ৫ম দিনের সমাপনী অধিবেশনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে দেশে সন্ত্রাসবাদের যেভাবে উত্থান হয়েছে সেখানেও পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন পালন করেছে। ২০১৩ সালে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী আন্দোলনের নামে দেশে যে হত্যা সন্ত্রাস করেছিল তা আপনারা দেখেছেন।
আরও পড়ুন: সব দায় র্যাবের ঘাড়ে চাপানো অবিচার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশ 'রোল মডেল' হিসেবে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), এন্টি টেররিজম ইউনিটসহ (এটিইউ) বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট করা হয়েছে। পুলিশের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। পুলিশ স্টাফ কলেজকে বিশ্বমানের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে যেভাবে কাজ করছেন ভবিষ্যতেও সেভাবেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের বেশকিছু যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেছেন। কিছু অসংগতির কথা তুলে ধরেছেন। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যেসব দাবি দাওয়া পূরণ করতে পারবো সেগুলো অচিরেই পূরণ করা হবে। যেসব দাবি দাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে আমরা উনার সঙ্গে কথা বলবো।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।
এছাড়া সভায় বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় জনগণের কল্যাণে সব করেছে পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশে মাদক সমস্যা বিরাজমান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অধ্যাপক সেলিমের বাবা শুকুর আলী মোল্লা বুধবার খান জাহান আলী থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস।
তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপক সেলিমের বাবা।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
তিনি বলেন, মৃত্যুর ঘটনায় ৪৪ শিক্ষার্থীর নামে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগে দায়ের করেছি। তবে তা এজাহার হিসেবে এন্ট্রি না করে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
শুকুর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, মামলা নেইনি বা নেব না এমন কোন কথা হয়নি। তাদের লিখিত অভিযোগটি রেখে দিয়েছি, সেটি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার অভিযোগ দিয়েছেন প্রয়াত শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা মো. শুকুর আলী মোল্লা। এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পুলিশ কোন রকম প্রভাবিত হয়নি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর অধ্যাপক সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছে ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী গ্রামে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন হয়। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ১৪ ডিসেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ১৬ ডিসেম্বর আবারও তার লাশ দাফন করা হয়। এখনও পর্যন্ত সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
শার্শায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
যশোরের শার্শায় ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। শুক্রবার সকালে উপজেলার নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জামতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিপন হোসেন (৩০) ঝিকরগাছা উপজেলার শরণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া আহত হয়েছেন হাবিবুর রহমান আশা (৩৫) ও নাজমুল ইসলাম (৩০)।
নাভারন হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরামুখী একটি প্রাইভেট কার ট্রাককে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে গুরুতর আহত হন তিনজন। স্থানীয়রারা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান রিপন হোসেন। বাকী দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
ঢাকা বিমানবন্দরে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানের নিরাপত্তা কর্মীসহ আটক ২
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের এক নিরাপত্তা কর্মীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার ৩০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বিমানের নিরাপত্তা কর্মী ইব্রাহিম খলিল এবং সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় আসা যাত্রী কামাল উদ্দিন।
সন্দেহজনক চলাফেরার কারণে ইব্রাহিম খলিলকে প্রথমে আটক করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং তিনি সাড়ে তিন কেজি ওজনের স্বর্ণ বার তার জ্যাকেটের ভেতর থেকে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে পৌনে ২ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) জিয়াউল হক বলেন, কামাল উদ্দিন স্বর্ণের বার বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন এবং ইব্রাহিম খলিলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীর ইব্রাহিম বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণের বারগুলো বের করে দিলে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা এবং ফেনীর কামাল উদ্দিন এ গুলো এখানে নিয়ে আসেন।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৮ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
‘কে-নাইন’: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
‘মৃত’ ব্যক্তিকে ৩ বছর পর জীবিত উদ্ধার!
লালমনিরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিন বছর ধরে মৃত জেনে আসা অটোচালক শাহাজাহান আলী নাহিদকে (৪০) তিন বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের মিশনমোড় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে নিখোঁজ হন শাজাহান আলী ওরফে নাহিদ। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ঈশ্বরকুল গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির বাইরে গিয়ে শাজাহান আলী নাহিদ নিখোঁজ হন। তাঁকে স্ত্রী ও স্বজনরা খুঁজে পায়নি। পরে ওই বছরের ৮ এপ্রিল স্ত্রী মতিয়া বেগম লালমনিরহাট সদর থানায় স্বামী নিখোঁজের সাধারন ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাওয়ায় লালমনিরহাটে নারীকে পিটিয়ে হত্যা
এর কয়েক দিন পর গ্রামের বাড়ির পাশে শাজাহানের রক্তমাখা লুঙ্গী ও জামা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া কাপড় স্বামী শাজাহানের বলে শনাক্ত করে তার স্ত্রী। এর সূত্র ধরে শাজাহানকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে বলে হত্যা মামলা করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জানান, তিন বছর আগে নিখোঁজ হওয়া শাজাহান আলী নাহিদকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬৬ লাখ টাকা উদ্ধার