পানি
টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে
টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরী জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক, বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে।
পানি ঢুকে পড়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেও। বেড়েছে সুরমা নদীসহ জেলার সবকটি নদী ও খাল-বিলের পানি।
তিন দিন ধরে সিলেটে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। শুক্রবার রাত থেকেই পানি ঢুকতে শুরু করে নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালের মধ্যে তলিয়ে যায় নগরীর বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাট। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও বৃষ্টি চলছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরান, কুয়ারপার, উপশহর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড়, খারপাড়া ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুর, সিলেট রেলওয়ে স্টেশনসহ সিলেট নগরের বেশিরভাগ এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানি জমেছে।
এ ছাড়া, জেলার সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকার ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
নগরীর পাঠানটুলা এলাকায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক এবং স্টেশন রোড লাউয়াই সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি জমেছে বলে জানা গেছে। ফলে এইসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লার হোমনায় বাড়ির পাশে গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে ১৫ মাস বয়সী মানহা আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
১৫ মাস বয়সী মানহা আক্তার ওই গ্রামের হাফেজ ওয়ায়েজকুরুনীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমে পুকুরে ‘ডুবে’ শিশুর মৃত্যু
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিশু মানহা শুক্রবার দুপুরে ঘরের ভেতরে খেলছিল। হঠাৎ শিশুটি হামাগুড়ি দিতে দিতে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এরই মাঝে মানহা কোনো এক সময় সবার অলক্ষ্যে বাড়ির পাশের জমে থাকা পানির গর্তে পড়ে যায়।
এক সময় পরিবারের সদস্যদের শিশুটির কথা মনে পড়লে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে জমে থাকা পানির গর্তে শিশু মানহাকে ভাসমান অবস্থায় খুঁজে পায় স্বজনরা।
সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শহীদুল্লাহ বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ধামরাইয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গর্তের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
তিস্তার পানিতে ফসলের ক্ষতি
ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ভারতের উত্তর সিকিমের তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে চরের ফসলসহ দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বছরজুড়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সংকট।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হলেও, কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার উপরে রেকর্ড করা হয়।
বিস্তৃর্ণ তিস্তা চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসল এবং নদী তীরে বসবাসকারী মানুষের জানমালের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাটের গোবর্দ্ধন এলাকার বাসিন্দা কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, চরে তিন দোন জমিতে রোপা আমন করেছিলাম। ধান উঠার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।
আরেক কৃষক তোতা মিয়া বলেন, চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হয় জন্য নিয়ে আসিনি বাড়িতে। পানি আসার খবরে কোনোরকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়তেছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ
খুলনায় ৫ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা অঞ্চলের নদ-নদীতে জোয়ারের চাপ বেড়েছে। এর ফলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), খুলনার তথ্যানুযায়ী, জেলার ৫টি নদীর ৮টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ, কচ্ছপ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর তেমন কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
পাউবো জানায় যে বেতনা খোলপেটুয়া, রূপসা, পশুর, শিবসা, ইছামতি নদীর আটটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে কপোতাক্ষ, শিবসা ও পশুরসহ বিভিন্ন নদীর তীরে ভাঙন, তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নিমজ্জিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিনে ভারি বৃষ্টিতে ও এলাকায় বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারে পানিবৃদ্ধির কারণে ভদ্রা নদীর তীরে তিলডাংগা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্নে ওয়াবদা রাস্তায় ভাঙন দেখা যায়। এলাকার মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় ওয়াবদা রাস্তা ভেঙে ভিতরে পানি প্রবেশ করতে পারে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমি খবর পেয়েছি। অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকার কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীসহ ডিজি মহোদয়কে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়েছে। আশাকরি উনারা তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চক্রবর্তী, মিঠুন চক্রবর্তী, উৎপল রায়, সাধন রায়, ঠাকুর দাস হালদার জানান, চুনকুড়ি নদীতে পানিবৃদ্ধির কারণে ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে। ছাগল ও গবাদি পশু নিয়ে তারা বিপদে পড়েছে। এছাড়া ঘরে পানি ওঠায় রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাষ দাস ও নারায়ণ দাস বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাস আসলে খুবই কষ্টে থাকতে হয়। মাঝে মাঝেই পানি উঠে যায়। নদীর তীরে উঠা নামার এ রাস্তাটা যদি একটু উঁচু করে বাঁধ দেওয়া থাকতো, তাহলে আমরা কিছুটা শান্তিতে পার হতে পারতাম।
আরও পড়ুন: দক্ষিণাঞ্চলের ৮টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
অন্যদিকে জানা যায়, সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্পট ও বনের অভ্যন্তরে ২/৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিন যাবত বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় কয়েক ফুট অধিক উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন ও বনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার দুপুরের জোয়ারে করমজল পর্যটন কেন্দ্র ৩ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির, হরিণ, কচ্ছপ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
এদিকে, সুন্দরবনের কটকা ও কচিকালী এলাকা বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন হওয়ায় সেখানেও ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়েছে। পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরও।
অপরদিকে, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন উপকূলের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও চিংড়ি ঘের।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, লঘুচাপ ও চলতি পূর্ণিমার গোনের প্রভাবে করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় ২/৩ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পানিতে ভিজে ছুটির দিনে আগত দর্শনার্থীরা বাড়তি আনন্দ উপভোগ করেন। তবে এ জলোচ্ছ্বাসে বনের এ কেন্দ্রের কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, বনের অভ্যন্তরে পানি আরও বেশি হলেও তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হবেনা বন্যপ্রাণীর। কারণ ঝড়-জ্বলোচ্ছাসে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়ের জন্য বনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু টিলা তৈরি করে রাখা হয়েছে। পানি বাড়ায় বন্যপ্রাণী সেসব টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে।
পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মধুসূদন মল্লিক বলেন, খুলনার নদ-নদীতে পানির চাপ বেশি রয়েছে। জেলার চারটি পয়েন্টে নিয়মিত পানির চাপ মাপা হয়। গত তিন দিন প্রতিটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউব, খুলনা ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে গত তিন দিন ধরে নদ-নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার কিছু নদীতে পানির চাপ সামান্য কমেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
ব্রাজিলের আমাজনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু
পানির তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টে গত সপ্তাহে ১০০ টিরও বেশি ডলফিন মারা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, পানির তাপমাত্রা এই পর্যায়ে থাকলে শিগগিরই আরও অনেক ডলফিন মারা যেতে পারে।
ব্রাজিলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা দল মামিরুয়া ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তেফে হ্রদের আশেপাশের অঞ্চলে সোমবার আরও দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের স্পিনার ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
ইনস্টিটিউটের দেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শকুনেরা সৈকতে ডলফিনের মৃতদেহ তুলে নিচ্ছে। হাজার হাজার মাছও মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হ্রদগুলোর পানির উচ্চ তাপমাত্রা এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি প্রাণির মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ।
গত সপ্তাহ থেকে টেফে লেক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে।
ব্রাজিল সরকারের চিকো মেন্ডেস ইনস্টিটিউট ফর বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা পশুচিকিত্সক ও জলজ স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে।
মামিরাউয়া ইন্সটিটিউটের গবেষক মরিয়ম মারমন্টেল বলেন, টেফে লেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ডলফিন ছিল।
মারমন্টেল বলেন, ইতোমধ্যে এক সপ্তাহে আমরা ১২০টি প্রাণী হারিয়েছি, যা মোট সংখ্যার ৫-১০ শতাংশ।
খরার কারণে শুক্রবার আমাজোনাসের গভর্নর উইলসন লিমা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
নিকসন মারেইরা ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর টেফের মেয়র।
তিনি বলেন, নদীশুষ্ক হওয়ায় তার সরকার কিছু বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে সরাসরি খাদ্য সরবরাহ করতে পারছে না।
মামিরুয়া ইনস্টিটিউটের জিওস্প্যাটিয়াল কোঅর্ডিনেটর আয়ান ফ্লিশম্যান বলেন, আমাজন অঞ্চলের নদীতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর ওপর খরার বড় প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, ভালো মানের পানি পাচ্ছে না, নদীতে নৌকা চালাতে পারছে না। অথচ তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নদী।
ফ্লিশম্যান বলেন, পানির তাপমাত্রা শুক্রবার ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৯ ফারেনহাইট) থেকে বেড়ে রবিবার প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ফারেনহাইট) হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা এখনও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছেন। তবে পানির উচ্চ তাপমাত্রা প্রধান কারণ বলেই তাদের সন্দেহ।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
বরগুনায় সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
নাটোরে বোনকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দিল ভাই, পরে লাশ উদ্ধার
বাড়ির পাশের খালে গোসলে নেমে পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল পাঁচ বছরের শিশু ফাতেমা খাতুন। তাকে উদ্ধারে ৯ বছর বয়সী চাচাতো ভাই আবদুস সবুর পানিতে ঝাঁপ দেয়। এরপর দুই শিশুই পানিতে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
পাঁচ ঘণ্টা পর আবদুস সবুরের লাশ উদ্ধার করা গেলেও ফাতেমা এখনো নিখোঁজ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের উলুপুর গ্রামে।
নিখোঁজ শিশু ফাতেমা খাতুন একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে ও আবদুস সবুর তার চাচা সাহাদ আলীর ছেলে।
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার সার্ভিস রাজশাহীর ডুবুরি দলকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করে। বিকালে ডুবুরি দল আবদুস সবুরের লাশ উদ্ধার করে। এক শিশুর লাশ পাওয়া গেলেও আরেক শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসাথে নদী তীরবর্তী আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই পানি তবু পিপাসার্ত কুড়িগ্রামের বন্যাকবলিতরা
এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র নদীভাঙ্গনেও অনেক স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে যমুনার পানি কমতে থাকলেও তৃতীয় দফায় কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও ৪ থেকে ৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বিশেষ করে চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় এখনো ৭০০০ পরিবার পানিবন্দি
খাগড়াছড়িতে পানিতে ডুবে ২ ভাই-বোনের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ক্যামেরুন পাড়ার ঝিরিতে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত অপু বিশ্বা ত্রিপুরা (৭) ও চনে রঞ্জন ত্রিপুরা (৫) গুইমারার ক্যামেরুন পাড়ার নজ মহন ত্রিপুরার সন্তান।
পুলিশ জানায়, রবিবার গুইমারার ক্যামেরুন নামক স্থানে দুই শিশু ঝিরির পানিতে খেলতে গিয়ে গভীর পানিতে পড়ে যায়। শেষ বিকালে তাদের বাবা-মা জুমের কাজ সেরে ঘরে সন্তানদের না দেখে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ঝিরির পানিতে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কর বলেন, মৃত দুই শিশুর সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
নাটোরে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাড়ছে অন্যন্য নদ-নদীর পানিও। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুঃশ্চিতায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার আমন চাষীরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৪৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টের ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দলদলিয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদীর অববাহিকার চাপড়ার পাড় এলাকার কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, রবিবার থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার আমন খেতে পানি চলে আসছে। সোমবার ধান খেত তলিয়ে গেছে। জমিতে পানি উঠায় খুব চিন্তায় পড়ে গেছি। এর আগে দুইবার খেত নষ্ট হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, এরকম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে শীতকালীন মরিচ ও চালকুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজির ক্ষতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ক্ষতি হতে পারে রোপা আমনেরও। আবহাওয়া এরকম থাকলে বিভিন্ন সবজিতে ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
সিরাজগঞ্জে ফের যমুনার পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে নদী তীরবর্তী আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত মাসের শেষ দিকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে বিশেষ করে যমুনার তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব উপজেলার অনেক স্থানে তীব্র নদীভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে যমুনার পানি কমতে থাকে এবং অনেক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পাউবো কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনার পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কাজিপুর পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও ৪/৫ দিন যমুনার পানি বাড়তে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ফের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, দীঘিনালা-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং