ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
মশা নিধনে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা পরিষ্কার করছি: মেয়র আতিক
মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো আমরা পরিষ্কার করছি বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কিউলেক্স মশা নিধনে আমরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। উত্তরার রাজউক খালে প্রচুর কচুরিপানা। যার ফলে উত্তরা এলাকায় কিউলেক্স মশা ব্যাপক বেড়ে গেছে।
বুধবার (২০ মার্চ ) সকালে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালে ডিএনসিসির মশক নিধন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, উত্তরার রাজউক খালটির মালিকানা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। আজকে এসে জানতে পারলাম এটিতে ওয়াসারও মালিকানা আছে। আমি অনেকবার বলেছি খালটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখনও খালটি হস্তান্তর করা হয়নি। এই এলাকায় নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও, খালের কচুরিপানা থেকে প্রচুর মশা জন্মায়। স্থায়ী সমাধানের জন্য খাল পরিষ্কারের কোনো বিকল্প নাই। তাই মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা পরিষ্কার করছি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে সাধারণত কিউলেক্স ও এডিস এই দুই ধরণের মশা রয়েছে।
কিউলেক্স মশা আমাদের অনেক বিরক্ত করে, কামড় দেয়। কিউলেক্স মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না। কিন্তু এডিস মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি আছে। এডিস মশা মানুষের বাসা-বাড়ি, অফিস আদালতের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্মে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য যার যার ঘর, বাড়ি, অফিস, আদালত তাদেরই কিন্তু দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ আমাদের পক্ষে দেখা অসম্ভব কারো বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কিনা। কারও ছাদে, বারান্দায় নারিকেলের খোসা, রঙের কৌটা, অব্যবহৃত টায়ার পড়ে আছে কি না। ভবনের বেজমেন্টে গাড়ির গ্যারেজে পানি জমে আছে কি না সেটি দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এগুলো নিজেদের দায়িত্ব।
মেয়র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ শুধু একা সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। আর কিউলেক্স মশার জন্য খালগুলো পরিষ্কার করছি। গুলশান লেকে, বারিধারা লেকেও প্রচুর মশা। আমরা সেগুলো পরিষ্কার করছি। অন্যান্য সংস্থাগুলো যার যার জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। খালগুলোতে সরাসরি পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ দেওয়ার ফলে অনেক মশার জন্ম হয়। উত্তরা এলাকায় ওয়াসা একটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করবে। এটি নির্মাণে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। কিন্তু এই অন্তর্বতীকালীন খালগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
এসময় তিনি বলেন, উত্তরার রাজউক খালটি আমাদের হস্তান্তর করলে পরিষ্কার করে এখানে একটি নান্দনিক জায়গা করে দেবো। এখানে ওয়াটার বোট চলবে। মাছের চাষও সম্ভব হবে। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই পয়ঃবর্জ্যের ব্ল্যাক ওয়াটার (দূষিত পানি) খালে আসা বন্ধ করতে হবে। ওয়াসা ও রাজউককে এগিয়ে আসতে হবে। সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করব। গতবার মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু আপনারা জানেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি। তাই এবার আমরা সিটি করপোরেশন থেকে সরাসরি বিটিআই আমদানি করছি। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বিটিআই নিয়ে আসব। ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিনও (হুইলবারো মেশিন) আনার প্রক্রিয়া চলছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা বর্ষার আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি।
আরও পড়ুন: জনগণকে নিয়ে গুলশান-বারিধারা লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি: মেয়র আতিক
মহাসড়কে ইফতার বিতরণ করছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র
জনগণকে নিয়ে গুলশান-বারিধারা লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান লেক ও বারিধারা লেক মূলত রাজউকের অধীনে আছে, তাই এই লেক দুইটি হস্তান্তর করুক আর না করুক সেটি নিয়ে চিন্তা না করে জনগণকে নিয়ে লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।
মেয়র বলেন, রাজউকের কাছে আমি চিঠি দিয়েছি এগুলোকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে দিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এই লেক এখনো রাজউকের অধীনে রয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনকে দেয়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও গুলশান সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে গুলশান লেক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গুলশান লেকের পাশেই গুলশান জামে মসজিদ। এই মসজিদের মুসল্লিরা আমাকে বার বার জানিয়েছেন লেকের দূষিত পানির দুর্গন্ধ মসজিদে আসে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। গুলশান সোসাইটি, বারিধারা সোসাইটির নেতারা আমার কাছে গিয়েছেন। তারা নিজেরা এই লেক পরিষ্কারে অংশ নিতে চান।
আরও পড়ুন: জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে: মেয়র আতিক
শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরিষ্কার অভিযানে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পাশাপাশি গুলশান সোসাইটি, ছয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী, জাগো ফাউন্ডেশন ও শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রায় ৪০০ জন অংশ নেন।
ছয়টি স্কুল হলো- স্যার জন উইলসন স্কুল, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, স্কলাস্টিকা স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং সানিডেল স্কুল।
গুলশান লেক পার্কে শিক্ষার্থী ও অতিথিরা মিলিত হয়।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে গুলশান-৬৩ নম্বর রোডের গুলশান জামে মসজিদের পাশ থেকে লেক পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেয়র মো. আতিকুল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।
মেয়রি বলেন, গুলশান মসজিদের সামনে লেকের খুব খারাপ অবস্থা হয়ে আছে। এই এলাকার মলমূত্র সব এখানে ফেলা হয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এই লেকগুলোতে মাছের চাষ হয় না, মশার চাষ হচ্ছে। আমি চাই এই লেকগুলোতে শিশুরা খেলবে। ওয়াটার ট্যাক্সি চলবে। আরও আধুনিক যন্ত্র থাকবে যা দিয়ে তারা খেলবে। কিন্তু পানি হয়ে আছে শতভাগ দূষিত। এখানকার কোনো মানুষ এই লেক থেকে উপকৃত হচ্ছে না। এই এলাকায় অতিরিক্ত মশা, যা এই লেকগুলো থেকে হয়। গুলশান এলাকার মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই লেক পরিষ্কার করে দিচ্ছে।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, সরকারের একার পক্ষে একটা সোসাইটিকে সুন্দর করা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না এখানকার মানুষই এগিয়ে আসে। আজকে এখানকার বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিশুরা এই কার্যক্রমে উপস্থিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ফাউন্ডেশনও এখানে উপস্থিত হয়েছে। গুলশান বনানী অভিজাত এলাকা। এখানকার একেকটি ফ্ল্যাট ২৫ কোটি, ৫০ কোটি টাকা মূল্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এই এলাকার বিল্ডিংগুলো থেকে পয়োবর্জ্য সরাসরি এই লেকে এসে পড়ছে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির স্টর্ম ড্রেনের সঙ্গে একটি চোরাই পাইপ সংযুক্ত করা হচ্ছে। এই ড্রেন দিয়ে শুধু বৃষ্টির পানি যাওয়ার কথা। যারা পয়োবর্জ্য সরাসরি ফেলবে তাদের পাইপে আমি কলাগাছ থেরাপি দেব। যাতে করে এই বর্জ্য আবার তাদের দিকে ব্যাক যায়। একটা ছোট ইটিপি প্ল্যান্ট মাত্র তিন লাখ টাকা। এসব প্ল্যান্ট করতে রাস্তার নিচে যতটুকু জায়গা লাগে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা করে দেবে। আমরা চাই শুধু সরকার না এলাকাবাসী এগিয়ে আসুক।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারি খাল, খাস জমি এগুলো কতিপয় দখলদার অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যারা খাল, খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
যারা সরকারি জমি, জনগণের জমি দখল করেছে তাদেরকে আমি ধিক্কার জানাই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সাতারকুল-ভাটারা একশ’ ফুট এলাকায় সূতিভোলা খালের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং খালের দলখ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, নদী রক্ষা কমিশনসহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিব। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করব। অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলবে।
শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খাল এবং পরে পাশের সমুদ্র খালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খালের পাড় দিয়ে হেটে যান।
এসময় মেয়রের উপস্থিতিতে খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটের তৈরি ওয়াল ভেঙে দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মত বিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, মূল খালের পাশে অনেক খাস জমি রয়েছে। সেসব খাস জমিতে শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গা করে দেওয়া হবে, খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, নান্দনিক গণপরিসর, পার্ক, নৌকার জন্য ঘাট নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রথম ধাপে ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন কাজ করা হবে। এর আওতায় সূতিভোলা খাল ও সমুদ্র খালের উন্নয়ন হবে। প্রায় সাত কিলোমিটার খাল উন্নয়নের এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মেয়র বলেন, ঢাকার পূর্ব পাশে মোট প্রায় ২৯ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন ও খালগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি করা হবে। এ বছরের মধ্যে প্রথম ধাপে সূতিভোলা খালের ৭ কিলোমিটার উন্নয়ন করব এবং পরে বাকী ২২ কিলোমিটারের উন্নয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত গত ফেব্রুয়ারি মাসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রাষ্ট্রদূত ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিন অসংখ্য জলবায়ু উদ্বাস্তু ঢাকায় প্রবেশ করে। বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন বস্তিগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা প্রদান করা হলে এই শিশুরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
আলাপকালে বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানসহ ছোট ছোট খেলার মাঠ নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করা বিষয় একমত পোষণ করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র এই ধরনের উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। এছাড়াও বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ঢাকা ও আঙ্কারা যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা শুরু
কুয়েতের নতুন আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
অনুমতি ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গাছের গুরুত্ব আমাদের অনুধাবন করতে হবে। দুঃখজনক হলো আমরা অনেকে গাছের গুরুত্ব বুঝি না। পরিবেশ রক্ষায় ও জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন পেতে গাছের বিকল্প নেই।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে নগর সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি বার বার বলেছি, গাছ কাটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমার কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না। গাছ কাটার আগে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সড়ক ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হচ্ছে। বিভিন্ন বস্তিতে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গাছকে জিপিআরএস অ্যাপের মাধ্যমে আইডি নম্বর দিয়ে রোপণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গাছে নম্বর দেওয়া ও জিপিআরএস ম্যাপিং করা হচ্ছে। প্রকৌশল বিভাগ এটি তত্ত্বাবধান করছে। বর্জ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি খালের পাড়ে গাছ লাগাতে হবে। আমরা এখন যে গাছগুলো লাগাচ্ছি একটা সময় পরে সবুজায়ন হবে, গাছে ফুল হবে, ফল হবে, গাছ ছায়া দেবে, অক্সিজেন দেবে।
মেয়র আরও বলেন, গাছ লাগানো অনেক সহজ, কিন্তু পরিচর্যা করে বড় করে তোলা কঠিন। এখন পর্যন্ত আমরা যেসব গাছ লাগিয়েছি, আমাদের কাছে প্রতিটি গাছের ম্যাপিং আছে। গাছ কত ইঞ্চি লাগানো হয়েছে, কীভাবে বড় হচ্ছে ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে।
তিনি আরও বলেন, গাছগুলোর পরিচর্যা করা হচ্ছে। আজকে গাছ লাগালে অবশ্যই এর দুই বছর পরে ফল পাওয়া যাবে। আমি নতুন কিছু গাছ লাগাচ্ছি। রসকাউ গাছ রোপন করছি। রসকাউ গাছের ফল পাখির খুবই প্রিয়। আমরা সবুজ ও পাখির কিচিরমিচির দেখতে চাই।
তিনি বলেন, ঢাকাকে দৃষ্টিনন্দন করতে সবুজায়নের পাশাপাশি স্ট্রিট আর্ট করে দিচ্ছি। মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে স্ট্রিট আর্ট করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, মিরপুর জল্লাদখানায় পাকিস্তানিরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে কুয়ার ভেতরে ফেলে রেখেছিল। সেটি ছিল খুবই ভয়ানক একটি জায়গা। ওখানে ময়লার ভাগাড় ছিল, মাদকাসক্তরা সেখানে নেশা করত। আমরা জল্লাদখানাটি দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়েছি। আপনারা গেলে দেখতে পাবেন শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দেশে প্রথম বারের মতো ডিএনসিসিতে চালু হলো ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে দেশে প্রথম বারের মতো ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিএনসিসি স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।
যেখানে সেখানে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে এবং নিরাপদ পার্কিং নিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ডিএনসিসি।
গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং নামে এই পার্কিং অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে গুলশান এলাকার আটটি বিভিন্ন সড়কে ২০২টি স্পটে স্মার্ট পার্কিং চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নগরভবনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটালাইড হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন আর দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাই।
মন্ত্রী বলেন, ডাক্তারের সেবার জন্য ফোন করছেন। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে মানুষ যোগাযোগ করছে। বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও আজ মোবাইল ও ইন্টারনেটের আওতায় আছেন ও বিভিন্ন সেবা নিচ্ছেন। দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, তার একটি কারণ আমরা ডিজিটাল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার ডিএনসিসিতে স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং চালু হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট সোসাইটি দরকার, স্মার্ট এডুকেশন দরকার, স্মার্ট গভার্ন্যান্স দরকার। সেটিও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং চালু হচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সিএলডিপির (কমার্শিয়াল ল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) আওতায় মিয়ামি সিটি থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। সবার সহযোগিতায় এটি সফল হবে। পর্যায়ক্রমে উত্তর সিটির প্রতিটি এলাকায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনলাইনে ট্যাক্স নিচ্ছে, যেখানে কোনো ক্যাশে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হয় না। আমরা অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছি। আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স সশরীরে এসে দেবেন না, সবাই অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন।
তিনি বলেন, কারণ কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তা আছে যারা আপনাকে ‘আকাশের যত তারা সিটি করপোরেশনে তত ধারা’ এগুলো দেখিয়ে দেবে। তাই অনলাইন ওপেন করবেন আপনার ট্যাক্স আপনি দিয়ে দেবেন।
মেয়র আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স চালু করে দিয়েছি। কোনো অভিযোগ জানাতে আমরা সবার ঢাকা অ্যাপ চালু রেখেছি। যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইনে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং আমরা তা সমাধান করে দিচ্ছি।
মেয়র বলেন, সবার ঢাকা অ্যাপে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে আমরা ৯৮ শতাংশ সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। এসব অনলাইন কার্যক্রমই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ। দুর্নীতিমুক্ত এবং জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেই আমরা এরকম অনলাইন সিস্টেম চালু করেছি। অনলাইনে জনগণের কাছে সব আধুনিক সেবা পৌঁছে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: উন্নয়নকৃত মাঠ ও পার্ক রক্ষায় ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান
ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং বিবরণ:
বিষয়- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাইলট আকারে স্মার্ট অনস্ট্রিট পার্কিং চালুকরণ সংক্রান্ত।
• ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের জন্য গুলশান এলাকায় গাড়ি পার্কিং কার্যক্রম মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পাইলটিং কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
• পাইলটির জন্য গুলশান এলাকার সড়ক নম্বর– ৫২, ৫৮, ৬২, ৬৩, ৬৪, ১০৩, ডিআইটি সাকুলার রোড, গুলশান ২ ইনার সাকুলার রোডে গাড়ি পার্কিং এর জন্য সড়কে প্রয়োজনীয় রং করাসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
• ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ মাঠ পর্যায়ে আলোচ্য পাইলটিং কার্যক্রমটি তদারকি করা হবে। পাইলটিং কার্যক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার আরও ২৯টি স্থানে উক্ত কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করা হবে।
• আলোচ্য পাইলটিং কার্যক্রম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং এলওসিসি যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
• নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কার পার্কিং স্থানের সন্নিকটে ওয়ার্ডেন নিয়োজিত করা হবে।
• পার্কিং বরাদ্দ কার্যক্রম অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
• অ্যাপে প্রাথমিকভাবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
• রেজিস্ট্রেশন শেষে গাড়ির ড্রাইভার পার্কিং স্পটের ১০০ মিটারের মধ্যে এসে গাড়ি পার্কিং করতে হবে।
• গাড়ির পার্কিং এর জন্য পেমেন্ট ব্যবস্থা ডিজিটাল করা হয়েছে।
• পিওসির মাধ্যমে অনগ্রাউন্ডে পেমেন্ট করা যাবে।
ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং ফি-
কার/জিপ/মাইক্রোবাস:
প্রথম দুই ঘণ্টা ৫০ টাকা, তৃতীয় ঘণ্টা ৫০ টাকা এবং চতুর্থ ঘণ্টা থেকে প্রতি ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা।
মোটরসাইকেল:
প্রথম দুই ঘণ্টা ১৫ টাকা, তৃতীয় ঘণ্টা ১৫ টাকা এবং চতুর্থ ঘণ্টা থেকে প্রতি ঘণ্টার জন্য ৩০ টাকা।
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পার্কিং ফি প্রযোজ্য হবে। রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পার্কিং এর জন্য কোনো ফি লাগবে না। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন পার্কিং সম্পূর্ণ ফ্রি।
আরও পড়ুন: খালের আধুনিকায়নে ডিএনসিসির সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী
খালের আধুনিকায়নে ডিএনসিসির সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন খালগুলোর আধুনিকায়ন ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও ডিএনসিসি যৌথভাবে কাজ করবে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়রের কার্যালয়ে মো. আতিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান সৌজন্য সাক্ষাত ও বৈঠকে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন খালগুলোর আধুনিকায়নে ও টেকসই উন্নয়নে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে উভয়ে একমত পোষণ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে খালগুলোকে রক্ষা করতে হবে। ওয়াসা থেকে বুঝে পাওয়ার পরে আমরা খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে খাল খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলো অপরিহার্য। খালে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করলে যানজট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ডিএনসিসির সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনী যৌথভাবে কাজ করলে খালগুলোর আধুনিকায়ন করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
এসময় ডিএনসিসি মেয়র বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানকে খালের আধুনিকায়ন ও খালের পাড়ে পরিকল্পিত সবুজায়নের জন্য কারিগরি সহায়তার আহ্বান জানালে নৌবাহিনী প্রধান একমত পোষণ করেন এবং খালগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে একটি বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে তিনি ডিএনসিসির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঢাকা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার মিজবাহ-উল-আজিম, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় রাজধানীর গুলশান- ২ এর নগরভবনের ষষ্ঠ তলার সেমিনার কক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (অ.দা) পিয়াল হাসানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাতকালে তারা জলাবদ্ধতা, বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, মশক নিধন, স্বাস্থ্যখাত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সার্বিক বিষয়ের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এতে বলা হয়েছে, ডিএনসিসি মেয়র তার অফিসে এসে সাক্ষাতের জন্য প্রতিনিধি দলকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও জানানো হয়েছে, সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ৭৭ জন শিল্পীর আঁকা প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র জাতিসংঘের স্থানীয়-আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা মনোনীত
মশার লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে কীটনাশক আনছে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে নতুন সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে রাস্তা-ঘাট জনসাধারণের জন্য খুলে করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ৪৪-৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে উত্তরখানের বালুর মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
এসময় মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন ঢাকার এই ওয়ার্ডগুলো অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকার এগুলোকে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের মর্যাদা দিয়েছে। আমরা বসে নেই, কাজ শুরু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকাগুলোতে পানি উঠে যায়। দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে জনভোগান্তি বাড়বে। সবাই যার যার মতো ডোবা-নালা, নিচু জমি, জলাশয় ভরাট করে বিল্ডিং করেছে। পানি বের হবার উপায় নেই। ফলে ভোগান্তি চলছেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
আতিকুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার মূল রাস্তার প্রশস্ত হবে ৭২ ফিট এবং গলির রাস্তার প্রশস্ত হবে কমপক্ষে ২০ ফিট। ফলে রাস্তার ধারে অবৈধ দখলদারদের সরে যেতে হবে। জনগণের জায়গা জনগণকে ফেরত দিতে হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগে ২৪ ব্রিগেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোর দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে মেয়র জানান, ইতোমধ্যে তারা বেশ কিছু রাস্তা করে ফেলেছে। ড্রেনেজের জন্য ভূগর্ভে ৬ফিট ডায়ার রিং বসানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা আর থাকবে না।
গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই এলাকায় জীবনমানের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
এসময় রাস্তায় কারো ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা থাকলে জনস্বার্থে তা দান করতে আহ্বান জানান মেয়র আতিক।
পরে তিনি যারা রাস্তার জন্য স্বেচ্ছায় জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা-জবাবদিহি বজায় রেখে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছে ডিএসসিসি: তাপস
আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে: মেয়র আতিক
চলমান মশা নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিটিআই কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে ডিএনসিসির অঞ্চল ৩-এর আওতাধীন গুলশান-২ এর ৪৭ নম্বর সড়ক এলাকায় প্রথমবারের মতো এই কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আজ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। গত ৪০ বছর ধরে আমরা টেমিফস্ট (কীটনাশক) ব্যবহার করতাম মশা নিধনে। কিন্তু, আমরা দেখেছি অন্যান্য উন্নত বিশ্বে ব্যবহার হচ্ছে বিটিআই কীটনাশক।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন শহরে এটি ব্যবহার করছে, সিঙ্গাপুরে ব্যবহার করছে, মায়ামি সিটিসহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এই বিটিআই ব্যবহার করছে। বিভিন্ন দেশে দেখার পরে আমরা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে এটা নিয়ে এসেছি।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি অনেকগুলো প্রটোকল মেইনটেইন করে একটি কীটনাশক আনতে হয়। আমরা সব প্রটোকল মেইনটেইন করে সিঙ্গাপুর থেকে লার্ভা ধ্বংসে কার্যকরী বিটিআই এনেছি। আশা করি এটি ব্যবহারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।'
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'বিটিআই পরিবেশ রক্ষা করে। অর্থাৎ, এটি যখন আমরা ব্যবহার করছি, এখানে মাছের কোনো ক্ষতি হবে না, জলজ প্রাণীর ক্ষতি হবে না। এতে লাভটা কী হচ্ছে? লেকে যে মাছগুলো আছে, এগুলোর কোনো ক্ষতি হবে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ক্ষতিকর লার্ভা ধ্বংস করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অতীতে ড্রেনে গাপ্পি মাছ ছাড়তাম। কিন্তু, এই মাছগুলোকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম না। এখন লার্ভাটা মরবে, গাপ্পি মাছগুলা থাকবে। এ ছাড়া গাপ্পি মাছগুলো আবার লার্ভা খেয়ে ফেলবে। এর ফলে, বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করতে সুবিধা হবে।'
মেয়র জানান, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের পুরো টিমকে আগামী পাঁচ দিন ট্রেনিং করে কীভাবে এটি প্রয়োগ করতে হয়, সেটি শেখানো হবে।
আরও পড়ুন: মশার লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে কীটনাশক আনছে ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
আতিকুল ইসলাম বলেন, 'এই বিটিআই ব্যবহারের একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এটি একটি এলাকায় একবার প্রয়োগ করলে ১০ দিনের মধ্যে সেখানে আর স্প্রে করতে হবে না। এতে আমাদের যে জনবল আছে, আমি আরও অনেক বেশি এরিয়া কাভার করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আগে সপ্তাহে দু’বার টেমিফস্ট ব্যবহার করা হতো। অতএব বিটিআই ব্যবহার করে অনেক জায়গা কাভার করতে পারব। তবে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আবার সাত দিন পরপর করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রতিটি অঞ্চলের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ওয়ার্ডগুলোর মশা নিধন কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরে এটি প্রয়োগ করবেন। আজ ৩, ৯, ১০ এই তিনটি অঞ্চলের কর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন। পাঁচ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব অঞ্চলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।'
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'পুরো প্রয়োগ প্রক্রিয়াটি আমরা কঠোর মনিটরিং এর মধ্যে রাখব। সঠিক পরিমাণে বিটিআই মিশ্রণ হয়েছে কি না, সঠিক পরিমাণ জায়গায় প্রয়োগ করা হয়েছে কি না এগুলো মনিটরিং করা হবে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'আমরা প্রথম ধাপে পাঁচ টন বিটিআই এনেছি। এতে তিন মাস চলবে। দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ভবনের বেজমেন্টে প্রায় ৪৩ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তাই বেজমেন্টেও বিটিআই প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছি। তবে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানিগুলো বাণিজ্যিকভাবে যদি এটি বাজারজাত করে ওভার দ্য কাউন্টারে বিক্রির ব্যবস্থা করে, তাহলে সবাই নিজেদের বাড়িতে ব্যবহার করতে পারবে।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম শফিকুর রহমান, উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, সিঙ্গাপুর থেকে আগত বিটিআই কীটনাশক বিশেষজ্ঞ লি শিয়াং, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, অঞ্চল-০৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলকার নায়ন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের মধ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন নতুন এলাকার সড়ক নির্মাণকাজ শেষ: আতিক
৮ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে: মেয়র আতিক