ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাকচাপায় মাহবুবা বেগম ও মনসুর রহমান নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ইসলাম প্লাজার সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সিংড়ায় ট্রাকচাপায় মেয়ের মৃত্যু, বাবা আহত
নিহত মাহবুবা বেগম পঞ্চগড় সদর উপজেলার নয়াবস্তির মৃত ফজলুল হকের স্ত্রী এবং নিহত মনসুর রহমান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দনগর এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাহবুবা ও মনসুর মঙ্গলবার বিকালে অফিস ছুটির পর পঞ্চগড় যাবার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল করে যাওয়া সময় বঙ্গবন্ধু সড়কের ইসলাম প্লাজার সামনে পৌঁছালে ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুইজন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, ট্রাকটি আটক করা যায়নি। এব্যাপারে অভিযোগ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
সিংড়ায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার, যুবক আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় রোকনুজ্জামান নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরীক্ষা চলাকালীন ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতি ও বদলি পরীক্ষা দেওয়ায় আটক ১৮
রোকনুজ্জামান সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের কচুবাড়ি কৃষ্টপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দেওয়ার সময় কক্ষের অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা রোকনুজ্জামানের কান থেকে আওয়াজ শুনতে পায়।
পরে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত সচিব রোকনুজ্জামানের কান থেকে ব্লুটুথ ডিভাইসটি উদ্ধার করেন।
আটক ওই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সদর থানার ওসি।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী তার আরেক বন্ধু।
মঙ্গলবার (১৩ ফ্রেরুয়ারি) বিকালে রাণীশংকৈল-নেকমরদ সড়কের কুমারগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রিসাদ হোসেন (২০) রাণীশংকৈল উপজেলার পৌরশহরের ভান্ডারা এলাকার টিন ব্যবসায়ী দবিরুল ইসলামের ছেলে। আহত বন্ধু স্বন্দীপ একই এলাকার সুভাষ চন্দ্র রায়ের ছেলে।
রিসাদ বগুড়ার একটি কলেজের দ্বাদশ এবং সন্দীপ একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ২
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে মোটরসাইকেলে দুইবন্ধু রাণীশংকৈল-নেকমরদ পাকা সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে কুমারগঞ্জ এলাকায় গেলে তাদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় তাদের মাথা ও মুখে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রিসাদের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত স্বন্দীপকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা।
রাণীশংকৈল সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রেজাউল হক বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে নিহত রিসাদের লাশ ও তার মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে রাণীশংকৈল থানায় নিয়ে আসে।
লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল দুই দশক ধরে বন্ধ
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর থেকেই পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, তখন থেকেই ঝুলছে তালা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শহরে যানজট কমানোসহ যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ঘটা করে উদ্বোধনও হয়। এরপর ২০ বছর পার হলেও যাত্রীদের কোনো কাজেই আসেনি দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টার্মিনালটি।
দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এখন তা হয়ে পড়েছে ব্যবহার অনুপযোগী। কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই এর জন্য দায়ী করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ৫ বিঘা জমির উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় বাস টার্মিনালটি। তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এ টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। এরপর আর ব্যবহার করা হয়নি এটি।
আরও পড়ুন: সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সার্ভিস কাঁচপুরে স্থানান্তর করা হবে: মেয়র তাপস
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার বসিয়ে বিক্রি করছেন বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে টিকিট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, শপিংস্টোর ও বসার ব্যবস্থাসহ সাধারণ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। এত সুবিধা থাকার পরও রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি ব্যবহার না হওয়ায় ভবনের ভেতর নেশাখোর ও ভবঘুরেদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় শিগগিরই টার্মিনাল সংস্কার করে তা চালুর দাবি যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
সরেজমিনে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, ঠাকুরগাঁও জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি জনশূন্য। দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও তা তালাবদ্ধ। পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ভবনের চারপাশ। ভেঙে পড়েছে দরজা-জানালা। ভেতরে বেশ কয়েকটি বিকল বাস ফেলে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে: মেয়র তাপস
দিনাজপুর-পঞ্চগড়ের যাত্রীরা বাসে ওঠানামা করছেন ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে। স্থানীয়রা জানান, টার্মিনাল থাকার পরও ঝুঁকি নিয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রীরা ওঠানামা করছেন। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অথচ টার্মিনাল নির্মাণের পর দুই দশক পার হলেও তা চালু হয়নি এখনো। এর পেছনে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন। টার্মিনালে বাস না থাকায় বাসের জন্য দীর্ঘ সময় সড়কের পাশে চায়ের দোকানে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এ সময় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও সে উপায় নেই।
টার্মিনাল বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতারা কথা বলতে রাজি না হলেও উপজেলা প্রশাসন জানালেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালু করতে বাস মালিক ও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা চাই যেন এর যথাযথ ব্যবহার হয়। সাধারণ মানুষ যেন সেবা পায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সিলেটে আধুনিক বাস টার্মিনালের উদ্বোধন এ মাসেই
ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌয়ালরা
ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সরিষা ফুলের হলুদ আভা। সে যেন অপরূপ দৃশ্য! চোখ মেললেই মন জুড়িয়ে যায় মাঠজুড়ে হলুদ গালিচায়।
সরিষার রূপ আর গন্ধে মাতোয়ারা চারিধার। মৌমাছি, প্রজাপতির অবিরাম খেলা গ্রামীণ জনপদকে আরও মুগ্ধ করে তুলেছে। এই সরিষা খেতগুলোতে যেমন রয়েছে চাষিদের পদচারণা, তেমনি মধু সংগ্রহে মেতে উঠেছেন মৌয়ালরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলায় এবার সরিষার আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর বেশি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে। বাজারে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরিষার আবাদ বেড়েছে।’
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ঝালকাঠিতে বেড়েছে সরিষা চাষ
রানিশংকৈল কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রানিশংকৈল উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৮৯০ হেক্টর বেশি।
এখন অনেক জায়গায় চলছে মধু সংগ্রহ। সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌচাষিরা সাধারণত পছন্দের একটি সরিষা খেতের পাশে খোলা জায়গায় চাক ভরা বাক্স ফেলে রাখেন। একেকটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়।
প্রতিটি বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রানি মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। বাক্সে একটি রানি মৌমাছি রাখা হয় ৷ রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে। চাকের বাক্সের মাঝখানের নিচে ছিদ্র করে রাখা হয়। সে পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে।
রানিশংকৈল উপজেলার গোগর এলাকার মৌচাষি নজরুল ইসলাম জানান, সরিষা খেতে মধু চাষ খুবই লাভজনক। এতে কৃষক ও মধু চাষি— দু’পক্ষই লাভবান হন৷ বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত দিন। এরপর মধু চাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের মাধ্যমে মধু বের করে নেন। ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে মৌমাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাড়তি ফলন পান কৃষক, আর মৌচাষিরা পান মধু।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ১৫১.৩৮ কোটি টাকার সরিষার ফলনের প্রত্যাশা চাষিদের
ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বেশ কিছুদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও কুয়াশা পড়ার কারণে বীজতলায় ঠান্ডা পানি জমছে। এই পানির কারণে চারা তুলনামূলকভাবে বড় হচ্ছে না।
বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, বীজতলা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। মৌসুমের শুরুতেই এমন হওয়ায় কৃষকেরা পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু কিছু স্থানে বীজতলা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে করে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে ধারণা করছেন তারা। ঠাকুরগাঁওয়ে বেশ কয়েকদিন থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। এ অবস্থায় জেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। সমস্যায় পড়েছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে কৃষকদের শুকনো, ভেজা, ভাসমান- তিন ধরনের বীজতলার বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে স্থান, জমি তৈরি, শেড তৈরি, সার প্রয়োগ, বীজ বপন, বীজ জাগ দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেন কৃষকদের।’
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলা ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় যশোরের কৃষকরা
তিনি আরও বলেন, ‘শুকনো বীজ একটানা কত ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং কোন জায়গায় রাখতে হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য তাদের দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভালো চারা উৎপাদনের জন্য বীজের ভ্রুণ জাগরিত বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে।’
সদর উপজেলার রুহিয়া রামনাথ এলাকার কৃষক সুধির রায় জানান, প্রত্যেক বছর তিনি কমপক্ষে দেড় একর (১৫০ শতক) জমিতে বোরো ধান লাগান। এ বছরও তিনি বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু তীব্র শীতে বেশিরভাগ চারা গাছ মারা যাচ্ছে।
শীতের প্রকোপে চারাগুলো বড়ো হচ্ছে না বলে জানান তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেলে চারা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান গ্রামের কৃষক সামশুল হক জানান, প্রত্যেক বছর তিনি প্রায় সোয়া দুই একর (২২৫ শতক) জমিতে বোরো ধান চাষ করে থাকেন। এ বছরও বোরো ধান রোপণের কাজ শুরু করবেন। আপাতত বোরো ধানের বীজতলা করেছেন, শীতের জন্য তিনিও সমস্যায় পড়েছেন বলে জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বোরো ধানের আবাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ৮০ হেক্টর জমির। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩২ মেট্রিক টন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
তিনি জানান, গত বছরে ৬০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে বেশ কিছু এলাকায় সামান্য কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার ক্ষতির খবর পাওয়া গেলেও, সেটি বড় সমস্যা নয়।
জেলার কৃষকদের প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রশংসা করে জানান, বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের মতো বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওরে ৭০ ভাগ বোরো ধান কাটা হয়ে গেছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
রাণীশংকৈলে ৪ কেজি ওজনের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ৪ কেজি ওজনের একটি কষ্টি পাথরের সদৃশ্য বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে বিষ্ণু মূর্তিটি উদ্ধার করে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মাটির নিচ থেকে পিতলের গণেশ মূর্তি উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের সামরাডাঙ্গী এলাকার মমতাজ আলীর পুকুরে মাছ ধরার সময় জালের সঙ্গে বিষ্ণু মূর্তিটি উঠে আসে। মাছ ধরা শ্রমিকরা সেটি ইটের কোনো বস্তু ভেবে ফেলে দেয়। পরে ওই পুকুর লিজ নেওয়া মালিক শাহারিয়ার বিপ্লব মুর্তিটি পরিস্কার করে লুকিয়ে রাখেন। পরে এটি এলাকার লোকজনের মাঝে জানাজানি হয়ে গেলে পুকুর মালিক মমতাজ আলী পরে সেটি তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে পরে পুলিশ গিয়ে ওই মূর্তিটি মমতাজ আলীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মমতাজ আলীর পুকুরে মাছ ধরা সময় শ্রমিকরা একটি কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তির সন্ধান পায়। মঙ্গলবার সকালে ওই পুকুরে জাল টেনে তোলার সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় কষ্টি পাথরের সেই বিষ্ণু মূর্তিটি উঠে আসে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী সেটি দেখতে ভীড় জমায়। এরপর এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। মূর্তিটির ওজন ৪ কেজি ১০০ গ্রাম।
ওসি আরও জানান, আপাতত মূর্তিটি থানা হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জেলা ট্রেজারিতে মূর্তিটি পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের বিরলে বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুর খননের সময় উদ্ধার কৃষ্ণমূর্তি
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক্টরের হালে কাটা পড়ে কিশোর নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের জমিতে চাষ দেওয়ার সময় চালক পরিবর্তন করতে গিয়ে হালের ফালে কাটা পড়ে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের চন্দনচহট বিলপাড় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর উল্টে চালক নিহত
নিহত তাজু ইসলাম (১৬) রাণীশংকৈল উপজেলার নয়াদিঘি গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সারাদিন ট্রাক্টর দিয়ে জমিতে হাল চাষ দিচ্ছিল তাজু। সন্ধ্যার সময় চলতি অবস্থায় গাড়ির চালক পরিবর্তন করার সময় পা পিছলে হালের ফালের উপরে পড়ে গিয়ে কাটা পরে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। পরে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে তার কেটে যাওয়া শরীরের টুকরো অংশ উদ্ধার করে।
রাণীশংকৈল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মহসিন আলী জানান, ট্রাক্টরের হালের ফালে কাটা পরে তাজু নামে ১৬ বছরের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরাইলে ট্রাক্টরের চাপায় ইটভাটার শ্রমিক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী।বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের পদমপুর হাজীপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রাবেয়া বেগম (৩০) এবং স্বামীর নাম নাজমুল হুদা (৩৬)।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম জানান, রাবেয়ার সঙ্গে ঝগড়া করার সময় নাজমুল তাকে ধারালো বটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা রাবেয়াকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নাজমুল হুদা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটিসহ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন।
পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে এবং অভিযুক্ত নাজমুল হুদা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বিএনপি নেতা আটক
বিএনপির মহাসচিবকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির ঠাকুরগাঁও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ৷
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে শহরের কালিবাড়ি থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করে শহরের চৌরাস্তার দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মিছিলটি বাধা দেয়। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় ৩৫ জেলে আটক
পরে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর মিছিলকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
ফখরুলকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি