ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে খুন করে থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ!
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে তার ছেলে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টায় পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছেলের নাম গোলাম আজম (২৯)। তার বাবার নাম ফজলে হক (৬৯)।
পুলিশ জানায়, ওই মহল্লার গোলাম আজম রাতে থানায় গিয়ে জানায় যে সে তার বাবা ফজলে হককে কুপিয়ে হত্যা করেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে গোলাম আজমকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। পরিবারের লোকজন দূরে থাকায় হত্যার ঘটনাটি কেউ জানতে পারেননি বলে জানায় গোলাম আজম।
প্রতিবেশীরা জানায়, গোলাম আজম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করেছেন। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝে মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ঘরের ভেতরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে কুড়ালের কোপে প্রাণ গেল ধান ব্যবসায়ীর
পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আগে সাংবাদিকেরা হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, আমার নামের সমস্যা। নাম গোলাম আজম হওয়ায় কোথায় চাকরি হয়নি। সবখানেই নাম পরিবর্তন করতে বললে বিষয়টি আমার বাবাকে বারবার জানালেও তিনি নাম পরিবর্তন করতে দেননি। রাজশাহীতে ছাত্র থাকাবস্থায় নামের কারণে ২ বার জেল হাজতেও যেতে হয়েছে। আমি সুস্থ, আমাকে মানসিক রোগী বানিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি মানসিক রোগী নই; বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও আমার বাবা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় ৩ মাসের শিশু নিয়ে আমার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, গোলাম আজম নিজেই তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে গোলাম আজমের মা রমিশা বানু বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের মূল বিষয় জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে একরাতে তিন ইউনিয়নের ১২টি মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নে ৯টি, পাড়িয়া ইউনিয়নে চারটি ও চাড়োল ইউনিয়নে একটি মিলে মোট ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা মন্দিরের প্রতিমাগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান।
এছাড়া, মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ছাড়াও সনাতন ধর্মের অন্যতম পবিত্র গ্রন্থ ‘গীতা’ ছিড়ে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে দুটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর: গ্রেপ্তার ১
খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতির্ময় সিংহ বলেন, ‘প্রায় অর্ধশত বছর ধরে আমরা মন্দিরে পূজা করে আসছি। কোনো দিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শনিবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার গুপ্ত জানান, ‘ধনতলা ইউনিয়নের সিন্দুরপিণ্ডি এলাকার নয়টি, পাড়িয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার চারটি ও চাড়োল ইউনিয়নের সাহবাজপুর নাথপাড়া এলাকার একটি মন্দিরের ওই ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বেশিরভাগ প্রতিমাই রাস্তার পাশে স্থাপিত মন্দিরের।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেসব মন্দিরে কালী, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মনসার প্রতিমা ছিল। সেসব প্রতিমার মাথা, হাত, পাসহ বিভিন্ন অংশ ভেঙে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন প্রতিমাগুলো ভাঙা অবস্থায় পেয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে খবর দেন।’
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী বলেন, ‘এই এলাকায় এর আগে এ ধরনের ঘটনার নজির নেই। এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে মুসলিমদের কোনো বিরোধ নেই। তাই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় কারা সম্পৃক্ত থাকতে পারে, তার কিছুই আন্দাজ করা যাচ্ছে না।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। পুলিশ এ ঘটনায় কাজ করছে। কোনো গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে এসব মূর্তি ভাঙচুর করেছে কি না, এসব বিষয় মাথায় নিয়ে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।’
এছাড়া, তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে আতঙ্কিত না হয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সচেতনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ৩
পঞ্চগড়ে প্রতিমা ভাঙচুর, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
ঠাকুরগাঁওয়ে নদী ভরাট ও চর দখল করে চলছে ধান চাষ
১১টা নদী নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা। ঠাকুরগাঁও মূল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে টাঙ্গন ও শুক নদী। তবে কয়েক মাস আগে টাঙ্গন নদীর কিছু কিছু স্থানে খননের কাজ করা হয়। কিন্তু আবার ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী।
বর্ষাকালেও অনেক কম পানি থাকে। টাঙ্গন নদী দেখলেও বোঝার উপায় নেই সেটি এক সময়কার প্রমত্তা টাঙ্গন নদী।
টাঙ্গন ও শুক নদীতে জেগে উঠেছে ছোট ছোট চর, আর সেই চরে পাশ থেকে মাটি এনে ভরাট করে চলছে নামে-বেনামে চর দখল এবং ধান চাষ।
নদী দুইটি জেলার অন্যতম প্রধান নদী ও তখনকার যাতায়াতের মাধ্যম ছিল। এর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠে ঠাকুরগাঁও শহর। এসব নদীর বুকে কিছু কৃষক এখন ধান চাষ শুরু করেছে।
অনেকে অন্য জায়গা থেকে মাটি নিয়ে এসে ধানের বীজতলা তৈরি করছে। এখন নদীতে আর মাছ পায় না জেলেরা। তাই জেলেরা জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর খালপাড়া গ্রামের প্রবীর দাস বলেন, এক সময় মাছ শিকার আমার পেশা ছিল। নদী ভরাট হয়ে এখন আর মাছ নেই নদীতে। পানি নাই, মাছ নাই। নদী ভরাট করে অনেকে ধান চাষ করছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ভরাট নদীতে পানি না থাকলে মাছ থাকবে কীভাবে! তাই বাধ্য হয়ে এখন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি।
বরুণাগাঁও এলাকার বজলু হক বলেন, নদীতে মাছ ধরে আমাদের সংসার চলে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে নদীতে কোনো মাছ পাওয়া যায় না। ২০১৯ সাল থেকে নদী খনন করলেও ছয় মাস যেতে না যেতে আবারও ভরাট হয়ে গেছে নদী। মাছ ধরা বাদ দিয়ে মানুষের বাসায় দিনমজুরের কাজ করছি।
কহরপাড়া গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, নদীতে এক সময় অনেক পানি ছিল, সেই পানি কৃষি কাজে ব্যবহার হতো। এখন নদীতে এক হাঁটুর কম পানি থাকে। তাই নদীর পানি আর কৃষি কাজে ব্যবহার করতে পারি না। যদি নদীটা আবারো খনন করা হয় তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে। অল্প খরচে নদীর পানি ব্যবহার করতে পারব।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে 'ফাতেমা’ ধান চাষে যুবকের স্বপ্ন পূরণ
ঠাকুরগাঁওয়ে কালো ধান চাষে চমক
ঠাকুরগাঁওয়ে কুড়ালের কোপে প্রাণ গেল ধান ব্যবসায়ীর
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এক ব্যক্তির কুড়ালের আঘাতে এক ধান ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়, উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম-মুনসুর আলী (৩৮), তিনি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের গগণপুর গ্রামের শাহাদত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিজের সরিষা ক্ষেতেই প্রাণ গেল কৃষকের
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এসময় খালেক নামে এক ব্যক্তি হঠাৎ একটি কুড়াল দিয়ে মনসুরকে আঘাত করলে ঘাটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হামলাকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আটক করে।
বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকনিকের বাড়িতে পড়ল ট্রাক, প্রাণ গেল শিশুর
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
ঠাকুরগাঁও শহরে একটি ধানবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পাশের এনামুল পেট্রোল পাম্পের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ঠাকুরগাঁও পৌরসভার শাহাপাড়া এলাকার মৃত সিরাজ আলীর ছেলে মো. আরশাদ (৩০) এবং একই এলাকার রাশেদুল ইসলাম (৪০)। তার বাকি পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী ধানবোঝাই ট্রাকটি দ্রুতগতিতে এনামুল পাম্পের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় পাম্প থেকে পেট্রোল নিয়ে মোটরসাইকেলটি রাস্তায় উঠছিল। তখনই ট্রাকটি মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পড়ে ও ট্রাকের চাকার নীচে পিষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের আরোহী দুইজন নিহত হন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার সারোয়ার হোসেন জানান, বিকাল সোয়া ৪টায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। মোটরসাইকেলের দুইজন আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। আমরা লাশ দুটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে, তবে ট্রাক চালক পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ২
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে এর মালিককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড মালিককে এ অর্থদণ্ড দেয়ার কথা জানান ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ১৪০টি ইটভাটার ৯৪টি অনুমোদনহীন
তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়া মলানী আরাজি ঝাড়গাঁও গ্রামে ওই ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন মালিক আব্দুস সোবহান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করে ইটভাটা ভেঙে ফেলার জন্য সেখানে গেলে সোবহান দোষ স্বীকার করে ইটভাটা বন্ধের কথা জানান।
এরপর তাকে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৫ ও ১৮ ধারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একইসঙ্গে চিমনি অপসারণসহ ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কেএসবি ব্রিকস ফিল্ড নামের ওই ইটভাটার অবস্থান। সেটি পুরোপুরিভাবে অবৈধভাবে চলছিল। যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইটভাটা মালিককে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত প্রতিটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল পরিবেশ অধিদপ্তর
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপনির্বাচনের জন্য ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা করেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার তকদির আলী সরকার জানান, আগামী ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও ১৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
বিএনপির জাহিদুল ইসলাম জাহিদ পদত্যাগ করায় এ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন এবং নারী এক লাখ ৫৯ হাজা ৫০৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১২৮টি ও বুথ ৮০৮ টি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ঠাকুরগাঁওয়ে পায়েস রান্না করে সাবিনা ইয়াসমিন সেরা রাধুঁনি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে প্রথমবারের মতো দেশীয় রান্নার ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সেটিকে ছড়িয়ে দিতে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের আয়োজনে সেরা রাঁধুনি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পায়েস রান্না করে সেরা রাধুঁনির খেতাব জিতে নিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা চত্বরে প্রতিযোগিতায় রুটি ও মাংসভুনা করে সারমিন আকতার দ্বিতীয় এবং মাংসের আচার রান্না করে লাইলী বেগম তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
আরও পড়ুন: মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া: বাঙালি রান্নার সুবাস ছড়িয়ে তৃতীয় কিশোয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গীতে বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই উপজেলার সড়কের হরিহরপুর এলাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মাসুদুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ( ৪৫) এবং তাদের মেয়ে মেহের নেগার সিমি (১৪)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিমির আজ (রবিবার) মাদরাসায় বার্ষিক পরীক্ষা ছিল। মেয়ে সিমিকে নিয়ে মা ও বাবা মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী মাদরাসায় যাচ্ছিল। বালিয়াডাঙ্গী হতে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস হরিহরপুর এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা হাসিনা বেগম মারা যান। আহত বাবা মাসুদুর রহমান ও সিমিকে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আহত দুজনও মারা যায়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিহাব মাহমুদ সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হানিফ পরিবহনের বাসটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে শিগগিরই বাসসহ চালককে আটক করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২
ঠাকুরগাঁওয়ে নবান্ন: বাঙালির জীবনের সচ্ছলতার উৎসব
আবহমানকাল থেকেই প্রকৃতির প্রাণধারা বহমান রেখেছে বাঙালির জীবনধারাকে। তাই প্রকৃতির উদার আনুকূল্যে সে যেমন বাঁচে, তেমনি এর রুদ্ররোষেও হয়ে পড়ে বিপন্ন। প্রকৃতি তাকে অপার দাক্ষিণ্যে পূর্ণ করে, আবার আঘাতে আঘাতে করে নিঃস্ব-সর্বশান্ত। তারপরেও মনে হয়, বাঙালির স্বপ্ন-প্রেম, তার বাঁচার ইচ্ছা, তার জীবনধারণ ও জীবনযাপনের সবকিছুই ওই প্রকৃতির দানে প্রাপ্ত। প্রকৃতি ঘনিষ্ঠ যে জীবন ও জীবনের কলরব, তাতেই বাঙালির উৎসব।
অন্যভাবে বলা যায়, প্রকৃতির উৎসবই বাঙালির উৎসব। ঋতুর আনুকুল্যে তার আশ্চর্য প্রণোদনায় এই উৎসব বর্ধিত ও পল্লবিত হয়। প্রকৃতির পালাবদলে তার ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যে চারদিক অপরূপ হয়ে ওঠে। ঋতুভিত্তিক কিংবা প্রকৃতিকেন্দ্রিক উৎসব পার্বনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘নবান্ন’।
আর এই নবান্ন হলো হেমন্তের উৎসব। তাই সমৃদ্ধির ঋতু হেমন্ত যখন আসে বাংলায়, তখন তা নিয়ে আসে ফসলের প্রাচুর্য। গ্রাম বাংলার কুটির থেকে প্রান্তর, পাকা ধানের গন্ধে আমোদিত হয়ে ওঠে। ফসল তোলার আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে সকলে। হেমন্তে আয়োজন করা হয় প্রাণের উৎসব, জীবনের সচ্ছলতার উৎসব ‘নবান্ন’।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নবান্ন উৎসব শুরু