ঢাকা
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফেনী ও বান্দরবান জেলায় ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নচাপটি অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকালে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা
আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান তৃতীয়।
ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৯৮ ও ১৭২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম দুইটি স্থান দখল করেছে।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বুধবার সকালেও ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
তিন দিনের ভারত সফরে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাপ্রধান
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দীন আহমেদ ভারতে তিন দিনের সরকারি সফরে বুধবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
পরিদর্শনকালে জেনারেল শফিউদ্দিন চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পাসিং আউট প্যারেডে যোগদানের পর কুচকাওয়াজের সালাম নেবেন।
আরও পড়ুন: যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান
তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী প্রধান, প্রতিরক্ষা স্টাফ প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব, পররাষ্ট্র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জেনারেল শফিউদ্দিন দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করবেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও পরিদর্শন করবেন তিনি।
সেনাপ্রধানের ৩০ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেসটিনি: সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের জামিন ১ বছর বাড়লো
সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়: সেনাপ্রধান
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং বিচ্ছিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে।’
এতে বরা হয়েছে, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত নিম্নচাপটি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
৩ বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা
ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটির বেশি সিম ব্যবহারকারী
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে গত পাঁচ দিনে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন এক কোটির বেশি সিম ব্যবহারকারী মানুষ।
রবিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরের দিন ঢাকা থেকে বেরিয়ে গেছেন ১৬ লাখ সাত হাজার ৫৪৬ জন। আর ঢাকায় ঢুকেছেন তিন লাখ ৯৯ হাজার ১৮১ জন।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
তাদের মধ্যে গ্রামীণফোনের সাত লাখ ২৯ হাজার ৪৫০, রবির তিন লাখ ১৫ হাজার ৬১৩, বাংলালিংকের পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৬ এবং টেলিটকের ১৬ হাজার ৫২৭টি সিম ব্যবহারকারী।
এর আগে ১৮, ১৯, ২০ এপ্রিল (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) এ ৩দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩২ সিম ব্যবহারকারী।
একই সময়ে ঢাকায় এসেছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৯০২ সিম ব্যবহারকারী।
এর মধ্যে ২০ এপ্রিল-মোবাইল অপারেটরের হিসাবে গ্রামীণফোনের আট লাখ ২৫ হাজার ৯৪৪টি, রবির সাত লাখ ৫৪ হাজার ৪৮২টি, বাংলালিংকের আট লাখ ২৮ হাজার ৯৬টি এবং টেলিটকের ৪৫ হাজার ৩৮৭টি।
১৯ এপ্রিল ঢাকা ছেড়েছে গ্রামীণফোনের পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৮টি সিম, রবির চার লাখ ১৬ হাজার ৯৫৫টি, বাংলালিংকের ছয় লাখ ৫৮ হাজার ২৫২টি, টেলিটকের ১৭ হাজার ৫৬০টি সিম।
আর ১৮ এপ্রিল গ্রামীনফোনের তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৯৫টি, রবির তিন লাখ দুই হাজার ২৮৪, বাংলালিংকের পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৯টি এবং টেলিটকের ১৮ হাজার ১৯০টি সিম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে এবার সবচেয়ে বেশি ঢাকা ছেড়েছেন গ্রামীণফোনের সিম ব্যবহাকারীরা। ছুটির মধ্যে ঢাকায় বেশি ঢুকেছেন বাংলালিংক সিম ব্যবহারকারী।
চাঁদরাত পর্যন্ত গ্রামীণফোনের সর্বোচ্চ ৩১ লাখ ১০ হাজার ১০ হাজার ৯৬৪টি সিম ঢাকার বাইরে গেছে।
আর বাংলালিংকের ১৫ লাখ ৫১ হাজার ১৯৬টি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ১২.২৮ লাখ মোবাইল সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন: মন্ত্রী
পঞ্চগড়ে বেক্সিমকোর টাকা আত্মসাৎ মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে ঢাকা-পটুয়াখালীর ৪ উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে ঈদযাত্রীরা
মোটা অঙ্কের চাঁদা না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালীর বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা-দুমকি উপজেলায় ঢাকাগামী বাস ঢুকতে দিচ্ছে না বলে জেলা বাস মালিক সমিতি বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ২২ বছর ধরে এ রুটে দুরপাল্লার বাস চলাচল করলেও পদ্মাসেতু চালুর পর রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে বাস বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ সাধারণ যাত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০০ সালের শুরুর দিকে বাউফল-গলাচিপা-দশিমনা ও দুমকি সড়কে ঢাকাগামী বাস সার্ভিস চালু হয়। এ রুটে সাধারণ যাত্রীসহ মালামাল (কাঁচামাল, মাছ) পরিবহন করত বাসগুলো।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে পটুয়াখালীর পায়রা (লেবুখালী) সেতু ও গত বছরের জুন মাসে পদ্মাসেতু চালুর পরে এ রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে আসে নতুন দিগন্ত। দিবা ও নৈশ কোচে সুগন্ধা, মুন, অন্তরা, মেঘনা, হানিফ, বেপারী, খান জাহান, চেয়ারম্যান পরিবহনসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ২৫টি বাস চলাচল করতো।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্প: আড়াই ঘণ্টায় যাতায়াত ঢাকা থেকে যশোর
পায়রা ও পদ্মা সেতু হয়ে সাড়ে চার ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছে যেত যাত্রীরা।
শুধু যাত্রী নয়, উপকূলীয় জেলার চার উপজেলা থেকে মাছসহ বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে যেত ঢাকার মোকামে। সাত মাস আগে গত বছরের আগস্ট মাসে অযৌক্তিক রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে বাউফল দশমিনা গলাচিপা ও দুমকি উপজেলায় বাস বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতি।
এতে বিপাকে পড়ে যায় সাধারণ যাত্রী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
পুটয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির নেতাদের কাছে সাধারণ বাস মালিক ও শ্রমিকেরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সমিতির প্রভাব খাটিয়ে নেতারা সাধারণ বাস মালিক ও শ্রমিকদের জিম্মি করে রেখেছেন। তাদের ইচ্ছে মত পটুয়াখালী জেলায় বাস চলে। ভয়ে তাদের খাম খেয়ালির বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্য মুখ খুলেন না।
এছাড়া কেউ প্রতিবাদ করলে বাস বন্ধ ও শ্রমিকদের চাকরি হারাতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসের মালিক ও সুপার ভাইজার জানান, লেবুখালী (পায়রা) ও পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর এ রুটে বাস যাত্রী বেড়ে যায়। এতে বাসের সংখ্যাও বাড়ে। এ বিষয়কে পুঁজি করে জেলা বাস মালিক সমিতির শীর্ষ দুই নেতা বাস প্রতি এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অনেক মালিক ওই টাকা দিতেও রাজি হয়।
তবে স্থানীয় বাস মালিক ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জেলা বাস মালিক সমিতিকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতেই বাঁধে বিপত্তি। চাঁদার টাকা না পেয়ে উপজেলা পর্যায় রুট পারমিট না থাকার দোহাই দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে করে দেয় সমিতির লোকজন।
দশমিনা উপজেলার নলখোলা বাস স্টান্ডে অন্তরা পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. চাঁন মিয়া, মুন পরিবহনের কবির মৃধা ও ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, জেলার রুট পারমিট নিয়ে সারাদেশে দুরপাল্লার বাস চলাচল করে। বাউফল-দশমিনা-গলাচিপা -দুমকি রুটে ২২ বছর ধরে বাস চলাচল করেছে। সাত মাস ধরে অযৌক্তিক রুট পারমিটের দোহাই দিয়ে বাস মালিক সমিতি এ রুটে বাস ঢুকতে দিচ্ছেন। কিন্তু একই জেলার কুয়াকাটা, মহিপুর, খেপুপাড়া, তালতলী, কলাপাড়া উপজেলায় কিভাবে ঢাকাগামী বাস চলাচল করে।
তাদের জন্য কি আইন ভিন্ন ?
পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতি খাম খেয়ালি করে বাস বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চার উপজেলার লাখ লাখ মানুষ।
তথ্য মতে, চার উপজেলা প্রতিদিন দুই হাজার যাত্রী ঢাকা যাতায়াত করতেন। বাস বন্ধ থাকায় তারা বিকল্প পথে যাতায়াত করেন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। পটুয়াখালী হয়ে বাউফল দশমিনা গলাচিপায় যেতে অতিরিক্ত টাকা ও সময় ব্যয় হচ্ছে। এছাড়াও এ রুটের বাসে কাঁচামাল ও মাছ ব্যবসায়ীরা ঢাকার মোকামে সহজে মালামাল পাঠাতো। অল্প সময়ে পণ্য ঢাকাতে পৌঁছে যেতো। এতে খরচও কম হত। বাস বন্ধ থাকায় লঞ্চে মালামাল পাঠাতে হয়। এতে সময় ও ব্যয় বেশি লাগছে। ঠিক সময় মোকামও ধরা যাচ্ছে না। পচনশীল এসব মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে মালিক সমিতির চাঁদাবাজির প্রতিবাদ ও পুনরায় বাস চালুর দাবিতে বাউফল ও দশমিনা উপজেলার সাধারণ যাত্রীরা কয়েক দফায় মানববন্ধন করলেও বাস চালুতে উদ্যোগ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাউফলের লিমন, দশমিনার সহিদ ও গলাচিপার আনোয়ারসহ একাধিক যাত্রীরা বলেন, পায়রা ও পদ্মসেতু চাল হবার পর থেকে নিজ বাড়ি থেকে কম সময় ঢাকা পৌঁছে যেতাম। ঢাকা থেকে ফিরতামও কম সময়ে। বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘসময় ধরে লঞ্চে যাওয়া আসা করতে হয়। বিকল্প পথে পটুয়াখালী হয়ে যাওয়া আসা করলে খরচ বেশি লাগে। পদ্মাসেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা।
বাউফল উপজেলার বৃহৎ বানিজ্যিক বন্দর কালাইয়ার মৎস্য আড়ৎদার মো. রেদোয়ান ইসলাম শাকিল বলেন, ঢাকার মোকামে আমরা প্রতিদিন মাছ পাঠাই। বাসে মাছ পাঠাতে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। যেকোনো সময় পাঠানো যায়। মোকামেও কম সময়ে পৌঁছে যায়। বাস বন্ধ থাকায় এখন বাধ্য হয়ে লঞ্চে পাঠাতে হয়। অনেক সময় ঢাকার বাজারে ঠিক সময় মাছ পৌঁছানো যায় না। যাতে করে মাছ পচে যায়। এতে আমাদের ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয়।
দশমিনা-ঢাকাগামী পরিবহনের মালিক অ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, দক্ষিনের দূরপাল্লার যাত্রীদের স্বপ্ন পদ্মা সেতু পারাপার হওয়া। আর সেই স্বপ্নের দ্বারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা বাস মালিক সমিতির শীর্ষ দুই নেতা।
তাদের চাহিদা পুরন না করায় আচমকা পটুয়াখালী থেকে জেলার সব উপজেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
লিটন বলেন, জেলা প্রশাসক বারবার তাগিদ দিলেও মালিক সমিতি কোন কর্নপাত করছে না। প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জের বাস্তবায়নকৃত স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ভ্রমন সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার এমন ধৃষ্টতা পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির নেই। নির্বিঘ্নে সব উপজেলায় পরিবহন চালুর জন্য তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ মৃধা বলেন, দুরপাল্লার গাড়ির রুট পারমিট জেলা শহর পর্যন্ত। এর বাহিরে উপজেলা বা ইউনিয়নে পারমিট নেই।
যার কারণি ওই সব রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে ও পটুয়াখালী জেলার বাকি উপজেলাগুলোতে কিভাবে ঢাকাগামী দুরপাল্লার বাস চলে এবং বউফল-দশমিনা- গলাচিপা- রুটে ২২ বছর কিভাবে বাস চলছিল এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমঅেবৈধভাবে বাউফল -দশমিনা-গলাচিপা-দুমকি রুটে অবৈধভাবে দুরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু করে।
এখন আর অবৈধভাবে বাস চালুর সুযোগ নেই। রুট পারমিট মেনেই বাস চলবে। আর কুয়াকাটা পর্যাটন এলাকা হওয়ায় সেখানে চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পটুয়াখালী ও বরগুনা সার্কেলের সহকারী চালক মো. আবদুল জলিল মিয়া বলেন, উপজেলা পর্যায় ঢাকার কোন বাস চলাচলের রুট পারমিট সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীতেও নেই। এমনকি নিয়ম অনুযায়ী জেলা সদর ব্যতিত কোন উপজেলায় বা ইউনিয়ন পর্যায় বাস কাউন্টারও থাকতে পারবে না। এ সুযোগ নিয়ে জেলা বাস মালিক সমিতি অবৈধ সুবিধা দাবি করে থাকেন কোচ মালিকদের কাছে।
এ বিষয় নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একাধিকবার নিস্ফল সভা হয়েছে। আগামিতে বিআরটিএর পরিচালকের সাথে বিষয়টি নিয়ে সভা করার বথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে ঢাকার যাত্রীবাহী দুরপাল্লার পরিবহনগুলো বাস মালিক সমিতির সাথে সমঝোতা করেই সারাদেশে চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে তার দপ্তরে ডেকে পাঠিয়ে আসন্ন ঈদের প্রাক্কালে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রায় পরিবহন সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও তারা সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।
এছাড়া বিষয়টি জেলা প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ: সেতুমন্ত্রী
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের দুই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
বাংলাদেশি পর্যটক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে কর্মরত দুই অভিবাসন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)।
এমএসিসির প্রধান কমিশনার আজম বাকির বরাত দিয়ে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে, দুইজনকে-একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে রিমান্ডে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের ইমিগ্রেশন অ্যাটাচে অফিসে অস্থায়ীভাবে কাজ করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।
একটি টুইটার পোস্টে্র উইসমা পুত্র (মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) বলেছেন যে এটি তার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বেসামরিক কর্মচারীদের এবং বিদেশে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক মিশনে কর্মরতদের সততার প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকায় মালয়েশিয়ান হাইকমিশন এবং মন্ত্রণালয় এমএসিসিকে তদন্তে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা দেবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১
ঢাকা বিমানবন্দরে ৮২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে তীব্র যানজট, নাকাল ঈদযাত্রীরা
ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও আশুলিয়ার বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক, নবীনগর ও চন্দ্রা মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
ফলে মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তীব্র যাজনটের সৃষ্টি হয়েছে।
একদিকে তীব্র যানজট অপরদিকে প্রচন্ড গরমে বাস যাত্রীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন: আশপাশের সড়ক বন্ধ হওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি
জানা জায়, সাভার,আশুলিয়া ও ঢাকার ধামরাইয়ে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজারের বেশী তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। যার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের বসবাস এই দুই উপজেলায়।
এছাড়া মানুষ বসবাসের সংখ্যা প্রায় কয়েক লক্ষ যার বেশির ভাগই পোশাক শ্রমিক।
গত কয়েকদিনে বেশ কিছু পোশাক কারখানা ছুটি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সকল পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে মানুষ সকাল থেকেই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন।
এই সুযোগে অনেক বাস মালিক বেশি ভাড়া নিচ্ছেন যাত্রীদের কাছ থেকে।
তবে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ার খবর পেয়ে মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে দেখা গেছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
এছাড়া যানজট এড়াতে মহাসড়কে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় মহাসড়কের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমানে মহাসড়কের পরিস্থিতি ভালো আছে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা যানজট দেখা মাত্রই কাজ করছেন।
এছাড়া কোনো বাস মালিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের সংস্কার কাজ ঈদের আগে শেষ না হলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে নিয়মিত যানজটে বিপর্যস্ত ফতুল্লাবাসী
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকায় বেড়েছে মাংসের দাম
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে গরুর মাংস ও সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে এবং সব ধরনের মুরগির দাম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে মাংসের দাম কমবে: সাঈদ খোকন
ঈদে গরুর দাম ও বহন খরচ বেড়েছে দাবি করে ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়েছে কসাইরা।
হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা ও বাসাবোসহ বিভিন্ন কিচেন মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, বুধবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও কসাইরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকা (গড়) বিক্রি করছে।
জানতে চাইলে হাতিরপুল এলাকার কসাই রতন বলেন, রমজানের প্রথম থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে যায়।
এছাড়া গরুর দাম বেশি এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই মাংসের দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
রামপুরার গরুর মাংস বিক্রেতা হাবিবও একই কথা বলেছেন।
এছাড়া প্রতি কেজি মাটন বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
গরুর মাংস কিনতে হাটে আসা শান্তিনগরের বাসিন্দা ইয়াকুব জানান, প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। ‘রমজানের শুরুতে আমি এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় কিনেছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) ৮০০ টাকায় কিনেছি। আমাদের বলার কিছু নেই।’
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, ‘গতকাল বুধবারও ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি) যা আজ প্রতি কেজি ২৬০ টাকা।’
মোরগ (সোনালী) ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সোনালী (মোরগ) মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৬০ টাকায়।
লেয়ার (লাল) প্রতি কেজি সাদা লেয়ার ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, যা বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
তবে ঈদুল ফিতর উদযাপনে নগরবাসী ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সবজির দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
করোনাভাইরাস ঢাকায় বাড়িয়ে দিয়েছে মাংসের দাম
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের সঙ্গে ইফতারে শরিক হলো জাতিসংঘ বাংলাদেশ
রমজান মাস উদযাপনকারী সকলেই পুরো মাস দিনের বেলা রোজা রাখেন এবং সন্ধ্যায় ইফতার গ্রহণ করেন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেভাবে রোজা ভাঙতেন, রোজা পালনকারীগণ সেভাবে তিনটি খেজুর খেয়ে চিরাচরিতভাবে তাদের রোজা ভেঙ্গে থাকেন। তারপর বিভিন্ন রকম খাবার সহযোগে ইফতারির পালা, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে ফল এবং বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি শরবতের মিষ্টি পানীয় ইফতার টেবিলের একটি অভিন্ন পরিবেশনা।
কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী আব্দুল্লাহ, সায়মা, আয়েশা এবং অন্যান্য অনেক শিশুর নিকট রমজান মাস হলো প্রার্থনা, রোজা পালন এবং পিয়াজু, ছোলা, জিলাপি, ইত্যাদি সহযোগে চিরাচরিত 'ইফতারি'র মাস। কিন্তু সবসময় এই ইফতারগুলোও তাদের খাবার টেবিলে স্থান পায়না।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতিসংঘ পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটানোর লক্ষ্যে বের হন। এই টিম ইফতারের জন্য ৫০০ খাবার প্যাকেট ও উপহার বাক্স শিশুদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে কড়াইল এতিমখানা, গাবতলী, কমলাপুর ও সদরঘাট - ঢাকা মহানগরীর এই চারটি স্থানে যান ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘ইফতারের সময় এই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় আমাদের সহানুভূতি ও সহায়তা শিশুদের কতটা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সন্ধ্যার ইফতার আয়োজনকে একটি বিশেষ মাত্রা দেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ ও জাতিসংঘ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী