সিইসি
ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে ভোট দানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তাহলে তা যাচাই করতে এবং আমাদের সততা পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে বা ভোট শেষ হওয়ার ঠিক পরে যে হার দেখা গেছে, তা অবশ্যই বাস্তবের সঙ্গে মিলবে না।
সিইসি জানান, চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
রবিবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এই তিনটি দলের একক প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন স্থগিত করায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রুশ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
রুশ ফেডারেশনের ইসির একজন সদস্য এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান আন্দ্রেই শুতভ বলেন, ‘রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এলা পামফিলোভার পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি এবং ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আগামী ১৭ মার্চ এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
ঢাকায় রুশ দূতাবাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এই আমন্ত্রণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে।’
কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে রুশ প্রতিনিধিদলের বৈঠকের সময় এই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করা হয় বলে উল্লেখ করেন শুতভ।
এর আগে ক্যামেরুন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, নামিবিয়া, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে ও সিআইএস ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ান ফেডারেশনের চারটি নতুন অঞ্চলের নির্বাচনে কাজ করা বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
ফেডারেশন কাউন্সিল ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
রাশিয়ান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ তিন দিনের জন্য ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদে এটিই হবে প্রথম তিন দিনের নির্বাচন।
আন্দ্রেই শুতভ বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, অনেক নাগরিকের জন্য, নির্বাচন একটি ছুটির দিন এবং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।
শুতভ বলেন, 'নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলতে গেলে আমি উল্লেখ করতে চাই, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতো আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি বড় ধরনের সুবিধা, কারণ আমরা যে ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়েছিলাম সেখানে ভোটাররা নিরাপদ বোধ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে রবিবারের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে..... এবং সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী আমরা সহায়তা পেয়েছি, তাই দলীয় সরকারের অধীনে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
ভোট গ্রহণ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্দলীয় নির্বাচন করতে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ।
সিইসি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রায় ৪০ শতাংশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
তিনি বলেন, 'আজকের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে এই বিষয়ে (চূড়ান্ত অনুমান) সব তথ্য সংগ্রহের পরে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য হবে কি না তা ফলাফল প্রকাশের পরে জানা যাবে। আপনারাই এর বিচার করবেন।’
আরও পড়ুন: রবিবারের নির্বাচন দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্য হবে: সিইসি
৪ ঘণ্টায় ১৮.৫ % ভোট পড়েছে: ইসি সচিব
দ্বাদশ জাতয়ি নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে তিনি ভাবছেন না।
ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আউয়াল বলেন, 'ভোটার উপস্থিতি কম নাকি বেশি সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ভাবছি না। আমার কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করা।’
কম ভোটার উপস্থিতি ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতার মধ্যে দিয়েই রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।
ঢাকা, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, ভোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনাসহ ইউএনবির সারাদেশের সংবাদদাতারা প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া দেশজুড়ে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোট দিতে কোনো চাপ নেই, তবে 'একটি দলের' লিফলেটে না দিতে বলা হয়েছে: সিইসিকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র সচিব
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল স্পষ্ট করে বলেছেন, ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য কোনো চাপ নেই, তবে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণের বিষয়ে চাপ দেখা যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সিইসিকে উদ্ধৃত করে বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চাপ নেই, এমনকি তার কাছেও এমন কোনো প্রমাণ নেই।’
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার চাপের বিষয়ে এক কূটনীতিক তার বক্তব্য জানতে চাইলে সিইসি এ কথা বলেন।
এর জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন বর্জনকারী একটি রাজনৈতিক দলের (বিএনপি) লিফলেট বিতরণ এবং জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানানোর বিষয়ে জানান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অর্ধশতাধিক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সিইসি আউয়াল ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে একটি আপডেট দেন, এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য এ ধরনের সুযোগ বিরল।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ব্রিফিং কূটনীতিকদের তাদের বিস্তৃত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ দেশকে নির্বাচন সম্পর্কে জানাতে সহায়তা করবে।
মাসুদ মোমেন বলেন, কূটনীতিকরা ইসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং ঘন ঘন আদান-প্রদানের মাধ্যমে তাদের আপডেট রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কূটনীতিকদের সব তথ্য জানানো হয়েছে এবং এ কারণেই খুব বেশি প্রশ্ন করা হয়নি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। তারা সুবিধাজনক মনে হলে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
সফলভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে তা নিশ্চিত করেছে ইসি।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে যাবে।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রার্থী এবং পরবর্তী সময়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে ১০ দিন আগে অথবা ১০ মাস আগেও যদিও যায়, তাহলেও প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে সকালে ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি না সেটি দেখে তারপর বাক্স বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রে অবৈধ কোনো ব্যালট বাক্স ঢোকার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জনের জন্য বলেছি ব্যালট পেপার সকালে পাঠাব।’ তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি না। তারা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির তিনি আরও বলেন, ‘আর মাঝখানে যদি কোনো পেশীশক্তির উদ্ভব ঘটে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বলা হয়েছে তিনি ভোট বন্ধ করে দেবেন। তিনি যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে বন্ধ করে দেবো।’
সিইসি বলেন, ‘কথাগুলো বললাম কারণ আমাদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে একটা অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটি যাতে দূর হয়। আমরা নির্বাহী প্রশাসন ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছি। এখানে ওসি, ইউএনও, ডিসি ও এসপিদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ভালো।’
ভোট নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কতগুলো বক্তব্য আমি আরও ৬টি স্টেশনে ঘুরে শুনেছি। একটি কথা কয়েকজনে বলেছেন ভোট দিয়ে কী লাভ, ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখেও বলেছেন, আপনারা যে যেখানে ভোট দেন, ভোট জায়গামতো চলে আসবে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এটি হয়তো ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই দেন সেখান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আওয়াল।
শুক্রবার যশোরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশ দেন তিনি।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভা শেষ হয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে। এরপর ১২টা ৫৫ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কীভাবে কাজ করছেন। কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়ছেন কি না। পড়লে সেগুলো কী ধরনের সমস্যা।
হাবিবুল আওয়াল আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। ঠেকাতে হবে সব ধরনের কারচুপি ও দখলদারিত্ব। এক্ষেত্রে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
সিইসি বলেন, কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচন মূলত রিটার্নিং অফিসাররা পরিচালিত করেন। এ কারণে তাদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সব ধরনের দায়িত্ব তাদের।
দেশের বিভিন্নস্থানে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, হয়তোবা দুই-একটি ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যাপকভাবে যাতে সহিংস ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে।
একইসঙ্গে কমিশনের দৃষ্টিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
সিইসির যশোরে আসা উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
মতবিনিময় সভাস্থল যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
সবাই বিএনপিকে অংশ নেওয়ার কথা বললেও তারা ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবাই মনে করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক ভালো হতো, কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) বারবার আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি দলটি।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। বিএনপি অংশ নিলে অনেক ভালো হতো। আপনারা জানেন, আমরা শুরু থেকেই তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, টোকিও ও দূতাবাসের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নিয়ে জাপান আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
তিনি ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের নির্বাচনকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
হাবিবুল আউয়াল জানান, আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে তারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান।
তিনি বলেন, দাতা দেশগুলো আগামী নির্বাচনের দিকে চোখ রাখছে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
চট্টগ্রামে সিইসির কুশপুত্তলিকা দাহ
এক তরফা নির্বাচন বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চট্টগ্রামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) চলমান ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রামে মহানগরীর চান্দগাঁও আরকান সড়কে মিছিল শেষে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের নেতৃত্বে যুবদলের নেতা-কর্মীরা ইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরল উদাহরণ বাংলাদেশ: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় যুবদল নেতারা বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই মুখ্য। কিন্তু বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে পক্ষপাতদুষ্ট এই কমিশন ইনিয়ে-বিনিয়ে জাতিকে ধোকা দিয়ে একটা প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণার জোর দাবি জানান।
এসময় মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড যুবদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজার পরিস্থিতি 'মুক্ত পৃথিবীর' নেতাদের সহায়তায় জাতিগত নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ
এদিকে অষ্টম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী মো. সেলিম উদ্দিন এর নেতৃত্বে এবং যুবদলে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
বিএনপি নির্বাচনে যোগ দিতে চাইলে আগামী সাধারণ নির্বাচনে পুনঃতফসিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন পেছানোর কথা বলতে পারছি না, তবে আমাদের নির্বাচন কমিশনারেরা (ইসি) বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে পুনঃতফসিল করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে বারবার অনুরোধ করলেও বিএনপি রাজি হয়নি।
সিইসি বলেন, ‘এখনও সময় আছে এবং সমঝোতার মাধ্যমে এটি আমাদের জন্য সহজ হতে পারে। আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই বলে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে এলে এটা পুরো জাতির জন্য আনন্দের বিষয় হবে বলে আমি আশা করি।’
নির্বাচন পুনঃতফসিল করার পর তাদের (বিএনপি) স্থান দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের স্বার্থে যা ভালো করা উচিৎ আমরা তাই করব এবং আমাদের এখতিয়ার অনুযায়ী সবকিছু করব।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি