জঙ্গিবাদ
‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’ রুখে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ইআরডিএফবির
এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) জানিয়েছে, হরতাল-অবরোধে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধের চেয়ে জঘন্য অপরাধ করছে।
একইসঙ্গে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’ রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ইআরডিএফবি।
এ ছাড়া যারা এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: ইআরডিএফবি
‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির’ প্রতিবাদে শনিবার (১১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় ইআরডিএফবি।
মতবিনিময় সভায় সংগঠনের নেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েও হরতাল-অবরোধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা যথা সময়ে হবে কি না- এই সংশয়ে রয়েছেন। এতে করে তাদের মানসিক চাপ বাড়ছে এবং প্রত্যাশিত ফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতে নির্ভয়ে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সেজন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান শিক্ষকরা।
একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি’রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে সভায় বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির মদদ যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
সভায় বক্তব্য দেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এমদাদুল হক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহবুবুর রহমান, চাঁদুপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাসিম আক্তার, বাংলাদশে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. শাহ আলিমুজ্জামন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. অলোক কুমার পাল।
সভায় বক্তব্য আরও দেন- বাংলাদশে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপউপাচার্য ড. মোকাদ্দেম হোসেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. আবুল কালাম আজাদ, শেকৃবির সাবেক উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহম্মাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিন্নাত হুদা, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামীম আরা হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরবিশে সৃষ্টি করে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের অপরাজনীতি ও বিদেশিদের প্রতি নির্ভরতা দেশের মানুষের প্রতি আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এসব শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে তরুণ সমাজ গণতন্ত্রের বিজয় উৎসব উদযাপন করবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস অন্যায়ের সম্মুখীন কি-না মূল্যায়নে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, আগামী শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকার সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন আরা লেখাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায, উপউপার্চায, কোষাধ্যক্ষ, ডিন, অধ্যাপক, বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং সব র্পযায়ের দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদরা অংশ নেবেন বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সভাপতিত্ব করবেন।
এতে আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ও ইআরডিএফবির সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: ইআরডিএফবি
নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে পশ্চিমা ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সরকার নিরপরাধ মানুষকে তুলে নিয়ে তাদের জঙ্গি হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা কয়েকদিন আগে দেখেছেন যে গভীন জঙ্গল উল্লেখ করা একটি এলাকা থেকে কিছু সাধারণ ও নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি বলে তুলে নিয়ে আসা হয়।’
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধ আছে তা দেখানোর জন্যই সরকার এটা করেছে। আর জঙ্গিদের দমন করতে শুধু তাদের (আওয়ামী লীগ সরকার) প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ জঙ্গি, তারা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও ধ্বংস করছে এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের তকমা চাপিয়ে দিয়ে তাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ… এটা কোন পাপ বা অপরাধ নয়। সরকার ধর্ম পালনকারীদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে।’
জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমেদের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে এবং সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের জাতির অস্তিত্ব এখন নির্ভর করছে আমরা ফ্যাসিবাদকে সরাতে পারি কি না তার ওপর।
তিনি বলেন, এটা উৎসাহব্যঞ্জক যে জনগণ বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে ও জেগে উঠছে এবং এক বছরে ২২ জন মানুষ সড়কে জীবন উৎসর্গ করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে অবশ্যই ফ্যাসিবাদীদের দমন করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার একটি বাসা থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ নেতাকে তুলে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পর ৩টি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার সাজানো নাটক: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মনে হয় ২০/২৫ বছর ধরে ওই অস্ত্রগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে ছিল এবং সেখান থেকে সেদিন আনা হয়েছিল। এই মিথ্যা প্রচারণা মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা। তারা মনে করে সব দেশের মানুষ বোকা, কিন্তু সবাই বোঝে যে তারা (সরকার) এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের পরিবারকে খুনি বলে অভিহিত করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল এখন কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং সংসদ ভেঙে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরোধী নির্মূল কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক: ফখরুল
প্রধানমন্ত্রী দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে শান্তির দেশে পরিণত করেছেন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে খামারবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় কৃষক লীগ আয়োজিত এডিস মশা নিধন ও সচেতনতা তৈরি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের নিজেদের বাড়ির উঠান পরিষ্কার রাখতে পারি তাহলে আমরা ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাব।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু একটি মৌসুমি রোগ, একটি মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এডিস মশা নিধনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: মানবপাচার বন্ধে ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবারের সংঘর্ষ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৭০০ মানুষ গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আ. লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কলকাতা প্রেসক্লাবে 'সাংবাদিকদের মুখোমুখি' অনুষ্ঠানে ভারতীয় সাংবাদিকদের উন্মুক্ত প্রশ্নের জবাব দেন ভারত সফররত মন্ত্রী হাছান।
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এখানে সাম্প্রদায়িকতা ফণা তুলবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিং প্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিতো। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।'
তিনি বলেন, 'যখন আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করি তখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রকাশ্যে বলছেন, 'কিছু লোককে ধরে এনে আটকিয়ে রাখা হয়, চুল-দাড়ি লম্বা হলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়'। বাংলাদেশে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকে তাহলে সেই সাম্প্রদায়িকতা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।'
নিজদলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সেই সাম্প্রদায়িকতাকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর ধর্মীয় রাজনীতিটা বন্ধ করা হয়েছিলো, সেটি '৭৫ সালে আবার চালু করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপির বহুদলীয় জোটের মধ্যেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আছে। সেখানে অনেক দল আছে যে দলের নেতারা তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। এ সমস্ত অনেক নেতা প্রকাশ্যে 'বাংলা হবে তালেবান' স্লোগান দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না -এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, 'বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমন কি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি নেতাদের বেশিরভাগই নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু তাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত দিতে পারে না বিধায় তারা পারে না। যারা নিজেদের জনগণের দল হিসেবে দাবি করে বা গণমানুষের দল হিসেবে টিকে থাকতে চায় তাদের জন্য ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা অত্যন্ত ক্ষতির কারণ। আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে তাহলে সেই ক্ষতি তারা আরও টের পাবে।'
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি চট্টগ্রামের মানুষ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বহুবার গিয়েছি, আমার হিসেবে এখন প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ। আমাদের দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, কোনো রকমে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের জন্য একটা চাপ, অর্থনীতির চাপ। তাদের খাওয়াতে হচ্ছে, পরাতে হচ্ছে, চিকিৎসাসহ সবকিছু দিতে হচ্ছে। এ জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা সবসময় আলাপ আলোচনা করছি।'
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশের সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসঙ্গে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দু’দেশের সহযোগিতা।
ইদানিং মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে কূটনীতিকদের বিবৃতি দিতে দেখা যাচ্ছে -মন্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতে কিংবা পশ্চিমা দেশেও কথায় কথায় কেউ বিবৃতি দেয় না। কারণ তাতে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন হয়। আমাদের এখানে এ ধরনের বিবৃতির কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়েছে।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এ আয়োজনে অংশ নেন। কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অপরাধ থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করুন: তথ্যমন্ত্রী
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়ে আপনাদের সকলকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গার হাটস্থ টিটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সন্তানরা যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয় সেজন্য তিনি সকল অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই স্কেলে তুলনা করার বিষয়ে প্রবল আপত্তি করে তিনি বলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে বিএনপির সঙ্গে তুলনা করেন, আবার কেউ বলেন বড় দুই দল।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং বাকি আসনে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করেছিল।
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কিভাবে এই দুই দল এক হতে পারে?’
তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে দেশ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা ও পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘তারা মানুষকে কিছুই দেয়নি, তারা শুধু জনগণের অর্থ লুট করেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের দলের গঠনতন্ত্রও মানে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা দলকে নেতৃত্ব দিতে পারে না।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘বিএনপি একজন নেতাও কি পায় না যে অন্তত সাজাপ্রাপ্ত আসামি নন?’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলের নেতৃত্বে বিএনপি চলছে, দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, ‘যারা নিজের দলের গঠনতন্ত্র মানে না, নিয়ম মানে না, আইন মানে না, সেই দলের সঙ্গে কীভাবে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে।’
তিনি বলেন, যারা ওই ‘বড় দুই দল’ বলেন, তারা ভুল করেন।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতায় রয়েছে ঈর্ষনীয় সফলতা। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশে যেসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মতৎপরতা দেখা দিয়েছিল, তা পুলিশ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।
আরও পড়ুন: আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ বাড়ল দেড় বছর
শুক্রবার সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা ক্যাম্পাসে নবনির্মিত ভবন স্টুডিও এপার্টমেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ওইসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
আইজিপি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে পার্বত্য জেলা বান্দারবানের গহীন জঙ্গলে অনেক শক্তিশালী সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়েছিল, বাংলাদেশ পুলিশ তাও সফলভাবে প্রতিহত করেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি বলেন, আমি যখনই শাল্লায় আসি, মা ও মাটির গন্ধ পাই। আমি শাল্লার সন্তান, এখানের কাদামাটি, আলো-বাতাসে বড় হয়েছি। দিনের পর দিন হাওরের মুক্ত বাতাসে চষে বেড়িয়েছি। তাই শাল্লা নিয়ে আমি সর্বদাই গর্ববোধ করি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে শাল্লার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন। পরে শাল্লা থানা পুলিশের আবাসিক ভবন স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট উদ্বোধন শেষে দুপুর ১২টায় নিজ বাড়ি শ্রীহাইল গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি
বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
জঙ্গিবাদ ইসলামের মর্যাদা বাড়ানোর পরিবর্তে অসম্মানিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে নির্দেশনা দিতে আলেম ও ওলামাদের (ইসলামী পণ্ডিতদের) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধনের সময় বলেন, ‘এগুলো পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করছে।’
তিনি সবাইকে, বিশেষ করে শিশুদেরকে জঙ্গিবাদে না জড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ইসলামকে মর্যাদা দেয়ার পরিবর্তে অসম্মান করছে।’
শিশু ও যুবকরা জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইসলামের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা অপশিক্ষা, মতভেদ, দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুছে দিয়ে আমাদের সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষ ইসলামী মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করবে।
এটি ধর্মের নামে বিভ্রান্ত না হওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে ব্যাপক অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ইসলামের নামে কেউ যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেজন্য সরকার মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদর্শ মসজিদ ইসলাম সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি করবে-যা শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের ধর্ম।
তিনি বলেন, ‘এটি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও নারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করতে সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে ইসলামিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রকৃত জ্ঞান প্রদান করবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামের মর্মবাণী প্রচারে আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আলেম ও ওলামাদের ‘ওরাসাতুল আম্বিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ মসজিদের খতিব ও ইমামদের সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত করুন কেউ যেন আমাদের ধর্ম ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। আপনারা আপনাদের প্রতিদিনের খুতবা ও জুমার খুতবার মাধ্যমে মাদকাসক্তি, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, খাদ্যে ভেজাল এবং দুর্নীতির মতো সামাজিক ব্যাধিতে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মানুষকে শিক্ষিত করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ধর্মকে ব্যবহার করে নির্যাতন ও নিপীড়নের অবসান ঘটানো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম সব ধর্মের মানুষের জন্য অবাধে ধর্ম পালন নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় ও মতামত নির্বিশেষে প্রতিটি ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে পারি।”
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই ‘ইসলামের সেবক’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেস, জুয়া ও মদ বিক্রি বন্ধ করেছিলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামকে সমুন্নত রাখতে বঙ্গবন্ধু মাদরাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ইজতেমা মাঠের জন্য জমি বরাদ্দ করেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং দেশকে ওআইসি’র সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।’
জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে তিনি বলেন, ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় তারা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০০টি মডেল মসজিদ খুলেছেন এবং বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া হবে।
সরকার এখন প্রতি উপজেলায় তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং প্রতি জেলায় চারতলা মসজিদ নির্মাণ করছে।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন।
কুমিল্লা জেলার রাজশাহী, শরীয়তপুর ও চৌদ্দগ্রাম থেকেও কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ নির্মূলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বর্তমান সংসদের ২১তম অধিবেশনে ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং তাদের সকল আশার কেন্দ্র হলো মহান জাতীয় সংসদ।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধি, তাই জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী চক্রান্ত রোধ করুন: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়নকে গতিশীল করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শকে গ্রহণ করতে হবে।
তিনি পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও গর্বের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন। কারণ, এটি নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এবং ২০২২ সালের ২৫ জুন, উদ্বোধন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এতে সরাসরি উপকৃত হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাল্টি-লেন টানেলের দক্ষিণাঞ্চলীয় টিউব নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।’
শিগগিরই টানেলটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হবে বলেও তিনি আশাবাদী।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম মেট্রো ট্রেন চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
২০২২ সালকে চ্যালেঞ্জের বছর হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, জাতি ও সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ আমাদের অগ্রগতির গতি কমিয়ে দিয়েছে।’
হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ১৬ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন, যা সন্তোষজনক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিকের জন্য পেনশন চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জঙ্গিবাদে জড়ানোর জন্য বাড়ি ছাড়া পাঁচজনকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার: র্যাব
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ থেকে তিন যুবকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের সময় চরমপন্থী বার্তার লিফলেট, বই জব্দ করার দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)।
জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়ার জন্যই তারা বাড়ি ছাড়া হয়েছিল বলে সোমবার র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন জেলা থেকে নিখোঁজ মোট ৫৫ জনকে শনাক্ত করেছেন, যারা জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দেয়ার জন্য বাড়ি ছেড়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে দু’জন তুলনামূলকভাবে সিনিয়র, জঙ্গি গোষ্ঠীর মদতদাতা এবং তহবিল সরবরাহকারী হিসেবে গ্রুপের সঙ্গে কাজ করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কুমিল্লার শাহ মো. হাবিবুল্লাহ (৩২) ও নেয়ামত উল্লাহ (৪৩), নোয়াখালীর নিখোঁজ যুবক সাইফুল ইসলাম (১৯) ও মো. হোসেন (২২) এবং ঢাকার রাকিব হাসনাত নিলয় (২৮)।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার ১৩
এর আগে ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর উপজেলা থেকে আট যুবক নিখোঁজ হয় এবং দু’দিন পর এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়। এরপরেই র্যাব ভিকটিমদের উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা তদন্ত শুরু করে।
গত ১ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ যুবকদের একজন শারতাজ ইসলাম নিলয়(২২) বাড়ি ফেরেন।
গত ৬ অক্টোবর নিলয়কে জিজ্ঞাসাবাদে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিখোঁজ চার যুবকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, প্রথমে সংগঠনটির সদস্যরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যুবকদের টার্গেট করতো।
পরবর্তীতে তারা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিভিন্ন ভিডিও দেখিয়ে যুবকদের চরমপন্থায় উস্কে দেয় এবং সশস্ত্র হামলার জন্য তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
গ্রেপ্তার হওয়া হোসেন এক বছর আগে বাড়ি থেকে চলে যায়, সাইফুল দেড় মাস আগে আর রাকিব দুই মাস আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, নিখোঁজ যুবকদের সশস্ত্র হামলার প্রশিক্ষণের জন্য পটুয়াখালী ও ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
যুবকদের পটুয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন চর এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সেফ হাউসে রেখে শারীরিক কসরত ও জঙ্গিবাদ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, আড়ালে থাকার কৌশল হিসেবে, তাদের রাজমিস্ত্রী, চিত্রশিল্পী, ইলেকট্রিশিয়ানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সাবেক সেনা সদস্য খুন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২
কমলাপুরে ট্রেনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫