দিল্লি
উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির সরদার প্যাটেল ভবনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
চলমান এই সফরে সেই বিষয়টিই প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পরে বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পুনর্বাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন সন্ধ্যায় দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এই সফরে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথাও রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, 'শিগগিরই দিল্লিতে আপনাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি।’
জয়শঙ্কর বলেন, উগান্ডার কাম্পালায় বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় দেশের মন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন নয়াদিল্লি সফর নিয়েও আলোচনা করেন।
১৯-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন হাছান মাহমুদ।
আগামী ২১-২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জি-৭৭’র দক্ষিণ সম্মেলনে (সাউথ সামিট) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বও দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত এবং কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ তারেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সফরের আলোচ্যসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি উল্লেখ করে ১৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ড. মাহমুদ বলেন, 'এটি তিন দিনের সফর হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করবেন।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনই এ বিষয়ে যাবে না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর
জয়শঙ্কর এর আগে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এ আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তাকে বলেন, তিনি শিগগিরই দিল্লি সফর করবেন।
প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর: ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাচ্ছেন হাছান মাহমুদ
দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর করছেন ভারতে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,‘এটি তিন দিনের সফর হতে পারে।’সফরের আলোচ্যসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করবেন।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনই কিছুই ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এর আগে উভয়ের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান জয়শঙ্কর।
সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে এই আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সে সময় আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শিগগিরই দিল্লি সফর করবেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গতকাল রাতে উগান্ডায় বহুপক্ষীয় সফরে যাওয়ার কথা ছিল মাহমুদের। ঘণ্টা দুয়েক পর তিনি জানতে পারেন, কুয়াশা ও দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান ছাড়ছে না। ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকটি ছিল হাছান মাহমুদের প্রথম কূটনৈতিক ব্যস্ততা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক এবং সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন হাইকমিশনার।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং ঢাকা সফররত বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা
গ্লোবাল ইকোনমিক পলিসি ফোরামে সালমান এফ রহমান
বর্তমান সময়ে বিদ্যমান নানামুখী সংকটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধির কৌশল নির্ধারণের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী গ্লোবাল ইকোনমিক পলিসি ফোরাম।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (৭-৮ ডিসেম্বর) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনীতিবিষয়ক বিভাগ এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) যৌথ উদ্যোগে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামটির সভাপতিত্ব করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমন।
আয়োজিত ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বিশেষজ্ঞ প্যানেল সদস্য হিসেবে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
বাংলাদেশ কীভাবে দ্রুত অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক সমৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য সালমান এফ রহমানকে ফোরামে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন যাত্রা থেকে অনুপ্রেরণা’- শীর্ষক সেশনে ভাষণ দেন।
বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহ কী ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে পারে, সে সম্পর্কে আলোচনা ছিল সেশনের প্রধান উদ্দেশ্য।
সালমান এফ রহমান সেশন সঞ্চালক ও অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
স্বপ্ন যখন বিদেশ ভ্রমণের, তখন তা পূরণের মূল্যও দুর্গম সীমান্ত অতিক্রমের সমান। আপন দেশ থেকে যতটা দূরে সেই জায়গাটি, ভ্রমণ খরচটাও যেন ঠিক ততটা প্রকাণ্ড হয়ে সামনে আসে। কিন্তু প্রকৃতিপ্রেম বলে কথা; অকৃত্রিম এই আদিম প্রবৃত্তি যেন কিছুতেই ম্লান হবার নয়! অনেকেই খুঁজে বেড়ান, কোথায় সাধ্যের মধ্যে বিদেশ বিভূয়ীয়ের স্বাদ পাওয়া যায়। তাদের জন্যই আজকের ভ্রমণ কড়চা। এখানে একত্রিত করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মন্ত্রমুগ্ধ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। আলোচনা করা হয়েছে খুব অল্প বাজেটে কীভাবে এই গন্তব্যগুলোতে বিচরণ করবেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই- মাত্র ১০ হাজার টাকা বাজেটে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন।
১০ হাজার টাকায় দেশের বাইরে ভ্রমণের ১০টি দর্শনীয় স্থান
চেরাপুঞ্জি
মহকুমা শহটির স্থানীয় নাম সোহরা, যার অবস্থান ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড়ে। এখানকার চেরাপুঞ্জি গ্রাম, সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হওয়া মওসিনরাম, ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ, মোসমাই কেভ, মকডক ভিউ পয়েন্ট বহিরাগতদের প্রধান আকর্ষণ। ঝর্ণার মধ্যে মুগ্ধতা ছড়ায় নোহকালীকাই ফলস, থাংখারাং পার্ক, মোসমাই ফলস, কালিকাই ফলস, রেইনবো ফলস, ক্রাংসুরি ঝর্ণা, এবং সেভেন সিস্টার্স ফল্স।
সোহরায় যেতে হলে ঢাকা থেকে প্রথমে ট্রেনে করে সিলেট পৌঁছে সেখান থেকে বাসে তামাবিল যেতে হবে। ঢাকা থেকে সিলেট রেলপথে সর্বনিম্ন ভাড়া প্রায় ৪০০ টাকার কাছাকাছি, আর সিলেট থেকে তামাবিলগামী বাসে নিবে ৩৫ টাকা।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
তামাবিলে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ অভিবাসন এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারত কাস্টমসে চেকিং শেষ করতে হবে। তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সি বা মিনি বাস ডাউকি বাজার দিয়ে নিয়ে যাবে শিলং। শিলংয়ের ওয়ার্ড্সলেকের গেট পার হয়ে কিছুটা সামনে এগোলেই চেরাপুঞ্জি।
সোহরা মার্কেটের সোহরা প্লাজার হোটেলগুলো কম খরচে থাকার জন্য বেশ ভালো। এ ছাড়া নৈংরিয়াত গ্রামেও হোম স্টে-র ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখানে ৪ জনের জন্য রুম ভাড়া পড়তে পারে ১ থেকে দেড় হাজার রুপি, যা প্রায় ১ হাজার ৩৩০ থেকে ২ হাজার বাংলাদেশি টাকার সমান (১ রুপি = ১.৩৩ বাংলাদেশি টাকা)। খাবার খরচ একদিনে জনপ্রতি ১৬০ থেকে ২০০ রুপি (প্রায় ২১৫ থেকে ২৬৬ টাকা) পড়তে পারে।
সব মিলিয়ে, প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় ৩ দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে শিলং দিয়ে চেরাপুঞ্জি ঘুরে আবার ঢাকায় ফিরে আসা যাবে।
দিল্লি
যমুনা নদীর তীরে এই রাজধানী শহরটি একই সঙ্গে ধরে রেখেছে পরিব্রাজকদের জনপ্রিয়তা ও নিজস্ব প্রাচীনতা। দিল্লির জামে মসজিদ, কুতুব মিনার, চাঁদনী চক বাজার, ইন্ডিয়ান গেট, লাল কেল্লা, সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি জনবহুল শহরটির সেরা দর্শনীয় স্থান।
স্বল্প খরচে দিল্লি দর্শনের জন্য ঢাকাবাসীদের প্রথমে বাসে করে কলকাতায় আসতে হবে। নন এসি কোচে একজনের জন্য খরচ নিবে ৮৯০ থেকে ৯০০ টাকা। এবার কলকাতার হাওড়া গিয়ে সেখানকার রেল স্টেশন থেকে দিল্লির ট্রেনে ধরতে হবে। ননএসি স্লিপারের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৬৫০ থেকে ৭০০ রুপি (প্রায় ৮৬৫ থেকে ৯৩১ টাকা)।
দিল্লির মোটামুটি সব দর্শনীয় জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে ২দিনই যথেষ্ট। এর জন্যে কোনো ট্যুর এজেন্সির সাইট সিইং প্যাকেজ নেওয়াটা উত্তম। এগুলোতে একজনের জন্য ডে ট্যুরের প্যাকেজ থাকে সাধারণত ৩০০ থেকে ৫০০ রূপির (প্রায় ৩৯৯ থেকে ৬৬৫ টাকা) মতো।
এখানে খাবারের জন্য গড় খরচ প্রতিদিন ৩৯০ রুপি (প্রায় ৫১৯ টাকা)। পাহাড়গঞ্জে ৫০০ থেকে ৬৫০ রুপির (প্রায় ৬৫৫ থেকে ৮৬৫ টাকা) মধ্যে ডাবল-বেডের রুম পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
ঢাকা-দিল্লি বন্ধন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হয়েছে: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে একটি মডেলে পরিণত হয়েছে।
লন্ডনে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, দুই দেশ স্থল ও সামুদ্রিক সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।
লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে সাংবাদিক লিওনেল বারবারের সঙ্গে আলাপকালে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
জয়শঙ্কর সংযোগ সহযোগিতা, জ্বালানি সরবরাহ ও বন্দরের ব্যবহার তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বুধবার যুক্তরাজ্যে তার পাঁচ দিনের সফর শেষ করেছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেছেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের 'টু প্লাস টু' সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। 'টু প্লাস টু' সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সে আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে, না আসবে তা এই দু’দেশের নিজস্ব ব্যাপার।
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে কোনো বার্তা পেয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, আপনারা জানেন তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অগ্রগতি হলে তা যথাসময়ে আমরা আপনাদের জানাব।
বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘খুব স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছে দিল্লি: কোয়াত্রা
ভারত আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ভারত ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচন ঢাকার অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের জনগণ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ২+২ পঞ্চম বার্ষিক মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপের পর মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কোয়াত্রা।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বিস্তৃতভাবে আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশ নিয়ে যা কিছু উদ্বিগ্নতা, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছি আমরা।’
২+২ বৈঠকে সাধারণত উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি বিশেষ করে দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন মার্কিন পক্ষ থেকে প্রধান অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদি আলোচনার পর ঢাকা-নয়াদিল্লি ৩ সমঝোতা স্মারক সই
মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময়, ২+২ সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করা ভারতের কাজ নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল দেশ গঠনে দেশটির দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করে যাবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিও বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারত বলেছে তারা একটি ‘স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল’ জাতি গঠনে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি।’
বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে চিত্র তুলে ধরলেন সেসব সম্পূর্ণই আপনার বর্ণনা, আমার নয়।
মুখপাত্র বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রশ্নকারী সাংবাদিককে বলেন, ‘ক্র্যাকডাউন, কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা, ইত্যাদি আপনার ব্যাখ্যা। অনুগ্রহ করে সেগুলো আমার কাছে বর্ণনা করবেন না।’
তিনি জানান, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চান না।
তিনি আরও বলেন, যেমনটি আমি বলেছি, বাংলাদেশে নির্বাচন তাদের ঘরোয়া বিষয়।
আরও পড়ুন: ‘হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে’ মার্কিন পদক্ষেপ দ. এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়: ওয়াশিংটনকে দিল্লি
বাংলাদেশ-ভারত কৌশলগত সংলাপ দিল্লিতে শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: বাংলাদেশকে ২৮০ রানের টার্গেট দিল শ্রীলঙ্কা
দিল্লিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আইসিসি বিশ্বকাপে তাদের সব উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৭৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে প্রথমে বল করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। তার ওভারের শেষ বলে কুশল পেরেরার প্রান্ত প্রথম স্লিপে চলে যাওয়ায় একটি চমকপ্রদ ক্যাচ তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। এক হাতে ক্যাচ নিতে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুশফিক।
১০০ রানের পৌঁছানোর আগেই আরও দুটি উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ছয় নম্বরে নামেন, কিন্তু একটি বলও মোকাবিলা করার আগেই প্রস্তুত হতে দুই মিনিটেরও বেশি সময় নেন তিনি, যার ফলে ‘টাইম আউট’ আউট হয়ে যান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার এরকম আউট দেখল বিশ্ব। যখন একজন ব্যাটার ক্রিজে আসার দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে না পারতেই ‘টাইম আউট’ হয়ে যান।
ম্যাথুস তার হেলমেটের স্ট্র্যাপ নিয়ে সমস্যার কথা জানান, যার ফলে বিলম্ব হয়। তিনি এটি সঠিকভাবে বেঁধে রাখতে না পেরে একটি নতুন হেলমেটের অনুরোধ করেছিলেন। যখন তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ততক্ষণে দুই মিনিট কেটে গেছে এবং বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান 'টাইম আউট’র আবেদন করেছিলেন। আর তাই কোনো বল মোকাবিলা না করেই শূন্য রানে আউট হন ম্যাথিউস।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
এই বিপর্যয় সত্ত্বেও, আসালাঙ্কা তার মনোবল বজায় রাখেন এবং সেঞ্চুরি করেন। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করেই শ্রীলঙ্কার মোট সঞ্চয় তিনশ’র কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
আসালাঙ্কা ১০৫ বলে ১০৮ রান করে, যার মধ্যে ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা ছিল।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে ৮০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন।
ডানহাতি এই পেসারকে ম্যাচে নিতে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানকে। এ ছাড়া, শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান দুটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা উভয়ই বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচ খেলেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ একটিতে জয় পেয়েছে এবং শ্রীলঙ্কা দুটিতে জিতেছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: দিল্লির বাতাস বিপজ্জনক, ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
দিল্লিতে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ এর সোমবারের (৬ নভেম্বর) ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগে দিল্লির বাতাসের মান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
এই বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচ খেলে ছয়টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, আর শ্রীলঙ্কা পাঁচটিতে হেরেছে।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে, যেখানে শ্রীলঙ্কার এখনও সুক্ষ আশা রয়ে গেছে। যদিও তা অন্যান্যদের ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: দিল্লির বাতাস বিপজ্জনক, ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ
আজকের ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দিয়েছে এবং তার পরিবর্তে তানজিম হাসান সাকিবকে একাদশে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই ম্যাচে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে তানজিম সাকিবের।
বাংলাদেশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা: পথুম নিসাঙ্কা, কুসল পেরেরা, কুসল মেন্ডিস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চরিথ আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, মহেশ থেকশানা, কাসুন রাজিথা, দুশমন্থা চামেরা ও দিলশান মধুশঙ্কা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানের কাছে হেরে টানা ষষ্ঠ পরাজয় বাংলাদেশের
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ৩ উইকেটের পতন বাংলাদেশের
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: দিল্লির বাতাস বিপজ্জনক, ঘনিয়ে আসছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ম্যাচ শুরু হতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। কিন্তু দিল্লির বাতাসের মান এখনো বিপজ্জনক। আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী, ২০০-এর কম একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) স্কোর ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। ম্যাচ ঘনিয়ে আসলেও দিল্লির একিউআই ৪০০ এর ওপরে রয়েছে।
এই পরিস্থিতির আলোকে আইসিসি কি নৈতিকভাবে খেলোয়াড়দের এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ ম্যাচে খেলতে বাধ্য করতে পারে? দিল্লির তীব্র বায়ু দূষণের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্নটি আরও বড় হয়ে উঠেছে।
এর আগে বায়ুমানের কারণে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ উভয় দলের খেলোয়াড়রা তাদের অনুশীলন সেশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল। বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছেন, কিছু খেলোয়াড়ের হাঁপানি আছে এবং তারা অনুশীলন করে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে রাজি নন।
খেলোয়াড়রা যখন অনুশীলনে অনীহা প্রকাশ করে, তখন এই ধরনের পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের বিষয়ে আইসিসির অবস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নেন রাচিন ও উইলিয়ামসন
মাঠে থাকা আইসিসি এবং বিসিসিআই কর্মীরা ম্যাচের আগে বাতাসের গুণমান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে প্রস্তুত। তাদের মূল্যায়নের পরে, তারা উভয় দলের মেডিকেল টিমের সঙেগ পরামর্শ করবে। যদি তারা নির্ধারণ করে যে ম্যাচটি নিরাপদে এগিয়ে যেতে পারে তবে টস সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে।
এমতাবস্থায় যদি বায়ুর গুণমান একটি উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে তবে তারা বৃষ্টি বা ভেজা আউটফিল্ডের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা প্রোটোকলগুলোর অনুরূপ অপেক্ষা করুন এবং দেখুন পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ক্রিকেট ম্যাচের জন্য নিরাপদ বায়ুমানের মাত্রা নির্ধারণের জন্য আইসিসি ফুসফুস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছে। এছাড়া, মাঠে বিভিন্ন ক্রিকেটীয় অবস্থানের বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার চাহিদার কারণে নিরাপদ বায়ুমানের জন্য নির্দিষ্ট বেঞ্চমার্ক স্থাপন করা চ্যালেঞ্জিং বলে প্রমাণিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ফাস্ট বোলার স্পিনারের তুলনায় বেশি কার্ডিওভাসকুলার স্ট্রেস অনুভব করেন। এটি ইঙ্গিত দেয় যে অভিন্ন বায়ু মানের পরিস্থিতি ফাস্ট বোলার এবং স্পিনার উভয়ের জন্য সমানভাবে নিরাপদ নাও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে মূল্যায়নটি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত